<p style="text-align:justify">নতুন-পুরনো মিলে বর্তমানে দেশে হাজারের বেশি শীর্ষ মাদক কারবারি রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে শতাধিক তরুণ। সরকার পরিবর্তনের পর এরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে ছড়িয়ে দিচ্ছে ভয়ংকর সব মাদক। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত রয়েছে এদের অগনন মাঠকর্মী, যারা নানাভাবে মাদকসেবীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে এসব মাদক। মাদক বিক্রেতা, পুলিশ, র‌্যাব এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"> <p style="text-align:justify"><strong>আরো পড়ুন</strong></p> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3" style="text-align:justify"><img alt="বেড়েই চলেছে মামলাজট, নতুন বিচারক পদ সৃষ্টির উদ্যোগ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/23/1734920948-ed50fc24b71e5a1e3057237b0a325cb2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p style="text-align:justify">বেড়েই চলেছে মামলাজট, নতুন বিচারক পদ সৃষ্টির উদ্যোগ</p> </div> </div> </div> <p style="text-align:justify"><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/12/23/1460401" target="_blank"> </a></p> </div> </div> <p style="text-align:justify">ডিএনসির প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ থেকে ২০২৩-এর জুলাই পর্যন্ত পাঁচ বছরে মাদকাসক্ত হয়ে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে (রিহ্যাব) চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার মাদকসেবী। এই সময় রিহ্যাবে চিকিৎসা নেওয়া নারী মাদকাসক্তের সংখ্যা বেড়েছে পাঁচ গুণ। আর ১৫ বছর ও তার কম বয়সী মাদকাসক্ত বেড়েছে তিন গুণ, সংখ্যায় যা ৪৭ হাজার ৩৭৬ জন।</p> <p style="text-align:justify">আর  আহসানউল্লাহ মাদক নিরাময় কেন্দ্রের তথ্য বলছে, বিভিন্ন সময়ে তাদের নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছে ৮১৪ জন নারী মাদকসেবী। এদের অনেকে ইয়াবা, হেরোইন ও কোকেন আসক্ত।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"> <p style="text-align:justify"><strong>আরো পড়ুন</strong></p> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3" style="text-align:justify"><img alt="সোমবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/23/1734920583-c8c291a2bc7d7f9113a5367cb57fe5d0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p style="text-align:justify">সোমবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ</p> </div> </div> </div> <p style="text-align:justify"><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/dhaka/2024/12/23/1460400" target="_blank"> </a></p> </div> </div> <p style="text-align:justify">সূত্র মতে, গত দেড় দশকে দেশে শনাক্ত ৩০ ধরনের মাদকের মধ্যে শুধু সাত ধরনের যে পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, তার অর্থমূল্য অন্তত ১৯ হাজার কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছে, উদ্ধার হওয়া এসব মাদক দেশে ছড়িয়ে পড়া মোট মাদকের মাত্র ২০ থেকে ২৫ শতাংশ।</p> <p style="text-align:justify">মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তর সূত্র জানায়, বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শীর্ষ মাদক কারবারিদের নতুন তালিকা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৯২ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরা সবাই শীর্ষ মাদক কারবারি। এদের অনেকে ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে মাদক কারবারে যুক্ত। দেশজুড়ে মাদকের বড় নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে তারা।</p> <p style="text-align:justify">এই কারবারিরা সীমান্ত, জল ও আকাশ পথে দেশে নিয়ে আসে মাদক। পরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিজেদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।</p> <p style="text-align:justify">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে যারা পরিচিত, তাদের বেশির ভাগ এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। সরকার পরিবর্তনের পর এদের অনেকে গাঢাকা দিয়েছে। অনেকে আবার রাজনৈতিক পরিচয় পরিবর্তন করে নতুন আঙ্গিকে শুরু করেছে মাদক কারবার।