<p>সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে সব বাবা মা-ই অনেক বেশি চিন্তিত থাকেন। শৈশবকালই সঠিক সময় শিশুর হাড়কে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার। কারণ ১৮ বছর বয়সের পরে আর হাড়ের বৃদ্ধি হয় না। তাই শিশুর হাড়কে দৃঢ় ও মজবুত করতে শৈশবেই শিশুর খাবারের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত বাবা মায়ের। তার দৈনন্দিন জীবনে বিশেষ কিছু খাবার এবং বিশেষ কিছু কাজের মাধ্যমে হাড়কে শক্তিশালী করা যায়। বয়সের সাথে সাথে হাড় দুর্বল হতে থাকে । শৈশব বা কৈশোরে হাড়ের সঠিক যত্ন নিলে বার্ধক্যে হাড়ের ক্ষয়, হাড়ের দুর্বলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।</p> <p>হাড়ের যত্নে তিনটি উপায় জেনে নেওয়া যাক।</p> <p><strong>শিশুকে উচ্চ ক্যালশিয়াম যুক্ত খাবার দিন</strong></p> <p>ক্যালশিয়াম হাড়ের জন্য উপকারী খনিজ। এটি হাড় ও পেশি গঠনে সাহায্য করে। ছোট থেকেই ক্যালমিয়াম যুক্ত খাবার গ্রহন করলে সুস্থ ও মজবুত হাড় নিশ্চিত করা সম্ভব। এবং বার্ধক্যে হাড়ের সমস্যা এড়ানো যায়। সঠিক মাত্রায় ক্যালশিয়াম নিশ্চিত করতে শিশুর খাদ্যে দুগ্ধজাত খাবার যেমন; দুধ, ছান্‌ পনির, সবুজ শাক সবজি, বাদাম , কমলালেবু বা কমলালেবুর জুস রাখতে হবে।</p> <p><strong>ভিটামিন ডি</strong></p> <p>শিশুর জন্য ভিটামিন ডি খুবই জরুরী। ডিম ও দুধে ভিটামিন ডি রয়েছে, তবে খুবই কম পরিমানে। তাই অনেক ডাক্তার শিশুদের ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার সুপারিশ করেন। আমরা জানি সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় তাই শিশুকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গায়ে রোদ লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে বাবা মাকে সতর্ক থাকতে হবে কারণ অতিরিক্ত রোদ ত্বকের ক্ষতি করে এবং ত্বকের ক্যান্সারের ঝুকি বাড়ায়। তাই বেশি সময় গায়ে রোদ লাগাতে দেবেন না।</p> <p><strong>নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে</strong></p> <p>আমরা যতবেশি কাজ করি আমাদের পেশি ও হাড় তত বেশি সক্রিয় থাকে। বর্তমানে শিশুদের মোবাইল, ট্যাব, টেলিভিশন ইত্যাদি গ্যাজেটের প্রতি আগ্রহ বেড়েই চলেছে। ফলে শিশু অলস হয়ে পরছে। তাই শিশুর শরীরকে সক্রিয় রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। দৌড়ানো, লাফানো এগুলোর মাধ্যমে হাড় মজবুত হয়। এছাড়াও সাতার কাটা, সাইকেল চালানো, ক্রিকেট, ফুটবলের মতো খেলাধুলা শরীরের জন্য খুবই ভালো ব্যায়াম। তাই আপনার শিশুকে প্রতিদিন এক ঘন্টা সময় দিন শরীরচর্চার জন্য । প্রত্যেকের জন্যই উপাদান গুলো প্রয়োজন তবে শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসময় তাদের শারীরিক গঠন হয়। তাই বাবা মায়ের উচিত এগুলো মেনে চলার পাশাপাশি শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।</p> <p>সূত্র : কিডস হেলথ</p>
