ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

অ্যাকশন হিরো জসিমের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অ্যাকশন হিরো জসিমের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
অ্যাকশন হিরো জসিম

বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা, অ্যাকশন হিরো খ্যাত জসিমের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। অকাল প্রয়াত এই গুণী শিল্পী বাংলা চলচ্চিত্রে নায়কের পাশাপাশি ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধাও। 

১৯৫০ সালের ১৪ আগস্ট ঢাকার নবাবগঞ্জের বক্সনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নায়ক জসিম। তার পুরো নাম আবুল খায়ের জসিম উদ্দিন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টরে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছিলেন তিনি। তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমার নাম 'দেবর'। তবে নায়ক হিসেবে রুপালি পর্দায় ধরা দেন 'মোকাবেলা' সিনেমাতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে।

চলচ্চিত্রের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের জীবনে তিনি নায়ক হিসেবে ১২০টিরও বেশি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন।

নায়কের পাশাপাশি খলনায়কের ভূমিকাতেও তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। ৭০টিরও বেশি সিনেমায় তিনি খলনায়ক হয়ে অভিনয় করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে নায়ক জসিম প্রথম বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন এ দেশের খ্যাতিমান নায়িকা সুচরিতার সঙ্গে। এরপর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন বাংলাদেশের আরেক নায়িকা নাসরিনকে।

নায়িকা নাসরিন বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা 'মুখ ও মুখোশ'র নায়িকা পূর্ণিমা সেনগুপ্তার মেয়ে। নায়ক জসিমের সামি, রাতুল ও রাহুল নামে তিন ছেলে রয়েছে।

জসিম অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘তুফান’, ‘জবাব’, ‘নাগ নাগিনী’, ‘বদলা’, ‘বারুদ’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘লালু মাস্তান’, ‘নবাবজাদা’, ‘অভিযান’, ‘কালিয়া’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘গরিবের ওস্তাদ’, ‘ভাইবোন’, ‘মেয়েরাও মানুষ’, ‘পরিবার’, ‘রাজা বাবু’, ‘বুকের ধন’, ‘স্বামী কেন আসামী’, ‘লাল গোলাপ’, ‘দাগী’, ‘টাইগার’, ‘হাবিলদার’, ‘ভালোবাসার ঘর’ প্রভৃতি।  

ঢাকাই সিনেমার নায়কদের মধ্যে জসিমই একমাত্র নায়ক, যার নামে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (বিএফডিসি)তে একটি ফ্লোরের নামকরণ করা হয়েছে।

১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা যান তিনি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

৯ দিনে আয়ের রেকর্ড বরবাদের!

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
৯ দিনে আয়ের রেকর্ড বরবাদের!
‘বরবাদ’

সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত ছবি ‘বরবাদ’-এর মুক্তির এক সপ্তাহ পেরিয়েছে। এরইমধ্যে সাত দিনে ছবিটি সারাদেশে কত টাকার টিকেট বিক্রি (গ্রস কালেকশন) হয়েছে সেই তথ্য জানিয়েছে বরবাদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল এনার্জি প্রডাকশন। মুক্তির প্রথম সাত দিনে ২৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে ‘বরবাদ’-এর। রিয়েল এনার্জি প্রডাকশন এক ফেসবুক পোস্টে এমন দাবি করেছে।

মুক্তির নবম দিনে অর্থাৎ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রিয়েল এনার্জি প্রডাকশন ফেসবুক পোস্টে নিশ্চিত করেছেন, তারা ‘বরবাদ’র মাধ্যমে ২৭ কোটি টাকার বেশি টিকেট বিক্রি করেছে। রিয়েল এনার্জি প্রডাকশন জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার বেশি টিকেট বিক্রির হয়েছে। ওই পোস্টে প্রতিষ্ঠানটি লিখেছে, ‘মুক্তির পর থেকে সারাদেশের দর্শকদের ভালোবাসা আমাদের মুগ্ধ করেছে। আপনাদের সবার এই ভালোবাসা অব্যাহত থাকুক।

বাংলা সিনেমার স্বার্থে সবসময় বাংলা সিনেমার পাশে থাকুন।’ 

আরো পড়ুন
জামাই ভেঙে দিল বড় ছেলের ৮ বছরের রেকর্ড

জামাই ভেঙে দিল বড় ছেলের ৮ বছরের রেকর্ড

 

২০২৩ সালের ঈদুল আজহায় শাকিবের প্রিয়তমা একমাস ২৭ কোটি টাকার টিকেট বিক্রির খবর প্রকাশ করেছিল। এবার মাত্র সাতদিনেই ‘বরবাদ’ সেই সাফল্যে অর্জন করল। ঈদুল ফিতরে মুক্তির পর নবম দিনেও সিনেপ্লেক্স ও মাল্টিপেক্স মিলিয়ে প্রায় ৬৫টি শো চলছে বরবাদের।

