ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫
২৫ চৈত্র ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫
২৫ চৈত্র ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শেখ হাসিনাকে ‘মা’ ডাকলেন রানি মুখার্জি

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
শেখ হাসিনাকে ‘মা’ ডাকলেন রানি মুখার্জি

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব এবং সম্প্রতি ভারত সফরে দিল্লিতে তার দেয়া ভাষণের প্রশংসা করে তাকে ‘মা’ বলে ডেকেছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রানি মুখার্জি।

সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিট-২০১৯’ উপলক্ষে চার দিনের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিন নয়াদিল্লির আইটিসি মৌর্য হোটেলে বাংলাদেশ-ভারত বিজনেস ফোরামের (আইবিবিএফ) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের বিষয়ে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী হিন্দি ভাষায় বলেছিলেন, পেঁয়াজ মে থোড়া দিক্কত হো গিয়া হামারে লিয়ে। মুঝে মালুম নেহি, কিউ আপনে পেঁয়াজ বন্ধ কর দিয়া! ম্যায়নে কুক কো বোল দিয়া, আব সে খানা মে পেঁয়াজ বন্ধ কারদো (পেঁয়াজ নিয়ে একটু সমস্যায় পড়ে গেছি আমরা।

আমি জানি না কেন আপনারা পেঁয়াজ বন্ধ করে দিলেন। আমি রাঁধুনিকে বলে দিয়েছি, এখন থেকে রান্নায় পেঁয়াজ বন্ধ করে দাও)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত দুই দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তৃতার সাড়া দেন হাসি আর করতালিতে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এভাবে হিন্দি বলার দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী রানি।

নিজের ফেসবুক পেজে পোস্টের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব আর বাংলাদেশর উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন রানি। ওই ফেসবুক পোস্টে শেখ হাসিনাকে এশিয়ার ‘গ্রেট লিডার’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে ‘মা’ বলেও ডেকেছেন বলিউডের এ বাঙালি অভিনেত্রী।

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতের সময় সঙ্গে ছিলেন রানি মুখার্জিও।

যশরাজ ফিল্মসের প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্রীয় ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন রানি।

ওই ফেসবুক পোস্টে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু’ চলচ্চিত্রের জন্য শুভকামনা জানান রানি। পাশাপাশি দুই দেশের সংস্কৃতিতে নিজের ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে শিগগিরই বাংলাদেশে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলিউড নায়িকা।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দুই লাখ টাকা দিয়েও হৃত্বিকের দেখা পেলেন না, ক্ষোভ ভক্তের!

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
দুই লাখ টাকা দিয়েও হৃত্বিকের দেখা পেলেন না, ক্ষোভ ভক্তের!
সংগৃহীত ছবি

আমেরিকার টেক্সাস শহরে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হাজির হয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা হৃত্বিক রোশন। কথা ছিল সেখানে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলবেন, কাটাবেন খানিকটা সময়। অভিনেতাকে কাছ থেকে দেখার জন্য রীতিমতো মোটা অঙ্কের টাকার টিকিট কাটেন দর্শকরা। টিকিটের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১.৮২ লাখ টাকা।

পাশাপাশি ২ ঘণ্টার অপেক্ষা। তবু শেষ পর্যন্ত হতাশই হয়েছেন অনুরাগীরা।
 
ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক দর্শক সমাজমাধ্যমে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। যদিও তিনি দোষ দিয়েছেন উদ্যোক্তাদেরই।
তবে অভিনেতা অনুরোধ সত্ত্বেও একটি ছবি তুলতে রাজি হননি বলে হতাশ তিনি। এমনকি সেদিন অভিনেতার মেজাজটাও খুব ভালো ছিল না, সেটাই জানিয়েছেন ওই দর্শক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হৃত্বিক রোশনের এক অনুরাগী লেখেন, ‘হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে দেখা করার জন্য মাথাপিছু ১৫০০ ডলার টিকিটের জন্য খরচ করেছি। একটি ছবিও তুলতে পারিনি।

তারকার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েও ছবি তুলতে পরিনি। এত টাকা খরচ করার পরেও আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমরা ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছি কি কেবল প্রত্যাখ্যানের জন্য?’ 

