ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

এস আলম গ্রুপ চেয়ারম্যানের মা-ছেলে করোনা আক্রান্ত

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
এস আলম গ্রুপ চেয়ারম্যানের মা-ছেলে করোনা আক্রান্ত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের মা চেমন আরা বেগম (৮৫) ও ছেলে আহসানুল আলমও (২৬) করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। 

গতকাল শনিবার ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) নমুনা পরীক্ষায় তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, নগরীর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার ১ নম্বর রোডে সাইফুল আলম মাসুদের পরিবারের বসবাস।

করোনাভাইরাসও ছড়িয়েছে সেখান থেকেই। চট্টগ্রামে সঠিভাবে চিকিৎসা পাবেন না এমন আশঙ্কায় সবাই ঢাকা চলে গেছেন। সেখানেই চিকিৎসা নেবেন তারা।

এর আগে গত ১৭ মে সাইফুল আলম মাসুদের পাঁচভাইসহ ছয়জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়।

তার মধ্যে বড় ভাই মোরশেদুল আলম গত শুক্রবার রাতে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সাইফুল আলম মাসুদের মা চেমন আরা প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান বাবুর বোন ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ফুফু। আর আহসানুল আলম ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মন্তব্য

নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কথাই চূড়ান্ত : আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কথাই চূড়ান্ত : আসিফ নজরুল
সংগৃহীত ছবি

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে ভালো হয় বলে জানিয়েছে। তারা বলেছেন, আমাদের উপদেষ্টাদের অস্পষ্ট কথা থাকে। এ বিষয়ে বলতে চাই উপদেষ্টারা যে যা-ই বলুক না কেন, প্রধান উপদেষ্টার কথাই চূড়ান্ত।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে এ বিফ্রিংয়ের আয়োজন করা হয়।

এর আগে, বৈঠক শেষে নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সুনির্দিষ্ট কোন সময় দেয়নি জানিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় সুনির্দিষ্ট কোন ডেটলাইন আমাদের দেননি। তিনি বলেছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে তিনি নির্বাচন শেষ করতে চান।

আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নয়।

আমরা বলেছি ডিসেম্বরের মধ্যে যদি নির্বাচন না হয় তবে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হবে, বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, বিএনপি মহাসচিবের এটা বলার অবশ্যই অধিকার আছে। আমার কাছে ওনাদেরকে দেখে হ্যাপি লেগেছে যখন আমাদের ডায়লগটা শেষ হয়েছে।

মনে হয়েছে ওনাদের মনে যে প্রশ্ন ছিল সেগুলোর উত্তর তারা পেয়েছেন। আমার কাছে তা মনে হয়েছে, ফখরুল ভাইয়ের কাছে অন্যরকম মনে হতে পারে।

নির্বাচনের সময় সম্পর্কে বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে জুন মানে আমরা ইচ্ছা করে দেরি করে- মে বা জুন মাসে করবো সেটা না। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে এর মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা করবো। অকারণে আমরা এক মাস দুই মাস থাকবো বিষয়টা সেটা না।

ক্ষমতায় থাকার জন্য দেরি করা হবে না।

জনগণের একটা আকাঙ্ক্ষা আছে যেন আমরা বিচার করে যাই। হাজারের বেশি মানুষ জীবন দিয়েছে। আমরা যদি কোন বিচার না করি তাহলে মানুষ কেন, নিজেদের কাছে জবাব দেবো কীভাবে, বলেন আসিফ নজরুল।

তিনি জানান, ইলেকশন, সংস্কার বিচার আরো কিছু পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করে ডিসেম্বর থেকে জুন টাইমলাইনটা বলা হয়। আমরা ক্যাটাগরিকেলি বলেছি এটা কোন অবস্থাতেই জুনের পরে যাওয়া হবে না। এর মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। অযথা কালক্ষেপণের কোন সম্ভাবনা নেই। যতটা সম্ভব সংস্কার আমরা করে যেতে চাই।

মন্তব্য

সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা
ফাইল ছবি

সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নতুন দিক নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। ভ্রমণের ক্ষেত্রে সঙ্গী হিসেবে স্বামী বা স্ত্রীকে নিতে পারবেন না। একই সঙ্গে ভ্রমণ করা যাবে না ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নেও।

গত ২৩ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার স্বাক্ষর করা এসংক্রান্ত পরিপত্র জারি হয়।

তবে বিষয়টি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবকে এ নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, কোনো ঠিকাদার ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজন ছাড়া উপদেষ্টা বা সিনিয়র সচিব ও সচিবদের একান্ত সচিব বা সহকারী একান্ত সচিবদের সহযাত্রী হিসেবে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না।

সরকারিভাবে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা তাদের স্বামী/ স্ত্রী বা সন্তানদের সফরসঙ্গী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন না বলে পরিপত্রে উল্লেখ আছে।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের জারি করা পরিপত্রের অনুকরণে নির্দেশিত বিষয়গুলো অনুসরণের জন্য বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

