গরম বলে অনেকে এ সময় চা খেতে চান না। তারাই কিন্তু কনকনে শীতে চা ছাড়া থাকতে পারেন না। আবার অনেকে আছেন— কনকনে শীত হোক বা ভ্যাপসা গরম, চা ছাড়া তাদের চলেই না। অনেকে বলে গরমে গরম কাটে।
চায়ে যা মেশালে ফুরফুরে থাকবেন সারা দিন
জীবনযাপন ডেস্ক

প্রচণ্ড গরমে অনেকেই ধোঁয়া ওঠা চায়ে চুমুক দেওয়ার চেয়ে ঠাণ্ডা পানীয় খেতেই বেশি পছন্দ করেন। তবে এই গরমেও শরীর ঠাণ্ডা রাখতে চায়ের ওপর ভরসা রাখা যায়। তার জন্য সাধারণ চা পাতার সঙ্গে মেশাতে হবে ৩টি উপাদান। এই ৩টি উপাদান চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে গরমেও শরীর থাকবে সুস্থ, সতেজ।
হলুদ চা
এই গরমে রোদে পুড়ে ত্বক তার ঔজ্জ্বল্য হারাতে পারে। তাই শরীর সুস্থ রেখে, ত্বকের সঠিক পরিচর্যায় চায়ের সঙ্গে হলুদ মেশান। হলুদ রক্ত পরিষ্কার রাখতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক কাপ চায়ের জন্য এক চিমটি হলুদই যথেষ্ট। গরমে হলুদ মেশানো চা খেয়ে দেখুন, ফল পাবেন হাতে নাতে।
এলাচ চা
প্রচণ্ড গরমে হজমের নানা সমস্যা মাথা চাড়া দেয়। অম্বল, বুক জ্বালার মতো একাধিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে চা খান। ২ কাপ চায়ের জন্য ২টি এলাচ দিলেই চলবে। গরমে এলাচ চা খেয়ে দেখুন, উপকার পাবেন।
মৌরি চা
শরীর ঠাণ্ডা রাখতে মৌরি অত্যন্ত কার্যকরী একটি মশলা। হজমের নানা সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কাটাতেও সাহায্য করে মৌরি। ২ কাপ চায়ের জন্য ১ চামচ মৌরি নিন। চায়ের ফুটন্ত পানির মধ্যে এই ১ চামচ মৌরি দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এই চা প্রতিদিন অন্তত একবার খেতে পারলে ফল পাবেন হাতে নাতে।
সূত্র : আজতক বাংলা
সম্পর্কিত খবর

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স কেন প্রতিদিন প্রয়োজন? জানুন কারণ
জীবনযাপন ডেস্ক

শরীর সুস্থ রাখতে পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম, যা ভিটামিন ও মিনারেলের মাধ্যমে পূর্ণ হয়। এসব পুষ্টি উপাদান শরীরের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স একটি এমন গ্রুপ, যা বিভিন্ন ভিটামিনের সমন্বয়ে গঠিত। সব বয়সের মানুষের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের প্রতিটি ভিটামিন শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলীতে সাহায্য করে। যেমন লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করা, পেশী সুস্থ রাখা, এবং মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করা। এই ভিটামিনগুলোর মধ্যে ছয়টি প্রধান ভিটামিন রয়েছে—থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিকোটিনামাইড, ক্যালসিয়াম প্যানটোথেনেট, পাইরিডক্সিন ও সায়ানোকোবালামিন।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের প্রতিটি ভিটামিনই পানিতে দ্রবণীয়।
ভিটামিন বি ১২ প্রধানত দুগ্ধজাত পণ্য ও আমিষে পাওয়া যায়। তবে অন্যান্য ভিটামিন বি পাওয়া যায় ডিম, সবুজ শাকসবজি, বাদাম, সয়াবিন, মাশরুম, তিল বীজ ও অঙ্কুরিত শস্যে।
সূত্র : কলকাতা ২৪×৭

