দেশের পাশাপাশি কলকাতাতেও তুমুল জনপ্রিয় জয়া আহসান। ঢাকার চেয়ে এখন তাকে কলকাতাতেই বেশি থাকতে দেখা যায়। হয়ে উঠেছেন সেখানকার হার্টথ্রুব। সম্প্রতি জয়া কলকাতার হর্টিকালচারাল গার্ডেনে এক লিটেরারি মিটে অংশ নিয়েছেন।
দেশের পাশাপাশি কলকাতাতেও তুমুল জনপ্রিয় জয়া আহসান। ঢাকার চেয়ে এখন তাকে কলকাতাতেই বেশি থাকতে দেখা যায়। হয়ে উঠেছেন সেখানকার হার্টথ্রুব। সম্প্রতি জয়া কলকাতার হর্টিকালচারাল গার্ডেনে এক লিটেরারি মিটে অংশ নিয়েছেন।
প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হওয়া ‘কলকাতা লিটেরারি মিট’-এ গত বছর শ্রোতা হিসেবে অংশ নিলেও এবারই প্রথম আলোচক হিসেবে অংশ নেন জয়া আহসান। সেখানে তিনি তার অভিনীত ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ এবং সাহিত্যিক ক্লাসিককে চিত্রনাট্যে রূপান্তরের শিল্প সম্পর্কে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।
এরপর আলোচনা শেষে দুই বাংলার জনপ্রিয় এ তারকা বলেন, ‘এখানে সব সময় একটা ফেস্টিভ পরিবেশ থাকে, আর সঙ্গে প্রিয় কিছু মানুষ। একই রকম মানসিকতার মানুষগুলো সবাই এখানে আসেন, সাহিত্য নিয়ে, চলচ্চিত্র নিয়ে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া যায়। এবার এখানে পুতুলনাচের ইতিকথা নিয়ে একটা সেশন ছিল। সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় কাটল।
জানা গেছে, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি রটারড্যাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অনুষ্ঠিত হবে ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ সিনেমার প্রিমিয়ার শো। ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে রটারড্যাম চলচ্চিত্র উৎসব। এতে বিগ স্ক্রিন প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়বে সিনেমাটি।
প্রসঙ্গত, প্রখ্যাত সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুতুলনাচের ইতিকথা উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি বানিয়েছেন সুমন মুখোপাধ্যায়। এতে জয়া আহসান অভিনয় করেছেন কুসুম চরিত্রে। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবীর চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত, অনন্যা ও ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
সম্পর্কিত খবর
ক্রিকেট জুয়া সংক্রান্ত অবৈধ ‘বেটিং অ্যাপ’-এর প্রচারণা করায় একাধিক তারকার বিরুদ্ধে এবার পুলিশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ফণীন্দ্র শর্মা নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে তেলেঙ্গানা পুলিশের তরফে দক্ষিণী অভিনেতা প্রকাশ রাজ, বিজয় দেবরাকোন্ডা, রানা দাগ্গুবতীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এই তালিকায় আরো রয়েছেন প্রণীতা, নিধি আগারওয়াল, অনন্যা নাগাল্লা, সিরি হনুমান্থ, শ্রীমুখী, বর্ষিণী সৌন্দরাজন, বাসন্তী কৃষ্ণন, শোভা শেঠি, অমৃতা চৌধুরী, নয়নী পাভানি, নেহা পাঠান, পান্ডু, পদ্মাবতী, প্রীতি, ইমরান খান, সানা, সান্যাভ, শ্যামলা, সুস্বাদু তেজা এবং বান্দারু শেশায়ানি সুপ্রীতা।
জানা গেছে, সাইবেরাবাদ থানার পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৮ (প্রতারণা), ১১২ (ক্ষুদ্র সংগঠিত অপরাধ) এবং ৪৯ (কুকর্মে প্ররোচিত করা) ধারার আওতায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
