<p>রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনের সময় যে আমলাতন্ত্রের গোড়াপত্তন হয়েছিল, তা-ই কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত হয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে চালু রয়েছে। আমাদের ছাত্রাবস্থায় এবং গত শতাব্দীর আশির দশকের গোড়ার দিকে সরকারি চাকরিতে যোগদান করে সরকারের আমলাতন্ত্রের উচ্চপদে সিএসপিদের পেয়েছি। আমলাদের অবশ্য পালনীয় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- সততা ও নিষ্ঠা, বিধি-বিধানের যথাযথ পরিপালন, নিরপেক্ষতা ও যখন যে রাজনৈতিক সরকার দেশের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকবে তাদের নীতি বাস্তবায়ন এবং প্রয়োজনে বস্তুনিষ্ঠ পরামর্শ প্রদান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন সত্ত্বেও আমলাতন্ত্রের রূপ ও কর্মপদ্ধতি নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত খুব একটা বদলায়নি।</p> <p>বলতে গেলে আমলাতন্ত্রে অবক্ষয় শুরু হয় সিএসপি যুগের অবসানের পর বর্তমান শতাব্দীর গোড়ার দিক থেকে। আমরা দেখেছি, যে আমলারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কাজ করেছেন, তারাই খন্দকার মোশতাক ও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে এবং পরবর্তীতে স্বৈরশাসক এরশাদের সময়ও কাজ করেছেন। রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ঐ একই আমলারা তৎকালীন বিএনপি সরকারের শাসন কার্যে সহায়তা করেছেন। তবে আমলাতন্ত্রকে রাজনীতিকীকরণ শুরু হয় ১৯৯৬ সালে সাবেক সিএসপি সচিব মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ‘জনতার মঞ্চে’ যোগদানের মাধ্যমে।</p> <p>২০০১-২০০৫ সালে বিএনপির শাসনামলে রাজনৈতিক সরকারের ধারণা হয়েছে, ১৯৭৩ সালে যোগদানকৃত মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাগণ যেহেতু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদের দ্বারা রিক্রুট, সেহেতু তাদের পূর্ণ আনুগত্য আওয়ামী লীগের ওপর। সে জন্য বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধা (১৯৭৩ ব্যাচ) সিনিয়র কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়। তৎকালীন সরকার বিএনপি সমর্থিত একটি অনুগত আমলা শ্রেণি বেছে নেয়। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর ইতোপূর্বে বিএনপি শাসনামলে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাগণকে পেছনের তারিখ থেকে জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী পদোন্নতি দিয়ে বকেয়া বেতন-ভাতাসহ আর্থিক সুবিধা প্রদান করে। এ সরকার ধারাবাহিকভাবে তিন মেয়াদ ক্ষমতায় থাকার পর ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে জয়লাভ করে চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে। এ কথা সর্বজনবিদিত যে এ সরকারের সময় অনুষ্ঠিত তিনটি নির্বাচন দেশে বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। সরকারের প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে নিয়োজিত কতিপয় দলকানা আমলা, পুলিশ বাহিনী, নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগে নিয়োজিত প্রভাবশালী আমলাগণ ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনে সরকারকে সহায়তা করে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রেখেছে। স্বাধীনতার পর যোগদানকৃত সিভিল সার্ভিসের প্রতিটি ব্যাচে বিএনপি-জামায়াত ও আওয়ামী - দুই ঘরানার কর্মকর্তা সৃষ্টি হয়। অনেক নিরপেক্ষ কর্মকর্তা শুধু বিএনপি আমলে জেলা প্রশাসক কিংবা মন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করার কারণে বিএনপি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আওয়ামী লীগ শাসনামলে আর পদোন্নতি পাননি। মেধা ও যোগ্যতা বাদ দিয়ে দলীয় আনুগত্যই পদোন্নতি পাওয়ার মাপকাঠি হয়ে দাঁড়ায়। অনুরূপভাবে ১৯৯৬- ২০০১ সালে জেলা প্রশাসক, মন্ত্রীগণের একান্ত সচিব বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিয়োজিত কতিপয় কর্মকর্তা ২০০১- ২০০৫ সালের শাসনে পদোন্নতি বঞ্চিত হন। