বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে আহত করল যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী প্রতিনিধি
শেয়ার
বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে আহত করল যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা
ছবি: কালের কণ্ঠ

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদককে রাস্তায় কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীপুর গ্রামের ফিরিঙ্গি পোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার বিএনপি নেতার নাম জাকির হোসেন ওরফে আলো (৪৫)। তিনি উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামের মনু বেপারী বাড়ির মনু মিয়ার ছেলে।


   
জানা যায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সলিম উল্যাহ বাহারের বাড়িতে দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের জন্য ভোজের আয়োজন করা হয়। ওই ভোজে খাওয়া শেষে নেয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির জেলা শহর মাইজদী থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীপুর ফিরিঙ্গি পোল এলাকায় পৌঁছালে যুবলীগ-ছাত্রলের কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের মোটরসাইকেল আটকাতে ব্যারিকেড দেয়। এরপর বিএনপি নেতা জাকিরকে মারধর করে রাস্তার পাশে ক্ষেতে নিয়ে যায়। 

একপর্যায়ে সেখানে তাকে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

এ সময় তার সঙ্গে থাকা  ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খন্দকার আরাফাত আহমেদ দিপুও আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুল বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতা জাকিরকে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে আটকে কুপিয়ে জখম করে। আহত বিএনপি নেতা জাকিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।

 

নোয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিম উদ্দীন জানান, যুবলীগ নেতা পিয়াস-বাবুর নেতৃত্বে স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগ এ হামলা চালায়। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই। আহত বিএনপি নেতা জাকির জানায় হামলাকারী যুবলীগ নেতা পিয়াসের কথা।

সুধারাম থানার ওসি কামরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ হামলাকারীদের আটক করতে অভিযানে নেমেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

খুলনায় আনন্দ মেলায় একজন ছুরিকাহত

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুলনায় আনন্দ মেলায় একজন ছুরিকাহত

খুলনা মহানগরীর জাতিসংঘ পার্কে চলমান ঈদ আনন্দ মেলাস্থলে পলাশ (১৮) নামের একজন সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন। তবে হামলার কারণ জানা যায়নি।

কেএমপির খুলনা থানার ওসি হাওলাদার হুসাইন মাসুম বলেন, রাত ৯টার দিকে জাতিসংঘ পার্কের মেলার রেলগাড়িরস্থলে সন্ত্রাসীরা পলাশের পেটে ছুরিকাঘাত করে। এতে তার পেটের নাড়িভূড়ি বের হয়ে যায়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত পলাশ নগরীর সদর থানাধীন মতলেবের মোড়ের বাসিন্দা মো. আব্দুল হামিদ খানের ছেলে।

উল্লেখ্য, গত পয়লা এপ্রিল থেকে জাতিসংঘ পার্কে ঈদ আনন্দ মেলা শুরু হয়েছে। যা আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত চলার কথা।

মন্তব্য

মদ্যপ অবস্থায় থানায় ঢুকে গালিগালাজ, যুবদলের দুই নেতা বহিষ্কার

সিংগাইর, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিংগাইর, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
শেয়ার
মদ্যপ অবস্থায় থানায় ঢুকে গালিগালাজ, যুবদলের দুই নেতা বহিষ্কার
গ্রেপ্তার যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম সরকার জীবন ও শফিকুল ইসলাম

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে দুই যুবদল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল। একটি মারামারি মামলার এজহারভুক্ত আসামিকে ছাড়াতে মদ্যপ অবস্থায় থানায় ঢুকে পুলিশের সঙ্গে অসাদাচারণ ও গালিগালাজ করার অভিযোগে তাদের বহিষ্কার হয়। 

রবিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া।

বহিষ্কৃতরা হলেন- সিংগাইর পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম সরকার (জীবন) ও পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য শফিকুল ইসলাম (২৫)।

বিজ্ঞপ্তিতিতে জানানো হয়, নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন অনুমোদন করেছেন।

এ ছাড়া বহিষ্কৃতদের কোনো কর্মকাণ্ডের দায় দল বহন করবে না বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি যুবদলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক যোগাযোগ না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাতে একটি মারামারি মামলার এজহারভুক্ত এক আসামিকে ছাড়াতে মদ্যপ অবস্থায় থানায় ঢুকে পুলিশের সঙ্গে অসাদাচারণের অভিযোগে দুই যুবদল নেতা গ্রেপ্তার হন। এই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় রবিবার সকালে তাদের দুজনকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান তারা।

