<p>কবি, গীতিকার ও জনপ্রিয় অভিনেতা  মারজুক রাসেলের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে অনেকদিন হলো। মারজুক রাসেল সামাজিক মাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুকে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় ছিলেন। ফলে এই প্ল্যাটফর্মে  তাঁকে অনুসরণ করতে শুরু করেন লাখ লাখ অনুসারী। </p> <p>কিন্তু হঠাৎ করেই মারজুক রাসেলের রেগুলার অ্যাকাউন্ট ও পেজটি ফেসবুক দুনিয়া থেকে উধাও হয়ে যায়। এরপরেই শুরু হয় বিপত্তি। মারজুক রাসেলের নামে অজস্র অ্যাকাউন্ট,পেইজে সয়লাব হয়ে যায় ফেসবুক। আর এসব পেইজে লাখ লাখ ফলোয়ার, আসতে থাকে নিয়ম করে পোস্ট। স্বাভাবিকভাবেই সবাই মনে করে এটা মারজুক রাসেলেরই পোস্ট। </p> <p>আসলে কি মারজুক রাসেলের পোস্ট এসব? এসব পেইজ ও প্রোফাইলে লেখার ধরন থেকেই মারজুক রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কবি ও জনপ্রিয় এই গীতিকার জানালেন সেসব মোটেও তাঁর লেখা নয়। এমনকী ফেসবুকে নিজের নামে কোনো পেইজ বা অ্যাকাউন্ট আপাতত নাই। অথচ তার নামে ফেসবুকে সক্রিয় একাধিক ফেইক পেইজ,আইডির নিয়মিত পোস্টে সাধারণ ভক্তরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন।</p> <p>মারজুক রাসেল কালের কণ্ঠকে বললেন, ‘যারা আমাক দীর্ঘদিন ফলো করে, যারা আমাকে চেনে,যারা আমার লেখা পড়ে, তারা জানে সেসব আমার নয়। হ্যাঁ, অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছে এটাও আমি জানি। তাঁদের বলবো বিভ্রান্ত হবেন না।'</p> <p>তিনি বলেন,'ত্যালফ্যাল ছাড়া যে রান্ধে―' ‘হাওয়া দেখি, বাতাস খাই’, ‘দেহবণ্টনবিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর’, ‘পাশা ভাই’, ‘মারজুক রাসেলের জিনিস―গোল্লা’― এসব আমার বিষয়ভিত্তিক ইররেগুলার পেইজ। কিন্তু আমার নামে একাধিক  ফেইক প্রোফাইল বা পেইজ, ফ্যান পেইজ খুলে কারা চালাচ্ছে আমি জানি না। মৌখিকভাবে সাইবার ক্রাইম বিভাগে বিষয়টি জানিয়ে রেখেছি।'</p> <p>জেমসের গাওয়া 'তেরো নদী সাত সমুদ্দুর’, ‘হাউজি’, ‘মীরাবাঈ’, 'আমি ভাসবো যে জলে'; আইয়ুব বাচ্চুর 'আমি-তো প্রেমে পড়িনি'; 'তোমার চোখে দেখলে বন্ধু',আসিফের ‘তুমি হারিয়ে যাওয়ার সময় আমায় সঙ্গে নিও’, ‘পাগলা ঘোড়া’, হাবিব ও ন্যান্সির ‘বাহির বলে দূরে থাকুক'―এসব ছাড়াও অসংখ্য জনপ্রিয় 'গানের কবিতা' বা লিরিক্স মারজুক রাসেলের লেখা।</p> <p>ব্যাচেলর( ২০০৪), মেইড ইন বাংলাদেশ( ২০০৭) তাঁর  অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র। তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের নাম ‘শান্টিং ছাড়া সংযোগ নিষিদ্ধ'।</p>