<p style="text-align:justify">অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সহযোগী সাখাওয়াত হোসেন খান শওকতকে (৫৩) গ্রেপ্তার করেছে মতিঝিল থানা পুলিশ। গত সোমবার রাতে (২৮ অক্টোবর) মতিঝিল থানা এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিঝিল থানার ওসি মহিউল ইসলাম। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’</p> <p style="text-align:justify">মতিঝিল থানা সূত্র জানায়, পরিবহন কম্পানি এ অ্যান্ড ওয়াই ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট কম্পানি লিমিটেড এবং সি অ্যান্ড এস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামে ২ টি কম্পানিতে শওকতের পার্টনার ছিলেন আবুল হোসেন তালুকদার। সেই ব্যবসার প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাখাওয়াত হোসেন খান শওকত ও  রিপন মোল্লার বিরুদ্ধে গত ২৮ সেপ্টেম্বর একটি মামলা করেন আবুল হোসেন তালুকদার। সেই মামলায় শওকতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন কর্মসূচির আহ্বান হাসনাত আব্দুল্লাহর" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/30/1730297038-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন কর্মসূচির আহ্বান হাসনাত আব্দুল্লাহর</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/30/1440901" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">ঢাকা ও ফরিদপুরে বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গ্রেপ্তার  শওকত সবসময় সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরীর কাছের লোক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন এবং নিক্সন চৌধুরীর প্রভাব খাটিয়ে তার পার্টনারের ব্যবসা, মূলধন ও লভ্যাংশ আত্মসাৎ করেছেন। অন্যদিকে নিক্সনের চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বসহ বিভিন্ন অপকর্মের অন্যতম সহযোগী ছিলেন শওকত। </p> <p style="text-align:justify">মামলার বাদী মো. আবুল হোসেন তালুকদার বলেন, ‘গ্রেপ্তার সাখাওয়াত হোসেন খান শওকত আমার ব্যবসার কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং ব্যবসা দখল করে আমাকে পথে বসিয়েছেন। আমার ব্যবসার লভ্যাংশ চাইলে শওকত ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে আক্রমণ করতো। প্রায়ই এমপি নিক্সন চৌধুরীর ভয় দেখাতো। তাদের আক্রমণের ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াতাম। আমার ব্যবসা, ব্যবসার মূলধন ও লভ্যাংশ ফেরত পেতে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’</p>