ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

গানের আসল মালিক কে?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

দুজনই অভিনয়ের আঙিনায় তারকাখ্যাতি পেয়েছেন। অসংখ্য নাটকে ব্যতিক্রমী সব চরিত্র দিয়ে মন ভরিয়েছেন দর্শকের। তাঁরা উপহার দিয়েছেন অনেক দর্শকপ্রিয় সিনেমাও। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁরা গানেও বেশ সুপরিচিত।

অভিনয়ে মুগ্ধ করেছেন তাঁরা বরাবরই। কণ্ঠের জাদুতেও সম্মোহিত করেছেন দুজনই। এবার নতুন একটি গানে কণ্ঠে রীতিমতো সংগীতাঙ্গনে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী ও মেহের আফরোজ শাওন। দুজনে মিলে একটি লোকগানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ শিরোনামের গানটি তাঁদের কণ্ঠে আলোচনায় এসেছে নতুন করে। এটি ভাইরাল হয়ে পড়ে দ্রুত। তবে এই গানের বিরুদ্ধে অনলাইন পদক্ষেপ আসে। জানা গেছে, আপত্তি সরলপুর ব্যান্ডের।
তাদের আপত্তির কারণেই ইউটিউব ভিডিওটি কপিরাইট ক্লেইমের আওতায় 'টেকডাউন' করে।

গত রাতে সরলপুর ব্যান্ড গণমাধ্যমের কাছে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও কপিরাইটের কাগজপত্র পাঠিয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, গানটির মালিক সরলপুর ব্যান্ড।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা তারা বলেছে, 'আমরা সরলপুর ব্যান্ড ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশে সংগীতচর্চা করে আসছি। এ পর্যন্ত আমরা ৫০টির মতো মৌলিক গান করেছি।

এর মধ্যে আমাদের লোকজ ধারার মৌলিক গান যুবতী রাধে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, গানটি নিয়ে মানুষের মাঝে নানা ধরনের বিভ্রান্তিও ছড়িয়ে পড়েছে যে এটি মৈমনসিংহগীতিকা থেকে সংগৃহীত একটি গান। মূলত আমাদের ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ভোকাল ও গিটারিস্ট তারিকুল ইসলাম তপনের লেখা ও সুর করা এ গানটি সরলপুর ব্যান্ড শুরু থেকেই পরিবেশন করে আসছে। কিন্তু বিভিন্ন সময় আমাদের গানটি অনেকেই নিজের বলে প্রকাশের চেষ্টা করে এসেছেন। যার ফলে ২০১৮ সালে আমরা গানটির কপিরাইট সংগ্রহ করি।

সরলপুর ব্যান্ড বলে, ‘যুবতী রাধে’ গানটি আমরা লেখা শুরু করি ২০০৬/২০০৭ সাল থেকে।  তখনকার সময়ে আমরা কয়েকজন একদিন রাতে রাতব্যাপী পালাগান দেখতে যাই। যেখানে রাধাকৃষ্ণ সম্পর্কিত বিভিন্ন পালাগান হয়েছিল। যা আমাদের খুবই ভালো লাগে এবং মন কাড়ে। তার পর থেকে রাধা কৃষ্ণর গানগুলোর ওপর নির্ভর করে আমরা এ গানটি লেখা শুরু করি। রাধা কৃষ্ণের গল্প থেকে আমরা বিভিন্ন তথ্য-ভাবধারা, শব্দচয়ন সংগ্রহ করে থাকি। কিন্তু কোনো হুবহু কথা আমরা সংগ্রহ করিনি। আমাদের এ গানের সঙ্গে কোথাও কোনো গানের হুবহু মিল নেই।

সরলপুর ব্যান্ড সংগীতশিল্পী সুমী মির্জাকে 'কথিত সংগীতশিল্পী' আখ্যা দিয়ে বলেন, 'গানটি নিয়ে প্রথম বিভ্রান্তি তৈরি করেন সুমি মির্জা নামের এক কথিত শিল্পী। তিনি গানটির কথা পরিবর্তন করে লেজার ভিশনের ব্যানারে তাঁদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেন। ইউটিউবের কমেন্টে আমাদের সে গানটিকে তিনি পালা গান, মহুয়া গান, গোয়ালিনী গানসহ নানা নামে প্রচার করেন। আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হই। পরে কপিরাইট অফিস থেকে আমাদের দুই পক্ষকে ডাকা হয়, সুমী মির্জা গানটিকে মৈমনসিংহগীতিকার মহুয়া গান কিংবা গোয়ালিনী গান বলে দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারায় দুটি শুনানির মাধ্যমে গানটির সত্যতা প্রকাশ হয় এবং গানটির কপিরাইট আমরা পাই। পরবর্তী সময়ে তিনি আমাদের ‘যুবতী রাধে’ গানটির সুর ও কথার অংশ হুবহু নকল করেন, ‘বিনোদিনী রাই’ নামে আরেকটি গান প্রকাশ করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে গানটির কপিরাইট নিয়ে নেন।'