দর্শকদের সামনে মঞ্চে হৃতিক।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো লেখেন, ‘সেদিন আবহাওয়া এতটা ঠাণ্ডা ছিল যে বলার অপেক্ষা রাখে না। মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য ওই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন হৃত্বিক।

ভিআইপি টিকিট নষ্ট হলো আমার! এখন তারা আমাদের টাকাও ফেরত দেবে না! হৃত্বিক রোশনকে ভালোবাসি, কিন্তু অনুষ্ঠানটি এতটা বিশৃঙ্খল ছিল যে তিনি নিজেও যথেষ্ট বিরক্ত হয়েছেন।’

এখানেই শেষ নয়, অনুষ্ঠানে আগত খুদে দর্শকদের মঞ্চ থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পর হৃত্বিক রোশন কিংবা তার সহযোগী দলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পর্দায় ফিলিস্তিন : যুদ্ধ, ভালোবাসা ও বেঁচে থাকার গল্পে ১০ ছবি

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
পর্দায় ফিলিস্তিন : যুদ্ধ, ভালোবাসা ও বেঁচে থাকার গল্পে ১০ ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় ফের ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। পাখির মতো মরছে মানুষ। আহতদের চিৎকারে ভারী আকাশ-বাতাস।

গাজার এমন পরিস্থিতিতে হতবাক বিশ্বমানবতা। এ বর্বরতা হৃদয় স্পর্শ করেছে বিশ্বের সব শ্রেণিপেশার মানুষের। নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সবাই।

ফিলিস্তিনে যুগ যুগ ধরেই চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন।

নানা সময়ে ফিকশনে এসেছে সে কথা। উপন্যাস লেখা হয়েছে, কবিতা লেখা হয়েছে, সিনেমায়ও এসেছে ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ। এর মধ্যে কোনো সিনেমা নির্মাণই হয়েছে ফিলিস্তিনকে নিয়ে। কোনোটিতে এসেছে ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ।
এমন কয়েকটি সিনেমা সম্পর্কে জানা যাক, যেগুলোতে ফিলিস্তিনি সংগ্রাম, জীবনযাপন, ও মানবিকতা বিশ্বজুড়ে দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। 

ফারহা
এক কিশোরী মেয়ে ফারহার স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা করে শিক্ষক হওয়া। কিন্তু হঠাৎ করেই তার শান্ত জীবন যুদ্ধের ছোবলে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গ্রাম আক্রান্ত হলে, ফারহার বাবা তাকে বাঁচানোর জন্য বাড়ির একটি ছোট ঘরের ভেতর লুকিয়ে রাখে। বাইরে যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ চলতে থাকে, ফারহা সেই ঘর থেকেই যুদ্ধের বিভীষিকা দেখে ও শোনে।

ফারহার চোখের সামনে ঘটে যায় নির্মম হত্যাকাণ্ড, নিরীহ মানুষদের উপর নিষ্ঠুর অত্যাচার।

সিনেমাটি মুক্তির পর আন্তর্জাতিকভাবে বেশ আলোচিত হয়েছে এবং কিছু সম্মানজনক পুরস্কার ও মনোনয়নও অর্জন করে।

ওমর
ওমর হলো ফিলিস্তিনের দখলদারিত্ব আর বিশ্বাসঘাতকতার গল্প। ওমর একজন তরুণ ফিলিস্তিনি, যিনি প্রতিদিন নিরাপত্তা দেয়াল টপকে তার প্রেমিকা নাদিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান। ওমর ও তার দুই বন্ধু- তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু তাহা (নাদিয়ার ভাই) এবং আমজাদ। তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তারা একদিন এক ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যা করে, এবং এর পর থেকে ওমরের জীবন এক ভয়ংকর মোড় নেয়। ইসরায়েলি বাহিনী ওমরকে আটক করে এবং নির্যাতনের মুখে সে বাধ্য হয় একটি কঠিন চুক্তিতে যেতে।