সিঙ্গেল স্ক্রিনে অধিকাংশ হল দুই সপ্তাহের জন্য বরবাদ বুকিং নিয়েছিল। জানা যায়, বরবাদের দর্শক অধিকাংশ হল নতুন রেন্টাল দিয়ে সপ্তাহ বাড়িয়ে নিচ্ছে। 

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসেই ‘বরবাদ’ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপে মুক্তি পাবে। সে হিসেবে এই আয়ের পরিমাণ অচিরেই ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। 

আরো পড়ুন
দ্বিগুন বাড়ল জংলির শো

দ্বিগুন বাড়ল জংলির শো

 

মাল্টিপ্লেক্সের বাইরে দেশের ১১২টি সিঙ্গেল স্ক্রিনে দেদারসে ব্যবসা করছে ‘বরবাদ’।

হল মালিকরা বলছেন, ‘আগামী কোরবানির ঈদ পর্যন্ত ব্যবসা টানতে পারে বরবাদ।

মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘বরবাদ’ ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা ইধিকা পাল। আরো আছেন মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, যীশু সেনগুপ্ত, শ্যাম ভট্টাচার্য প্রমুখ। এছাড়া আইটেম গানে পারফর্ম করেছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।

মন্তব্য

দ্বিগুন বাড়ল জংলির শো

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
দ্বিগুন বাড়ল জংলির শো
‘জংলি’

ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে এম রাহিমের ‘জংলি’। সিয়াম আহমেদ, শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি অভিনীত ছবিটি প্রথম দিন থেকেই সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শো হাউসফুল দিচ্ছিল। তবে দর্শকদের কাছে তুমুল চাহিদা থাকলেও চেইন এই মাল্টিপ্লেক্সের সবগুলো শাখায় শো কম থাকায় সিনেমাটি দেখতে এসে টিকিট না পেয়ে ফিরে যাওয়ার ঘটনা ঘটছিল।

আরো পড়ুন
জামাই ভেঙে দিল বড় ছেলের ৮ বছরের রেকর্ড

জামাই ভেঙে দিল বড় ছেলের ৮ বছরের রেকর্ড

 

‘জংলি’ টিম থেকে বারবার শো বাড়ানোর দাবিও তোলা হয়।

তবে শো না বাড়ায় এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দর্শক লেখালেখিও করেন। অবশ্য মাঝে দু-একটি শো বাড়িয়েও আবার কমিয়ে আনা হয়। ছবিটি মুক্তির এক সপ্তাহ পেরোতেই এবার জানা গেল, সিনেপ্লেক্সের শাখাগুলোতে ‘জংলি’র শো বেড়েছে দ্বিগুণ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার জাহিদ হাসান অভি।

আরো পড়ুন
গান ও অভিনয় দুটিই উপভোগ করি : শিবলু

গান ও অভিনয় দুটিই উপভোগ করি : শিবলু

 

তিনি বলেন, “আমাদের ‘জংলি’ গল্পের সিনেমা। এই এক সপ্তাহে সেটা দর্শকদের মুখ থেকেই প্রমাণিত হয়েছে। দর্শক পরিবার নিয়ে হলে এসে ‘জংলি’ দেখছেন। একজন দর্শকও ছবিটির কোনো খারাপ রিভিউ দেননি।

এটাই আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তির। এমন একটা গল্পের সিনেমার শো কমিয়ে রাখা হয়েছিল এত দিন, সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখায় আমাদের মাত্র সাতটি শো ছিল। অথচ সবগুলো শোর টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে যাচ্ছিল। তার পরও শো বাড়ানো হচ্ছিল না। অবশেষে দর্শকদের ভালো লাগা আর চাহিদার কারণে এক সপ্তাহের মাথায় এসে ‘জংলি’র শো দ্বিগুণ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
পর্দায় ফিলিস্তিন : যুদ্ধ, ভালোবাসা ও বেঁচে থাকার গল্পে ১০ ছবি

পর্দায় ফিলিস্তিন : যুদ্ধ, ভালোবাসা ও বেঁচে থাকার গল্পে ১০ ছবি

 

স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছে জানা যায়, ঈদের দিন ‘জংলি’র সাতটি শো ছিল। দ্বিতীয় দিন তা বেড়ে হয় ৯টি।  চতুর্থ দিনে সেটা কমিয়ে হয়েছিল মাত্র ছয়টি। অষ্টম দিনে এসে শো হয় আটটি। নবম দিনে এসে সিনেমাটির শো দেওয়া হয়েছে ১৪টি, যা মুক্তির দিনের সংখ্যার দ্বিগুণ।

