ঢাকা, শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৬
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন

ফ্ল্যাট নিয়ে পার্লামেন্টে মিথ্যাচারের অভিযোগ টিউলিপের বিরুদ্ধে

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
ফ্ল্যাট নিয়ে পার্লামেন্টে মিথ্যাচারের অভিযোগ টিউলিপের বিরুদ্ধে
টিউলিপ সিদ্দিক

যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশে একটি ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে অসত্য তথ্য দিয়েছেন কি না, সে ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে। গুলশানের ওই অ্যাপার্টমেন্ট সম্পর্কে লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশেও তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ডেইলি মেইলকে তিনি বলেছেন, ২০০২ সালে মা-বাবার কাছ থেকে উপহার হিসেবে ফ্ল্যাটটি পেয়েছিলেন।

২০১৫ সালের মে মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বৈধভাবে তিনি ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর কাছে সেটি হস্তান্তর করেন। একই বছরের জুনে ওয়েস্টমিনস্টারে এমপিদের জমা দেওয়া সম্পদের হিসাবে বলা হয়েছিল, পরিবারের একজনের সঙ্গে যৌথভাবে ওই সম্পত্তির মালিকানায় আছেন টিউলিপ। পরের মাসেই ওই ফ্ল্যাটের মালিকানা হস্তান্তর করার কথা বলা হয়েছে সেখানে।

কিন্তু ডেইলি মেইল বলছে, সম্প্রতি ঢাকার সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে ভিন্ন তথ্য পেয়েছে তারা।

সেখানে সংরক্ষিত নথি বলছে, টিউলিপ সিদ্দিক এখনো ওই ফ্ল্যাটের মালিক, যা দুদকের অভিযোগের সঙ্গেও মিলে যাচ্ছে।

চলতি বছরের ১০ মার্চ দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর বোনকে গুলশানের ফ্ল্যাটটি হস্তান্তরে যে নোটারি ব্যবহার করেছেন, তদন্তে তা ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।

টিউলিপ ওই ফ্ল্যাটের মালিকানা রূপন্তীকে হেবা করে দেন। হেবা দলিলটি হয় ২০১৫ সালের ৯ জুন।

সেখানে দাতা ছিলেন রিজওয়ানা সিদ্দিক (টিউলিপ সিদ্দিক); গ্রহীতা আজমিনা সিদ্দিক। দলিলে বলা হয়, বোনের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহ থেকে সম্পত্তি হেবা করে দিতে চান দাতা।

দলিল অনুযায়ী, ২৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকায় কেনা গুলশানের ফ্ল্যাটটি আজমিনা সিদ্দিককে দেওয়া হয়। দলিলে ফ্ল্যাটের সম্পূর্ণ মালিকানা, স্বত্ব, অধিকার এবং একটি পার্কিং স্পেস হস্তান্তরের কথা বলা রয়েছে। সেই দলিল অনুযায়ী ফ্ল্যাটের অবস্থান, গুলশান রেসিডেনশিয়াল মডেল টাউনের ১১ নম্বর প্লটে।

এটি ভবনের দ্বিতীয় তলার দক্ষিণ-পূর্ব পাশের একটি ফ্ল্যাট। দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে হেবা দলিলটি সম্পন্ন হয়। সেই হেবা দলিলে স্বাক্ষর রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী সিরাজুল ইসলামের। তবে তিনি বলেছেন, স্বক্ষরটি তাঁর নয়।

টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবী বলেছেন, যথাযথভাবেই হেবা সম্পন্ন করা হয়েছিল এবং টিউলিপ পরিবারের সদস্যের সঙ্গে যৌথভাবে ফ্ল্যাটের মালিকানায় থাকার কথা ঘোষণাও করেছিলেন, যেহেতু ফ্ল্যাটের ভাড়া তাঁর বোনই পেতেন।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ফেসবুক পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

সরকারে এলে ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সরকারে এলে ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে
মির্জা ফখরুল

বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা এক ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কিভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় দলটি।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫-এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এক ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে এক কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার ০.৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২.৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা এক ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি।

জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কিভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। সেগুলো হলোবিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪দ্ধ৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে সাত দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বাড়ানোর জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলোঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

 

বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা দেওয়া হবে : খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতা করতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর জন্য বিডায় একজন করে ক্যাপ্টেন নিয়োগ দেওয়া হবে।

গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার বনানীর সারিনা হোটেলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে সাংবাদিকদের আমীর খসরু এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অর্থনীতিতে যত ধরনের সংস্কার হয়েছে তার প্রায় সব কটিই বিএনপির করা। আগামী দিনের যে অর্থনীতি হবে, সেটা মাথায় রেখে আমরা একটা পরিকল্পনা আগেভাগেই করেছি। আমাদের ভিশন ২০৩০-এ এটার প্রতিফলন ঘটেছে। ৩১ দফার সংস্কারের মধ্যেও তার প্রতিফলন ঘটেছে। সেটাকে মাথায় রেখে আমরা বাংলাদেশে আসা বিনিয়োগকারীদের বলছি আমরা কী কী পরিবর্তন আনব। বিনিয়োগকারীরা যে বাধা-বিপত্তির মধ্যে পড়ে, সেটা যাতে না পড়ে তার জন্য আমরা সব কিছু সহজ করার মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন আনতে চাই। এর মধ্যে বিনিয়োগকারীদের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার জন্য যত ধরনের সুযোগ-সুবিধা...। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটি মুক্ত অবস্থায় নিয়ে যেতে চাই। তারা (বিনিয়োগকারী) আসার পর এয়ারপোর্ট থেকে আনা থেকে শুরু করে বিনিয়োগ করা, উৎপাদনে যাওয়া পর্যন্ত এবং উৎপাদনের পরবর্তী সময়ে তাদের সব সুযোগ-সুবিধা যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য আমাদের পরিকল্পনা সব কিছু খুলে বলেছি।

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারী আসার পর তার প্রজেক্টটা শুরু করার জন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তরে লাইসেন্সিং ও অনুমতির বিষয় আছে; আমরা এর জন্য বিডায় ইনভেস্টমেন্ট ক্যাপ্টেন বলে অনেক ক্যাপ্টেন দেব। প্রত্যেক ইনভেস্টরের জন্য একজন ক্যাপ্টেন থাকবে। বিনিয়োগকারীর পুরো প্রজেক্ট এই ক্যাপ্টেনের দায়িত্বে থাকবে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীকে কোনো অফিস বা মন্ত্রণালয়ে যেতে হবে না। ক্যাপ্টেনকে সময় বেঁধে দেওয়া হবে, যেমনলাইসেন্স এক সপ্তাহের মধ্যে, ভিসা অনুমতি এক সপ্তাহের মধ্যে ইত্যাদি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, তাজভীরুল ইসলাম, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হুমায়ুন কবির, মাহাদি আমিন এবং বিএনপির আন্তর্জাতিক সহপরামর্শ কমিটির সদস্য ইসরাফিল চৌধুরী খসরু।

 

মন্তব্য

পেছানো হতে পারে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পেছানো হতে পারে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি ভবনের সামনে গতকাল ৪৪তম, ৪৫তম ও ৪৬তম বিসিএসের পরীক্ষার্থীরা সমাবেশ করতে চাইলে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন। ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ৪৪তম বিসিএসের মে ও জুন মাসে নির্ধারিত মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব পরীক্ষার্থী ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন এবং মে-জুন মাসে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নির্ধারিত সময়সূচিতে রয়েছেন, শুধু তাঁদের পরীক্ষাগুলো স্থগিত থাকবে।

পিএসসি আরো জানিয়েছে, আগামী ১৬ জুনের পর দ্রুত তাঁদের নতুন সময়সূচি অনুযায়ী মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

এদিকে কয়েক দিন ধরে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনে রয়েছেন একদল চাকরিপ্রার্থী। আগারগাঁওয়ে পিএসসি ভবনের সামনে টানা তিন দিন ধরে তাঁরা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এই প্রেক্ষাপটে গতকাল বিকেলে জরুরি সভায় বসে পিএসসি। সেখানে ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য ৪৪তমের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে কমিশন এখনো ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার নির্ধারিত সময়সূচি অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।

তবে সভায় আগামী ২৭ জুন অনুষ্ঠেয় ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সভা সূত্রে জানা গেছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগস্টের প্রথম দিকে এই পরীক্ষা হতে পারে। ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল ২০২৪ সালে।

এই বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাডার পদে তিন হাজার ৪৮৭ জন এবং নন-ক্যাডার পদে ২০১ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা। এই বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন পৌনে চার লাখ চাকরিপ্রার্থী।

এদিকে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে গতকাল দুপুরের দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে অবস্থান নেন একদল চাকরিপ্রার্থী। বিকেল ৩টায় তাঁরা পিএসসির দিকে যেতে চাইলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় চাকরিপ্রার্থী ও যৌথ বাহিনী উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।

কয়েকজনকে আটক করা হয় বলেও চাকরিপ্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন। 

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ : চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই গতকাল ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী আগামী ৮ মে থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৯ মে শেষ হবে। গতকাল পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) যুগ্ম সচিব আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এই সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। 

সূচি অনুযায়ী, প্রথম দিনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের বাংলা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৯ মে শেষ দিনে সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হবে।

