দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখবে শীতের যেসব খাবার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখবে শীতের যেসব খাবার
সংগৃহীত ছবি

চোখ মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যার মাধ্যমে সুন্দর এই পৃথিবীকে দেখা যায়। তাই চোখের সঠিক যত্ন নেওয়া অপরিহার্য। কিন্তু গত কয়েক বছরে নিম্নমানের জীবনযাত্রার কারণে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগব্যাধি। ৫০-৬০ বছর বয়সের পর যেসব রোগ দেখা দিত, সেটা এখন ৩০-৩৫ পেরোলেই বাসা বাঁধে শরীরে।

এ ছাড়া বর্তমানে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে খারাপভাবে প্রভাবিত হচ্ছে চোখ। ছোট-বড় সবার দৃষ্টিশক্তি বয়সের আগেই দুর্বল হতে শুরু করে। গ্যাজেট নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটালে চোখ মোটেও বিশ্রাম পায় না। এতে চোখের ওপর চাপ বাড়ার পাশাপাশি সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মিও চোখের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে কিছু খাবার। যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে ও সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সহায়তা করতে পারে। চলুন, জেনে নিই দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এমন কিছু খাবারের নাম—

আমলকী

ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলকী চোখের জন্য খুবই উপকারী। আমলকী খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।

শীতকালে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় আমলকী। প্রতিদিন ১টি আমলকী খেতে হবে। এটি রেটিনা ও লেন্সকে ফ্রি র‍্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে এবং চোখকে স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।

আরো পড়ুন
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে যে তিন সবজি

চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে যে তিন সবজি

 

ব্রকলি

যেকোনো উপায়ে খাবারের তালিকায় ব্রকলি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ব্রকলি শুধু চোখ নয়, পুরো শরীরের জন্যই সুপারফুড হিসেবে কাজ করে।

এতে জেক্সানথিন ও লুটেইন নামক ক্যারোটিনয়েড রয়েছে, যা চোখের রেটিনায় পৌঁছে জমতে শুরু করে। এগুলো নীল আলোর কারণে ক্ষতি থেকে চোখকে রক্ষা করে। চোখের পেশি মজবুত করে এমন উপাদানও রয়েছে ব্রকলিতে।

ক্যাপসিকাম

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে ক্যাপসিকামও একটি ভালো সবজি। রঙিন শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মনে করা হয়। এগুলো ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। ক্যাপসিকামে রয়েছে ভিটামিন সি। যা চোখের টিস্যুর ক্ষতি রোধ করে।

গাজর

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে প্রতিদিন ১-২ টি গাজর খান। এতে থাকা ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ করে। আর দুর্বল চোখ পুষ্টি পায়। গাজর খেলে শুষ্ক চোখের সমস্যাও দূর হয়।

আরো পড়ুন
শীতে ত্বকের জন্য তেঁতুল, যেভাবে ব্যবহার করবেন

শীতে ত্বকের জন্য তেঁতুল, যেভাবে ব্যবহার করবেন

 

পালং শাক

চোখের সুস্থতায় পালং শাক অবশ্যই খেতে হবে। চাইলে পালং শাক কাঁচা বা হালকা সেদ্ধ করে সবজি বা স্যুপে মিশিয়ে খেতে পারেন। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী পালং শাক। এতে রয়েছে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান, যা চোখকে অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। পালং শাকে লুটেইন ও জেক্সানথিন নামক ক্যারোটিনয়েড রয়েছে, যা রেটিনাকে ক্ষতিকারক নীল আলো থেকে রক্ষা করে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যে খাবার খাওয়ালে মনোযোগ বাড়বে সন্তানের

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
যে খাবার খাওয়ালে মনোযোগ বাড়বে সন্তানের
সংগৃহীত ছবি

অনেক সময়েই বাচ্চাদের মধ্যে মনঃসংযোগের অভাব দেখা যায়। মনঃসংযোগের অভাব হলে বাচ্চাদের পড়াশোনায় মন বসে না। ভুলে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় তাদের মধ্যে। ধীর, স্থির হওয়ার প্রবণতা দেখা যায় না।

