ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

সন্তানের মনের কথা জানবেন যেভাবে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
সন্তানের মনের কথা জানবেন যেভাবে
সংগৃহীত ছবি

সন্তানকে সব সময় বুকে আগলে রাখতে চান মা-বাবা। কিন্তু একটা সময় আদরের সন্তানকে কোল থেকে নামিয়ে বড় পৃথিবীটায় ছেড়ে দিতে হয়। যাতে সে সবার সঙ্গে মিশতে পারে, পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেটা কতটা সম্ভব? কতটা নিরাপদ? দিনের সিংহভাগ‌ই ওদের কেটে যায় স্কুলে।

তাই সন্তান সেখানে কার সঙ্গে মিশছে, কী করছে সেটা জানা অতি জরুরি হয়ে পড়ে। কারণ তার ভিত্তি গড়ার সময় এটাই। কিন্তু সন্তানের কাছ থেকে কী সে কথা সহজে বের করা যাবে?

কীভাবে সন্তানের মনের কথা জানবেন

সেটি খুবই কঠিন কাজ। সে মুখ খুলবেই না।

তার ভেতরে ভয় কাজ করাটা স্বাভাবিক। তবে একটি উপায় আছে। ব্রিটেনের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ড. ওয়েন্ডি মোগাল জানিয়েছেন সেই উপায়।

আরো পড়ুন
দাম্পত্য কলহ সন্তানের মানসিক বিকাশে যেভাবে প্রভাব ফেলে

দাম্পত্য কলহ সন্তানের মানসিক বিকাশে যেভাবে প্রভাব ফেলে

 

তিনি জানান, স্কুলে সন্তান কী করছে তা জানতে হলে মা-বাবাকে আগে তাদের মনের কথা সন্তানকে জানাতে হবে।

মানে, সন্তানকে নিয়ে তার মনে কী চলছে তা জানাতে হবে। এই যেমন স্কুল থেকে নিয়ে আসার সময় হাতের মুঠোয় থাকা মোবাইল ফোনটি ব্যাগে রেখে সন্তানের হাতটি ধরতে হবে। তারপর বলতে হবে, জানো আজ না তোমাকে স্কুল থেকে নিতে আসার সময় ..... (সন্তানের প্রিয় কোনো খাবার বা জিনিস) দেখে, তোমার কথা মনে হয়েছে।

আরো পড়ুন
সন্তানের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াতে যা করবেন

সন্তানের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াতে যা করবেন

 

সন্তান যখন বুঝতে পারবে, সে কাছে না থাকার পরও তার কথা আপনার মনে পড়ছে। অথবা তার প্রিয় কিছু নিয়ে আপনি ভাবছেন, সে খুব খুশি হবে।

মনের কথাগুলো অকপটে আপনাকে বলে দিবে। বলতে পারেন এটি একটি ম্যাজিক ট্রিক। খুব ভালো কাজ করে এ কৌশলটি। তবে কেউ কেউ ব্যতিক্রমও থাকতে পারে।

আরো পড়ুন
সন্তানের আবদার বেড়েই চলছে? সামলাবেন যেভাবে

সন্তানের আবদার বেড়েই চলছে? সামলাবেন যেভাবে

 

কেউ কেউ হয়ত ভাবতে পারেন, সন্তানের সঙ্গে চালাকি করা হচ্ছে। আসলে ব্যাপারটি তা নয়। আপনার সন্তানের মনের কথাগুলো জানতে হলে তার সঙ্গে তার মতো করে মিশতে হবে। সে যা পছন্দ করে, সেই বিষয়ে কথা বলে তার আগ্রহ বাড়াতে হবে। যাতে সে আপনার সঙ্গে সহজে মিশতে পারে। এটি খুব মজার একটি কৌশল। চেষ্টা করে দেখতে পারেন। কাজ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

সূত্র : ডেইলি মিরর

আরো পড়ুন
সন্তানের চোখের জ্যোতি বাড়াতে খাওয়াতে পারেন যেসব ফল

সন্তানের চোখের জ্যোতি বাড়াতে খাওয়াতে পারেন যেসব ফল

 
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রতিদিন একটি নাশপাতি খেলে কী উপকার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
প্রতিদিন একটি নাশপাতি খেলে কী উপকার
সংগৃহীত ছবি