তবে সরল ব্যান্ডের এসব দাবিকে নাকচ করে দেন কণ্ঠশিল্পী সুমী মির্জা। 

সুমি মির্জার কণ্ঠে বিনোদিনী রাই 

সুমী মির্জা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি কখনো অন্যের সৃষ্টিকে নিজের বলে দাবি করতে চাই না। আমি গানটি প্রথম শুনি যাযাবর ব্যান্ডের রাসেল ভাইয়ের কণ্ঠে। এরপর এই গানটি আমি নিজে গাই। ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল আমার গানটি লেজার ভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হলে এটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। গানটি যখন মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে তখন সরল ব্যান্ড ওই বছরের ৪ জুন গানটির কপিরাইট নিয়ে নেয়। এমনকী তারা বিরুদ্ধে এমনভাবে অভিযোগ আনার চেষ্টা করে যাতে গানটি গাইতেই না পারি। পরে ২০১৯ সালে আমি নতুন করে গানটি তৈরি করে "বিনোদিনী রাই" নামে কপিরাইট সনদ নেই।' 

সুমী বলেন, 'আসলে এই গানের প্রথম ৮ লাইন আমি লিখেছি। গানটি লেখার জন্য সহায়তা নিয়েছি মৈমনসিংহ গীতিকা, মহুয়াপালাসহ আরো দু-একটি লোকজ অনুষঙ্গের। আমি তো জোর গলায় দাবি করতে পারি না এই গানের রচয়িতা আমি। এই গানের জন্য আমাকে হয়রানির স্বীকার হতে হয়েছে। কিন্তু আমি হেরে যাই নি, কারণ আমি তাদের মতো প্রতারণার আশ্রয় নিইনি। তারা বলছে গানের কথা তাদের, সুরও করেছে। তাহলে যেখান থেকে তারা বলেছে ৩০ ভাগ কথা নিয়েছে তখন কি গানের সুর ছিল না? ওই বাউল ও তার স্ত্রী কি গানটা গাইতো না?' 

জানা গেছে, 'যুবতী রাধে' গানটি সরলপুর ব্যান্ড গ্রাম-গঞ্জের এক বাউলশিল্পী/সাধকের কাছ থেকে গানটা সংগ্রহ করেছিল। এ গানের কপিরাইট নিয়ে এখনো একটি অভিযোগ পর্যালোচনাধীন রয়েছে, তার সঠিক সুরাহা হয়নি বলে জানা গেছে।

মার্জিয়া তুরিন অবশ্য নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘২০০৮ সালে বকশীগঞ্জের এক সাধুর কাছ থেকে গানটি পাই। তখন তিনি খুবই বৃদ্ধ ছিলেন, তাঁর সঙ্গে একজন সাধন সঙ্গিনীও ছিলেন। এই সাধুর কাছে পুরো গানটি পাইনি, ৩০ ভাগ পেয়েছিলাম। তারপর আমাদের ব্যান্ড দলের সদস্য আল আমিন ভাই এবং তপন বাকি সত্তর শতাংশ গান রচনা করেন। পরে গানটির কম্পোজিশন করেন তপন- অর্থাৎ আমার স্বামী। ২০১২ সালে গানটি আমরা রেকর্ড করি।' 

অবশ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তপনকে একমাত্র গীতিকার ও সুরকার হিসেবে উল্লেখ করেছে সরলপুর ব্যান্ড। 

