<p>প্রায় সকল ফলেই রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেলস। ফল খেলে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলসের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয়। সেক্ষেত্রে অনেকেই ভাবেন পুরো ফল নাকি ফলের রস খেলে ভালো হবে।</p> <p>পুষ্টিবিদরা বলেন, পুরো ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকে যা শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারী। কিছু কিছু ফলে খুব কম ক্যালরি থাকে। রস তৈরির সময় যেহেতু ছেঁকে নেওয়া হয়, তাই রস শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু ফাইবার ফলের তুলনায় ফলের রসে অনেক কম থাকে। অন্যদিকে ফলের রসে ক্যালরির পরিমাণ কিছুটা বেড়ে যেতে পারে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ফলের রসকে না বলুন!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2023/11/14/1699956842-08dda9da0484e85b4ca5e22adda861fc.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ফলের রসকে না বলুন!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2023/11/14/1336128" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আপনি যদি একটি মাল্টা বা আপেল কেটে পাঁচ থেকে ছয় টুকরো করে সম্পূর্ণ ফলটি খেতে পারবেন। কিন্তু একসঙ্গে তিন থেকে চারটি মাল্টা বা আপেল খেতে পারবেন না। অপরদিকে এক গ্লাস মাল্টা বা আপেলের রস তৈরির জন্য তিন থেকে চারটি ফলের প্রয়োজন হয়।</p> <p>পুষ্টিবিদরা বলেন, সম্পূর্ণ ফল ও ফলের রস উভয়েই যথেষ্ট উপকারী এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। ফলে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। বার বার যাদের ক্ষুধা লাগার প্রবণতা থাকে তারা অনেক সময় হাই ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলেন। এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। যেহেতু ফলে আঁশ থাকে, তাই ক্ষুধা লাগলে আঁশযুক্ত ফল খেলে পেট যথেষ্ট পরিমাণে ভরা থাকে এবং খাবার খাওয়ার তীব্র ইচ্ছা কমে যায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেট বাড়াবে যেসব খাবার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/08/1725813234-bd9d6e41209d3243313d413728e8ca29.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেট বাড়াবে যেসব খাবার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/09/08/1423456" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ফলের রস খাওয়ারও উপকারিতা অনেক। ফল থেকে রস তৈরির সময় উপকরণ হিসেবে পানি ব্যবহার করা হয়। আবার রস তৈরিতে পানি না দিলেও সেটি তরল হয়। প্রচণ্ড গরমের সময় অতিরিক্ত ঘাম কিংবা পানি কম খেলে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার ঝুঁকি থাকে। সেক্ষেত্রে পানির চাহিদা পূরণ, ডিহাইড্রেশনে ফলের রস খাওয়া অত্যন্ত উপকারী।</p> <p>ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফলের রস শরীরে এনার্জি লেভেল বাড়াতেও ভূমিকা রাখে। ফলের রস মানেই হাই পটাসিয়াম ও ইলেক্ট্রোলাইট সম্পন্ন। তাই খাদ্য তালিকায় ফলের রস শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হার্টের রক্তনালি পরিষ্কার রাখবে যে পাঁচ ফল" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/08/1725809796-4c1084f799bc2d40886671b77bd8f731.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হার্টের রক্তনালি পরিষ্কার রাখবে যে পাঁচ ফল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/09/08/1423429" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>কীভাবে খাবেন</strong></p> <p>সব ধরনের ফলই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সেক্ষেত্রে কিছু কিছু ফল রস করে খেলে বেশি খাওয়া যায়। জাম্বুরা, আনারসসহ বিভিন্ন দেশি ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমানে মসলা, কাসুন্দি, চিনি ও লবণের ব্যবহার প্রচুর হচ্ছে। ফল খোসা ফেলে সরাসরি চিবিয়ে খাওয়া বেশি ভালো।</p> <p>যদি এই ফলগুলো আমরা রস করে খেতে পারি তাহলে পরিমাণও বাড়ে, একইসঙ্গে অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও মসলার ব্যবহারও কম হয়। মূলত ফল কিংবা ফলের রসে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ লবণ ও মসলা ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে স্বাস্থ্যগত উপকারিতা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জ্বর-সর্দিসহ যেসব রোগের মহৌষধ আমলকী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/08/1725806989-ebc3aadbb3bb58e5c17c07d39f7f3f71.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জ্বর-সর্দিসহ যেসব রোগের মহৌষধ আমলকী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/09/08/1423417" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>সতর্কতা</strong></p> <p>ফল ও ফলের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা মানা উচিত।</p> <p>১.  কোনোকিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয়। একইভাবে ফল বা ফলের রস কোনটিই মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।</p> <p>২. যাদের বদহজম, পেটের বিভিন্ন সমস্যা আছে তারা টক জাতীয় বিভিন্ন ফলের রস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য ডাবের পানি উপকারী।</p> <p>৩. কিডনির কোনো সমস্যা বা কিডনিজনিত রোগ যাদের আছে তারা সব ধরনের ফল খেতে পারবেন না বিষয়টা এমন নয়। তবে চিকিৎসকের নিষেধ নেই এবং কম পটাশিয়ামযুক্ত ফল খাওয়া তাদের জন্য ভালো। যদি চিকিৎসকের নিষেধ না থাকে তাহলে অল্প পরিমাণে ফলের রস খেতে পারেন।</p> <p>৪. ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে সব ধরনের ফল, ফলের রস খাওয়া নিষেধ নয়। তবে অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় ফল কম খাওয়া বা বিরত থাকাই ভালো।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জিমে না গিয়েও ওজন কমাতে পারেন যে পানীয়তে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/07/1725709597-c81c859281fac379e0b9ec65c8738dc8.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জিমে না গিয়েও ওজন কমাতে পারেন যে পানীয়তে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/09/07/1423071" target="_blank"> </a></div> </div> <p>৫. যাদের ওজন বেশি তাদেরও ফল খাওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে। মিশ্র ফল রাখা যেতে পারে খাদ্যতালিকায়।</p> <p>সারাদিনে যারা একটি ফল বা ফলের রস খাদ্যতালিকায় রাখেন না, তারা অবশ্যই দুই খাবারের মধ্যবর্তী সময় অর্থাৎ সকাল ১১টা নাগাদ শিঙাড়া কিংবা ভাজাপোড়া খাবার না খেয়ে দেশীয় মৌসুমি ফল বা ফলের রস খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। এতে শরীর ভালো থাকবে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।</p>