কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলার টিপস

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলার টিপস

কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলা ব্যক্তিগত ও পেশাগত সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিবাচক ভাবমূর্তি সহকর্মী ও ঊর্ধ্বতনদের মধ্যে আপনার প্রতি আস্থা তৈরি করে, যা ভবিষ্যতে আপনার কর্মজীবনে উন্নতির সম্ভাবনা বাড়ায়। কর্মক্ষেত্রে ভালো মনোভাব বজায় রাখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতাও অনেক ভূমিকা রাখে। নিচে কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরির কিছু কার্যকর পরামর্শ দেওয়া হলো :

পেশাগত দক্ষতা বাড়ান : পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করুন।

নিজেকে আপডেটেড রাখুন এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন। যেকোনো সমস্যা সমাধানে দক্ষতা দেখানোর চেষ্টা করুন, কারণ দক্ষ কর্মী সব সময়ই গুরুত্ব পায়।

সময়নিষ্ঠ এবং দায়িত্বশীল হোন : সঠিক সময়ে কাজ শেষ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিশ্রুতি পূরণে যত্নবান এবং দায়িত্বশীল হোন।

এতে করে সহকর্মী এবং ঊর্ধ্বতনরা আপনাকে নির্ভরযোগ্য মনে করবেন, যা ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরিতে সহায়ক।

সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব রাখুন : কর্মক্ষেত্রে দলগত কাজ করার সময় সহকর্মীদের প্রতি সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব রাখুন। অন্যের সফলতায় আনন্দ প্রকাশ করুন এবং প্রয়োজন হলে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। এতে কাজের পরিবেশে ইতিবাচক আবহ তৈরি হয়।

পেশাদারি আচরণ বজায় রাখুন : কথাবার্তা, পোশাক-পরিচ্ছদ এবং আচরণে পেশাদারি বজায় রাখুন। অফিসে সবার সঙ্গে শালীন, নম্র এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করুন। এই গুণগুলো আপনাকে কর্মক্ষেত্রে সম্মানিত করবে।

ইতিবাচক মনোভাব প্রদর্শন করুন : কোনো সমস্যা বা চাপের মধ্যে পড়লেও ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন। সব সময় সমস্যার সমাধানে মনোযোগ দিন এবং নেতিবাচক মন্তব্য এড়িয়ে চলুন।

ইতিবাচক মনোভাব কাজের পরিবেশে অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করতে সহায়ক।

অফিস রাজনীতি এড়িয়ে চলুন : কর্মক্ষেত্রে নিরপেক্ষ থাকা এবং অফিস রাজনীতিতে না জড়ানো বুদ্ধিমানের কাজ। অফিসে বিভিন্ন মতামত থাকতে পারে, তবে সেই মতামতগুলোকে শ্রদ্ধা করুন এবং ব্যক্তিগত পক্ষপাত এড়িয়ে চলুন।

ফিডব্যাক গ্রহণ ও প্রয়োগ করুন : উন্নতির জন্য সহকর্মী এবং ঊর্ধ্বতনদের কাছ থেকে পাওয়া ফিডব্যাক খোলা মনে গ্রহণ করুন এবং প্রয়োজনে তা প্রয়োগ করুন। এই মানসিকতা আপনার ব্যক্তিত্বকে আরো ইতিবাচকভাবে তুলে ধরবে।

আত্মবিশ্বাসী ও উদ্যোগী হোন : যেকোনো কাজে আত্মবিশ্বাসী থাকুন এবং নতুন প্রকল্পে অংশ নিতে আগ্রহ দেখান। সঠিক উদ্যোগ দেখানোর মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।

কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলা সময়সাপেক্ষ হলেও এটি দীর্ঘ মেয়াদে সফলতার পথ তৈরি করে। আপনার দক্ষতা, আচরণ এবং মনোভাবের সমন্বয়ে একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক ভাবমূর্তি শুধু কর্মজীবনের উন্নতি নয়, ব্যক্তিগত উন্নতিরও চাবিকাঠি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

স্বাস্থ্যচিত্র

নিজেই বানান ফার্স্টএইড কিট

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নিজেই বানান ফার্স্টএইড কিট
সংগৃহীত ছবি

