ঢাকা, সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫
১৭ চৈত্র ১৪৩১

ঢাকা, সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫
১৭ চৈত্র ১৪৩১

অ্যানিমেশন: ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অ্যানিমেশন: ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তৈরি হয়েছে আগামীল্যাবস এর অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা’। অ্যানিমেশনটির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর সম্পর্কে জানতে পারবেন আগ্রহীরা।

সম্প্রতি এই অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের ইউটিউব লিংকটি ওপেন করা হয়েছে।

‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা’ চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু রহমানের সাথে আছেন তার মা, বাবা, সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, শিশু শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু রাসেল জাতীয় চার নেতা, মাওলানা ভাসানী, শামসুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, এ. কে. ফজলুক হক, তোফায়েল আহমেদ সহ অসংখ্য ঐতিহাসিক চরিত্র।

প্রায় ১ ঘণ্টা ৩২ মিনিটের অ্যানিমেশনটিতে উঠে এসেছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলেবেলা, বাংলার মাটি ও মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠা, তার মন ও চারপাশের জগতের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার মতো বিষয়গুলো।

আগামীল্যাবস জানায়, আগামী প্রজন্ম তথা আজকের শিশু-কিশোর-তরুণসহ সবার কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন অ্যানিমেশনের মাধ্যমে সহজে বোধগম্য করে উপস্থাপন করাটাই এই চলচ্চিত্রের মূল লক্ষ্য।

আগামীল্যাবস বলছে, সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা নিবেদনে চলচ্চিত্রটি তৈরি করেছেন তারা।

অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের পরিচালক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের প্রফেসর ড. হানিফ সিদ্দিকী জানান, এই চলচিত্রটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার “শেখ মুজিব আমার পিতা’’ বইসহ জাতীয় পাঠ্যপুস্তকের অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে।

এই কাজটিকে কেন অ্যানিমেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করার চিন্তা করলেন-এমন প্রশ্নে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তিনি বলেন, আমৃত্যু মুজিব ভক্ত বাবা, কিংবা মুজিবভক্ত মা ও পরিবারের অনুপ্রেরণা এবং প্রযোজকের নাড়ির টান থেকে ৭১ না দেখা শিশু-কিশোর-তরুণসহ সকলের কাছে বঙ্গবন্ধুর বিশাল অর্জনের কিছু অংশ তুলে ধরতে পারলে হয়ত আমাদের দায় একটু লাঘব হবে এবং আমাদের উত্তর প্রজন্ম সঠিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে চেনার মাধ্যমে দেশপ্রেমিক হিসেবে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। 

তিনি আরো বলেন, এই চলচ্চিত্রটি ইতিহাসের একটি সহজপাঠ্য হিসেবে শিশুকিশোরসহ সকল মানুষকে একটি উপলব্ধির মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাবে। শৈশব-কৈশোর-যৌবনের সকল পালাক্রমের মধ্যে দিয়েই টুঙ্গিপাড়ার খোকা ক্রমান্বয়ে হয়ে উঠেন মুজিব ভাই, বঙ্গবন্ধু, এবং জাতির পিতা।

অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রটির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. হানিফ সিদ্দিকী।

কাহিনী সম্পাদনা করেছেন আগামীল্যাবসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চলচ্চিত্রটির প্রযোজক তসলিমা খানম, লেখক রুদ্র সাইফুল এবং সানজিদা শারমিন প্রমি।

অ্যানিমেশনের জটিল প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছেন একঝাঁক তরুণ অ্যানিমেটর ও চিত্রশিল্পী। কণ্ঠ দিয়েছেন নাট্যকলার সঙ্গে সম্পৃক্ত একঝাঁক তরুণ অভিনয় শিল্পী। সঙ্গীত পরিচালনা ও শব্দ কৌশলের দায়িত্ব পালন করেছেন পৃথ্বিরাজ রঞ্জন নাথ।

