ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও বাসে বাড়তি ভাড়া, জরিমানা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ
শেয়ার
লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও বাসে বাড়তি ভাড়া, জরিমানা
ছবি : কালের কণ্ঠ

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিভিন্ন পরিবহনে ঈদ-পরবর্তী কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অপরাধে অর্থ জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও শিবালয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম ফয়েজ উদ্দিন এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটের লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে মেসার্স রিয়াদ এন্টারপ্রাইজকে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।

এ ছাড়া ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শিবালয় উপজেলার বরংগাঈল এলাকায় ঢাকামুখী বাসযাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অপরাধে সেলফি ও নীলাচল পরিবহনের ১৩টি মামলায় ২২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।

 

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক এস এম ফয়েজ উদ্দিন বলেন, পাটুরিয়া ও আরিচা নৌ রুটে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহনসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন যানবাহনে ঈদ-পরবর্তী রাজধানীতে ফিরতি যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অতিরিক্ত যাত্রী ও বেশি ভাড়ার বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে আজকেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কারামুক্ত জাকির খান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কারামুক্ত জাকির খান
ছবি: কালের কণ্ঠ

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এর আগে ৭ জানুয়ারি আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জাকির খানসহ সব আসামি বেকসুর খালাস পান। 

দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-১১ এর একটি অভিযানে রাজধানী ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ৩৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। মামলাগুলোর মধ্যে তিনি ৩০টি মামলায় আগেই খালাস পান তিনি। বাকি ৩টি মামলার মধ্যে দুটিতে জামিনে আছেন। সাব্বির আলম হত্যা মামলার খালাসের মাধ্যমে তার কারামুক্তিতে কোনো বাধা ছিল না।
 

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি, বর্তমান তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব এবং নিহতের বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকার বাদী হয়ে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন বিজয়পুরের মৃৎশিল্পীরা

শাহীন আলম, কুমিল্লা
শাহীন আলম, কুমিল্লা
শেয়ার
ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন বিজয়পুরের মৃৎশিল্পীরা
ছবি: কালের কণ্ঠ

বাঙালির নিজস্ব শিল্প, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের অংশ মৃৎশিল্প। বৈশাখ এলে কদর বেড়ে যায় এ মৃৎশিল্পের। সারা বছর তৈজসপত্র তৈরি করে কোনো রকম জীবিকা চালালেও বৈশাখের মেলার অপেক্ষায় থাকে এ শিল্পের কারিগররা। সারা দেশের অধিকাংশ মেলায় তৈজসপত্র চাহিদা মেটায় বিজয়পুরের মৃৎশিল্প।

বিজয়পুর কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার একটি গ্রাম। সারা দেশে বিজয়পুরের মৃৎশিল্প নামে চিনলেও মূলত এই উপজেলা ৭টি গ্রামে মৃৎশিল্প তৈরি হয়। গ্রামগুলো হলো, উত্তর বিজয়পুর, দক্ষিণ বিজয়পুর, নোয়াপাড়া, গাঙকুল, টেগুরিয়াপাড়া, দুর্গাপুর ও বরোপাড়া। বৈশাখ উপলক্ষে ব্যস্ত হয়ে পড়েন গ্রামের মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা।

মৃৎশিল্পের কারিগররা বলছেন, প্রায় ৬৪ বছর ধরে কুমিল্লার ঐতিহ্য টিকিয়ে রেখেছে বিজয়পুরের মৃৎশিল্প। ১৯৬১ সালের ২৭ এপ্রিল কুমার ও পাল বংশের ১৫ জনের আমানতের মোট ১৫৭ টাকা ৫০ পয়সা মূলধন দিয়ে যাত্রা শুরু করে বিজয়পুর মৃৎশিল্প। পরে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) প্রতিষ্ঠাতা আখতার হামিদ খানের পরামর্শে ওই ১৫ জন নিয়ে ‘বিজয়পুর মৃৎশিল্প সমবায় সমিতি’ নামে একটি সমবায় সমিতি গড়ে ওঠে। এই সমিতির মূল লক্ষ্যই হচ্ছে গ্রামের বেকার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান করা।

গতকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে গাঙকুল গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, বৈশাখী মেলার তৈজসপত্রের চাহিদা মেটাতে গ্রামের নারী-পুরুষ মিলেমিশে মাটির হাঁড়ি-পাতিল, রবিঠাকুর, কাজী নজরুল, গণেশসহ বিভিন্নজনের প্রতিকৃতি। পুতুল, হাতি, ঘোড়া, নৌকা, টিয়া, সিংহ, দোয়েল, কচ্ছপ, মাছ, হাঁস, প্লেট, মগ, গ্লাস, চায়ের কাপ তৈরি হচ্ছে সমানতালে। গ্রামের এক অংশ নারী তা আবার রোদে শুকাচ্ছেন। কেউ আবার ফুলদানীতে রঙ তুলিতে আঁকছেন।

গাঙকুল গ্রামের রেখা রানী পাল ও শিখা রানী পাল কালের কণ্ঠকে বলেন, এই গ্রামের মাটির বানানো জিনিসপত্র দেশের বাহিরেও নেওয়া হয়।

বৈশাখের মেলা উপলক্ষে সারা দেশ থেকে বিক্রেতরা এখানে তৈজসপত্রের মালামাল নিয়ে যান। আমরা সবাই অপেক্ষা থাকি বাংলা নতুন বছরের জন্য। এত চাপ থাকে যে অনেক সময় বিক্রেতাদের অর্ডার ফিরিয়ে দেই।

বিজয়পুরের শংকর মৃৎশিল্পের মালিক শংকর পাল কালের কণ্ঠকে বলেন, অন্যান্য বৈশাখের তুলনায় এবার বিক্রি ভালো হচ্ছে। বৈশাখ উপলক্ষে আগেই ডিজাইন দেওয়া থাকে। ওই ডিজাইন বানানোর পর দোকানে নিয়ে আসি। আমার কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতারা বিভিন্ন আইটেমের মাল মেলায় নিয়ে যান।

মাটির তৈজসপত্র কিনতে আসা সদর দক্ষিণ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. পারুল আক্তার মজুমদার কালের কণ্ঠকে বলেন, আমি সব সময় মাটির জিনিসপত্র ব্যবহার করি। এটি ব্যবহার করতে ভালো লাগে। কুমিল্লা ঐতিহ্য হচ্ছে মাটি, এই মাটিই হচ্ছে খাঁটি। আমার ঘরের অধিকাংশ আসবাবপত্র মাটির তৈরি। এমনকি পানির জগও মাটির তৈরি কারণ মাটির তৈরি জিনিসপত্রে পানি রাখলে পানি ঠাণ্ডা থাকে। আমার দেখায় অনেকেই মাটির জিনিস ব্যবহার করছে। আগের সময় দেখেছি দাদা নানারা মাটির প্লেটে খেতেন এখন আবার সে ঐতিহ্য ফিরে আসছে।

‘বিজয়পুর রুদ্রপাল মৃৎশিল্প সমবায় সমিতি’ চন্দন পাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ঘরের আসবাবপত্র বানিয়ে অন্তত ৫০টি পরিবারের কর্মসংস্থান হয়েছে। মাঝখানে আমার গ্যাস থাকায় আমরা সিরামিকের পণ্য তৈরি করছিলাম। ২০১৬ সালে আমাদের গ্যাস বন্ধ করে দেওয়ার পর এখন আর সিরামিকের কিছু বানানো হয় না।

তিনি আরো বলেন, বিগত সময়ে বৈশাখী মেলায় না হওয়ায় আমরা লোকসান দিয়েছি। কারণ মেলা উপলক্ষে যে মাল বানানো হয় এই মাল অন্য সময়ে কম চলে। আগে গ্যাস থাকায় অনেক মাল বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। এখন রপ্তানি কমে গেছে। এই কারখানায় মাসে ৫ লক্ষ টাকা খরচ আছে কিন্তু আমরা খুব বেশি লাভবান হচ্ছি না । সমিতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে কর্মসংস্থান। বর্তমানে কারখানায় ৫০ জন কাজ করছে গ্যাস থাকলে আরো ৫০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যেত।

বিজয়পুর রুদ্রপাল মৃৎশিল্প সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক অরুন চন্দ্র পাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ১৯৬১ সাল থেকে বিজয়পুরের মৃৎশিল্পের কাজ শুরু হয়। প্রথমে গ্রামের ঘরে ঘরে হাতে এই শিল্পের কাজ করা হলেও এখন সময়ের পরিবর্তে মেশিনের সাহায্যে তৈজসপত্র বানানো হয়। এই তৈজসপত্রের মালামাল পুড়াতে আমাদের অনেক ব্যয় হয়। লাকড়ি ও খরের দাম দিন দিন বাড়ছে। তাছাড়া শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে এখন পোষায় না। গ্যাসের ব্যবস্থা করা হলে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের আরো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হত। এখন এ কারখানায় ৫০ জন কাজ করে তখন ১০০ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হত।

