সুসস্পর্ক ধরে রাখা অনেক কঠিন একটি বিষয়। যেকোনো সম্পর্কের মূল বিষয় হলো বিশ্বাস। বলতে পারেন বিশ্বাস এক ধরনের আঠা যা দুটি মানুষকে একে অপরের সাথে আটকে রাখা। এটিই হলো একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের গোপন রহস্য ।
সম্পর্ক ভালো রাখতে গড়ে তুলুন বিশ্বাস
অনলাইন ডেস্ক

এই বিষয়ে নিচের টিপস গুলো পড়ে দেখুন।
১. সম্পর্কের শুরুতেই চিন্তা ভাবনা করে আগান। খুঁজে বের করুন কেন দুজন এক সাথে থাকতে চান।
২. আপনাদের এক করার কারনটা পেয়ে গেলেই ,এবার ভাবুন কারনটা সঠিক কিনা।
৩. যদি কাউকে ভালোবেসেই থাকেন তবে তাকে অবশ্যই সম্মান করতে শিখুন। সম্মান যত বেশি হবে ভালোবাসাটাও বেশি হবে। ফলাফল একটা সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হবে।
৪. দুজনে বসে বের করে ফেলুন কার কোন আচারনটা খারাপ।
৫. মনে রাখবেন সিনেমায় দেখানো ভালোবাসা এবং বাস্তবের ভালোবাসা এক নয়। সব সময় বাস্তসম্মত আশা রাখবেন এক অপরের কাছ থেকে। আপনাকে জানতে হবে বাস্তবে ভালোবাসা মানে সম্মান,বিশ্বাস ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা।
৬. অবশ্যই একজন অন্য জনের পরিবার নিয়ে খারাপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।
৭. নিজের মনের কথা খুলে বলুন। সঙ্গীকে খুলে বলুন আপনার মনের কথা। নিজের মনের কথা খুলে বলতে না পারলে ভবিষ্যতে অসুবিধায় পরবেন।
৮. একান্ত নিজের মত করে কেউ সময় কাটাতে চাইলে, সঙ্গীকে সেই জায়গাটুকু দিন।
৯. সময়ের সাথে মানুষ একটু পরিবর্তন হতেই পাবে। ভয় পাবেন না সেই পরিবর্তনটুকু মেনে নিন।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি
জীবনযাপন ডেস্ক

তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহার করেন। তবে এটি সাময়িক স্বস্তি দিলেও এর প্রভাব কিন্তু মোটেই ভালো নয়। এই ওয়েট টিস্যু বেশি ব্যবহার করা অনুচিত। এতে উপকারের থেকে বেশি অপকার হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্য়ালয়ের গবেষক জন কুক মিলস তার গবেষণায় জানিয়েছেন, ওয়েট টিস্যুতে রয়েছে সোডিয়াম লরিল সালফেট, যা কিনা স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
এ ছাড়া ওয়েট টিস্যুর মধ্যে থাকা আর রাসায়নিক মিথাইল ক্লোরিসেথিয়া জোলাইন বড়দের ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর। গবেষকদের মতে, ঘন ঘন ওয়েট ওয়াইপস ব্যবহার করলে এর প্লাস্টিক ও রাসায়নিক ধীরে ধীরে শরীরের নানা কোষে জমতে থাকে। ফলে ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এই টিস্যু।
অধিকাংশ ওয়াইপসে রয়েছে প্লাস্টিকের তন্তু, যা প্রাকৃতিকভাবে পচনশীল নয় এমন পদার্থ রয়েছে। এ ছাড়া এটি পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকারক। এই ওয়েট টিস্যু মাটিতে মিলিয়ে না যাওয়ার ফলে পরিবেশও দূষিত হয়।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

