<p>বনানীর অগ্নিকাণ্ডে প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন উদ্ধারকাজে। একদিকে হাজার হাজার মানুষের ভিড় আর সেলফি তোলার দৌরাত্মে বিঘ্ন হয়েছে উদ্ধারকাজ। আবার সেই সাধারণ কিন্তু সচেতন মানুষেরাই প্রশিক্ষিত বাহিনীর কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছেন। তাদের সেই নিঃস্বার্থ কাজ দেখে মানুষ ধন্য ধন্য করছে আর বলছে, এখনও মানবতা বেঁচে আছে এদেশে। <img alt=\"\" src=\"/ckfinder/userfiles/images/SATYAJIT/বনানীর আগুন/fire2_kalerkantho_pic.jpg\" style=\"float:left; height:525px; width:700px\" /></p> <p>শিশু নাঈমকে দেখা গিয়েছিল ফুটো হয়ে যাওয়া পাইপে পলিথিন চেপে ধরে বসে থাকতে। আরেকদিকে তাড়াহুড়া আর মানুষের ভিড়ে পানির পাইপে জট লেগে গিয়েছিল। যে কারণে ক্রেন থেকে আগুনে পানি ছিটানো যাচ্ছিল না। এই সময় এগিয়ে আসেন সাধারণ মানুষ। তারা কেউ ছাত্র, কেউ চাকুরীজীবী আবার কেউবা খেটে খাওয়া মানুষ। সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পানির পাইপ তুলে নেন কাঁধে। <img alt=\"\" src=\"/ckfinder/userfiles/images/SATYAJIT/বনানীর আগুন/fire3_kalerkantho_pic.jpg\" style=\"float:left; height:525px; width:700px\" /></p> <p>সবাই লাইন ধরে দাঁড়িয়ে পানির পাইপ সোজা করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করেন। এভাবেই এসব স্বেচ্ছাসেবী মানুষদের অনেক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কথা বলতে গেল তাদের প্রায় সবাই বলেছেন, মানবতার টানে এসেছি। সরকার যদি আমাদের ফায়ার সার্ভিসকে আরও উন্নত করত; তাহলে হয়তো অনেক মানুষের প্রাণ বেঁচে যেত। </p>