গত কয়েক সপ্তাহে এই ধরনের ভুয়া অ্যাপের বিরুদ্ধে নড়ে বসেছে তেলেঙ্গানা প্রশাসন। ক্রীড়া সংক্রান্ত জুয়া, ভুয়া অর্থলগ্নিকারী অ্যাপের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সাধারণ মানুষ এই সব অ্যাপের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন, খোয়াচ্ছেন হাজার হাজার টাকা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় মিয়াপুরের বাসিন্দা ফণীন্দ্র শর্মা তার অভিযোগে দাবি করেছেন, একাধিক চিত্র তারকা এবং নেটপ্রভাবীকে তিনি দেখেছেন এই ধরনের অ্যাপের প্রচার করতে। ফণীন্দ্রর দাবি, এর ফলে সমাজে কুপ্রভাব পড়ছে, শুধু তা-ই নয়, সাধারণ মানুষের আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।
ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান সাহেব ছিলেন একজন ভারতীয় সানাই বাদক। ভারতের উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সংগীত জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। সানাইকে উচ্চাঙ্গ সংগীত বাদনের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে এই অমর শিল্পী ভারতের উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সংগীত জগতে ওস্তাদ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।
১৯১৬ সালের ২১ মার্চ (আজকের এই দিনে) বিহারের বক্সার জেলার ডুমরাও গ্রামে বিসমিল্লাহ খান জন্মগ্রহণ করেন।
ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খানের পূর্বপুরুষেরা বিহারের ডুমরাও রাজ্যের রাজ সংগীতজ্ঞ ছিলেন। তার সংগীত গুরু ছিলেন প্রয়াত আলী বকস্ বিলায়াতু।
সানাইকে ভারতের উচ্চাঙ্গ সংগীত জগতের যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবার একক কৃতিত্ব ভারতের উচ্চাঙ্গ ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান সাহেবের। ১৯৩৭ সালে কলকাতায় অল ইন্ডিয়া মিউজিক কনফারেন্সে সানাই বাজিয়ে একে ভারতীয় সংগীতের মূল মঞ্চে নিয়ে আসেন তিনি।
১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি দিল্লির লাল কেল্লায় অনুষ্ঠিত ভারতের প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসে বিসমিল্লাহ খান সাহেব তার অন্তরের মাধুরী ঢেলে রাগ কাফি বাজিয়ে মুগ্ধ করেছিলেন সারা ভারতবর্ষকে।
আফগানিস্তান, ইউরোপ, ইরান, ইরাক, কানাডা, পশ্চিম আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, জাপান, হংকং সহ পৃথিবীর প্রায় সকল রাজধানী শহরেই ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান সাহেব তার সঙ্গীত প্রভা ছড়িয়েছেন।
ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ, পদ্মশ্রী, সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কার, তানসেন পুরস্কার, মধ্য প্রদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত তালার মৌসিকী, ইরান প্রজাতন্ত্র, সংগীত নাটক একাডেমির ফেলো, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট পেয়েছেন।
‘হাতে তিন-চারটি সিনেমা আছে, এগুলো শেষ করতে করতেই বেশ সময় চলে যাবে। এরপর আমি আর নতুন কোনো সিনেমা করতে চাই না।’ এভাবেই এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দেন চিত্র নায়িকা আফিয়া নুসরাত বর্ষা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এরপর আর সিনেমা করাটাও সুন্দর দেখায় না।