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"> <p style="text-align:justify"><strong>আরো পড়ুন</strong></p> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3" style="text-align:justify"><img alt="আজ ২৩ ডিসেম্বর, দিনটি কেমন যাবে আপনার?" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/23/1734919683-15a7bfcf08d4a38fad6d798e02461165.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p style="text-align:justify">আজ ২৩ ডিসেম্বর, দিনটি কেমন যাবে আপনার?</p> </div> </div> </div> <p style="text-align:justify"><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/12/23/1460398" target="_blank"> </a></p> </div> </div> <p style="text-align:justify">মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে মাদকের গডফাদারদের গ্রেপ্তারে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সম্প্রতি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।</p> <p style="text-align:justify">জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। তাই মাদক নির্মূলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত করা মামলা, উল্লেখযোগ্য আসামি ও মাদকদ্রব্যের বিবরণী থেকে জানা যায়, এই সময়ে মোট অভিযান পরিচালিত হয়েছে আট লাখ ৫৩ হাজার ২৫৮টি, মামলা হয়েছে দুই লাখ ২৮ হাজার ৭০৯টি, আসামি করা হয়েছে দুই লাখ ৪৪ হাজার ৮৯৪ জনকে। </p> <p style="text-align:justify">সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার অন্তত শতাধিক মাদক কারবারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিএনসিসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী জানতে পেরেছে, আন্তর্জাতিক মাদক কারবারিচক্র বর্তমানে বাংলাদেশকে কোকেন ও হেরোইন পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করছে।</p> <p style="text-align:justify">দেশের ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৫৫টি জেলা কারাগারে যেসব বন্দি রয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ৩০ শতাংশ মাদকের অভিযোগে বন্দি।</p> <p style="text-align:justify">অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, মাদক তরুণসমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এর ফলে দেশে যেমন মাদকাসক্ত বাড়ছে, তেমনি মাদকের প্রভাবে অপরাধ বাড়ছে।</p> <p style="text-align:justify"><strong>উল্লেখযোগ্য মাদক কারবারি</strong></p> <p style="text-align:justify">উল্লেখযোগ্য মাদক কারবারিদের বিষয়ে ডিএনসি সূত্র বলছে, রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি শতাধিক শীর্ষ মাদক কারবারি রয়েছে। এদের মধ্যে তরুণ কারবারি অন্তত ৪৫ জন। পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি বেশি। রাজধানীর শীর্ষ মাদক কারবারিদের মধ্যে আছে মোহাম্মদপুর বিহারি ক্যাম্পের কলিম জাম্বো, চুয়া সেলিম, হিরণ, বুন্দিয়া সোহেল, ইশতিয়াক। এদের পৃষ্ঠপোষক পতিত সরকারের বেশ কজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর। এ ছাড়া রামপুরার তানিমসহ নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর মিলে তালিকায় শীর্ষ ৯০ জন কারবারির নাম রয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">শীর্ষ মাদক কারবারিদের বিষয়ে ডিএনসির তথ্যে বলা হয়েছে, সাইফুল করিম নামে এক ব্যবসায়ী নিজেকে আমদানি-রপ্তানিকারক পরিচয় দিলেও মাদক ব্যবসায় রয়েছে তার বড় বিনিয়োগ। সে মূলত ঢাকা ও চট্টগ্রামে অবস্থান করে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া ফেনীর ইসমাইল হোসেনের নাম রয়েছে শীর্ষ মাদক কারবারির তালিকায়।</p> <p style="text-align:justify">সূত্র বলছে, বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে ৭২ জন শীর্ষ মাদক কারবারি। চট্টগ্রাম বিভাগের তালিকায় রয়েছে কক্সবাজার সদর, টেকনাফ ও উখিয়ার সাবেক এমপি, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং আত্মীয়-স্বজন মিলিয়ে অন্তত ২০ জনের নাম। এর বাইরে রাজশাহী বিভাগের তালিকায় ২১ জন শীর্ষ হেরোইন কারবারিসহ ৩৫ জনের নাম রয়েছে। এই বিভাগে শীর্ষ কারবারি, পাইকারি কারবারি ও বহনকারী মিলিয়ে এক হাজার ৩৯২ জনের নাম তালিকায় রয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">খুলনা বিভাগে শীর্ষ মাদক কারবারির তালিকায় রয়েছে ২০ জনের নাম, বরিশাল বিভাগে ১৫ জন, সিলেট বিভাগে ২০ জন, রংপুর বিভাগে ২৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছে ২০ জনের নাম।