হ্যানি আবু-আসাদ পরিচালিত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র যা একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে সিনেমাটি।

আরো পড়ুন
‘ভিউ’ বাড়াতে সন্তানদের ব্যবহার, প্রশাসনের নজরে ‘ক্রিম আপা’

‘ভিউ’ বাড়াতে সন্তানদের ব্যবহার, প্রশাসনের নজরে ‘ক্রিম আপা’

 

প্যারাডাইস নাউ
হানি আবু আসাদ পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০০৫ সালে। এটি একটি সাইকোলজিক্যাল ড্রামা, যা আবর্তিত হয়েছে দুই ফিলিস্তিনি নাগরিক সাইদ ও খালেদকে ঘিরে। তারা ইসরায়েলে একটি আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করে। তারা ধার্মিক না, তারা রাজনৈতিক কর্মীও না। তারা দুই বন্ধু নিজেদের শেষ দিনগুলো একসঙ্গে যাপন করছিল। এর মধ্য দিয়েই বা তাদের গল্পের মধ্য দিয়েই সিনেমায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ফিলিস্তিনের অবস্থা।

গোল্ডেন গ্লোবে সেরা বিদেশী সিনেমা বিভাগে পুরস্কার পেয়েছিল। এছাড়া প্রথম ফিলিস্তিনি সিনেমা হিসেবে এটি মনোনীত হয়েছিল একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে। একই সময়ে সিনেমাসংশ্লিষ্ট বেশকিছু গ্রুপ প্যারাডাইস নাউকে একাডেমি অ্যাওয়ার্ড থেকে বাদ দেয়ার জন্যও আন্দোলন করেছিল।

দ্য প্রেজেন্ট
২০২০ সালে নির্মিত এ শর্টফিল্মটির গল্প ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে এক সাধারণ বাবা এবং তার ছোট মেয়েকে নিয়ে। বাবা ইউসুফ তার মেয়ে ইয়াসমিনকে সঙ্গে নিয়ে বিয়ের বার্ষিকীতে স্ত্রীর জন্য একটি উপহার কিনতে বের হন। তবে এই সাধারণ কাজটিও সেখানে সহজ নয়। পথে তাদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চেকপয়েন্ট অতিক্রম করতে হয়, যেখানে প্রতিনিয়ত অপমান, নিরাপত্তা তল্লাশি এবং হেনস্তার সম্মুখীন হতে হয় ফিলিস্তিনিদের। ইউসুফ এবং ইয়াসমিনও এই হয়রানির বাইরে নন। চেকপয়েন্ট পার হওয়ার সময় ইউসুফ বারবার বাধার সম্মুখীন হন, কিন্তু ছোট্ট ইয়াসমিন সাহসের সাথে বাবার পাশে থাকে। সব অসুবিধা পেরিয়ে তারা অবশেষে উপহার কিনতে সক্ষম হন। ফেরার পথে আবার চেকপয়েন্টের মুখোমুখি হলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে।

শর্টফিল্মটি ফিলিস্তিনি জীবনের প্রতিদিনকার সংগ্রাম, মানবিকতা, সাহসিকতা ও সেনা দখলদারিত্বের বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছে। বিশ্বব্যাপী বেশ প্রশংসিত হয়েছে এটি।

আরো পড়ুন
ঘনিষ্ঠতা মানেই যৌনতা নয় : অনুরাধা

ঘনিষ্ঠতা মানেই যৌনতা নয় : অনুরাধা

 

ফাইভ ব্রোকেন ক্যামেরাস
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিনের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। এর মধ্যে একটা সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শুরু করে হত্যার মহোৎসব। কিন্তু নানা সময় তাদের এসব কাজের বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলন হয়েছে। সে গল্প নিয়েই তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন গাই দাভিদি ও এমাদ বার্নাট। পশ্চিম তীরের বহু ঘর, পরিবারের ওপর ঘটে যাওয়া অত্যাচার ও নিপীড়নের চিত্র এ দুই নির্মাতা তুলে রেখেছিলেন তাদের ক্যামেরায়। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তারা কাজটি করেছেন।