চুলে সরিষার তেল ব্যবহারে কী হয়
জীবনযাপন ডেস্ক

সরিষার তেল বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে অসংখ্য স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চুলের যত্নে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা যায় এই তেল ব্যবহারে। পূর্বে এই তেল বহু ব্যবহার হলেও বর্তমানে এর ব্যবহার অনেকাংশে কমে গেছে। তার পরিবর্তে আমরা অন্যান্য তেল ব্যবহার করা শুরু করেছি।
পূর্বে মা-দাদিরা শিশুদের গোসল করিয়ে মাথা ও শরীরে সরিষার তেল মেখে দিতেন। কিন্তু বর্তমানে এই তেল ব্যবহার একদমই কমে গেছে। আজ আমরা চুলের জন্য সরিষার তেলের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। এ ছাড়া কিভাবে এটি আপনার চুলের যত্নের কার্যকর হতে পারে, তা জানাব।
কেন সরিষার তেল বেছে নেবেন
পুষ্টিতে সমৃদ্ধ
সরিষার তেলে রয়েছে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এর উচ্চ মাত্রা রয়েছে ওমেগা-থ্রি এবং ওমেগা-সিক্স ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা স্বাস্থ্যকর চুল বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই পুষ্টির উপস্থিতি মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগাতে, চুল পড়া কমাতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য
চুলের জন্য সরিষার তেলের একটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য। তেলটিতে অ্যালিল আইসোথিওসায়ানেট রয়েছে। এটি এমন একটি যৌগ, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং মাথার ত্বকের সমস্যা, যেমন খুশকি ও চুলকানি প্রতিরোধ করতে পারে। সরিষার তেলের নিয়মিত প্রয়োগ মাথার ত্বককে পরিষ্কার ও সংক্রমণ থেকে মুক্ত রাখতে পারে। এ ছাড়া এটি চুলের বৃদ্ধির জন্য একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে।
চুলের বৃদ্ধির জন্য সরিষার তেল
রক্ত সঞ্চালন উদ্দীপিত করে
মাথার ত্বকে সরিষার তেল মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়। চুলের ফলিকলগুলোতে উন্নত রক্ত প্রবাহ নিশ্চিত করে যে তারা পর্যাপ্ত পুষ্টি ও অক্সিজেন পাচ্ছে, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। এই উন্নত সঞ্চালনের ফলে চুল ঘন, মজবুত ও স্বাস্থ্যকর হতে পারে।
প্রাকৃতিক চুল বৃদ্ধির বুস্টার
সরিষার তেল প্রাকৃতিকভাবে চুল বৃদ্ধির ক্ষমতার জন্য পরিচিত। সরিষার তেলে বিটা-ক্যারোটিনের উচ্চ ঘনত্ব শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যক। ভিটামিন এ সিবাম উৎপাদনে সাহায্য করে। সিবাম হচ্ছে একটি তৈলাক্ত পদার্থ, যা মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং চুলকে সুস্থ রাখে। উপরন্তু, সরিষার তেলে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এগুলো চুলের ফলিকলকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে সহায়তা করে।
চুল পড়া রোধ করে
চুল পড়া একটি বিরক্তিকর সমস্যা। কিন্তু এর জন্য সরিষার তেল একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে। তেলের সমৃদ্ধ পুষ্টির প্রোফাইল চুলের স্ট্র্যান্ডকে মজবুত করে, ভাঙার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। তদুপরি, সরিষার তেলের নিয়মিত ব্যবহার মাথার ত্বক ও চুলের গোড়াকে পুষ্টি দিয়ে চুল পড়া কমাতে পারে, এইভাবে চুল পড়া রোধ করে এবং নতুন চুলের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে।
সরিষার তেলের উপকারিতা
হাইড্রেট ও কন্ডিশন চুল
শুষ্ক ও ভঙ্গুর চুলের জন্য সরিষার তেল প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এটি চুলে গভীর হাইড্রেশন প্রদান করে। এর ইমোলিয়েন্ট বৈশিষ্ট্যগুলো আর্দ্রতা লক করতে, চুলকে নরম, চকচকে এবং আরো পরিচালনাযোগ্য করতে সাহায্য করে। সরিষার তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে শুষ্কতা প্রতিরোধ করা যায় এবং চুল ভালো রাখতে পারে।
খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করে
খুশকি মাথার ত্বকের সাধারণ একটি সমস্যা। যা কার্যকরভাবে সরিষার তেল দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। তেলের অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য খুশকি-সৃষ্টিকারী ছত্রাক দূর করতে সাহায্য করে, যখন এর ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। মাথার ত্বকে সরিষার তেল লাগালে এবং ধোয়ার আগে কয়েক ঘণ্টা রেখে দিলে তা উল্লেখযোগ্যভাবে খুশকি কমাতে পারে এবং এর পুনরাবৃত্তি রোধ করতে পারে।
চুলকে শক্তিশালী করে
সরিষার তেল অপরিহার্য ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ও খনিজের একটি পাওয়ার হাউস। যা চুলকে গোড়া থেকে শক্তিশালী করে। তেল মাথার ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে চুলের ফলিকলকে পুষ্টি জোগায় এবং শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। সরিষার তেলের নিয়মিত ব্যবহার চুলের ভাঙ্গা, বিভক্ত হওয়া রোধ এবং সামগ্রিকভাবে মজবুত চুলের দিকে পরিচালিত করতে পারে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন
গরম তেল চিকিৎসা
সরিষার তেল দিয়ে গরম তেলের চিকিৎসা আপনার চুলের জন্য বিস্ময়করভাবে কাজ করতে পারে। এখানে অনুসরণ করার জন্য একটি সহজ পদ্ধতি আছে—
অল্প পরিমাণে সরিষার তেল গরম করুন, কিন্তু খুব বেশি গরম না। এবার আপনার মাথার ত্বকে গোল করে হালকা গরম তেল ম্যাসাজ করুন। গোড়া থেকে চুলের ডগায় তেল সমানভাবে দেওয়া হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করুন। এবার চুলকে শাওয়ার ক্যাপ বা গরম তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন, যাতে তেল গভীরভাবে প্রবেশ করতে পারে। ভালো ফলাফলের জন্য কমপক্ষে এক ঘণ্টা বা পুরো রাত রেখে দিন। তেল অপসারণের জন্য হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
সরিষার তেলের চুলের মাস্ক
সরিষার তেল দিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করলে এর উপকারিতা বাড়তে পারে। এখানে একটি সহজ রেসিপি—
সরিষার তেল, দই ও মধু নিন। ২ টেবিল চামচ সরিষার তেলের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ দই ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার আপনার মাথার ত্বক ও চুলে মিশ্রণটি প্রয়োগ করুন। সব জায়গায় যাবে সমানভাবে তেল পড়ে তা নিশ্চিত করুন। এই মাস্কটি ৩০-৪৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
সতর্কতা
যদিও সরিষার তেল চুলের জন্য অনেক উপকার দেয়, তবে কোনো প্রতিকূল প্রভাব এড়াতে এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা অপরিহার্য। মনে রাখার জন্য এখানে কিছু সতর্কতা রয়েছে—
- আপনার মাথার ত্বকে সরিষার তেল প্রয়োগ করার আগে একটি প্যাচ পরীক্ষা করুন, যাতে আপনার অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া আছে কি না বোঝা যায়।
- সংবেদনশীল ত্বক থাকলে নারকেল বা অলিভ অয়েলের মতো ক্যারিয়ার তেলের সঙ্গে সরিষার তেল পাতলা করুন।
- মাথার ত্বকে অতিরিক্ত তেল জমা হওয়া এড়াতে সপ্তাহে ১-২ বার সরিষার তেল ব্যবহার করুন।
সরিষার তেল চুলের বিভিন্ন সমস্যার জন্য একটি বহুমুখী ও শক্তিশালী প্রাকৃতিক প্রতিকার। চুলের বৃদ্ধি থেকে শুরু করে খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং চুল মজবুত, সবকিছুই করে এই তেল। যেকোনো প্রাকৃতিক প্রতিকারের মতোই নিয়মিত ব্যবহারে চুলের জন্য সরিষার তেল উল্লেখযোগ্য।
সূত্র : মেডিকভার হসপিটাল