কুমিল্লার গাঙকুল গ্রামে বৈশাখী মেলা উপলক্ষে মাটির তৈজসপত্রে রঙ তুলিতে আঁকছেন নারীরা। ছবি : কালের কণ্ঠ

মন্তব্য
আনন্দ শোভাযাত্রা

সপ্তাহব্যাপী মারমাদের প্রাণের উৎসব 'সাংগ্রাই' শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান
নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান
শেয়ার
সপ্তাহব্যাপী মারমাদের প্রাণের উৎসব 'সাংগ্রাই' শুরু
ছবি: কালের কণ্ঠ

বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে বান্দরবানে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী পাহাড়ি সম্প্রদায় মারমাদের প্রাণের উৎসব সাংগ্রাই। রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৮টায় উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে পৌর শহরের রাজার মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। জেলা প্রশাসক মিজ শামীম আরা রিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কেএসমং মারমা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিরামনী, উৎসব কমিটির আহবায়ক চুনু মং মারমাসহ বিভিন্ন দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তরা।

আরো পড়ুন
বাটার শোরুমে ইটপাটকেল ছুড়ে আটক ৪

বাটার শোরুমে ইটপাটকেল ছুড়ে আটক ৪

 

র‌্যালীতে মারমা, চাকমা-তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, বম, ত্রিপুরাসহ বান্দরবানে বসবাসরত ১১টি পাহাড়ি সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পোশাক ও পরিচ্ছদ পরে অংশ নেয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক পদক্ষীণ করে ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে বয়স্ক পুজার আয়োজন করা হয়।

এ অনুষ্ঠানে বয়োজ্যেষ্ঠ্য ব্যক্তিদের মোমবাতি, নগদ অর্থ ও নতুন পোশাক উপহার দেওয়া হয়।

পা ধুয়ে বয়স্ক পূজা করা হয়।

নতুন বছরকে বরণ এবং পুরাতন বছর বিদায়কে ঘিরে পার্বত্য এলাকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতি স্বত্বা সমুহ নিজস্ব সামাজিক ঐতিহ্য নিয়ে সমন্বিতভাবে বিভিন্ন উৎসব পালন করছে। মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাইং, ম্রো সম্প্রদায় চাংক্রান, খেয়াং সম্প্রদায় সাংগ্রান, চাকমা সম্প্রদায় বিজু, তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় বিষু,ও ত্রিপুরা সম্প্রদায় বৈসু, এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের এই উৎসবকে সমষ্টিগত ভাবে বৈসাবি বলা হয়।

আরো পড়ুন
মায়ের ওড়না পেঁচিয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের আত্মহত্যা

মায়ের ওড়না পেঁচিয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের আত্মহত্যা

 

বান্দরবানে মারমাদের সাংগ্রাই-এর মূল আকর্ষণ জলকেলি উৎসব।

সকল পাপাচার ও গ্লানী ধুয়ে মুছে নিতে প্রতিবছর মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অপরের গায়ে পানি ছিটানো উৎসবে মেতে উঠে। পুরাতন বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণের জন্য মূলত এই উৎসব।

পাহাড়ীদের এই ঐতিহ্যবাহি উৎসব দেখতে ও অংশ নিতে বাঙ্গালীরাও ভীড় জমায়। এবার মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব দেখতে বান্দরবানে বহু পর্যটকের আগমন ঘটেছে।

মন্তব্য

ভ্যানে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল চালকের

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক,ঝিনাইদহ
শেয়ার
ভ্যানে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল চালকের
প্রতীকী ছবি

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ভ্যানে বাসের ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে আটটার উপজেলার এলাঙ্গী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত চৈতন্য পাল ওই উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামের কার্তিক পালের ছেলে।

আরো পড়ুন
রাত পোহালেই বর্ষবরণ, ব্যস্ত সময় পার করছেন কেন্দুয়ার মৃৎশিল্পীরা

রাত পোহালেই বর্ষবরণ, ব্যস্ত সময় পার করছেন কেন্দুয়ার মৃৎশিল্পীরা

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে উপজেলার ফাজিলপুর এলাকা থেকে নিজের ভ্যানে কলা নিয়ে কোটচাঁদপুরে যাচ্ছিলেন চৈতন্য পাল।

পথিমধ্যে এলাঙ্গী গ্রামের মাঠের মধ্যে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ভ্যান থেকে চালক চৈতন্যপাল ছিটকে পড়লে বাসটি তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। 

কোটচাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