এক জায়গায় তারা স্থির হয়ে বসে না। শুধু পড়াশোনা নয়, যেকোনো ছোট কাজেও মনঃসংযোগের অভাব হলে একাগ্রতা আসে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাচ্চাদের নিয়মিত কিছু খাবার খাওয়াতে পারলে তাদের মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পাবে। কোন কোন খাবার খেলে বাচ্চাদের মধ্যে মনঃসংযোগ বাড়বে, জেনে নিন।

 

প্রতিদিন সকালে আপনার ছোট্ট সন্তানকে একটা আখরোট পানিতে ভিজিয়ে খাওয়ান। এই বাদাম প্রতিদিন খেলে মস্তিষ্ক দারুণ প্রখর হবে। আখরোট হজম করা কষ্টকর। তাই ছোট বাচ্চাদের দিনে একটার বেশি আখরোট দেওয়ার দরকার নেই।

আরো পড়ুন
পায়ে নীল রঙের শিরা, ঘরোয়া উপায়েই মিলবে সমাধান

পায়ে নীল রঙের শিরা, ঘরোয়া উপায়েই মিলবে সমাধান

 

সন্তানকে প্রতিদিন দু-চারটি যেকোনো জাম জাতীয় ফল খাওয়ান। ভিটামিন সি যুক্ত এই ফল খেলে মস্তিষ্ক সজাগ ও প্রখর হবে এবং সক্রিয় থাকবে। এই তালিকায় ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, র‍্যাসপবেরিও রাখতে পারেন। 

বাচ্চাদের রোজ একটি ডিম খাওয়াতেই পারেন। তবে সিদ্ধ ডিম খাওয়াতে হবে।

ডিমে রয়েছে প্রোটিন, যা স্মৃতিশক্তি ভালো করে। ডিমের পোচ কিংবা অমলেটের থেকে ডিম সিদ্ধ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। 

দিনে একবার অন্তত ছোট সন্তানদের ওটস খেতে দিন। ফাইবার থাকায় ওটস খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকবে। এনার্জিও পাবে দিনভর। সকালের নাশতায় অল্প ওটস খাওয়াতে পারলে ভালো। এর সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন বিভিন্ন ফল, ড্রাই ফ্রুটস। কিংবা সবজি মিশিয়েও তৈরি করতে পারেন ওটস।

আরো পড়ুন
ওজন বাড়াতে গিয়ে যে ভুল করবেন না

ওজন বাড়াতে গিয়ে যে ভুল করবেন না

 

পালং শাক সব বয়সীদেরই খাওয়া উচিত। বাচ্চাদের জন্য বিশেষভাবে ভালো এই শাক। আয়রন ও ভিটামিন কে যুক্ত এই শাক বাচ্চাদের মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। পালং শাক রান্নার আগে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। আর ভালোভাবে সিদ্ধ করে রান্না করতে হবে, যাতে কাঁচা না থাকে। 

দিনে একবার হালকা গরম দুধে সামান্য কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান। গরম ভাতের সঙ্গেও দিতে পারেন কাঁচা হলুদ বাটা। মস্তিষ্ক সজাগ ও সক্রিয় রাখে হলুদ মেশানো দুধ। কাঁচা হলুদ খেতে পারলে আরো অনেক উপকার পাবেন।

আমন্ড খেলে মস্তিষ্ক সক্রিয়, সজাগ, প্রখর থাকে এ কথা সকলেই জানেন। আমন্ড মনঃসংযোগ বাড়াতেও সাহায্য করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে।

আরো পড়ুন
যেভাবে সুজি খেলে কমবে ওজন

যেভাবে সুজি খেলে কমবে ওজন

 

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

আঙুরের রাসায়নিক পরিষ্কার করবেন যেভাবে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
আঙুরের রাসায়নিক পরিষ্কার করবেন যেভাবে
সংগৃহীত ছবি

শুরু হয়েছে আঙুরের মৌসুম। বাজারে বা ফলের আড়তে দেখতে পাওয়া যায় সব কয়টি জাতের টাটকা আঙুর। তবে আঙুর তাজা রাখতে কৃত্রিম রং কিংবা রাসায়নিক মিশিয়ে বাজারে বিক্রি করে থাকেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী। এ ছাড়া আঙুরগাছে কীটনাশকের ব্যবহারের কারণেও আঙুরে মেশে নানা ধরনের রাসায়নিক।