স্বাস্থ্যের ভালোর জন্য প্রতিদিন একটি করে ফল খাওয়া জরুরি। এই তালিকায় আপনি রাখতে পারেন আপের বা নাশপাতি। তবে নাশপাতি যদি প্রতিদিন একটি করে খেতে পারেন তাহলে একাধিক উপকার পাবেন।

যেকোনো কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়।

এতে হতে পারে বিপদ। তেমনি নাশপাতি বেশি খেয়ে ফেললেও বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চলুন, জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন একটা নাশপাতি খেলে কী কী উপকার পাবেন আপনি এবং বেশি খেয়ে ফেললে কী কী সমস্যা হতে পারে।

আরো পড়ুন
শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

 

নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা 

ফাইবার সমৃদ্ধ নাশপাতি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে, ভালো ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে।

খাবার সহজে হজম করায়। এই ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেলস। তার ফলে শরীরে পুষ্টি পাবেন একদম ভালোভাবে।

ওজন কমাতে যারা দিনে বেশি করে ফল খান তারা অবশ্যই এ তালিকায় রাখুন নাশপাতি।

এই ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে নাশপাতির মধ্যে। তার ফলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকবে। খাইখাই ভাব কমবে।

টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে নাশপাতির মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ।

এই ফলের মধ্যে সলিউয়েবল ও নন-সলিউয়েবল দুই ধরনের ফাইবার রয়েছে। সলিউয়েবল ফাইবার ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর নন-সলিউয়েবল ফাইবার হজমের সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

আরো পড়ুন
পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

 

নাশপাতির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে নাশপাতি খেতে পারেন। ত্বকে বলিরেখার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে নাশপাতি। অন্যদিকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো মজবুত করার জন্য রোজ পাতে একটি নাশপাতি রাখতে পারেন। 

নাশপাতির মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, যা খেয়াল রাখে আমাদের হৃদযন্ত্রের। কমায় ব্লাড প্রেশার ও কোলেস্টেরলের মাত্রা। কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকলে আমাদের শরীরে ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তার ফলে কমে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি। 

দৃষ্টিশক্তি ভালো করতে কাজে লাগে নাশপাতি। রোজ একটা করে ফল খেলে উপকার পাবেন। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও বেশ ভালো পরিমাণেই রয়েছে নাশপাতির মধ্যে।

আরো পড়ুন
পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

 

তবে খুব বেশি পরিমাণে নাশপাতি খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- এমনিতে নাশপাতি খেলে ওজন কমে। তবে যেহেতু এই ফলে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম নয়, তাই বেশি পরিমাণে খেলে ওজন বাড়তে বাধ্য। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত নাশপাতি খেলেও পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।

আরো পড়ুন
চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার

চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার

 

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স কেন প্রতিদিন প্রয়োজন? জানুন কারণ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স কেন প্রতিদিন প্রয়োজন? জানুন কারণ
সংগৃহীত ছবি

শরীর সুস্থ রাখতে পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম, যা ভিটামিন ও মিনারেলের মাধ্যমে পূর্ণ হয়। এসব পুষ্টি উপাদান শরীরের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স একটি এমন গ্রুপ, যা বিভিন্ন ভিটামিনের সমন্বয়ে গঠিত। সব বয়সের মানুষের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের প্রতিটি ভিটামিন শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলীতে সাহায্য করে। যেমন লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করা, পেশী সুস্থ রাখা, এবং মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করা। এই ভিটামিনগুলোর মধ্যে ছয়টি প্রধান ভিটামিন রয়েছে—থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিকোটিনামাইড, ক্যালসিয়াম প্যানটোথেনেট, পাইরিডক্সিন ও সায়ানোকোবালামিন। 

ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের প্রতিটি ভিটামিনই পানিতে দ্রবণীয়।

অর্থ্যাৎ এগুলো শরীরে জমা হয় না। তাই প্রতিদিন ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা জরুরি।