সিংগাইর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পার্থ শেখর ঘোষ জানান, শনিবার একটি মারামারির মামলায় আরিফ নামে এক এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

খবর পেয়ে রাত সোয়া ১০টার দিকে মদ্যপ অবস্থায় পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম সরকার জীবন ও পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য শফিকুল ইসলামসহ ৭/৮ জন লোক থানায় এসে আরিফকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন। ছেড়ে দিতে অপারাগতা প্রকাশ করলে শফিকুল ইসলাম সরকার জীবন ও শফিকুল ইসলাম পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ ও গালিগালাজ করেন। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

মন্তব্য

পিরোজপুরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২

‎পিরোজপুর প্রতিনিধি
‎পিরোজপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
পিরোজপুরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২
প্রতীকী ছবি

পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. হানিফ খানকে (৪৫) গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। 

শনিবার (৫ এপ্রিল) গভীর রাতে সদর উপজেলার কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার (৬ এপ্রিল) পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিঠুন কুমার দাস বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. হানিফ খানের স্ত্রী মোসা. নাসিমা আক্তার (৪০) ও সদর উপজেলার পান্তাডুবি গ্রামের আক্কাছ আলী শেখের ছেলে নুরুজ্জামান শেখ (৩৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের তেজদাসকাঠি গ্রামে একাধিক নাশকতা মামলার আসামি পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. হানিফ খান তার বসতঘরের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সদস্যদের নিয়ে নাশকতা করার জন্য গোপন বৈঠক করছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ হানিফ খানকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে ঘরের সদস্যদের দরজা খুলতে বললে আসামিরা উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের ওপর দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোজাম্মেল বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ খান আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সদস্যদের নিয়ে গোপন বৈঠক করছে। অভিযানে সত্যতা যাচাইয়ে ও আসামি হানিফ খানকে আটকের জন্য গেলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সোবহান বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য

সহকর্মীদের মারামারি ঠেকাতে গিয়ে প্রাণ গেল হোটেল শ্রমিকের

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
সহকর্মীদের মারামারি ঠেকাতে গিয়ে প্রাণ গেল হোটেল শ্রমিকের

জয়পুরহাট শহরের নতুন হাট এলাকায় কুসুম সুইটস অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করার সময় দুই সহকর্মীর মারামারি ঠেকাতে গিয়ে রডের আঘাত নিহত হয়েছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মো. জাহিদ হাসান (৩৫)।

রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে তিনি মারা যান।  

এর আগে সকাল ৯টার ওই রেস্টুরেন্টের শ্রমিক শাহীন মিয়ার (২৫) রডের আঘাতে জাহিদ হাসান গুরুতর আহত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহীন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত জাহিদ হাসান সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের গ্রামের ইশাহাক মোল্যার ছেলে। তিনি ৩ বছর ও ১ বছর বয়সি দুই ছেলের জনক। এদিকে জাহিদের এমন মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির মেম্বার জানান, জাহিদ অত্যন্ত একজন ভালো ছেলে।

জীবিকার তাগিদে সালথা থেকে জয়পুরহাটে একটি হোটেলে কাজ করতেন জাহিদ। এবার ঈদের ছুটি কাটিয়ে গত শনিবার বাড়ি থেকে জয়পুরহাটে যান তিনি। রবিবার তার মৃত্যু খবর পায় পরিবার। জাহিদের এই মৃত্যুতে পাগলপ্রায় তার পরিবার।
দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে এখন থেকে কে দেখশোনা করবে সেই চিন্তায় রয়েছে তারা।

জয়পুরহাটের কুসুম সুইটসের ম্যানেজার ফরহাদ হোসেন জানান, রবিবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হোটেল শ্রমিক নাসিমের সঙ্গে শাহিনের মারামারি হয়। এ সময় ওয়েটার জাহিদ তাদের মারামারি ঠেকাতে গেলে শাহীন তাকে রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে প্রথমে আঘাত করেন। পরে আবারও জাহিদকে তিনি একটি রড দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করে জখম করেন।

গুরুতর আহত জাহিদকে উদ্ধার করে প্রথমে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সিদ্দিক। তিনি বলেন, জাহিদকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হোটেল শ্রমিক শাহিনকে আটক করেছে পুলিশ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