তখন সকাল সাড়ে ৯টা পেরিয়ে গেছে। পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বরত সিকিউরিটি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চেকআপ শেষে কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছিলেন। প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখিয়ে বন্ধু, সহপাঠীসহ অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও একে এক প্রবেশ করছে, কিন্তু হঠাৎ চোখে পড়ে প্রবেশপত্র সঙ্গে নেই তীর্থ রায়ের। কেন্দ্রের প্রধান ফটকেই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন তিনি।
বাসায় ফেলে আসা প্রবেশপত্র এনে দিল পুলিশ
রংপুর অফিস

পরীক্ষার্থী শ্রী তীর্থ রায় বলেন, ‘তড়িঘড়ি করতে গিয়ে প্রবেশপত্র ফেলে আসি বাসায়। কেন্দ্রে এসে দেখি আমার কাছে প্রবেশপত্র নেই। হাতে সময়ও কম। বাসায় গিয়ে প্রবেশপত্র এনে পরীক্ষায় বসা দেরি হয়ে যাবে।
পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে থাকা একাধিক ব্যক্তি জানান, পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে ওই শিক্ষার্থী দেখে যে তার প্রবেশপত্র নেই। পুলিশকে বলার পর সেখানে থাকা রংপুর জেলা ট্রাফিকের টিআই নূর আলম সিদ্দিককে বিষয়টি তীর্থ নিজেই জানায়।
ট্রাফিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পরীক্ষার শুরুর পূর্বে এক পরীক্ষার্থী তার প্রবেশপত্র বাসায় ছেড়ে এসেছে বিষয়টি জানায়। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের টিআই (অ্যাডমিন) গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখার কথা বললে আমি মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত ওই পরীক্ষার্থীর বাসা থেকে প্রবেশপত্র এনে কেন্দ্রে পৌঁছে দিই। আসলে এটি সেই সময় দায়িত্ব মনে করেছি। বিশেষ করে ওকে ( শিক্ষার্থী) মানসিকভাবে সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে, যাতে করে তার পরীক্ষায় প্রভাব না পড়ে।’
সম্পর্কিত খবর