মন্তব্য

জামাই ভেঙে দিল বড় ছেলের ৮ বছরের রেকর্ড

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
জামাই ভেঙে দিল বড় ছেলের ৮ বছরের রেকর্ড
‘শ্বশুর বাড়িতে ঈদ’ ও ‘বড় ছেলে’

ইউটিউবে বাংলা নাটকের দর্শকপ্রিয়তায় ১১ মাসে ভাঙল ৮ বছরের রেকর্ড। জিয়াউল ফারুক অপূর্ব অভিনীত ‘বড় ছেলে’-কে টপকে শীর্ষে উঠলো ছোট পর্দার ‘জামাই’ খ্যাত নিলয় আলমগীর অভিনীত ‘শ্বশুর বাড়িতে ঈদ’।

জিয়াউল ফারুক অপূর্বের ক্যারিয়ারের অন্যতম আলোচিত নাটক মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘বড় ছেলে’। আট বছর আগের নাটকটি এত দিন ছিল ইউটিউবে সর্বোচ্চ ভিউ পাওয়া নাটক (৫ কোটি ৪১ লাখ ৮২ হাজার)।

সেই রেকর্ড ভেঙেছে ছোট পর্দার ‘জামাই’ খ্যাত নিলয় আলমগীর অভিনীত ‘শ্বশুর বাড়িতে ঈদ’।

আরো পড়ুন
গান ও অভিনয় দুটিই উপভোগ করি : শিবলু

গান ও অভিনয় দুটিই উপভোগ করি : শিবলু

 

মাত্র ১১ মাস আগে ইউটিউবে এসেছে মহিন খানের নাটকটি। গতকাল পর্যন্ত এটির ভিউ ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৭৮ হাজার। এতে নিলয়ের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি ও সাবেরি আলম ।

মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত ‘বড় ছেলে’ নাটকে দেখানো হয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে রাশেদ ও ধনী পরিবারের মেয়ে রিয়ার প্রেমের গল্প। চরিত্র দুটিতে ছিলেন অপূর্ব ও মেহজাবীন। গল্পে দেখা যায়, রাশেদের বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। সে অবসরে যাচ্ছে।

তখন পরিবারের হাল ধরে বড় ছেলে। কিন্তু কোনো চাকরিই সে খুঁজে পায় না। অন্যদিকে রিয়াকে পরিবার থেকে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বাস্তবতার কাছে হেরে যায় ভালোবাসা।

আরো পড়ুন
পর্দায় ফিলিস্তিন : যুদ্ধ, ভালোবাসা ও বেঁচে থাকার গল্পে ১০ ছবি

পর্দায় ফিলিস্তিন : যুদ্ধ, ভালোবাসা ও বেঁচে থাকার গল্পে ১০ ছবি

 

অন্যদিকে, শ্বশুরবাড়িতে ঈদকেন্দ্রিক নানা ঘটনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ নাটকের গল্প।

বিয়ের পর দূরে থাকলেও এবার শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করতে এসে ভিন্ন এক পরিস্থিতির মুখে পড়ে জামাই। দেখা যায়, শ্বশুর কিপটে। যে ঈদে ফিতরা-জাকাত ইত্যাদি দিতে চায় না। সেগুলো নিয়ে সোচ্চার হয় জামাই। নাটকে বার্তা দেওয়া হলেও সেটা কমেডির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এ জন্যই এটি দর্শক পছন্দ করেছেন বলে জানালেন নাটকের পরিচালক মহিন খান।

মন্তব্য

গান ও অভিনয় দুটিই উপভোগ করি : শিবলু

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
গান ও অভিনয় দুটিই উপভোগ করি : শিবলু
এরফান মৃধা শিবলু

অভিনয় ও গানে মুখর সময় পার করছেন এরফান মৃধা শিবলু। এই ঈদে তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্র, ওয়েব ছবি, সিরিজ ও নাটক এসেছে। পাশাপাশি সক্রিয় গানেও। ব্যস্ত এই শিল্পীর সঙ্গে কথা বলেছেন কামরুল ইসলাম।

প্রেক্ষাগৃহ থেকে ওটিটি কিংবা ইউটিউব—সবখানে আপনি! সব মিলিয়ে কেমন গেল এবারের ঈদ?

প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সিনেমা, ওটিটি, নাটক—সব মিলিয়ে বলা যায়, এবারের ঈদটা আমারই ছিল।

ঈদে আপনার কী কী কাজ এলো?

