<p>উত্তরার শীর্ষ সন্ত্রাসী ঠোঁটকাটা আলতাফকে ১৩ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। উত্তরা-৮ নম্বর সেক্টরের একটি বস্তি থেকে বুধবার মধ্যরাতে (মঙ্গলবার দিবাগত) আলতাফকে তার দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিন নারীসহ আরো ১১ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী।</p> <p>আলতাফের বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানা থেকে অস্ত্র লুটের অভিযোগ রয়েছে। আলতাফ উত্তরা পূর্ব থানা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি। গ্রেপ্তারকৃত আলতাফের সহযোগীরা হলেন সোহাগ, শামীম. মো. নবী, মো. সুলতান, সোহেল, আশিক, সুমন, শাহীন, শরীফুল, সাগর, ময়না বেগম, সেলিনা ও রহিমা।</p> <p>যৌথ বাহিনী সূত্র জানায়, আলতাফের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১০টিরও বেশি মামলা রয়েছে। তার আসল নাম আলতাফ হোসেন হলেও ঠোঁটকাটা আলতাফ নামেই পরিচিত তিনি। মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা এবং কিশোর গ্যাংয়ের মাধ্যমে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন তিনি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেক দিন আড়ালে ছিলেন আলতাফ। মঙ্গলবার উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের বাইদা বস্তি এলাকায় নিজ আস্তানায় ফেরেন তিনি। সংবাদ পেয়ে রাতেই ডগ স্কোয়াডসহ বস্তিতে যৌথ অভিযানে নামে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশ। পরে আটক করা হয় আলতাফকে।</p> <p>যৌথ বাহিনীর এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, রাজধানী ঢাকায় ছিনতাইকারী ও মাদক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, সরকার পতনের পর উত্তরা পূর্ব থানার অস্ত্র লুট, চাঁদাবাজি, অস্ত্র-মাদক ব্যবসা এবং কিশোর গ্যাং সৃষ্টি করে পুরো এলাকায় ত্রাস ছড়িয়েছেন আলতাফ। যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু দেশি-বিদেশি অস্ত্র, মাদক ও দুটি জার্মান শেফার্ড কুকুর উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে থানা থেকে লুটকৃত অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়।</p>