পুলিশের কাছে হ্যান্ডকাফ খুলে দেওয়ার অনুরোধ সাবেক সংসদ সদস্যের
দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারওয়ার কবিরকে গাইবান্ধা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারওয়ার কবির তার হ্যান্ডকাপ খুলে দেওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন।
আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার সময় তাকে দিনাজপুর পুলিশ সুপার তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে গাইবান্ধা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৯টা ১০ মিনিটে সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারওয়ার কবিরকে দিনাজপুর শহরের ঈদগাহবস্তি তার বোন ভগ্নিপতির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শাহ সারওয়ার কবির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গাইবান্ধা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকে আজ বুধবার ভোর সকাল পর্যন্ত দিনাজপুরের পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এই অভিযানে সাবেক এমপি শাহ সরওয়ার কবীরকেসহ যারা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এমন আরো ৭১জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাবেক এমপি শাহ সরওয়ার কবীরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরকদ্রব্য আইন, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গাইবান্ধা থানায় দুটি মামলা রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দিনাজপুরে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারওয়ার কবির ব্রিফিং-এ পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ছোট ভাই আমার একটা ব্যক্তিগত প্রত্যাশা আছে। আমাদের আপনারা দেখেছেন, মিডিয়াও দেখেছেন যে আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য বা এখানে আরো যারা আদারস যারা মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বন্দি থাকায় অবস্থায় যখন আদালতে তোলা হত তখন প্রথম প্রথম তাদেরকে হ্যান্ডকাফ লাগানো হয়েছে, পরে আর লাগানো হয়নি, আমরা তো চোর-ডাকাত নই, আমরা তো পার্লামেন্ট সদস্য, আমাদেরকে কেন হ্যান্ডকাফ লাগাবেন? আমার হ্যান্ডকাফটা খুলে দিলে দিলে কি হয়? সম্মানিত করলে সম্মান পাওয়া যায়।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ
মাদকবিরোধী সংবাদ প্রচার, সাংবাদিকের ওপর হামলার ২ আসামি গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে মাদকবিরোধী সংবাদ প্রচারের জেরে সাংবাদিকের উপর হামলা অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তাররা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নিচুধমি গ্রামের মো. সাধুর ছেলে আল আমিন (৩০) ও কৃষ্ণগোবিন্দপুর কাইঠাপাড়া গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে মো. আওয়াল (৩১)।
র্যাব জানায়, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টার দিকে নিচুধমি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় র্যাব-৫ ব্যাটালিয়নের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ১২ এপ্রিল কৃষ্ণগোবিন্দপুর কাইঠাপাড়া এলাকার মাদকবিরোধী সংবাদ প্রচারের জেরে গ্রেপ্তারকৃতরা সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে একজন সাংবাদিকের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় ওই সাাংবাদিক গত ১৪ এপ্রিল ঘটনায় জড়িতদের নামে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থনায় মামলা করেন।
মামলার পর স্বল্প সময়ের মধ্যে মামলার ১ নং আসামি আল আমিন ও ২ নং আসামি আওয়ালকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ডাকাতি মামলায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম সজলকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬। গতকাল মঙ্গলবার রাতে (১৫ এপ্রিল) খুলনার বটিয়াঘাটা থানার তেতুলতলা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ওই ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-৬ থেকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো করেছে। গ্রেপ্তার আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য সজল ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ থানার পিরোজপুর গ্রামের মো. হাতেম আলী মন্ডলের ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিগত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৩টার দিকে ১০/১২ জনের এক একদল ডাকাত রইস উদ্দিনের ভাড়া বাসার গ্রিল কেটে বেলকনি দিয়ে দ্বিতীয় তলায় উঠে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমিরাতে থাকা নগদ টাকা, সাড়ে চার ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ ঘরে থাকা অন্যান্য মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। পরে রইস উদ্দিন বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৬ ও ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্পের একটি যৌথ দল খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানাধীন তেতুলতলায় অভিযান চালিয়ে একটি বাড়ি থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম সজলকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৬ আরো জানায়, ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তার আসামিকে মুকসুদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালটি ঠাকুরগাঁওয়ে করার দাবিতে মানববন্ধন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

চীনের প্রস্তাবিত ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি ঠাকুরগাঁওয়ে করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা১২ টায় ঠাকুরগাঁও উন্নয়ন ফোরামের আয়োজনে এই মানববন্ধনে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি চীন বাংলাদেশে বিশ্বমানের ৩ টি হাসপাতাল করার প্রস্তাব দিয়েছে এবং অবহেলিত রংপুর বিভাগের মধ্যে ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি তৈরি করার কথা বলেছেন। যা এই জেলার জন্য অত্যন্ত সুখবর।
কিন্তু রংপুর বিভাগের ৮ টি জেলার মধ্যে ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় বাদে বাকি জেলাগুলোতে মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শুধু মাত্র এ দুটি জেলায় কোনো ভাল প্রতিষ্ঠান নেই। উন্নত চিকিৎসার জন্য অবহেলিত ঠাকুরগাঁও জেলার মানুষকে রংপুরসহ ঢাকায় যেতে যেতে অনেক রোগী রাস্তাপথেই মৃত্যুবরণ করেন। তাই ঠাকুরগাঁও জেলায় চীনের প্রস্তাবিত ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি হলে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, দিনাজপুর জেলাগুলোর মানুষ ব্যাপক উপকৃত হবে।
বন্ধু রাষ্ট্র চীনের এ প্রস্তাবের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে হাসপাতালটি ঠাকুরগাঁওয়ে স্থাপন করার জোর দাবি জানান মানববন্ধনে অংশ নেয়া বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।