এখানে স্পষ্ট হচ্ছে, একই গানের কপিরাইট দুই পক্ষের হাতে রয়েছে। শুধু গানের নাম পরিবর্তনের কারণে। সুমী মির্জা বুধবার রাতে ফেসবুকে লিখেছেন, 'যে নিয়মে গান কপিরাইট হয়, ঠিক একই নিয়মে আমার লেখা বিনোদিনী রাই কপিরাইট স্বীকৃতি পেয়েছে।' সুমী তার সার্টিফিকেট পোস্ট করেছেন। সুমী মির্জাকে একজন মন্তব্য করেন, 'গানটির আসল লেখকের নাম জাতি জানতে চায়।' সুমি উত্তরে বলেন, আমরাও। অর্থাৎ তিনি কপিরাইট সার্টিফিকেট পাওয়া সত্ত্বেও গানের প্রকৃত লেখকের নাম জানতে চান।

গানটির সংগীত আয়োজন করেছেন পার্থ বড়ুয়া। পার্থ বড়ুয়ার বরাত দিয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, 'পার্থদার সঙ্গে কথা হয়েছে বুধবার রাতে। তিনি বললেন, আমরা তো জানতাম না এই গানের কথা অন্য কেউ লিখেছেন। জানলে তো আর সংগৃহীত লিখতাম না। ওরা যদি কাগজপত্র দেখিয়ে বলত, অবশ্যই তাদের ক্রেডিট দিতাম। তার মানে এই নয়, অভিযোগ করে ইউটিউব থেকে গান নামিয়ে দিতে হবে! আমি বা পার্থদা আমাদের কারো ফোন নম্বর জোগাড় করা কঠিন কিছু না। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হওয়ার পর কপিরাইট ক্লেইম করতে পারত।'

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, এই যে ‘বকুল ফুল বকুল ফুল’ গানটা, এটা কিন্তু বাংলাদেশে সবার আগে আমার কণ্ঠে রেকর্ড হয়েছে। এরপর ‘জলের গান’ করেছে, তারও পরে মুন্নী (দিনাত জাহান) আপা। একজনের কাছ থেকে মোবাইলে রেকর্ড করে এনে গেয়েছিলাম। জিজ্ঞেস করেছিলাম? কোথায় পেলেন, কার গান এটা? কিছুই বলতে পারেনি। প্রচলিত একটা গান। তো আমি কি এই গানের কপিরাইট দাবি করব! 

এদিকে সরলপুর ব্যান্ডের প্রধান শিল্পী মার্জিয়া তুরিন ও প্রধান গিটারিস্ট তরিকুল ইসলাম তপন তাঁদের ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় সব মাধ্যম থেকে আইপিডিসি ফিন্যান্স লিমিটেডকে গানটি সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যথায় আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে ব্যান্ডদলটি। আগামীকাল গানটির কপিরাইটের কাগজপত্রসহ লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করবে বলেও জানিয়েছে। 

অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে বেশ হৈচৈ হচ্ছে। অনেকেই শাওন-চঞ্চলের গানটি নামিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সদ্যঃপাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরলপুর ব্যান্ড সংগৃহীত কথাটি উল্লেখ করেনি। সংগীতশিল্পী লুৎফর হাসান নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, 'চঞ্চল চৌধুরী ও মেহের আফরোজ শাওনের গাওয়া গানটি এক দিনেই ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল। এই গান সব গানের রেকর্ড ভেঙে দিত। কপিরাইট ক্লেইমের কারণে গানটি নামিয়ে ফেলতে হয়েছে। লোকজ গানের মূল ভাবের সঙ্গে নিজে এক-দুটি অন্তরা যুক্ত করে কেউ কপিরাইট নিজের নামে করে নিতে পারে- এ বড় অদ্ভুত দৃশ্য। এই দেশ ছাড়া আর কোথাও দেখা যাবে না এমনটি। একটা গান উড়ছিল, ডানা ভেঙে দিয়ে পাপ করেছেন আপনারা, পাপ।'

অবশ্য এক দিনে PUBG BOT ARMY নামের চ্যানেল শাওন ও চঞ্চলের ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড করেছে, যা এখনো অক্ষত রয়েছে। 

সরলপুর ব্যান্ডের গান 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নেহা কক্করের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না তার বোন, কী বললেন গায়িকা?

