কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের চক্রতলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
পরদিন বুধবার (২ এপ্রিল) রাতে ধর্ষক আল আমিনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। ধৃত আসামীর চক্রতলা গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়েরের পর তাকে কুমিল্লায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার শিশুটিকে উদ্ধার করে বুধবার (২ এপ্রিল) রাতে মডেল থানায় নিয়ে আসে,পরে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি)সহ একটি চৌকস টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত আল আমিন( ২০) নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
শিশুটির মা জানান, ঈদে বাড়িতে মেহমান থাকায় আমি কাজে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ আমার মেয়েকে (শিশু) দেখতে না পেয়ে আমরা খোঁজ করতে থাকি।
পরে আমাদের প্রতিবেশী এক নারী আমাকে জানায়, আল-আমিন আমার মেয়েকে নিয়ে সিএনজিতে বসে আছে। পরে আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আল-আমিন পালিয়ে যায়। আমার মেয়ের শারীরিক অসুস্থতা ও অসংলগ্ন কথাবার্তায় আমি বুঝতে পারি, ওই ছেলে আমার মেয়ের সর্বনাশ করার জন্য কিছু একটা করেছে। তাই আমি থানা পুলিশের কাছে এসে সহযোগিতা চাই।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে , অভিযুক্ত আল আমিন ওইদিন শিশুটিকে একটি খাবার জুস কিনে দেয়। এরপর কী হয়েছে তা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারছেন না। তবে স্থানীয় আরো অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে আগে থেকেই অভিযোগকারীর পারিবারিক একটি ঝামেলা ছিল। অভিযুক্ত আল-আমিন এর আগেও অনেকের সঙ্গে বিভিন্ন ঝামেলায় জড়িয়ে সামাজিক অবক্ষয়ের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে।
এদিকে শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে (কুমেক) পাঠানো হবে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) তানভীর আহমেদ।
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী জানান, ‘শিশুকে ধর্ষণের দায়ে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে অভিযোগের ভিত্তিতে একজন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভুক্তভোগী শিশুটির মা একটি মামলা দায়ের করেন।
তা ছাড়া ধৃত আসামিকে আজ বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।