তাই খাওয়ার আগে শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই হবে না, পানিতে ধুয়ে নিয়ে কীটনাশক দূর না-ও হতে পারে।

পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, বাজারে বিক্রি হওয়া অনেক আঙুরই তাজা দেখাতে তাতে কৃত্রিম রং মেশানো হয়। আর কীটনাশকের কারণেও আঙুরে মেশে নানা ধরনের রাসায়নিক। আর এ অবস্থায় ভালো করে আঙুর পরিষ্কার না করে খেলে আপনার শিশুসন্তানের ক্ষতি অনিবার্য।

এমনকি বড় কোনো দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, দেশের বাজারে বিক্রি হওয়া আঙুর বা ফল তেমনভাবে নিরীক্ষণ করা হয় না। তাই সেসব ফলে কীটনাশকের উপস্থিতি বা মাত্রাতিরিক্ততা ধরাও পড়ে না। কীটনাশক খাবারের মাধ্যমে শরীরে পৌঁছালে তা রক্তের সঙ্গে মিশে নানা রকম রোগের জন্ম দেয়।

হরমোনের তারতম্য দেখা দিতে পারে, স্নায়ুর কার্যকারিতাও বিঘ্নিত হয়। শুধু তা-ই নয়, অনেক দিন ধরে এই বিষ শরীরে মিশতে থাকলে ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। তাই ফল থেকে কীটনাশক কিভাবে দূর করবেন, তা জেনে রাখা ভালো।

আরো পড়ুন
মধু খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে যে ভুল ধারণা

মধু খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে যে ভুল ধারণা

 

কিভাবে ফলের কীটনাশক দূর করবেন

কীটনাশক দূর করার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো লবণপানিতে আঙুর ডুবিয়ে রাখা। অন্তত আধাঘণ্টা লবণপানিতে আঙুর ভিজিয়ে রেখে তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে ফলের গায়ে লেগে থাকা রাসায়নিক অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।

দোকান থেকে কিনে আনা রাসায়নিক মিশ্রিত কোনো দ্রবণে সবজি ধুবেন না। বরং বাড়িতেই বানিয়ে নিন বেকিং সোডা ও পানির দ্রবণ। এই দ্রবণে আঙুর ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর সেটি তুলে নিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ৯০ শতাংশ কীটনাশক ধুয়ে বেরিয়ে যাবে।

আরো পড়ুন
ভাতের সঙ্গে কাঁচা লবণ খেলে হতে পারে যে ক্ষতি

ভাতের সঙ্গে কাঁচা লবণ খেলে হতে পারে যে ক্ষতি

 

সমপরিমাণে পানি ও ভিনেগার মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করুন। এই দ্রবণে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে দিন। এবার আঙুরের থোকা তাতে ডুবিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এরপর দ্রবণ থেকে তুলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।

মন্তব্য

উচ্চ রক্তচাপ কমানো ছাড়াও আরো যে উপকারে করে বরই

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
উচ্চ রক্তচাপ কমানো ছাড়াও আরো যে উপকারে করে বরই
সংগৃহীত ছবি

বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি টক বরই ভর্তা হোক বা বরইয়ের সঙ্গে শুধু লবণ মরিচের গুঁড়া—এই সময়ে কার না খেতে ভালো লাগে। বরইয়ের কথা শুনলেই জিভে পানি চলে আসে। ছোট-বড় টক-মিষ্টি বরই, নারকেলি কুলের সঙ্গে নতুন ধরনের বাণিজ্যিক উচ্চ ফলনশীল জাতের বাউকুল, আপেল কুল ইত্যাদিও পাওয়া যাচ্ছে হাট-বাজারে, এমনকি ফেরিওয়ালার ঝুড়িতেও। 

আবার বরই শুকিয়ে যুগ যুগ ধরে আমাদের উপমহাদেশে আচার, চাটনি তৈরি হয়ে আসছে।

সঙ্গে যোগ করা হয় নানা মসলা আর গুড়। তবে ভারতীয় উপমহাদেশ ছাড়াও রাশিয়া, দক্ষিণ ইউরোপ, চীন এবং মধ্যপ্রাচ্যে জন্মায় বরইয়ের নানা জাত।

এই বরইয়ের মধ্যে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলো আছে যথেষ্ট পরিমাণে। এতে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ অনেক বেশি।

১০০ গ্রাম বরই খেলে ভিটামিন সি-এর দৈনিক চাহিদার ৭৭ শতাংশ পূরণ হয়ে যায়। এতে আরো আছে ভিটামিন এ ও বি কমপ্লেক্স। প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থেরও ভালো উৎস বরই।

আরো পড়ুন
বাইক সাইড স্ট্যান্ডে রাখলে কি আসলেই ক্ষতি হয়?