মন্তব্য

গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে রফিক আজাদের স্মৃতিস্মারক বাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে রফিক আজাদের স্মৃতিস্মারক বাড়ি
ছবি: কালের কণ্ঠ

প্রয়াত কবি রফিক আজাদের ধানমণ্ডির বাড়ির একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। বাড়িটিতে প্রায় ২৯ বছর সপরিবারে বসবাস করেছেন রফিক আজাদ। এ বাড়িতে বসেই কবি লিখেছেন ২০টিরও বেশি কাব্যগ্রন্থ। আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু করে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।

চার ইউনিটের বাড়িটির একটিতে থাকছেন কবির স্ত্রী দিলারা হাফিজ। বাকি তিন ইউনিট অন্যদের নামে বরাদ্দ রয়েছে। আজ বুধবার বাড়িটির পূর্বাংশের দুটি ইউনিট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ধানমণ্ডির ১ নম্বর সড়কের ১৩৯/৪এ ঠিকানার বাড়িটিতে (পশ্চিমাংশ) কমবেশি ৫ কাঠা পরিমাণ জায়গা রয়েছে।

১৯৮৮ সালে একতলা এ বাড়িটি রফিক আজাদের স্ত্রী কবি দিলারা হাফিজের নামে সাময়িকভাবে বরাদ্দ দেয় ‘এস্টেট অফিস’। দিলারা হাফিজ তখন ইডেন কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই বরাদ্দের একটি কপি কালের কণ্ঠের হাতে এসেছে।

আরো পড়ুন
ঘুমের সময় মোবাইল পাশে রাখছেন? জেনে নিন কী হতে পারে

ঘুমের সময় মোবাইল পাশে রাখছেন? জেনে নিন কী হতে পারে

 

সহকারী পরিচালক এম বেগমের স্বাক্ষর করা এ বরাদ্দনামায় উল্লেখ করা হয়, এই বরাদ্দের দ্বারা বাসার ওপর কোনো অধিকার বর্তাবে না, তবে পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে বসবাস করতে পারবেন।

দীর্ঘদিন পর বাড়িটি নিজের বলে দাবি করেন সৈয়দ নেহাল আহাদ নামের এক ব্যক্তি। ২০১২ সালে নিজের মালিকানার পক্ষে আদালতের রায় পান তিনি। এ নিয়ে সৈয়দ নেহাল, হাউজিং অ্যান্ড পাবলিক ওয়ার্কস এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে বিবাদী করে মামলা করেন দিলারা হাফিজ। এর ফলে আদালত বাড়িটির ওপর স্থিতাবস্থা দেন। পরের বছর এই  স্থিতাবস্থা স্থায়ী করেন আদালত।

পরবর্তীতে মামলাটি ঢাকার সপ্তম সহকারী জজ আদালতে স্থানান্তরিত হয়। আগামী মে মাসের ২৫ তারিখ এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের কথা রয়েছে। এইসব তথ্য উল্লেখ করে গতকাল মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, একই মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পৃথক চিঠি দেন দিলারা হাফিজ। এর মাঝেই আজ বুধবার সকালে বাড়িটি উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়।

আরো পড়ুন
ইসরায়েলিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল মালদ্বীপ

ইসরায়েলিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল মালদ্বীপ

 

দিলারা হাফিজ শিক্ষা ক্যাডারের একজন প্রভাষক হিসেবে বাড়িটির বরাদ্দ পেয়েছিলেন। সর্বশেষ সরকারি তিতুমীর কলেজে ৪ বছর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন শেষে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডর চেয়ারম্যান হিসেবে চাকরি জীবন থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। তার স্বামী রফিক আজাদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমিসহ বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বর্তমানে তাদের দুই পুত্র সন্তান—অভিন্ন আজাদ ও অব্যয় আজাদ প্রবাসে রয়েছেন।

দিলারা হাফিজ কালের কণ্ঠকে জানান, জাতীয় জীবনে একজন অগ্রগণ্য কবি ও বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিক আজাদ। তার স্মৃতি সংরক্ষণ ও ধারণের জন্যে বাড়িটির অংশবিশেষের স্থায়ী বন্দোবস্তের আদেশ পেতে গতকালও তিনি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ঘুরেছেন। মামলা চলমান থাকাবস্থায় উচ্ছেদ অভিযান চালানোর আশা করেননি তিনি।

মন্তব্য

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি
সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়ে বিএনপি সন্তুষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলীয় ফোরামে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে দুপুর ২টায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের সময় দিয়েছেন, নির্বাচনের এই সময় নিয়ে আমরা একেবারে সন্তুষ্ট নই।

নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সুনির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেননি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, ডিসেম্বরে নির্বাচনের কাট অফ আউট টাইম, এর পরে হলে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

দুপুর ১২টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করে বিএনপির প্রতিনিধি দল। এরপর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নজরুল ইসলাম খান এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