ব্যান্ডেজ

ছোট বা মাঝারি কাটা-ছেঁড়ার চিকিৎসায় ব্যান্ডেজ অত্যন্ত কার্যকর। ব্যান্ড এইডের পাশাপাশি সঙ্গে রাখুন মেডিক্যাল গজ ও টেপ।

ইনস্ট্যান্ট আইস প্যাক

দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে, ব্যথা প্রশমনে আইস প্যাকের জুড়ি নেই।

প্রয়োজনীয় ওষুধ

নিজের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধের পাশাপাশি সঙ্গে রাখুন ব্যথানাশক, বমি নিরোধক, মাথা ব্যথা ও পেটের অসুখের ওষুধ।

ওরাল স্যালাইনও রাখা উচিত।

তুলা ও অ্যালকোহল প্যাড

আঘাতের স্থান পরিষ্কার করা ও গজের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যান্ডেজ করার জন্য মেডিক্যাল গ্রেড তুলা রাখুন। চামড়া দ্রুত জীবাণুমুক্ত করার জন্য অ্যালকোহল প্যাড খুবই কাজের।

অ্যান্টিসেপটিক ও পোড়ার ওষুধ

অ্যান্টিসেপটিক সলিউশনের ছোট বোতল সঙ্গে রাখুন।

পোড়ার ক্ষত চিকিৎসায় ব্যবহৃত মলমও রাখা উচিত।

মন্তব্য

জাফরান কেন এত দামি?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
জাফরান কেন এত দামি?
সংগৃহীত ছবি

জাফরান, যার আরেকটি নাম লাল সোনা। বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলাগুলোর মধ্যে একটি হলো জাফরান। কথিত আছে, প্রাচীন গ্রিসের মিনোয়ানরা প্রায় ১৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রথমবার জাফরান ব্যবহার করেছিল। রান্না, পোশাকের রং ও সৌন্দর্যচর্চায় এটি ব্যবহৃত হতো।

মিসরের রানি ক্লিওপেট্রা নিজেকে আরো সুন্দর করতে জাফরান মিশ্রিত দুধে গোসল করতেন।

কেন এত ব্যয়বহুল জাফরান?
জাফরান এত দামি হওয়ার কারণ এর উৎপাদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ ও কঠিন। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে প্রায় ১৫০,০০০টি ক্রোকাস ফুলের প্রয়োজন। এই ফুলের তিনটি অংশ : লাল স্টিগমা, পুংকেশর ও পাপড়ি।

শুধু লাল স্টিগমা সংগ্রহ করা হয়, যা খুব সতর্কতার সঙ্গে হাতে বাছাই করতে হয়। তারপর এটি ২০ দিন রোদে শুকানো হয়। এই প্রক্রিয়া প্রায় ৩৭০ থেকে ৪৭০ ঘণ্টা সময় নেয়, যার ফলে জাফরান এত ব্যয়বহুল। এক কেজি জাফরানের দাম প্রায় ১০,০০০ ডলার বা ৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ টাকা।

কোথায় চাষ করা হয় জাফরান?
বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাফরান উৎপাদক দেশ হলো ইরান। যা বিশ্বের প্রায় ৯০% জাফরান উৎপাদন করে। ইরানের খোরাসান অঞ্চল উচ্চমানের জাফরানের জন্য পরিচিত। এ ছাড়া ভারতের কাশ্মীর ও আফগানিস্তানে জাফরান চাষ হয়।

ভালো মানের জাফরান কিভাবে চিনবেন?
উচ্চ মানের জাফরান উজ্জ্বল লাল ও কিছুটা কমলা রঙের হয়।

এর গন্ধ খুবই তীব্র ও মনোরম। নিম্নমানের জাফরান সাধারণত মলিন বা হালকা লাল রঙের হয়। গন্ধ তেমন ভালো হয় না এবং আঠালো বা আর্দ্র অনুভূত হতে পারে।

জাফরানের স্বাস্থ্য উপকারিতা
শুধু রান্নায় নয়, স্বাস্থ্যেও জাফরানের উপকারিতা রয়েছে। এটি মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থ সেরোটোনিন ও ডোপামিনের মাত্রা প্রভাবিত করে। এ ছাড়া এটি হৃদরোগের জন্য ভালো। রক্তচাপ কমাতে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে জাফরান কাজ করে। 

