<p>১৯৯৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স। ২০০০ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানটি প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে। দীর্ঘ ৩১ বছরের পথ চলায় পাঞ্জেরী এ দেশের সাহিত্য, একাডেমিক এবং শিক্ষাবিষয়ক প্রকাশনায় ব্যাপক অবদান রেখেছে। দীর্ঘ পথচলায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গী, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের প্রকাশক, প্রকাশনা ও মুদ্রণ বিশেষজ্ঞ কামরুল হাসান শায়ক।</p> <p>মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রাইভেট লিমিটেড কম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির ২৪ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে এক বার্তায় দেশের সম্মানীয় লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, পাঠক, শিক্ষার্থীদের পরম শুভাকাঙ্ক্ষী এবং সহযোদ্ধা আখ্যা দিয়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।</p> <p>এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা একটি স্বপ্ন বিনির্মাণে বিভোর হয়েছিলাম। হয়তো স্বপ্নটিকে সফলভাবে বাস্তবায়নে সবাইকে উজ্জীবিত করা না গেলে আমাদের জন্মই হতো না।’</p> <p>কামরুল হাসান শায়ক বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রকাশন সেক্টরের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের স্বপ্নই পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের জন্মের প্রত্যয়। ১৯৯৩ সালে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের জন্ম হলেও ২০০০ সালে এটি লিমিটেড কম্পানিতে রূপান্তরিত হয়। লিমিটেড কম্পানি হিসেবে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স প্রতিষ্ঠার দুই যুগপূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় পাঞ্জেরীকে প্রতিনিয়ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পরিকল্পনায় মেধা, শ্রম ও সমর্থন দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, পাঠক, শিক্ষার্থী সর্বোপরি এক ঝাঁক সহযোদ্ধা- সবার প্রতি হৃদয়ের অক্লান্ত ভালোবাসা। অশেষ কৃতজ্ঞতা। যারা মুহূর্তের জন্য হলেও পাঞ্জেরীকে ভালোবেসে যে কোনো সময়ে ন্যূনতম অবদান রেখেছেন তাদেরকেও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।’</p> <p>প্রকাশনা শিল্পকে উজ্জ্বল অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জন্মলগ্ন থেকে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স বাংলাদেশের ট্রেড পাবলিশিং, এডুকেশনাল পাবলিশিং এবং একাডেমিক পাবলিশিং নিয়ে গবেষণা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে চলেছে। যা শুধু পাঞ্জেরীর অবস্থানকে গৌরবান্বিত করছে না, বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পকে একটি উজ্জ্বল জায়গায় পৌঁছে দিতে পারবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। প্রকাশনায় আমাদের পেশাদারিত্ব ইতোমধ্যে লেখক এবং পাঠক সমাজে দৃষ্টি কেড়েছে এবং আমাদের প্রতি দৃঢ় আস্থা তৈরি হয়েছে। যা প্রতিনিয়ত আমাদের প্রেরণা জোগাচ্ছে।’</p> <p>সরকারের ‘সবার জন্য শিক্ষা’ কার্যক্রমে বেসরকারি গর্বিত অংশীদার হয়ে কাজ করতে চায় পাঞ্জেরী। কামরুল হাসান শায়ক বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সবার জন্য শিক্ষা এবং ইউনেস্কো প্রণীত সবার জন্য বই- এই যৌথ কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রদীপ্ত অংশীদার হতে চায় পাঞ্জেরী। আমাদের এই পথচলায় সবার সহযোগিতা আমরা একান্তভাবে কামনা করছি। আজকে পাঞ্জেরীর জন্মদিনে সবার প্রতি শুভেচ্ছা, প্রগাঢ় ভালোবাসা।’</p>