মন্তব্য

সীতাকুণ্ডে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

    বিভিন্ন স্থানে আরো ৬ জন খুন
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
সীতাকুণ্ডে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

সীতাকুণ্ডে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরে দুই যুবক গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। নিয়ামতপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড়ে এক লেবু চাষিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

কুষ্টিয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে রিকশাচালককে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) : সীতাকুণ্ডে মো. মুসলিম উদ্দিন (৪০) নামের এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর এলাকায় মো. নাদিম ও মো. মাসুদ নামের দুই যুবক গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গোপ্তাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবক মুরাদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর গোপ্তাখালী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহের বলির ছেলে মুসলিম উদ্দিন। তিনি ৪ নম্বর গোপ্তাখালী ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গোপ্তাখালী এলাকায় একদল দুষ্কৃতকারী মুসলিম উদ্দিনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়।

পরে এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি মারা যান।

এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি।

ঢাকা : কামরাঙ্গীর চরে মো. নাদিম ও মো. মাসুদ নামের দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। এ সময় সোহাগ নামের আরেক যুবক আহত হয়েছেন।

গত বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। দুজনকে পিটিয়ে হত্যার সত্যতা নিশ্চিত করে কামরাঙ্গীর চর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ লুত্ফর রহমান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, বুধবার রাতে সিলেটি বাজার এলাকায় দুজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে ঘটনার তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, ওই দুজন কামরাঙ্গীর চর এলাকার সন্ত্রাসী পিচ্চি মনিরের সহযোগী। তাঁরা ওই এলাকার চায়ের দোকানি নূর মোহাম্মদের কাছ থেকে এর আগে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নেন। পরে আরো এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই টাকা দিতে না চাইলে তাঁরা নূর মোহাম্মদকে হুমকি দেন। এ ঘটনায় নূর মোহাম্মদের এক স্বজন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। তিনি আরো বলেন, নাদিম ও মাসুদ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে রাতে মোটরসাইকেলে সিলেটি বাজার এলাকায় আসেন। এ সময় তাঁরা নূর মোহাম্মদকে চাঁদাবাজির মামলা তুলে নিতে হুমকি দেন। রাজি না হওয়া তাঁরা নূর মোহাম্মদকে কুপিয়ে জখম করেন। এ সময় নূর মোহাম্মদের চিৎকারে স্থানীয়রা লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে আসে। ঘটনাস্থলে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মোটরসাইকেলে করে হামলাকারীরা পালানোর সময় তিনজনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা নাদিম, মাসুদ ও সোহাগকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় থানায় নেন। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত সোহাগ চিকিৎসাধীন।

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) : নিয়ামতপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে ৮ থেকে ১০ জন। এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধুরিয়া ডাংগাপাড়ায়। নিহতরা হলেন শরিফুল ইসলাম (৫২) ও আজিজুল (৫০)।

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে ছুরমান খান (৪৩) নামের এক রিকশাচালকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সকালে পৌরসভার চর থানাপাড়া এলাকা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) : রাঙ্গুনিয়ায় পাহাড়ে আওয়াইমং মারমা (৩৩) নামের এক লেবু চাষিকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরো তিন চাষি। লেবু চুরি ঠেকাতে রাতে লেবুবাগান পাহারা দিতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ভোরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটার সীমান্তবর্তী বোয়ালখালীর দুইজ্জাখালের লেমু পাহাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

মন্তব্য

এক তুষারের এত দাপট!

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
এক তুষারের এত দাপট!

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তুষার কুমার ব্যানার্জিকে সরকারি প্রতিবেদনেই অদক্ষ ও অবাধ্য কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করে বদলির সুপারিশ করা হয়েছিল। একই সঙ্গে তাঁকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো স্পর্শকাতর স্থানে পদায়ন করা বা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ এবং অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা আছে বলেও উল্লেখ করা হয়। জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ ব্যবহার করে নানা অপকর্মও করছেন তিনি। পদায়ন ও বদলিতে দাপট দেখাতে তাঁর তুলনা নেই।

তবু তিনি আছেন বহাল তবিয়তে।

জানা গেছে, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ স্বাক্ষরিত এক তদন্ত প্রতিবেদনে অদক্ষ ও অবাধ্য কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয় তাঁকে। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়। এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর বিমানবন্দরে কর্মরত অধিদপ্তরের সহকারী উপপরিদর্শক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তুষার।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তাতে উল্টো ফেঁসে যান তুষার।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিউল ইসলাম দায়িত্ব পালনে অসহযোগিতা করেছেন মর্মে অভিযোগে জানানো হয়েছে। উপস্থিত কর্মচারীদের রিপোর্টিং ছক নিজ হাতে করতে বলা হলে তিনি তাতে অস্বীকৃতি জানান।