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
নেহা কক্করের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না তার বোন, কী বললেন গায়িকা?
সংগৃহীত ছবি

দুই ভাই-বোনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন নেহা কক্করের বোন সোনু কক্কর। হঠাৎ সোনুর এক পোস্ট নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এরপর যেন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন নেহা।

সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সোনু লেখেন, ‘নেহা আর টোনির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলাম।

আমি আর ওদের বোন নই।’ এমন পোস্ট দেখে স্তব্ধ তাদের অনুরাগীরা। 

এরপর ভাই টোনি ও স্বামী রোহনপ্রীত সিংয়ের সঙ্গে চার্টাড বিমানে করে ঘুরতে যাচ্ছেন তেমনই এক ভিডিও পোস্ট করেন নেহা। সেখানে তিনি লেখেন, ‘উড়ে যাচ্ছি আমার প্রিয় মানুষদের সঙ্গে।

’ ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ‘ফ্যামিলি’। 

বোন সোনু নেই বলেই কি নেহা লিখলেন কারা তার প্রিয় মানুষ! তাহলে বোনের উদ্দেশে কোনো বার্তা দিতে চাইলেন তিনি?

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘মহামায়া’য় বুঁদ দর্শক, উচ্ছ্বসিত গীতিকার সোমেশ্বর অলি

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
‘মহামায়া’য় বুঁদ দর্শক, উচ্ছ্বসিত গীতিকার সোমেশ্বর অলি
সংগৃহীত ছবি

এ কার জীবন আমার কাঁধে, আমি বইতে পারছি না/ বেকার এ মন আবেগে বাঁধে, আমি সইতে পারছি না—এমন কথায় দর্শকের বুকে রীতিমতো হাহাকার বইয়ে দিয়েছেন গীতিকার সোমেশ্বর অলি। ‘মহামায়া’ শীর্ষক এই গানটি এবার ঈদের আলোচিত সিনেমা ‘বরবাদ’-এর। সিনেমায় গানের দৃশ্যে বুঁদ হয়ে থাকছেন তারা, এমনটাই দেখা গেছে সরেজমিনে। 

খায়রুল ওয়াসীর সুরে গানটির সংগীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন।

গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মাইনুল আহসান নোবেল। অন্তর্জালে আসার পর ইতিমধ্যে দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠছে গানটি। তারও আগে অফিশিয়াল গান আনুষ্ঠানিক মুক্তির আগে এর অডিও ভার্সন ইউটিউবে ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসে। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত এর গীতিকার।
 

‘মহামায়া’ দারুণ টিমওয়ার্ক জানিয়ে সোমেশ্বর অলি বলেন, ‘গানটি লেখার ব্রিফ ছিল অল্প, যেমন- একটি বিরহের গান, যেখানে নায়ককে বিধ্বস্ত ও বিধ্বংসী আচরণ করতে দেখা যাবে। এটুকু ব্রিফে লিখতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি আমাকে। লেখার পর মনে হলো, এই কথাগুলো আমি আগেও বলতে চেয়েছি, কিন্তু এমন কিছু লেখার প্রস্তাব আসেনি বা এমনিতে লিখলেও সেটি উপস্থাপনের সুযোগ বা মাধ্যম ছিল না। এই সিনেমাতে সেটি ঘটতে যাচ্ছে, বিশেষ পাওনা শাকিব খান।

May be an image of 2 people and people smiling

এরপর তিনি আরো বলেন, ‘এই গান গাওয়ার জন্য টিমের কাছে নোবেলই প্রথম পছন্দ ছিলেন। তিনি দুর্দান্ত গেয়েছেন। খায়রুল ওয়াসী নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে সুর করেছেন আর আমজাদ হোসেন রক ব্যালাড বা এ জাতীয় গানের সংগীতায়োজনে সিদ্ধহস্ত, আবারও প্রমাণ পাওয়া গেল।’

এটি ছাড়াও ‘বরবাদ’ সিনেমায় সোমেশ্বর অলির আরো একটি গান রয়েছে, ‘জিন্দা’ শিরোনামে। গানটি প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘জিন্দা গানের প্রস্তাব পাই একবারে শেষ মুহূর্তে, সুরও করা ছিল।

খায়রুল ওয়াসীর সুর করা; সিচুয়েশন জানার পর আমি লিখি। এক লেখাতেই পরিচালকের সেটা পছন্দ হয়। গানটা এখনো মুক্তি না পেলেও যারা সিনেমা দেখছেন তাদের গানটা পছন্দ হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, এর আগে শাকিব খানের জন্য ‘ঈশ্বর’, ‘এক প্রেম’ শিরোনামে দুটি গান লিখেছিলেন সোমেশ্বর অলি; যার মধ্যে ‘ঈশ্বর’ তুমুল সাড়া ফেলেছিল। 