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

মন্তব্য

নিয়মিত চোখে কাজল ব্যবহার করছেন? জেনে নিন কী হতে পারে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
নিয়মিত চোখে কাজল ব্যবহার করছেন? জেনে নিন কী হতে পারে
সংগৃহীত ছবি

মেয়েদের মেকআপে ন্যূনতম কিছু পরিবর্তন মানেই চোখে কাজল ও হালকা লিপস্টিক। কাজল ছাড়া অনেকের সাজের ভাব পূর্ণ হয় না। বিশেষ করে বাঙালি মেয়েরা মনে করেন, কাজল চোখে থাকলে সৌন্দর্য আরো বাড়ে। কিন্তু আপনি কি জানেন, প্রতিদিন কাজল ব্যবহার করার ফলে আপনার চোখের কি ক্ষতি হতে পারে? চলুন, জেনে নিই।

আগে বাড়িতে তৈরি কাজল ব্যবহার করা হলেও এখন বাজারে প্রচুর দামি ব্র্যান্ডের কাজল পাওয়া যায়। তবে সেগুলোর মধ্যে রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে, যা চোখের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এখানে কিছু ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হল, যা অতিরিক্ত কাজল ব্যবহারের ফলে হতে পারে।

১) বেশিরভাগ ব্র্যান্ডের কাজলে রাসায়নিক উপাদান থাকে।

যা চোখে এলার্জির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

২) প্রতিদিন কাজল ব্যবহার করলে চোখ শুকিয়ে যেতে পারে। ফলে শুষ্ক চোখের সমস্যা হতে পারে।

৩) অনেক কাজলে পারদ, সিসা ও প্যারাবেনের মতো উপাদান থাকে, যা কনজাংটিভাইটিসের কারণ হতে পারে এবং চোখ লাল হয়ে যেতে পারে।

৪) দীর্ঘদিন কাজল ব্যবহারে কর্নিয়ার আলসার বা চোখে অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।

৫) অতিরিক্ত কাজল ব্যবহারে চোখ ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদে সমস্যায় পরিণত হতে পারে।

যদি আপনি প্রতিদিন কাজল ব্যবহার করেন, তাহলে বাড়িতে তৈরি কাজল ব্যবহার করাই ভালো। কারণ তা চোখের জন্য নিরাপদ এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারের পরেও কোনো ক্ষতি হয় না।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

মন্তব্য

কতটা দূরত্বে বসে টিভি দেখলে চোখের ক্ষতি হয় না?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কতটা দূরত্বে বসে টিভি দেখলে চোখের ক্ষতি হয় না?
সংগৃহীত ছবি

টিভি দেখতে গিয়ে আমরা কখনোই দূরত্বের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিই না। দিনের শেষে সোফায় বসে আরাম করে টিভি দেখার মজাই আলাদা, কিন্তু খুব কাছে থেকে টিভি দেখা চোখের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এলসিডি বা প্লাজমা টিভির পর্দা থেকে নির্গত আলো চোখের ক্ষতি করতে পারে। যার ফলে চোখে ব্যথা, শুষ্কতা বা পানি পড়ার সমস্যা হতে পারে।

 

চলুন, জেনে নিই ঠিক কতটা দূরত্বে বসে টিভি দেখা উচিত।

১। ২৮ ইঞ্চির টিভি হলে ৩ ফুট দূরত্বে বসা সবচেয়ে ভালো। 

২।

৩২ ইঞ্চির টিভি হলে ৪ ফুট দূরত্বে বসা উচিত। 

৩। ৪৩ ইঞ্চির পর্দা হলে ৪ থেকে ৬ ফুট দূরত্বে বসতে হবে। 

৪।

৫০ থেকে ৬৫ ইঞ্চির টিভি হলে ৫ থেকে ৮ ফুট দূরত্বে বসুন। 

৫। ৬৫ থেকে ৭৫ ইঞ্চির পর্দা হলে ৬ থেকে ১০ ফুট দূরত্বে বসলে ভালো। 

৬। ৭৫ ইঞ্চির বড় টিভি থাকলে, ঘরের সাইজ অনুযায়ী দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নাও হতে পারে।

এমন ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ, যতটা দূরে বসা সম্ভব ততটাই ভালো।

এভাবে সঠিক দূরত্বে বসে টিভি দেখলে চোখের সমস্যা কম হবে।

সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