বাইক সাইড স্ট্যান্ডে রাখলে কি আসলেই ক্ষতি হয়?

 

এ ছাড়া এতে আছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক ও ফসফরাস।

এই ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁত ও হাড় ভালো রাখে। এর পটাশিয়াম আমাদের শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। এত পুষ্টিকর এই ফলে পানি ও আঁশের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এতে অনেক কম ক্যালরি থাকে। এর ৮০ শতাংশই হচ্ছে জলীয় অংশ। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে যেকোনো ধরনের বরই খেতে পরামর্শ দেন ডায়েটেশিয়ানরা।

উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য টক বরই অত্যন্ত উপকারী। ডায়রিয়া, ক্রমাগত মোটা হয়ে যাওয়া, রক্তশূন্যতা, ব্রংকাইটিস ইত্যাদি রোগ নিরাময়ে চমৎকার কাজ করে এই ফলটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বরই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতেও এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

হাড়ের সমস্যা দূর করতে, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েও এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে বরই। চীনের প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসারে, কুল অনিদ্রার সমস্যা নিরাময় করতে সহায়তা করে। বীজসহ পুরো ফলটাই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফাইটোকেমিক্যাল, পলিস্যাকারাইড, ফ্ল্যাভোনয়েড, স্যাপোনিন সমৃদ্ধ। এইসব উপাদান স্নায়ুকে শান্ত করে, মন ও শরীরকে শিথিল করে এবং ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে।

আরো পড়ুন
ভাতের সঙ্গে কাঁচা লবণ খেলে হতে পারে যে ক্ষতি

ভাতের সঙ্গে কাঁচা লবণ খেলে হতে পারে যে ক্ষতি

 

স্ট্রেস কমাতেও জুড়ি নেই এই ফলের। মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত রাখাসহ এটি উদ্বেগ কমাতেও অত্যন্ত সহায়ক। এ ছাড়া বরই হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন এই মৌসুমি ফলটি খাওয়ার অভ্যাস শুরু করতে পারেন।

বরইয়ে থাকা স্যাপোনিন নামক পদার্থ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আলঝেইমার ও ডিমেনশিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে ব্রেন ফাংশন ভালো করতে বরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বরইয়ে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণের জন্য চীনে বরইয়ের চা পান করা হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, শুকনা কিংবা কাঁচা বরই উভয়েই প্রদাহ উপশম করতে ভূমিকা রাখে। বরই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস সমৃদ্ধ। এই দুটি উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও কাজ করে। ব্যথানাশক ওষুধের ক্ষেত্রে বরই অনেক সময় বিপরীতমুখী ভূমিকা পালন করে থাকতে পারে। তাই ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার সময় বরই এড়িয়ে যাওয়া ভালো।

গবেষণায় দেখা গেছে, ‘পাইলরি’ নামের এক ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বর্তমান যুগে ঘরে ঘরে এসিডিটি আর গ্যাস্ট্রিক আলসারের জন্য অনেকাংশে দায়ী। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণের কারণে বরই এই ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কার্যকর বলে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা গেছে।

আরো পড়ুন
পায়ে নীল রঙের শিরা, ঘরোয়া উপায়েই মিলবে সমাধান

পায়ে নীল রঙের শিরা, ঘরোয়া উপায়েই মিলবে সমাধান

 