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সমর্থিত কর্মকর্তাগণ ২০০৯-এর পর দ্রুত পদোন্নতি নিয়ে বিপরীত ঘরানার কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করেন। যত দিন যায় বিভেদ ততই বাড়তে থাকে। ব্যাচের সিনিয়রদের বঞ্চিত করে জুনিয়র কর্মকর্তাগণ পদোন্নতি পেতে থাকেন। আমলাতন্ত্রের সততা, নিরপেক্ষতা এবং পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা ক্ষয় হতে থাকে। তবে এর মধ্যেও আমলাতন্ত্রের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তা সততা, নিরপেক্ষতা ও ন্যায়নীতি বজায় রাখেন।</p> <p>এ প্রসঙ্গে আমার কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করতে চাই। কিছুটা বিলম্বে হলেও ২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতে আমি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নিয়োজিত হই। সম্ভবত এপ্রিল অথবা মে মাসে অনুষ্ঠিত একটি সচিব সভায় কেবিনেট সচিব এম এ আজিজ কয়েকজন সচিবের সঙ্গে আমাকেও কিছু বলতে অনুরোধ করেন। বক্তব্য প্রদানকারী অন্য সচিবগণ স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ের কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। আমার বক্তব্যে আমি সরকার ও সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য গুরুত্বপূর্ণ ৩টি বিষয়ে আলোকপাত করি। প্রথমত, আমি বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকাসহ বহুজাতিক সংস্থা ও উন্নত দেশের নিকট থেকে সহজ শর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরি। সচিব হওয়ার আগে আমি ইআরডির অতিরিক্ত সচিব হিসেবে আমার অভিজ্ঞতার কথা বলি। এ বিষয়টি অবতারণার কারণ, তখন কতিপয় মন্ত্রী বিশ্বব্যাংকসহ কতিপয় সংস্থার ঋণ গ্রহণের বিরোধিতা শুরু করেন। দ্বিতীয় বিষয় হিসেবে আমি যুক্তিসহকারে সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স ৫৭ থেকে ৬০ বছর করার ইস্যুটি উল্লেখ করি। তৃতীয় ও সর্বশেষ যে বিষয়টি উল্লেখ করেছিলাম তা ছিল, ক্যাডার কর্মকর্তাদের বিভেদ ও অনৈক্য। পদোন্নতি, বদলি সব- ক্ষেত্রেই মেধা ও যোগ্যতার মূল্যায়ন না করে দলীয় আনুগত্য ও ব্যক্তিগত পরিচিতি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। নিজেদের মধ্যে দলাদলি, অনৈক্য ও পারস্পরিক প্রতিযোগিতা হচ্ছে। যোগ্যতার ভিত্তিতে পদায়ন ও পদোন্নতি হচ্ছে না। এ অবস্থার অবসান প্রয়োজন। সিভিল সার্ভিসে বৈষম্যের অবসান করে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে হবে মর্মে আমি মতামত তুলে ধরি। </p> <p>শেষের বিষয়টি বলার সময় প্রধানমন্ত্রী সজাগ দৃষ্টিতে কিছুটা মুচকি হাসছিলেন, আমার ব্যাচমেট প্রধানমন্ত্রীর সচিব ও জনপ্রশাসন সচিব পাশাপাশি বসা অবস্থায় বিরক্ত হয়ে পরস্পর কিছু একটা বলাবলি করছিলেন। সর্বশেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় তিনি বলেন, ‘সেতু বিভাগের সচিব কয়েকটি বিষয়ের অবতারণা করেছেন। আশা করি, এসব বিষয়ে জনপ্রশাসন উপদেষ্টা কিছু বলবেন।’ এইচ টি ইমাম বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের বয়স বাড়ানোর ব্যাপারে এ মুহূর্তে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। ক্যাডার সার্ভিস বিষয়ে মোশাররফ যা বলেছে এ বিষয়ে তাকে ডেকে আমি বিস্তারিত আলাপ করব।’ সভার শেষে অনেক সচিব আমার কাছে এসে আমার সাহসী বক্তব্যের প্রশংসা করলেন। আমার ব্যাচের এক সহকর্মী বললেন, ‘তুমি এসব বলে নিজেকে বিপদে ফেলছ না তো? তুমি কিন্তু এখনো সচিব পদে রেগুলার হওনি।’ যাক, আমি দলবাজি, একদল আরেক দলকে বঞ্চিত করে পদোন্নতি নেওয়া, তুচ্ছ বা বিনা কারণে বছরের পর বছর কতিপয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতি না দেওয়ার বিরুদ্ধে কথা বলেছি। শিল্প মন্ত্রণালয়ে সচিব থাকাকালে আমার ৪-৫ জন জুনিয়র সহকর্মীর অন্যায়ভাবে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে কেবিনেট সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবকে আলাদা আলাদা চিঠি লিখেছি। একবার তৎকালীন কেবিনেট সচিব আমাকে বলেন, ‘স্যার, আমি চেষ্টা করেছি। ওরা (এসএসবির অন্য কয়জন প্রভাবশালী সদস্য) রাজি হয় না। ওরা দারুণ জেহাদ।’ </p> <p>ক্রমান্বয়ে দলবাজি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবনে ছাত্রলীগ করলে পদোন্নতি আটকায় না। আমার অধীন এক কর্মকর্তার গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়, ‘অফিসার কোনো দল করে না, কোনো অভিযোগ নাই, তবে তার চাচা বিপক্ষ দলের সদস্য বা সাপোর্টার। তার পদোন্নতি আটকে গেল। আমি সিনিয়র কর্মকর্তাদের বেশ কিছু সমাবেশে বলেছি, এ অবস্থা চলতে থাকলে সিভিল সার্ভিসে ভবিষ্যতে মেধাবী ছেলেমেয়েরা আসবে না। দেখা গেছে, অতিরিক্ত সচিব থেকে সচিব পর্যায়ে পদোন্নতিতে প্রায় শতভাগ পছন্দের দলীয় অনুগত কর্মকর্তাদের নিয়োগ করার নিয়ম চালু হয়। ফলে ক্ষমতাসীন সরকারকে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে এসব সিনিয়র কর্মকর্তার সহযোগিতা ও সমর্থনও শতভাগ নিশ্চিত হয়। </p> <p>আমার নিজের ক্ষেত্রে দীর্ঘ চাকরিজীবনে ১৯৮১ সাল থেকে সব দলীয় এবং ২০০৭-২০০৮ দুই বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চাকরিকালে সর্বদা নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দেশপ্রেম ও সততার সঙ্গে কাজ করেছি এবং মন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রশংসা কুড়িয়েছি। দল-মত-নির্বিশেষে যারা আমাকে চেনেন ও জানেন তারা এর সাক্ষী। আমার জানামতে, আমলাতন্ত্রে বা সরকারি চাকরিতে এ ধরনের কর্মকর্তা অনেকেই আছেন। অসৎ ও ধান্দাবাজ কর্মকর্তার সংখ্যা কম হলেও তাদের দ্বারা যে ক্ষতি সাধিত হয় তা অনেক বড় হয়ে ধরা দেয়। দীর্ঘদিনের একদলীয় শাসনে আমলাতন্ত্রে যে কোটারি শ্রেণির জন্ম হয়েছিল এরা সার্বিকভাবে দেশের আমলাতন্ত্রকে দুর্বল করেছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে জনগণের বিপরীতে দাঁড় করিয়েছে।</p> <p>ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে এ সরকার দেশের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন, রাষ্ট্রসংস্কার, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ইত্যাদির কথা বলছেন। তাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। এরা আমলাতন্ত্রে নিরপেক্ষতা, সততা ও যোগ্যতার অনুশীলন চালু করে ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থায়ী কাঠামো তৈরি করবেন, যাতে করে আমলাতন্ত্র গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থায় কোনো বাধা না হয়ে বরং গণতন্ত্র চর্চায় সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। </p> <p>রিক্রুটমেন্ট থেকে শুরু করে পদোন্নতি, বদলি - সব ক্ষেত্র থেকে দলীয় বিবেচনা আইন করে নিষিদ্ধ করা হলে পূর্বের ন্যায় আমলাতন্ত্র একটা সুদৃঢ় কাঠামোর ওপর দাঁড়াতে পারবে বলে আশা করা যায়। এতদুদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত কয়েকটি বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন : </p> <p>১. কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। <br /> ২. যারা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক তারা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্য বা সমর্থক হতে পারবে না, এ ব্যাপারে মুচলেকা গ্রহণসহ পুলিশ ভেরিফিকেশনে নিশ্চিত হতে হবে। <br /> ৩. বর্তমানে ডাক্তার, কৃষিবিদ বা অন্য কোন পেশাজীবী ক্যাডারে যেসব সরকার সমর্থিত বা বিপক্ষ দলের সংগঠন রয়েছে (যেমন ড্যাব, স্বাচিপ) সেসব বিলুপ্ত ও বেআইনি ঘোষণা করতে হবে। <br /> ৪. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নিয়ন্ত্রণের বিধিমালা এমনভাবে প্রণয়ন করতে হবে যাতে তারা ঘুষ, দুর্নীতি মুক্ত থেকে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে। তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না।<br /> ৫. সিভিল সার্ভিস প্রশিক্ষণ, পদোন্নতি ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালা এমনভাবে প্রণীত হবে যাতে আমলাতন্ত্রে সততা, দেশপ্রেম ও জনসেবার মতো মানবিক গুণাবলি বিকশিত হয়।</p> <p>ওপরের আলোচিত বিষয়গুলো ছাড়াও আমলাতন্ত্র সংস্কারে আরো অনেক কর্মপন্থা থাকতে পারে, যা নীতিনির্ধারণী মহল বিবেচনায় নেবেন। মোটকথা, আমলাতন্ত্র হবে সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতাভিত্তিক পেশাদারি শ্রেণি, যা সরকারের একটি স্থায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হবে।</p> <p>[লেখক : সাবেক সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমানে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্টদূত]</p>