কয়েল নাকি অ্যারোসল, মশা তাড়াতে কোনটি ব্যবহার করবেন
জীবনযাপন ডেস্ক

মশার মাধ্যমে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ ছড়ায়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া। এসব রোগ থেকে বাঁচতে মশা নিধনে অনেকে নিশ্চয়ই ব্যবহার করে থাকেন কয়েল বা অ্যারোসল। তবে এই কয়েল বা অ্যরোসল, কোনোটিই মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, কয়েলের ধোঁয়া নিকোটিনের ধোঁয়ার মতোই ক্ষতিকর।
এ ছাড়া কয়েল ও অ্যারোসল আরো নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। সেগুলো হচ্ছে—
শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা : কয়েলের ধোঁয়া ও অ্যারোসলে থাকা রাসায়নিক পদার্থ শ্বাসনালির প্রদাহ, হাঁপানি ও অন্যান্য শ্বাসজনিত সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি : কয়েলের ধোঁয়ায় থাকা রাসায়নিক পদার্থ দীর্ঘ মেয়াদে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ত্বক ও চোখের জ্বালা : অ্যারোসল স্প্রে করলে প্রায়ই দেখবেন আপনার চোখ ও ত্বকে জ্বালা করছে, যা অ্যালার্জির মতো প্রতিক্রিয়া ঘটায়।
স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা : অ্যারোসলের বিষাক্ত কণা স্নায়ুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা স্নায়বিক ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে।
বিকল্প পদ্ধতি
মশা তাড়ানোর জন্য সবচেয়ে ভালো হলো মশারির ব্যবহার করা। এ ছাড়া অ্যান্টি মশা লোশন, প্রাকৃতিক তেল বা ইলেকট্রিক মশার ব্যাট ব্যবহার করুন। এগুলো ব্যবহারে কোনো রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।