সুস্থ ও নীরোগ জীবনের জন্য আমাদের দৈনিক খাদ্যতালিকায় বরইজাতীয় ফলকে প্রাধান্য দেওয়াই যায়। খুব দুর্লভ কিছু ক্ষেত্রে কোনো কোনো ব্যথানাশক ওষুধের সঙ্গে বরইয়ের কিছু বিপরীতধর্মী ভূমিকা দেখা যায়, যা কিনা এই ওষুধের পরিপূর্ণ শোষণ কিছুটা বাধাগ্রস্ত করে। বরই নিজেই একটি অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট হওয়ায় দিনে যথেষ্ট পরিমাণ বরই খাওয়া হলে অবসাদের জন্য নেওয়া নিয়মিত ওষুধের ডোজ কমিয়ে আনা উচিত। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি প্রযোজ্য।

মন্তব্য

শসার সঙ্গে যে খাবার খেলে হতে পারে বিপদ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
শসার সঙ্গে যে খাবার খেলে হতে পারে বিপদ
সংগৃহীত ছবি

ওজন কমাতে এবং মেদ ঝরাতে অনেকেই শসার ওপর ভরসা রাখেন। দ্রুত ওজন কমাতে সকাল-বিকেল শসা খান। শসায় ক্যালরির পরিমাণ কম, সঙ্গে ফাইবার রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। তা ছাড়া শসার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ফ্ল্যাভোনয়েডস উপাদান মানুষকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

বাঙালি, চাইনিজ কিংবা মোগলাই, যেকোনো খাবারের সঙ্গে সালাদ হিসেবে থাকে শসা। আবার সন্ধ্যার নাশতায় মুড়িমাখা হোক বা স্যান্ডউইচের পুর, সবই শসা ছাড়া অসম্পূর্ণ। তবে যতই উপকারী হোক, শসার সঙ্গে কয়েকটি খাবার খেলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সেসব বিষয়ে-

দুগ্ধজাত খাবার

যদিও শসা ও দই একসঙ্গে বিভিন্ন পদে মেশানো হয়।

কিন্তু দুগ্ধজাত কোনো খাবারের সঙ্গে শসা খাওয়া ঠিক নয়। শসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি, যা দইয়ে মেশালে দই থেকে পানি বেরিয়ে পাতলা হয়ে হতে পারে। দইয়ের ঘন, ক্রিমের মতো আস্তরণ আর থাকে না। শসার পরিবর্তে দইয়ে ওটস কিংবা বেরি দিয়ে খেতে পারেন।

আরো পড়ুন
বাড়িতেই তৈরি করুন আমলকীর মোরব্বা

বাড়িতেই তৈরি করুন আমলকীর মোরব্বা

 

টমেটো

সালাদ মাত্রই শসার সঙ্গে টমেটো খাওয়ার চল রয়েছে। কিন্তু শুনলে অবাক হবেন শসা ও টমেটো একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। এই দুটি সবজি একসঙ্গে খেলে হজমশক্তি নষ্ট হতে পারে, এসিডিক পিএইচ ভারসাম্যকেও ব্যাহত করতে পারে। যে কারণে গ্যাস, ফোলাভাব, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি, বদহজমের মতো সমস্যা শুরু হয়।

মাংস

শসার সঙ্গে মাংস খেলেও শরীরের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে করে লাল মাংসের সঙ্গে শসা না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। লাল মাংসের সঙ্গে শসা খেলে শসার জলীয় উপাদান পদটিকে জোলো করে দেয়। সে ক্ষেত্রে মাংসের সঙ্গে কোনো নিরামিষ পদ খেতে চাইলে রোস্টেট আলু অথবা সবুজ সবজি খেতে পারেন।

সাইট্রাস ফল

কমলালেবু অথবা লেবুর মতো সাইট্রাস টক ফল শসার সঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়। সাইট্রাস ফলের অম্লতা শসার হালকা, তাজা স্বাদকে নষ্ট করে দেয়। সাইট্রাস ফলের সঙ্গে শশার বদলে অন্য কোনো সবজি খেতে পারেন।

আরো পড়ুন
ওজন বাড়াতে গিয়ে যে ভুল করবেন না

ওজন বাড়াতে গিয়ে যে ভুল করবেন না

 

রসুন

রসুনের একটি ঝাঁঝালো স্বাদ রয়েছে, যা শসার আসল স্বাদকে নষ্ট করে দেয়। কোনো পদ ছাড়াও কাঁচা রসুন শসার টাটকা স্বাদকে নষ্ট করে দেয়। তাই শসার পরিবর্তে অন্য কোনো হালকা সবজির সঙ্গে শসা খেতে পারেন।

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