২০১১ সালে নির্মিত এ তথ্যচিত্রকে বলা হচ্ছে রাজনৈতিক ও সিনেম্যাটিক অ্যাক্টিভিজমের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। নির্মাতারা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, যেকোনো সময় তাদের ঘরের দরজায় ধাক্কা পড়তে পারে এবং সব শেষ হয়ে যেতে পারে জেনেও তারা কাজ করে গেছেন।

ওয়াল্টয উইথ বশির
এরি ফোলম্যান ২০০৮ সালে নির্মাণ করেন সিনেমাটি। লাইভ অ্যাকশন না, সিনেমাটি অ্যানিমেটেড। মূলত ১৯৮২ সালের লেবানন যুদ্ধের এক সৈন্যকে নিয়ে এগোয় গল্প। সিনেমার অ্যানিমেশন করেছিলেন ডেভিড পোলনস্কি। তার অ্যানিমেশন ও ফোলম্যানের নির্মাণ এর বিষয়কে আরো স্পষ্ট করে তুলেছিল দর্শকের কাছে। ফলে ওয়াল্টয উইথ বশির গোল্ডেন গ্লোবে সেরা অ্যানিমেটেড সিনেমার পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি অস্কারেও মনোনীত হয়েছিল।

আরো পড়ুন
‘সহ্যের একটা সীমা থাকে’, ঠাকুরপুকুরের ঘটনায় স্বস্তিকার ক্ষোভ

‘সহ্যের একটা সীমা থাকে’, ঠাকুরপুকুরের ঘটনায় স্বস্তিকার ক্ষোভ

 

লেমন ট্রি
সিনেমাটিও ২০০৮ সালে নির্মিত। নির্মাণ করেছেন এরান রিকলিস। সিনেমাটিতে সালমার গল্প বলা হয়েছে। তিনি ফিলিস্তিনের একটি গ্রামের বাসিন্দা। লেবু বাগানের ওপর নির্ভর করেই জীবনধারণ করেন। কিন্তু একটা সময় ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু উদ্যোগ নেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নামে কিছু সীমানা তৈরির চেষ্টা করে, যার কারণে ধ্বংসের মুখে পড়ে সালমার লেবু বাগান। সালমা তা মানতে চায় না। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায় সে।

লেমন ট্রি মূলত একটি মানবিক গল্প। একটি ছোট পরিসরের গল্প থেকে বড় পরিসরের বাস্তবতা বোঝানোর চেষ্টা দেখা যায় এ সিনেমায়।

দ্য গেটকিপারস
২০১২ সালের সিনেমাটিকে ইসরায়েলি সিনেমা বলা হলেও বস্তুত এর পেছনে কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রযোজনা সংস্থার হাত আছে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ইসরায়েলি নির্মাতা দোরর মোরে। কম্পিউটার অ্যানিমেশন ও বেশকিছু দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়ে তিনি সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া আছে আর্কাইভের বেশকিছু ফুটেজ। ইসরায়েলি সরকার ছাড়াও যে তাদের এজেন্সি শিন বেট বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে এ সিনেমা সেদিকে নজর দেয়। সিনেমায় যুদ্ধ নিয়ে বেশকিছু চিত্র আছে। নির্মাতা দ্য ফগ অব ওয়ার থেকে অনুপ্রাণিত ছিলেন বলে সিনেমা বিশ্লেষকরা মনে করেন।

আরো পড়ুন
শাহরুখের সঙ্গে আরেকটা ছবি করতে চাই : সানি দেওল

শাহরুখের সঙ্গে আরেকটা ছবি করতে চাই : সানি দেওল

 