</p> <p style="text-align:justify">ডিএনসি সূত্র জানায়, আগে ইয়াবা চোরাচালানের রুট ছিল মায়ানমারের টেকনাফ সীমান্ত। বর্তমানে এই রুটে বিজিবির কড়া টহল থাকায় মাদক কারবারিরা রুট পরিবর্তন করেছে। পাশের অন্য দেশ থেকেও আসছে ইয়াবা। সাগরপথে উপকূলীয় এলাকা দিয়ে দেশে ঢুকছে এসব ইয়াবা। এ ছাড়া যশোরের বেনাপোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা, লালমনিরহাট, চুয়াডাঙ্গা ও জয়পুরহাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে ঢুকছে ইয়াবা।</p> <p style="text-align:justify">ডিএনসি সূত্র বলছে, মাদক নিয়ন্ত্রণে তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি, পাইকারি কারবারি ও বহনকারী—এ তিন ক্যাটাগরিতে মোট ১০ হাজার জনের তালিকা করে মাঠে নেমেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। শীর্ষ কারবারিদের কেউ কেউ গ্রেপ্তার হলেও অধিকাংশ চলে গেছে আত্মগোপনে। গত ৪ সেপ্টেম্বর অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে যৌথ অভিযানের ঘোষণা দিলে আত্মগোপনে চলে যায় এসব মাদক কারবারিরা।</p> <p style="text-align:justify">সূত্র বলছে, তালিকাভুক্ত এসব শীর্ষ কারবারির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বেশ কজন সাবেক কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা। তবে সরকার পরিবর্তনের পর শতাধিক তরুণ শীর্ষ মাদক কারবারির তথ্য পাওয়া গেছে। অনলাইনে এরা দেশ-বিদেশের মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ করছে।  </p> <p style="text-align:justify">মাদকের শীর্ষ কারবারি বদি সম্পর্কে সূত্র বলছে, মায়ানমার সীমান্তে তার কয়েক শ মাদক সন্ত্রাসী রয়েছে। তারা নিয়মিত মায়ানমার থেকে মাদকের চালান দেশে আনত। বাংলাদেশের অন্তর্জাতিক মাদক রুট নিয়ন্ত্রণ করে সে। এ ছাড়া মাদকের তালিকায় বদির সঙ্গে তার পাঁচ ভাই মৌলবি মুজিবুর রহমান, আবদুস শুক্কুর, মো. সফিক, আবদুল আমিন ও মো. ফয়সালের নামও রয়েছে। এরা সবাই শীর্ষ মাদক কারবারি।</p> <p style="text-align:justify">ডিএনসির পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড গোয়েন্দা) তানভীর মমতাজ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘৫ আগস্ট-পরবর্তী দেশে মাদকের কারবার কিছুটা বেড়েছে। তবে আমরা মাদক কারবারিদের তালিকা করে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। দেশের যেসব সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক বেশি ঢুকছে, সেসব এলাকায় আগের চেয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify"><strong>ইন্টারনেটে শীর্ষ কারবারি</strong></p> <p style="text-align:justify">মাদক নিয়ন্ত্রণকারীদের সাম্প্রতিক অভিযানে তিন তরুণ গ্রেপ্তার হলে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে তারা। ইন্টারনেটে তারা মাদক বিস্তারে মূল ভূমিকা পালন করছিল। গত ৪ ডিসেম্বর নিত্যনতুন মাদকসহ উচ্চবিত্ত পরিবারের এই তিন তরুণকে গ্রেপ্তার করে  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। রাজধানীর গুলশান ও পল্টন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">তাদের কাছ থেকে নতুন মাদক ট্রেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনলযুক্ত কুশ, ক্যানাবিনলযুক্ত কান্ডি, তরল ক্যানাবিনয়েড, ম্যাজিক মাশরুম জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলো কাজী মারুফুল ইসলাম ওরফে রাজ (২৬), মো. ইসমাইল বেপারী (৩০) ও সাকিব নঈম।</p> <p style="text-align:justify"><strong>নতুন রুটে দেশে ঢুকছে হেরোইন-কোকেন</strong></p> <p style="text-align:justify">জানা গেছে, বেনাপোলের পুটখালী, শিকারপুর, রঘুনাথপুর, অভ্রভুলাট ও দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে নিয়মিত দেশে মাদক ঢুকছে ।</p> <p style="text-align:justify">ডিএনসির পরিচালক (অপারেশন ও গোয়েন্দা) তানভীর মমতাজ বলেন, কোকেন-হেরোইনের চালান দেশে ঢুকছে। গত এক বছরে দেশে চোরাপথে এক হাজার কোটি টাকার বেশি কোকেন ও হেরোইন জব্দ করার তথ্য দিয়েছে ডিএনসি।</p>