উল্লেখ্য, মেহেদী হাসান হৃদয়ের পরিচালিত ‘বরবাদ’-এ শাকিব খান ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল, মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, যীশু সেনগুপ্ত প্রমুখ।

মন্তব্য

ঈদুল আজহা মাতাবে যেসব সিনেমা

ইমরুল নূর

ইমরুল নূর

ইমরুল নূর

ইমরুল নূর

শেয়ার
ঈদুল আজহা মাতাবে যেসব সিনেমা
সংগৃহীত ছবি

সিনেমা পাড়ায় এবারের ঈদ ছিল বেশ জমজমাট। ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ঈদের সিনেমা দেখা নিয়ে চলছে উন্মাদনা, হলে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন দর্শকরা। সারা বছর ধুঁকে ধুঁকে চলা সিনেমাহলগুলোও যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে, যার দরুণ হল মালিকেরাও দারুণ খুশি।

তার রেশ ধরে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে আসন্ন ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ঘিরে।

অনেকেরই মত, ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায়ও এই দর্শক উন্মাদনা বিরাজ করবে। জেনে নেওয়া যাক, এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ঢালিউড সিনেমাগুলো সম্পর্কে। ঈদুল আজহায় মুক্তির তালিকায় রয়েছে তাণ্ডব, নীলচক্র, ইনসাফ, টগর, পিনিক, এশা মার্ডার : কর্মফল ইত্যাদি।  

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আসন্ন ঈদকে ঘিরেই বড় আয়োজনে নির্মিত হচ্ছে ‘তাণ্ডব’।

এখন পুরোদমে চলছে সিনেমাটির শুটিং। এর মধ্য দিয়ে ‘তুফান’ সাফল্যের পর আবারও পর্দায় জুটি হয়ে আসছেন রায়হান রাফী ও শাকিব খান। স্বভাবতই এই সিনেমা নিয়ে দর্শক আগ্রহ থাকবে তুঙ্গে। সিনেমাটিতে শাকিব খান ছাড়াও একটি বিশেষ চরিত্রে (সাংবাদিক) থাকছেন জয়া আহসান।
নায়কের বিপরীতে কে থাকছেন, তা এখনো প্রকাশ্যে আনেননি নির্মাতা।

এর নির্মাতা রায়হান রাফী কালের কণ্ঠকে বলেন, “কোরবানি ঈদ আমার জন্য খুব লাকি। সেই ধারাবাহিকতায় ‘তাণ্ডব’ কোরবানি ঈদেই আসছে। এখন পুরোদমে চলছে শুটিং। ‘তুফান’-এর পর দর্শক এখানে অন্য রকম এক শাকিব খানকে দেখতে পাবে, যেমনটা আগে কখনো দেখেনি।

এবার ঈদুল আজহায় দেখা যেতে পারে আরিফিন শুভকেও। দীর্ঘ অনেক বছর ঈদে তার দেখা মেলেনি, তবে এবার স্বরূপে হাজির হবেন তিনি। তার অভিনীত ‘নীলচক্র’ সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। মিঠু খান পরিচালিত এ সিনেমায় আরিফিন শুভর সঙ্গে দেখা যাবে মন্দিরা চক্রবর্তীকে। 

কোরবানি ঈদকে ঘিরে নির্মিত হচ্ছে আরেক সিনেমা ‘ইনসাফ’। ঈদুল ফিতরে মুক্তির লক্ষ্যে নির্মাণ শুরু করলেও এখন এটি ঈদুল আজহাকে টার্গেট করেই এগোচ্ছে। ইতিমধ্যে সিনেমাটির ৯৫ ভাগ শুটিং শেষ বলে জানা গেছে। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে অনেক দিন পর পর্দায় ফিরছেন শরিফুল রাজ। তার সঙ্গে পর্দায় হাজির হবেন মোশাররফ করিমও। সঞ্জয় সমদ্দার পরিচালিত এই সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ।

সঞ্জয় সমদ্দার কালের কণ্ঠকে বলেন, “সিনেমার শুটিং একদম শেষের দিকে। ৯৫ ভাগ অংশের কাজ শেষ বলা যায়। দুই-তিন দিন শুটিং করলে ‘ইনসাফ’ এর ক্যামেরা ক্লোজ হবে। এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা রয়েছে সিনেমাটি ঈদুল আজহাতে মুক্তি দেওয়ার।”