উচ্চৈঃস্বরে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন ও অভিযোগকারীকে আক্রমণের চেষ্টা করেন বলে তুষার অভিযোগ তোলেন। অভিযোগে কয়েকজন সাক্ষীর নাম উল্লেখ করা হয়। তবে তদন্তে ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন। ঘটনাস্থলে একাধিক কর্মকর্তা থাকার পরও অভিযোগকারী বিমানবন্দরের সিকিউরিটি ফোর্স ডাকার উদ্যোগ নেনযা একজন কর্মকর্তা হিসেবে নির্বুদ্ধিতা ও চিন্তা-ভাবনার অসারতার পরিচায়ক বলে তদন্ত কর্মকর্তা মনে করেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার শামিল বলেও মন্তব্য করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

তুষার অভিযোগ করেছিলেন, রবিউল ইসলাম খেয়ালখুশি মোতাবেক কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করতেন এবং বিমানবন্দরকেন্দ্রিক বিভিন্ন অবৈধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি পরিচালক প্রশাসনের এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি পাস দেওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি অসহযোগিতা ও বিরোধিতা করেন। অথচ এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, তুষার গত ১৭ অক্টোবর বিমানবন্দরের সার্বিক পরিস্থিতিসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনে বিমানবন্দরটিকে স্বতন্ত্র কার্যালয়ে রূপান্তর এবং আলাদা আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা ডিডিও আইডি খোলার প্রস্তাব করা হয়। একই সঙ্গে রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে বাছাইকৃত ৪০ জন সিপাহির সরাসরি ও সংযুক্তিতে বিমানবন্দরে পদায়নের প্রস্তাব করেন, যা সাংগঠনিক কাঠামোর সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। তিনি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ করেন, বিগত সরকার আমলের নেতা ও এমপিকে বাধ্যতামূলক প্রটোকল দিতেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ও আলামত ছুড়ে ফেলে দিতেন।

অন্যদিকে লিখিত এক অভিযোগে বলা হয়, তুষার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বঙ্গবন্ধু পরিষদ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পদ ব্যবহার করে নানা অপকর্ম করেছেন।তিনি আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে পরিচিত। বিমানবন্দরে যোগদানের পর থকে আওয়ামী নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে তাঁদের দেশ থেকে পার হতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। একই সঙ্গে বিমানবন্দরে অবস্থিত ডিউটি ফ্রি শপ থেকে উৎকাচ গ্রহণ করতেন। একাধিকবার তিনি কর্মরত সংশ্লিষ্ট এসআই ও এএসআইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেন। তাঁর কারণে একজন এসআইকে অন্যত্র বদলি করা হয়, যদিও পরে ওই অভিযোগটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর ২১ জানুয়ারি এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তুষার কুমারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়।

জানা গেছে, তুষার কুমার বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ ব্যবহার করে পদায়ন ও বদলিতে এখনো দাপট দেখাচ্ছেন। তুষার ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার ও সাইফুর রহমান সোহাগের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। কেউ কেউ তাঁকে চেনেন জাহাঙ্গীর কবির নানকের সহচর হিসেবে। ছাত্ররাজনীতির সেই অভিজ্ঞতা ও সম্পর্ককেই পুঁজি করে পরবর্তী সময়ে চাকরি জীবনে বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রভাবশালী নেতায় পরিণত হন তিনি। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন তিনি।

তুষারের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার পেছনে রয়েছেন দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালও। এই সংসদ সদস্যের ছত্রচ্ছায়ায় তুষার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় পোস্টিং নিশ্চিত করেন।

অভিযোগ রয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পোস্টিং নিয়ে ব্যক্তিগত সুবিধা আদায়ে নিয়োজিত থাকতেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ দুটি মামলা চলমান রয়েছে। অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রকাশ পেলেও কার্যত কোনো শাস্তির মুখে পড়তে হয়নি তাঁকে। লোক- দেখানো বিভাগীয় মামলা করে সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের দিয়েই তদন্ত করে রেহাই পেয়েছেন তিনি।

কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে যোগদান করেন তুষার কুমার ব্যানার্জি। ২০২০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮ অমান্যের অভিযোগ ওঠে। ওই সময় বিধিমালার ৪ ধারার ২ এর অনুযায়ী তিরস্কার দণ্ড প্রদান করা হয়। বরিশালের বরগুনা জেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় তুষার কুমার ফিল্ডফোর্স লোকেটর চালুর নির্দেশনা অমান্য করে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর কর্মস্থল ত্যাগ করেন। তবে কথা বলার জন্য বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তুষার কুমার ব্যানার্জির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