ফক্সট্রট
এক ধারার নাচের নাম হলেও স্যামুয়েল মাওজের ফক্সট্রট একটি ফ্যামিলি ট্র্যাজেডি। নির্মাতা এ সিনেমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে। সিনেমাটি পেয়েছিল সিলভার লায়ন। ২০১৭ সালে নির্মিত এ সিনেমায় তিন ধাপ বা ভাগে গল্পটি বলা হয়েছে। শুরুর গল্পে সেনারা এক মধ্যবয়সী দম্পতির বাড়িতে এসে জানায় তাদের ছেলে ডিউটিরত অবস্থায় মারা গেছে। এরপর সীমান্তে দায়িত্বরত সেনাদের জীবনের গল্প দেখানো হয়। সেখান থেকে গল্প আবার চলে যায় ওই দম্পতির কাছে। সিনেমাটিতে মূলত সৈন্যদের অবস্থা দেখানো হয়েছে। সেনারা সরল মনে সীমান্ত ও যুদ্ধে গিয়ে রাজনীতির বলি কীভাবে হন সে কথা বলে সিনেমাটি। সিনেমা বিশ্লেষকরা বলতে চার মাওজের কাজটি মানবিকতার দিক তুলে ধরতে চেয়েছে।

নো আদার ল্যান্ড
চারজন নির্মাতার দলগত প্রয়াস এ সিনেমা। এটিও দুই বন্ধুর গল্প। পশ্চিম তীরের এক গ্রামের দুই বন্ধুর জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনের চলমান অবস্থার বাস্তবতা দেখিয়েছেন নির্মাতারা। অনেকটা দিনলিপির মতো এগিয়েছে গল্প। বাসেল ও ইউভালের এ গল্প একসময় হয়ে ওঠে বাস্তু রক্ষার সত্যের দিনলিপি। 

ডকুমেন্টারিটি কেন্দ্রীভূত পশ্চিম তীরের মাসাফা জোহার অঞ্চলে। এই এলাকা বহু ফিলিস্তিনি গ্রাম নিয়ে গঠিত, যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপন এবং সেনাবাহিনীর দখলদারিত্বের মুখে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। ৯৭তম একাডেমি পুরস্কারে সেরা তথ্যচিত্রের অস্কার জিতে নেয় এটি।

গাজা মন আমোর
জার্মান সিনেমাটির পরিচালক আরব নাসর ও তার্জান নাসর। সিনেমাটি মুক্তি দেয়া হয়েছিল জার্মান, পর্তুগিজ ও আরবি ভাষায়। এটি মূলত ৬০ বছর বয়সী জেলের গল্প, যে কখনো তার পছন্দের নারীকে ভালোবাসার কথা বলতে পারেনি। কিন্তু একসময় জালে ওঠা গ্রিক দেবতা অ্যাপলোর মূর্তি দেখে তার মনে হয় ভাগ্যদেবতা এবার প্রসন্ন হলেন। কিন্তু দেবতা প্রসন্ন হলেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ মূর্তির খোঁজ পেলে শুরু হয় নতুন সমস্যা। সিনেমার এ গল্পের মধ্য দিয়ে গাজার চলমান অস্থিরতা, সামাজিক সংকট ইত্যাদি তুলে ধরেছেন নির্মাতারা।

২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে। আরব ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালসহ একাধিক জায়গায় সমালোচকদের মন জয় করেছে এটি। 

মন্তব্য

‘দাগি’ সিনেমার নেগেটিভ রিভিউ, আইনি ব্যবস্থা নেবেন প্রযোজক

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘দাগি’ সিনেমার নেগেটিভ রিভিউ, আইনি ব্যবস্থা নেবেন প্রযোজক

এবার ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছয় সিনেমা ঘিরে দর্শকদের বেশ উন্মাদনা লক্ষ করা গেছে। সিঙ্গেল হল থেকে শুরু করে মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে টিকিট নিয়ে চলছে হাহাকার। এমতাবস্থায় ‘দাগি’ সিনেমার নেগেটিভ রিভিউ ইস্যুতে আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিনেমাটির প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল। 

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ‘দাগি’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে এমনটা জানান এই প্রযোজক।

এ সময় তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি কোনো একটি সিনেমার রিভিউ ‘দাগি’ বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং সেটা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যারা এটা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।” 

একটি ভিডিওতে দেখেছি যেখানে বলা হচ্ছে, ‘এটি একটি জঘন্য সিনেমা। আমরা টিকিট না পেয়ে এই সিনেমা দেখেছিলাম।

খুব খারাপ।’ পাশে দাগির পোস্টার, যেন এটা দাগির রিভিউ। এত দিন ধরে একটাও নেগেটিভ রিভিউ পেলাম না, হঠাৎ করে কেন এই ধরনের রিভিউ যে, এত খারাপ সিনেমা! 

