<p style="text-align:justify">বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার পরও সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) দায়িত্বে বহাল থাকা আবু সালেহ মোস্তফা কামালকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই পদ থেকে অব্যাহতি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।</p> <p style="text-align:justify">এসংক্রান্ত এক রিটে প্রাথমিক শুনানির পর মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের চৌধুরী ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। </p> <p style="text-align:justify">ওএসডি করার পরও কোন কর্তৃত্ববলে তিনি অধিদপ্তরে মহাপরিচালকের দায়িত্বে বহাল আছেন এবং পদে বহাল থেকে তার দায়িত্ব পালন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। </p> <p style="text-align:justify">আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ। </p> <p style="text-align:justify">আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব আবু সালেহ মোস্তফা কামালকে সমাজসেবা অধিদপ্তরে মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে সরাতে বলেছেন হাইকোর্ট।’</p> <p style="text-align:justify">‘ওএসডি হয়েও পদ ছাড়ছেন না সমাজসেবা অধিদপ্তরের ডিজি’ শিরোনামে গত ১১ অক্টোবর প্রতিবেদন ছাপে কালের কণ্ঠ। প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন সাবেক যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বাবু।</p> <p style="text-align:justify">প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়। এই আদেশের প্রায় এক মাস পরও তা অমান্য করে ডিজি পদে বহাল তবিয়তে কাজ করে যাচ্ছেন এই কর্মকর্তা।’</p> <p style="text-align:justify">দায়িত্ব পালনের কথা কালের কণ্ঠ’র প্রতিবেদকের কাছে স্বীকারও করেছেন আবু সালেহ মোস্তফা কামাল। ওএসডি হওয়ার পর কিভাবে কাজ করছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে আমার অফিস করার মৌখিক নির্দেশ আছে। ওই নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছি।’</p> <p style="text-align:justify">আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ হলেও দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয় থেকে আমার অবমুক্তি না হওয়া পর্যন্ত অফিস করতে পারি। তা ছাড়া এখানে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।’</p> <p style="text-align:justify">এদিকে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কালের কণ্ঠ’র কাছে দাবি করেছেন, প্রজ্ঞাপনের নির্দেশ মানছেন না ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল। তিনি দপ্তরে নিয়মিত আসছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সভা করছেন। নানা কাজের নির্দেশনা দিচ্ছেন।</p>