শরীরের পাশাপাশি মনও ভালো রাখবে যেসব খাবার
জীবনযাপন ডেস্ক

প্রতিবছর ৭ এপ্রিল পালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। কয়েক দিন আগেই দিনটি অতিবাহিত হয়েছে। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে স্বাস্থ্য শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদদের মতে, আজকের সময়ে যেখানে মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতার মতো মানসিক ব্যাধিগুলো বেশি হয়ে উঠেছে, সেখানে একটি ভালো খাদ্যাভ্যাস শুধু শরীরকেই সুস্থ রাখে না, মনকেও শান্ত ও সক্রিয় রাখে।
আজ এই প্রতিবেদনে এমন খাবার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যা মানসিক ও শারীরিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আর এগুলো সহজেই আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, স্বাস্থ্য হলো সম্পূর্ণ শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সুস্থতার একটি অবস্থা, যা কেবল রোগ ও দুর্বলতার অনুপস্থিতি নয়। পুষ্টিবিদরা জানান, শরীরকে সুস্থ রাখার যে গুরুত্ব দেওয়া হয় তার থেকেও বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর।
আখরোট : আখরোটে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়, যা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে শক্তিশালী করে এবং স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৪-৫টি আখরোট খেলে মানসিক চাপ কমে এবং মেজাজ ভালো থাকে।
কিভাবে খাবেন
সকালে খালি পেটে ৪-৫টি আখরোট পানিতে ভিজিয়ে খান। এগুলো সালাদ বা স্মুদিতেও যোগ করতে পারেন।
ডার্ক চকোলেট : ডার্ক চকোলেট কেবল মেজাজই উন্নত করে না, বরং এতে উপস্থিত ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানসিক ক্লান্তি দূর করে এবং জ্ঞানীয় কার্যকারিতা উন্নত করে।
কিভাবে খাবেন
দিনে একবার ২০-৩০ গ্রাম ডার্ক চকোলেট খান। তবে এটি কমপক্ষে ৭০% কোকো থাকা প্রয়োজন।
সবুজ শাক-সবজি : পালং শাক, মেথি ও সরিষার মতো সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট, আয়রন ও ভিটামিন-কে থাকে, যা মনকে তীক্ষ্ণ ও শরীরকে উদ্যমী রাখে।
কিভাবে খাবেন
এই সবজিগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় সবজি, পরোটা বা স্যুপ আকারে অন্তর্ভুক্ত করুন।
ডিম : ডিমে কোলিন নামক একটি উপাদান পাওয়া যায়, যা মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে। এটি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং ঘনত্ব উন্নত করে।
কিভাবে খাবেন
ব্রেকফাস্টে সেদ্ধ ডিম, অমলেট অথবা এগ-টোস্ট খেতে পারেন। দিনে ১-২টি ডিমই যথেষ্ট।
দই : দইয়ে থাকা প্রো-বায়োটিক পাকস্থলির পাশাপাশি মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। একটি সুস্থ অন্ত্র মনকেও শান্ত রাখে।
কিভাবে খাবেন
দুপুরের খাবারে এক বাটি দই খান অথবা স্মুদিতে মিশিয়ে নিন।
ফ্ল্যাক্স সিড : ফ্ল্যাক্স সিডে ওমেগা-থ্রি, ফাইবার ও লিগনান থাকে, যা হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্ক উভয়ের জন্যই উপকারী। এটি মেজাজের পরিবর্তন এবং উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
কিভাবে খাবেন
১ চা চামচ তিসির বীজ ভেজে গুঁড়া করে নিন এবং দই, পোরিজ বা শেকে মিশিয়ে খান।
বেরি : ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি ও পেয়ারার মতো বেরিগুলোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা মস্তিষ্কের প্রদাহ কমায় এবং মানসিক ক্লান্তি দূর করে।
কিভাবে খাবেন
আপনি ব্রেকফাস্টে দই বা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা চাইলে সকালের নাশতা হিসেবেও খেতে পারেন।
হলুদ : হলুদে পাওয়া কারকিউমিন মস্তিষ্কের প্রদাহ কমায় এবং মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। এটি বিষণ্নতা ও উদ্বেগ দূরে রাখতেও সহায়ক।
কিভাবে খাবেন
প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হলুদের দুধ পান করা একটি ভালো অভ্যাস। তাই ঘুমানোর আগে এভাবে দুধ খাওয়া উচিত।
সূত্র : ইটিভি