সকালে খালি পেটে চা ও বিস্কুট খাওয়া কেন ক্ষতিকর? জানুন কারণ
জীবনযাপন ডেস্ক

চা ছাড়া দিনের শুরু ভাবতে পারেন না, এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। বেশিরভাগ মানুষই চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খেয়ে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এটি কি শরীরের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর? চলুন, জেনে নিই।
বর্তমানে অনেক মানুষ পেটের সমস্যায় ভুগছেন, বিশেষত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়।
যারা চায়ের সঙ্গে মিষ্টি বিস্কুট খান, তাদের শরীরে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে।
যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বিস্কুট খাওয়া ক্ষতিকর।
খালি পেটে চা ও বিস্কুট খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ চা ও বিস্কুটে প্রচুর ক্যালোরি থাকে, যা দ্রুত ওজন বাড়াতে পারে। ফলে আপনি সহজেই মোটা হয়ে যেতে পারেন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্যা হতে পারে।
যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তারা সকালে খালি পেটে চা ও বিস্কুট খেলে গ্যাস বা হজমের সমস্যা আরো বাড়াতে পারে। চায়ে থাকা ক্যাফেইন ও ট্যানিন হজম প্রক্রিয়া কমিয়ে দেয়। তাই সকালে চা-বিস্কুট খাওয়ার আগে কিছু খাবার খেয়ে নিন।
সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

ফ্রিজে বিস্ফোরণ? জানুন কীভাবে দুর্ঘটনা এড়াবেন
জীবনযাপন ডেস্ক

গরমে এসি ও ফ্রিজের কম্প্রেসার ফেটে বিস্ফোরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। এসব দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। কীভাবে এমন বিস্ফোরণ ঘটে এবং কীভাবে তা থেকে বাঁচা যায়, জেনে রাখা প্রয়োজন।
ত্রুটিপূর্ণ তারের সংযোগ
পুরনো রেফ্রিজারেটরের তারের সংযোগ ভালো করে পরীক্ষা করুন।
ফ্রিজের জন্য সঠিক জায়গা
ফ্রিজের পিছনে যদি দেয়াল থাকে, তবে সেখানে কিছুটা জায়গা রেখে রাখুন। সঠিক বায়ু চলাচল না হলে ফ্রিজ গরম হয়ে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
পুরনো রেফ্রিজারেটর
১০ বছরের বেশি পুরনো রেফ্রিজারেটরের নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। পুরনো কম্প্রেসারে সমস্যা হলে, তা বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।
শর্ট সার্কিট
শর্ট সার্কিটের কারণে রেফ্রিজারেটরে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই নিয়মিত সার্ভিসিং করা উচিত, অন্তত বছরে দুইবার।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের কয়েকটি লক্ষণ
জীবনযাপন ডেস্ক

হৃদরোগ পৃথিবীর অন্যতম প্রধান মৃত্যুর কারণ। এর মধ্যে অনেক মৃত্যুই ঘটে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নেওয়ার কারণে। হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণগুলো যদি সময়মতো চিহ্নিত করা যায়, তবে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এই লক্ষণগুলো উপেক্ষা করেন।
চলুন, জেনে নিই হার্ট অ্যাটাকের কিছু সাধারণ লক্ষণ।
বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি: বুকের মাঝখানে বা বাম দিকে চাপ, ব্যথা, চেপে ধরা বা জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে। এই ব্যথা কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে বা বারবার ব্যথা ফিরে আসতে পারে।
শরীরের উপরের অংশে ব্যথা: বুকের ব্যথার সঙ্গে বাহু, ঘাড়, পেট, পিঠ বা চোয়ালে ব্যথা হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট: বুকে ব্যথা ছাড়াও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা কমে গেলে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, ফলে শ্বাসকষ্ট হয়।
বমি বমি ভাব বা বমি: হার্ট অ্যাটাকের সময় অনেকের ক্ষেত্রে বমি বা বমি বমি ভাব হতে পারে।
অতিরিক্ত ঘাম: কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ ঠান্ডা ঘাম হতে পারে, সঙ্গে মাথা ঘোরা বা মাথাব্যথা হতে পারে।
অস্বাভাবিক ক্লান্তি: হঠাৎ দুর্বল বা অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছু ভিন্ন লক্ষণও দেখা যেতে পারে, যেমন পেটে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, বা চোয়ালে ব্যথা।
এই লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনোটি অনুভব করলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়াই শ্রেয়। চিকিৎসা শুরু করার সাথে সাথে জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা অনেক বাড়ে।
সূত্র : আজকাল