জানা যায়, ২০১০ সালে ‘খোঁজ : দ্য সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় আফিয়া নুসরাত বর্ষার।
বর্ষা বলেন, ‘আমি খুব বাস্তববাদী মানুষ। ফলে আমি বাস্তবতা মাথায় রেখে চিন্তা করি। আমার মনে হয় নায়িকাদের একটা বয়স পর্যন্ত স্ক্রিনে ভালো লাগে। তত দিনই কাজ করা উচিত। আমার ক্ষেত্রেও তাই।
এ সময় অনন্ত জলিল বলেন, ‘এখন যারা আমাদের দেশে নায়িকা হিসেবে কাজ করছেন তাদের অনেকের চেয়ে বর্ষার বয়স কম। তা-ও সে এ কথা বলছে।’
এরপর বর্ষা বলেন, ‘আমার বড় ছেলের বয়স ১০, ছোট ছেলের ৭। কয়েক বছর পরই বড় ছেলের ১৪-১৫ বছর হয়ে যাবে। তখন সে যদি দেখে মা সিনেমার নায়িকা, তখন কি ভাববে? এসব চিন্তা করেই সিনেমা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
অনন্ত জলিলের অভিনয় অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনন্ত চাইলে কাজ করে যেতে পারে। কারণ আমি জানি তাকে নারীদের ভিড়ে ছেড়ে দিয়ে এলেও সে ঠিকই তার কাজটা শেষ করে ঘরেই ফিরবে। অন্য নারীদের দিকে তাকাবেও না।’
তিনি বলিউড খিলাড়ি। নিজের সোনালি সময়ে ভক্ত অনুরাগীদের কাছে যেমন ছিলেন প্রত্যাশিত, তেমনি নায়িকাদের হৃদয়েও ঝড় তুলেছেন বারবার। সহ-অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর, রাভিনা ট্যান্ডন থেকে শুরু করে নব্বইয়ের দশকের হিট নায়িকা শিল্পা শেঠিদের হৃদয়ের পুরুষ ছিলেন। তবে সেই অক্ষয় কুমার কিনা মাঝরাতে প্রেমের প্রস্তাব নিয়ে যান আরেক নায়িকার বাড়িতে।
নব্বইয়ের দশকে জুটি বেঁধে অনেক সিনেমা করেছেন অক্ষয় কুমার ও আয়েশা জুলকা। মিষ্টি নায়িকা আয়েশা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বলিউডের প্রযোজকদের চোখের মণি হয়ে উঠেছিলেন। ঋষি কাপুর, অক্ষয় কুমার, মিঠুন চক্রবর্তী, আমির খান- বলিউডের তাবড় তাবড় নায়কদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। শুধুই তাই নয়, নীতিশ ভরদ্বাজ, বিবেক মুসরান, কামাল সাদানার মতো নতুন হিরোদের সঙ্গে জুটি বেঁধেও একের পর এক হিট দিয়েছেন আয়েশা।
শোনা যায়, আয়েশাকে নাকি দারুণ পছন্দ ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর। গুঞ্জন রটেছিল ‘দালাল’ সিনেমার পর আয়েশাও নাকি মিঠুনের দিকে ঝুঁকেছিলেন। ঠিক এই সময়ই এন্ট্রি নেন অক্ষয়। ‘খিলাড়ি’ সিনেমায় আয়েশার সঙ্গে জুটি বাধার পরই শুটিংয়ের বাইরে অক্ষয়ের প্রেম শুরু!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টিভি নাইন বাংলা’র একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেই সময় এক বিনোদনমূলক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক খবর নিয়ে বলিউডে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল।
জানা গেছে, আয়েশার ঘরে ঢুকে নাকি প্রেমের প্রস্তাব দেন বলিউডের খিলাড়ি কুমার। তবে তৎক্ষণাৎ সেই প্রস্তাবকে নাকচ করেন আয়েশা। কেননা, অক্ষয়ের স্বভাবের কথা তিনি জানতেন।
অক্ষয় ও আয়েশা বেশ কিছু হিট সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ‘খিলাড়ি’, ‘ওয়াখত হামারা হ্যায়’, ‘জয় কিষান’, ‘বারুদ’-এর মতো সিনেমা। বর্তমানে অক্ষয় বলিউডের শীর্ষস্থানীয় নায়ক হলেও আয়েশা রয়েছেন বলিউড থেকে অনেকটাই আড়ালে।