ভিটামিন বি ১২ প্রধানত দুগ্ধজাত পণ্য ও আমিষে পাওয়া যায়। তবে অন্যান্য ভিটামিন বি পাওয়া যায় ডিম, সবুজ শাকসবজি, বাদাম, সয়াবিন, মাশরুম, তিল বীজ ও অঙ্কুরিত শস্যে।

সূত্র : কলকাতা ২৪×৭ 

মন্তব্য

সকালে খালি পেটে চা ও বিস্কুট খাওয়া কেন ক্ষতিকর? জানুন কারণ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
সকালে খালি পেটে চা ও বিস্কুট খাওয়া কেন ক্ষতিকর? জানুন কারণ
সংগৃহীত ছবি

চা ছাড়া দিনের শুরু ভাবতে পারেন না, এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। বেশিরভাগ মানুষই চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খেয়ে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এটি কি শরীরের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর? চলুন, জেনে নিই।

বর্তমানে অনেক মানুষ পেটের সমস্যায় ভুগছেন, বিশেষত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়।

খাদ্যাভ্যাসের কারণে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু যারা শুধু চা ও বিস্কুট খেয়ে দিন শুরু করেন, তাদের জন্য এটি একদম ভালো নয়। এতে পেটের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে  এবং একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।

যারা চায়ের সঙ্গে মিষ্টি বিস্কুট খান, তাদের শরীরে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে।

খালি পেটে মিষ্টি বিস্কুট খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দাঁতের ক্ষয়ও হতে পারে। তাই সকালে খালি পেটে চা ও বিস্কুট খাওয়া পরিহার করুন।

যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বিস্কুট খাওয়া ক্ষতিকর।

বিশেষত, বিস্কুটে থাকা সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। যদি বিস্কুট খেতেই চান, তবে আটার তৈরি বিস্কুট বেছে নিন, যা আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

খালি পেটে চা ও বিস্কুট খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ চা ও বিস্কুটে প্রচুর ক্যালোরি থাকে, যা দ্রুত ওজন বাড়াতে পারে। ফলে আপনি সহজেই মোটা হয়ে যেতে পারেন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্যা হতে পারে।

যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তারা সকালে খালি পেটে চা ও বিস্কুট খেলে গ্যাস বা হজমের সমস্যা আরো বাড়াতে পারে। চায়ে থাকা ক্যাফেইন ও ট্যানিন হজম প্রক্রিয়া কমিয়ে দেয়। তাই সকালে চা-বিস্কুট খাওয়ার আগে কিছু খাবার খেয়ে নিন।

সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ফ্রিজে বিস্ফোরণ? জানুন কীভাবে দুর্ঘটনা এড়াবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ফ্রিজে বিস্ফোরণ? জানুন কীভাবে দুর্ঘটনা এড়াবেন
সংগৃহীত ছবি

গরমে এসি ও ফ্রিজের কম্প্রেসার ফেটে বিস্ফোরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। এসব দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। কীভাবে এমন বিস্ফোরণ ঘটে এবং কীভাবে তা থেকে বাঁচা যায়, জেনে রাখা প্রয়োজন।

ত্রুটিপূর্ণ তারের সংযোগ
পুরনো রেফ্রিজারেটরের তারের সংযোগ ভালো করে পরীক্ষা করুন।

খারাপ তারের কারণে কম্প্রেসার অতিরিক্ত গরম হতে পারে। যা বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।

ফ্রিজের জন্য সঠিক জায়গা
ফ্রিজের পিছনে যদি দেয়াল থাকে, তবে সেখানে কিছুটা জায়গা রেখে রাখুন। সঠিক বায়ু চলাচল না হলে ফ্রিজ গরম হয়ে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

পুরনো রেফ্রিজারেটর
১০ বছরের বেশি পুরনো রেফ্রিজারেটরের নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। পুরনো কম্প্রেসারে সমস্যা হলে, তা বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।

শর্ট সার্কিট
শর্ট সার্কিটের কারণে রেফ্রিজারেটরে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই নিয়মিত সার্ভিসিং করা উচিত, অন্তত বছরে দুইবার।

সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