সিনেমা হলে চলছে এম রাহিমের ‘জংলি’, ওটিটিতে কাজল আরেফিন অমির ‘হাউ সুইট’ এবং আশফাক নিপুণের ‘জিম্মি’। পাশাপাশি ইউটিউবে কিছু নাটক এসেছে; যেমন—তানিম রহমান অংশুর ‘খালিদ’, এ কে পরাগের ‘হাউ কাউ’ ইত্যাদি।

কোনটা থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

সিনেমা বড় মাধ্যম, স্বাভাবিকভাবেই সেটার ফিডব্যাক অন্য রকম। ‘জংলি’তে আমার যে চরিত্র বা উপস্থিতি, সেটা অনুযায়ী ভালো সাড়া পাচ্ছি। আর ওটিটিতে ‘হাউ সুইট’-এ আমার চরিত্র বড় পরিসরের। গল্পের অনেকটা সময় জুড়ে আমার উপস্থিতি।

এত বড় পরিসরে আমাকে আগে দেখা যায়নি। ফলে এখান থেকে সবচেয়ে বেশি সাড়াও পাচ্ছি। ‘জিম্মি’র জন্যও মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। সব মিলিয়ে আমি সন্তুষ্ট।

‘হাউ সুইট’ ও ‘খালিদ’-এ নেতিবাচক চরিত্র করেছেন।

আগেও আপনাকে খল চরিত্রে দেখা গেছে। এ ধরনের চরিত্রে নিজের ভবিষ্যৎ কেমন দেখেন?

দর্শকই হলো অভিনয়শিল্পীদের উৎসাহদাতা। তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় বোঝা যাবে, আমি কত দূর যেতে পারব, কতখানি কী অর্জন করতে পারব। আমার তো অবশ্যই ইচ্ছা আছে অন্যান্য চরিত্রেও নিজেকে মেলে ধরার। তবে আমার যে লুক, তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চরিত্রই পছন্দের। এ ধরনের চরিত্র সহজেই নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারি, শতভাগ আত্মবিশ্বাস নিয়ে করতে পারি।

আপনি তো গানেরও মানুষ। ইমন চৌধুরীর গানের দল বেঙ্গল সিম্ফনির সঙ্গে আছেন। সর্বশেষ কোথায় শো করলেন?

চাঁদরাতে শিল্পকলা একাডেমিতে একটি শো করেছিলাম। এর আগে এ রকম অনুষ্ঠান কখনো দেখিনি। খুবই ইন্টারেস্টিং ছিল। এই শোর কারণে আমার ঈদ শুরু হয়েছিল চাঁদরাত থেকেই। সামনেও বেঙ্গল সিম্ফনির কিছু শোর ব্যাপারে কথা চলছে। শিগগিরই জানাতে পারব।

নতুন কী গান করছেন?

নির্দিষ্ট করে এখনই বলছি না, তবে গান রেকর্ডিং চলছে। সময় বুঝে আমরা জানাব। এ ক্ষেত্রে বলে রাখি, একেবারে ব্যক্তিগত কোনো গান যদি করি, তাহলে তো একা করব। দলগত কোনো কাজ করলে অবশ্যই সেটা বেঙ্গল সিম্ফনির সঙ্গে।

অভিনেতা ও গায়ক শিবলুর মধ্যে কোনো তফাত দেখেন?

তফাত খুবই কম; আসলে নেই বললেই চলে। ছোটবেলা থেকেই আমি মানিয়ে নিতে পারি। যেখানেই যাই না কেন, সেই স্থান ও মানুষের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি। ফলে আমি গান ও অভিনয়—দুটিই উপভোগ করি। শিবলু আসলে একই, জাস্ট গানের সময় গান আর অভিনয়ের সময় অভিনয়—এইতো।

আপনার কণ্ঠে জনপ্রিয় দুই গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’ ও ‘কথা কইও না’র স্রষ্টা হাশিম মাহমুদ। তাঁর সঙ্গে অনেক আগে থেকেই আপনার সখ্য। এখন যোগাযোগ হয়?

খুব কম। একদিকে আমার নিজের কর্মব্যস্ততা আছে, আবার হাশিম ভাইয়ের কোনো ফোন নেই। ফোন কী কাজে লাগে, কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, এসব চিন্তা-ভাবনার মধ্যে নেই তিনি। মাঝেমধ্যে উনার মায়ের নম্বরে কল করে খোঁজখবর নিই। হাশিম ভাই তো অসুস্থ, তাঁর চিকিৎসা চলছে। সেটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। দোয়া করবেন, তাঁকে নিয়ে যেন আরো কিছু কাজ করতে পারি।

হাশিম মাহমুদের আর কোনো গান নিয়ে কাজ করবেন?

একটা সিক্রেট শেয়ার করি, হাশিম ভাইকে নিয়ে অনেক বড় একটা সারপ্রাইজ নিয়ে আসব আমরা। চেষ্টা করছি শিগগিরই সেই ধামাকা সামনে আনার।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