এরপর হুঁশিয়ারি দিয়ে এই প্রযোজক আরো বলেন, ‘যারা এটা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। আর কেউ এ রকম ঔদ্ধত্য দেখাবেন না, আবারো যদি কেউ এ রকম করেন তাহলে আমরা অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

’ 

প্রসঙ্গত, আলফা আই প্রযোজিত ‘দাগি’ নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন। এতে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহিদ্দুজামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে পবন কল্যাণের ছেলে

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে পবন কল্যাণের ছেলে
পবন কল্যাণ

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর আহত হয়েছে অন্ধ্র প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অভিনেতা পবন কল্যাণের পুত্র মার্ক শঙ্কর। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে সিঙ্গাপুরে মার্কের স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যার জেরে অগ্নিদগ্ধ হয় ৮ বছরের মার্ক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিঙ্গাপুরের একটি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানা গেছে, স্কুলে ক্লাস চলাকালীনই মঙ্গলবার সেখানে আগুন লেগে যায়। যার লেলিহান শিখা এবং ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ে পবন কল্যাণের ছোট ছেলে মার্ক শঙ্কর। কী কারণে সিঙ্গাপুরের ওই স্কুলে হঠাৎ আগুন লেগে যায়, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। তবে আগুনের লেলিহান শিখার গ্রাসে পড়ে মার্ক শঙ্করের হাতে এবং পায়ে লেগেছে বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন
‘ভিউ’ বাড়াতে সন্তানদের ব্যবহার, প্রশাসনের নজরে ‘ক্রিম আপা’

‘ভিউ’ বাড়াতে সন্তানদের ব্যবহার, প্রশাসনের নজরে ‘ক্রিম আপা’

 

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে অভিনেতার জনসেনা পার্টি লিখেছে, রাজনৈতিক কাজের অংশ হিসেবে পবন কল্যাণ এখন অন্ধ্র প্রদেশের আল্লুরি সীতারামরাজু জেলায় অবস্থান করছেন। নেতাকর্মীদের পরামর্শে সফর স্থগিত করে আজই সিঙ্গাপুরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পবন কল্যাণ। 

অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় পবন কল্যাণ। জনসেনা পার্টির প্রধান তিনি।

২০২৪ সাল থেকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন কারছেন। ১৯৯৭ সালে নন্দিনীকে প্রথম বিয়ে করেন পবন কল্যাণ। ২০০৭ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। ২০০৯ সালে অভিনেত্রী রেণু দেশাইকে বিয়ে করেন পবন। ২০১২ সালে এ সংসারের ইতি টানেন তারা।
পবন-রেণু দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।

আরো পড়ুন
শাহরুখের সঙ্গে আরেকটা ছবি করতে চাই : সানি দেওল

শাহরুখের সঙ্গে আরেকটা ছবি করতে চাই : সানি দেওল

 

২০১১ সালে ‘টিন মার’ সিনেমার শুটিং সেটে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান রাশিয়ান মডেল-অভিনেত্রী আন্না লেজনেভার ও পবন কল্যাণ। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন এই যুগল। এ সংসার আলো করে জন্ম নেয় পোলেনা অঞ্জনা পবনোভা নামে এক কন্যা এবং মার্ক শঙ্কর পবনোভিচ নামে একটি পুত্রসন্তান।  ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর জন্ম হয় মার্ক শঙ্করের। ৮ বছর বয়সী মার্ক শঙ্কর এই মুহূর্তে সিঙ্গাপুরের একটি স্কুলে পড়াশোনা করছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