<p>বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা, অ্যাকশন হিরো খ্যাত জসিমের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। অকাল প্রয়াত এই গুণী শিল্পী বাংলা চলচ্চিত্রে নায়কের পাশাপাশি ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধাও। </p> <p>১৯৫০ সালের ১৪ আগস্ট ঢাকার নবাবগঞ্জের বক্সনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নায়ক জসিম। তার পুরো নাম আবুল খায়ের জসিম উদ্দিন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টরে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছিলেন তিনি। তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমার নাম 'দেবর'। তবে নায়ক হিসেবে রুপালি পর্দায় ধরা দেন 'মোকাবেলা' সিনেমাতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে।</p> <p>চলচ্চিত্রের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের জীবনে তিনি নায়ক হিসেবে ১২০টিরও বেশি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। নায়কের পাশাপাশি খলনায়কের ভূমিকাতেও তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। ৭০টিরও বেশি সিনেমায় তিনি খলনায়ক হয়ে অভিনয় করেছেন।</p> <p>ব্যক্তিগত জীবনে নায়ক জসিম প্রথম বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন এ দেশের খ্যাতিমান নায়িকা সুচরিতার সঙ্গে। এরপর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন বাংলাদেশের আরেক নায়িকা নাসরিনকে। নায়িকা নাসরিন বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা 'মুখ ও মুখোশ'র নায়িকা পূর্ণিমা সেনগুপ্তার মেয়ে। নায়ক জসিমের সামি, রাতুল ও রাহুল নামে তিন ছেলে রয়েছে।</p> <p>জসিম অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘তুফান’, ‘জবাব’, ‘নাগ নাগিনী’, ‘বদলা’, ‘বারুদ’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘লালু মাস্তান’, ‘নবাবজাদা’, ‘অভিযান’, ‘কালিয়া’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘গরিবের ওস্তাদ’, ‘ভাইবোন’, ‘মেয়েরাও মানুষ’, ‘পরিবার’, ‘রাজা বাবু’, ‘বুকের ধন’, ‘স্বামী কেন আসামী’, ‘লাল গোলাপ’, ‘দাগী’, ‘টাইগার’, ‘হাবিলদার’, ‘ভালোবাসার ঘর’ প্রভৃতি।  </p> <p>ঢাকাই সিনেমার নায়কদের মধ্যে জসিমই একমাত্র নায়ক, যার নামে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (বিএফডিসি)তে একটি ফ্লোরের নামকরণ করা হয়েছে।</p> <p>১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা যান তিনি।</p>