‘টগর’ নিয়ে আসন্ন ঈদে হাজির হবেন আদর আজাদ ও পূজা চেরী জুটি। ইতিমধ্যেই সিনেমাটির মুক্তি ঘিরে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন তারা। এটি পরিচালনা করেছেন আলোক হাসান।

ঈদুল আজহায় মুক্তির তালিকায় রয়েছে ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ সিনেমাটিও। আসন্ন ঈদে মুক্তির লক্ষ্যে পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এর নির্মাতা সানী সানোয়ার। মার্ডার মিস্ট্রি গল্পে এই সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন, পূজা ক্রুজ প্রমুখ। 

সানী সানোয়ার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা পুরোদমে চেষ্টা করছি আসন্ন ঈদে মুক্তি দেওয়ার। এখনো দুই দিনের শুটিং বাকি রয়েছে। এ ছাড়া বাকি অংশটুকুর পোস্ট প্রডাকশনের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা গুছিয়ে নিয়ে আসতে পারি তাহলে অবশ্যই ঈদে দেখা হবে।’

ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে পারে আদর আজাদ অভিনীত ‘পিনিক’। জাহিদ জুয়েল পরিচালিত এ সিনেমায় আদরের বিপরীতে দেখা যাবে শবনম বুবলীকে। অন্যদিকে জিয়াউল রোশান অভিনীত দুই সিনেমা ‘পুলসিরাত’ ও ‘জামদানি’র কথাও শোনা গেছে। তবে এই সিনেমাগুলো নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি নির্মাতারা।

মন্তব্য

নিয়মিত নামাজ পড়লে চেহারায় সৌন্দর্য থাকে : প্রিয়াঙ্কা জামান

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
নিয়মিত নামাজ পড়লে চেহারায় সৌন্দর্য থাকে : প্রিয়াঙ্কা জামান
প্রিয়াঙ্কা জামান

দেশের শোবিজ অঙ্গনে অন্যতম পরিচিত মুখ প্রিয়াঙ্কা জামান। নানা অবতারে নিজেকে মেলে ধরেন এ মডেল ও অভিনেত্রী। পাশাপাশি উপস্থাপনা, অভিনয়সহ নিজেকে নানা কাজে ব্যস্ত রাখেন তিনি। তবে শুধু অভিনয়ই নয়, ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মকেও প্রধান্য দেন এ অভিনেত্রী।

বিশেষ করে ধর্মীয় দায়িত্ব নিয়মিত পালন করতে অলসতা নেই তার। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ-রোজার মধ্যে থাকেন, বাদ দেন না তাহাজ্জুদও।

অভিনেত্রীর মতে, নিয়মিত নামাজের মধ্যে থাকেন বলেই নিজের রূপ ধরে রাখতে পারেন তিনি। নামাজ পড়লে চেহারায় সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।

আরো পড়ুন
এমন দমবন্ধ করা পহেলা বৈশাখ দেখিনি : শাওন

এমন দমবন্ধ করা পহেলা বৈশাখ দেখিনি : শাওন

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ইভেন্টে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কথা বলছেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানে নিজের রূপের রহস্য প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার সৌন্দর্যের পেছনে বিশেষ কিছু নেই। আমি ভালো মন নিয়ে সবার সঙ্গে চলার চেষ্টা করি। তাহাজ্জুদ ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি।

আমার বিশ্বাস, যে নামাজ পড়ে, তার চেহারায় এমনিতেই একটা নূর চলে আসে, সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।’

ব্যক্তিজীবনে এখনো অবিবাহিত প্রিয়াঙ্কা। বেশ কিছুদিন আগে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘বিয়ের জন্য ধার্মিক পাত্র খুঁজছেন। এমন কাউকে পেলে অভিনয়ও ছেড়ে দেবেন।’ 

আরো পড়ুন
অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ মারা গেছেন

অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ মারা গেছেন

 

২০১৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চলচ্চিত্রভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘ছায়াছন্দ’ উপস্থাপনার মাধ্যমে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা জামান।

এর পর থেকে নিয়মিতভাবে নাটকে অভিনয় করছেন প্রিয়াঙ্কা। বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনচিত্র ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের মিউজিক ভিডিওতেও মডেল হিসেবে দেখা গেছে তাকে। সম্প্রতি তিনি বড় পর্দায় অভিনয় করেও আলোচনায় আসেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