ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫
২৫ চৈত্র ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫
২৫ চৈত্র ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৬

রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ, যা খেয়াল রাখা জরুরি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ, যা খেয়াল রাখা জরুরি

রক্ত জমাট বাঁধা, সাধারণত ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস (ডিভিটি) নামে পরিচিত, একটি গুরুতর অবস্থা যা জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে। রক্ত ​​​​জমাট বাঁধা আছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে এর চিকিৎসা করা সহজতর হয়। এর ওষুধও পাওয়া যায়।

চারটি লক্ষণ রয়েছে, যার দিকে আপনার খেয়াল রাখা উচিত, বিশেষত পায়ে। অন্যান্য উপসর্গগুলো সতর্ক করে দিতে পারে যে, আপনার রক্ত জমাট বাঁধা শুরু হয়েছে। এর জন্য অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজন হবে।

স্কটল্যান্ডের এনএইচএস ইনফর্ম অনুসারে লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে―

১. আপনার একটি পায়ে ব্যথা, ফোলা ভাব এবং ভারী ভারী মনে হওয়া।

২. জমাট বাঁধা জায়গায় উষ্ণতা অনুভব করা।

৩. বিশেষ করে হাঁটুর নিচে আপনার পায়ের পেছনের ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া।

আরো লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে শ্বাসকষ্ট, যা পালমোনারি এমবোলিজম, যা রক্ত জমাট বাঁধা সম্পর্কে সতর্ক করতে পারে। এটি একটি গুরুতর অবস্থা, যা রক্ত ​​​​প্রবাহে বাধা দেয়।

নিচের রক্ত ​​জমাট বাঁধার কিছু প্রধান লক্ষণ দেওয়া হলো, যা কখনোই উপেক্ষা করা উচিত নয়।

ব্যাথা
রক্ত জমাট বাঁধার উপসর্গের মধ্যে রয়েছে থ্রবিং বা ক্র্যাম্পিং ব্যথা। পায়ে ক্রামাগত ব্যথা বা অস্বস্তি বোধ করা, পেশি শক্ত হয়ে যাওয়া। আক্রান্ত স্থান যেখানে রক্ত ​​জমাট বেঁধেছে সেখানে স্পর্শেও উষ্ণ অনুভূত হতে পারে।

ফুলে যাওয়া
জমাট রক্ত, রক্ত ​​​​প্রবাহকে কমিয়ে দেয় বা বন্ধ করে দেয়।

ফলে পা ফুলে যায়। সাধারণত এটি পায়ের শিরায় ঘটে। এটি পেলভিস বা পেটেও ঘটতে পারে, যা পালমোনারি এমবোলিজমের মতো জটিলতার কারণ হতে পারে।

ত্বকের রং পরিবর্তন
একজন ব্যক্তির পায়ের আক্রান্ত স্থান লাল বা নীল বর্ণ ধারণ করা শুরু করতে পারে। এমন কিছু ঘটনায় দেখা গেছে ত্বক বিবর্ণ বা সাদা বর্ণও ধারণ করে। যা সতর্ক করে দেয় যে সেখানে কিছু একটা ঘটে চলেছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রক্ত জমাট বেঁধে 'ত্বকের রঙের পরিবর্তন যেমন ফ্যাকাশে, লাল বা নীল বা বেগুনি হয়ে যাওয়া' ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিসের বা রক্ত জমাট বাঁধার ইঙ্গিত হতে পারে।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

মন্তব্য

গরমে বাইরে থেকে এসেই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল, ভালো নাকি খারাপ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে বাইরে থেকে এসেই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল, ভালো নাকি খারাপ
সংগৃহীত ছবি

গরমের এই সময়ে বাইরে অনেক কাজ থাকে। না চাইলেও অনেকেরই বাইরে বের হতে হয়। ফলে গরমে বাইরে থেকে ঘেমে-নেয়ে আসতে হয়। অনেকেরই অভ্যাস ঘর্মাক্ত শরীর নিয়ে বাইরে থেকে এসেই ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করা।

অনেকে আবার বরফ পানি দিয়েও গোসল করেন। তবে এতে উপকার, নাকি ক্ষতি—তা অনেকেই জানেন না। চলুন, জেনে নিই গরমে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসলে উপকার, নাকি ক্ষতি।

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকে বাইরে থেকে এসে দৌড়ে গিয়ে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে বা ফ্রিজ থেকে বরফ নিয়ে এসে গোসল করেন।

এটা খুব খারাপ জিনিস। হঠাৎ করে একটি বড় পরিবর্তনে এসে এভাবে গোসল করলে ঠাণ্ডা লাগার আরো আশঙ্কা থাকে বা অন্য সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

আরো পড়ুন
গরমে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী খাবেন

গরমে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী খাবেন

 

আপনি বাইরে থেকে এসে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে থাকুন। একটু ঠাণ্ডা পরিবেশে থাকুন।

এরপর ধীরে ধীরে গোসল করুন। আর গোসলের পানির ক্ষেত্রে বরফ দেওয়া পানির দরকার নেই। এতে আপনার অন্য সমস্যা হতে পারে। স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে গোসল করুন। শরীর পরিষ্কার হবে, ভালো থাকবে।
একদম ঠাণ্ডা পানির দরকার নেই। সেটি ঝুঁকিপূর্ণ।

পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। এ সময় আপনারা ইচ্ছা করলে পর্যাপ্ত সাবান ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুন
শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

 
মন্তব্য

টক জাতীয় খাবার খেলে কি দেহে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
টক জাতীয় খাবার খেলে কি দেহে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে?
সংগৃহীত ছবি

ইউরিক অ্যাসিড হলো দেহের প্রাকৃতিক একটি বর্জ্য পদার্থ। আমাদের দেহ পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার হজমের পর ইউরিক অ্যাসিড নিঃসৃত করে। পিউরিন হল একটি রাসায়নিক যৌগ পদার্থ, যা শরীরে ভেঙে গিয়ে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে। অতিরিক্ত পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের কারণে শরীরে জমে থাকা ক্রিস্টালগুলি দেহের জয়েন্টের চারপাশে ব্যথা ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই ইউরিক অ্যাসিড কমানোর জন্য কিছু খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন প্রয়োজন।

পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলা, অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার ও অ্যালকোহল পরিহার করা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

অনেকের মধ্যে ধারণা রয়েছে যে টক খাবার ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়, যা একেবারেই ভুল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, লেবু, কমলালেবু ও আমলকীসহ টক ফল ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কারণ এতে থাকা ভিটামিন সি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে কার্যকরী।

তবে যাদের কিডনি বা হজমের সমস্যা রয়েছে, তাদের টক জাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অতিরিক্ত টক খাবার ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে পারে।

তাই খাদ্যাভাস পরিবর্তনের আগের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
 
সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

ফল খাওয়ার সঠিক সময় কখন? পুষ্টিবিদের পরামর্শ জানুন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ফল খাওয়ার সঠিক সময় কখন? পুষ্টিবিদের পরামর্শ জানুন
সংগৃহীত ছবি

গরমের সময় সুস্থ থাকতে সব বয়সের মানুষের জন্য তাজা ফল বেশ উপকারী। গ্রীষ্মকালীন ফল যেমন তরমুজ, শসা, জামরুল, জাম ইত্যাদি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে ফল সাহায্য করে। তবে ফল খাওয়ার সঠিক সময় জানা জরুরি।

কারণ দিনের যেকোনো সময় ফল খেলে তার উপকারিতা পাওয়া যায় না বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।

পুষ্টিবিদদের মতে, ফল শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সহায়তা করে। তবে ভারী খাবারের পর ফল খাওয়া উচিত নয়। দুপুরে খাবার শেষে ফল খেলে বদহজম, গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।

পাশাপাশি পেটের পিএইচ স্তরও উঠানামা হতে পারে।

অনেকে রাতে ফল খেয়ে থাকেন। এটিও উচিত নয় কারণ রাতে ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। এতে আপনার ঘুমে ব্যাঘাত হতে পারে।

 তাই সন্ধ্যার পর ফল না খাওয়াই ভালো।

ফল খালি পেটে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদেরা পরামর্শ দেন, ভারী খাবার খাওয়ার ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা আগে ফল খাওয়া উচিত। ফল সাধারণত মিড মিল হিসেবে খাওয়ার জন্য উপযুক্ত। অর্থাৎ সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের মাঝের সময়ে ফল খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়।

"

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

আপেল খেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হয় না, ভুল না সঠিক?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
আপেল খেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হয় না, ভুল না সঠিক?
সংগৃহীত ছবি

কথায় রয়েছে, প্রতিদিন একটি আপেল খেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হয় না। অনেকেই মনে করেন এটি সত্যি। আপেল পুষ্টিতে ভরপুর একটি ফল, তবে এটি কি সত্য, একটি আপেল খেলে সব ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব? চলুন, জেনে নিই।

পুষ্টিবিদের মতে, আপেল অত্যন্ত পুষ্টিকর।

তবে আপেল খেলে যে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে না এমন নয়। আপেল খাওয়া স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের একটি অংশ হতে পারে। কিন্তু শুধু আপেল খেলে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়। সারা বছর আপেল খাওয়ার চেয়ে মৌসুমি ফল খাওয়া বেশি উপকারী।
কারণ মৌসুমি ফলগুলো সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর।

সারা বছর আপেল বাজারে পাওয়া যায়। এটি একটি সহজলভ্য ও পুষ্টিকর ফল। আপেলের ক্যালোরি কম এবং গ্লাইসেমিক সূচকও নিম্ন।

তাই এটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও উপকারী। কোলেস্টেরল ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে আপেল। এমনকি এটি ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়। সব সময় খোসাসহ আপেল খাওয়া উচিত।

তবে কিছু মানুষ আছেন, যাদের আপেল খাওয়া উচিত নয়।

পুষ্টিবিদের মতে, যাদের গ্যাস্ট্রিক, ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম, এসিডিটি বা ব্লোটিংয়ের মতো হজমজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের আপেল খাওয়া উচিত নয়। শুধু আপেল খেয়ে দিন কাটানো উচিত নয়। ভারী খাবারের বদলে শুধু আপেল খেলে সমস্যা হতে পারে। সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবারের মাঝে ফল খাওয়া ভালো। সব সময় খোসাসহ আপেল খাওয়া উচিত।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