<p style="text-align:justify">গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনকে ‘জুলাই উদ্যান-২৪’ নাম করা হয়েছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেকসংলগ্ন এ গার্ডেনটিকে নতুন নামে ফের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। </p> <p style="text-align:justify">এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. ইয়াকুব আলী, আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন মিঝি, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রহিম উল্লাহ, রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইটসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা। </p> <p style="text-align:justify">আন্দোলনে শহীদ ও হতাহতদের স্মরণ করে  উপাচার্য বলেন, “আমি প্রথমেই জুলাই আন্দোলনে আহত ও নিহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই জুলাই বিপ্লব না হলে আমরা এখানে মুক্তভাবে বিচরণ করতে পারতাম না। তাই জুলাই বিপ্লবের স্মারক হিসেবে বোটানিক্যাল গার্ডেনকে আজ থেকে ‘জুলাই উদ্যান-২৪’ হিসেবে ঘোষণা করেছি।”</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে আমরা জুলাই বিপ্লবকে হৃদয়ে ধারণ করি এবং আগামী দিনগুলোতে ধারণ করব। আমরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাব কিন্তু এই উদ্যান এবং এই গাছ সারা জীবন থেকে যাবে। নতুন শিক্ষার্থীদের এই উদ্যান দেখে বিপ্লবের কথা মনে পড়বে। আমরা এগুলো শুধু স্মৃতি ফলক হিসেবে তৈরি করি কিন্তু বিপ্লবের স্প্রিট হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। আমরা আর কখনো পেছনে ফিরে যাব না। ছাত্রদের আন্দোলনের মাধ্যমে একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তাই দেশের সংস্কার করে একটি বৈষম্যহীন, উন্নয়ন বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’</p> <p style="text-align:justify">প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে তৎকালীন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের পাশে বোটানিক্যাল গার্ডেনের উদ্বোধন করে। তবে দীর্ঘদিন পরিচর্যার অভাবে উদ্যানটি তার বিশেষত্ব অর্জনের পরিবর্তে ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছিল।</p>