গত বছরের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটির প্রথম ২২ মিনিট সম্প্রচারিত হয় একুশে টিভিতে।

সেটিরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ১৭ মার্চে সম্প্রচারিত হয় আরও ৪০ মিনিট।

মন্তব্য

ঈদে কারাবন্দীদের জন্য থাকছে যেসব যেসব খাবার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদে কারাবন্দীদের জন্য থাকছে যেসব যেসব খাবার
সংগৃহীত ছবি

প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে কারাগারে থাকা সাধারণ বন্দীদের সঙ্গে ডিভিশন পাওয়া বন্দীদের একই ধরনের খাবার দেওয়া হবে। এ দিন সকালের খাবারে থাকছে পায়েস, সেমাই ও মুড়ি। দুপুরে থাকছে পোলাও বা খিচুড়ি, মুরগির রোস্ট, গরু ও খাসির মাংস, সালাদ, মিষ্টি ও পান। আর রাতে দেওয়া হবে ভাত, আলুর দম ও ডিম।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ৫ আগস্টের পর হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা মামলায় এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, শীর্ষস্থানীয় নেতা ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৩১ জন কারাগারে আছেন। তাদের মধ্যে ডিভিশন পেয়েছেন ১০৮ জন, যাদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী ২৯ জন; সাবেক সংসদ সদস্য ২২ জন; সরকারি কর্মকর্তা ৪৪ জন এবং অন্যান্য পেশার ১৩ জন। ডিভিশন পাননি ভিআইপি হিসেবে কারাগারে থাকা ২৩ জন। 

আরো পড়ুন
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

 

কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সাধারণ বন্দীদের মতোই কারাগারে থাকা ভিআইপিসহ (বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) ডিভিশন পাওয়া বন্দীদের একই ধরনের খাবার পরিবেশন করা হবে।

এ দিন সকালের খাবারে থাকছে পায়েস, সেমাই ও মুড়ি। দুপুরে থাকছে পোলাও বা খিচুড়ি, মুরগির রোস্ট, গরু ও খাসির মাংস, সালাদ, মিষ্টি ও পান। আর রাতে দেওয়া হবে ভাত, আলুর দম ও ডিম।

অন্যদিকে সারা বছর সাধারণ বন্দীদের সকালে দেওয়া হয় হালুয়া, রুটি ও ডিম।

দুপুরের খাবারের তালিকায় থাকে ভাত, ডাল, সবজি। রাতে খাবার দেওয়া হয় ভাত, ডাল, মাছ বা গরুর মাংস। আর ডিভিশন পাওয়া বন্দীদের খাবার তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী আলাদা রান্নার ব্যবস্থা করা হয়।

আরো পড়ুন
ঈদের দিন সকালে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৫

ঈদের দিন সকালে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৫

 

ঈদের দিন কারাগারগুলোর চার দেয়ালের মধ্যে বন্দীদের জন্য ঈদের নামাজের জামাত হয়। উন্নত মানের খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি বন্দীদের জন্য তাঁদের স্বজনদের আনা খাবারও তাঁদের খেতে দেওয়া হয়।

ঈদের পরদিন যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে কারাগারের ভেতরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবে কারাগারগুলো।

কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন ও গণমাধ্যম) জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ঈদের দিন কারাগারগুলোর বন্দীদের জন্য ঈদের নামাজের জামাত হয়। উন্নত মানের খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি বন্দীদের জন্য স্বজনদের আনা খাবারও তাদের খেতে দেওয়া হয়। ঈদের পরদিন যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে কারাগারের ভেতরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবে কারাগারগুলো।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আজ খুশির ঈদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজ খুশির ঈদ

এক মাস রোজার পর আনন্দের বারতা নিয়ে বাংলাদেশে আবার এল খুশির ঈদ। মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসব আজ সোমবার উদযাপন হচ্ছে সারা দেশে। দীর্ঘ ছুটিতে গ্রামে প্রিয়জনের কাছে পৌঁছেও গেছেন মানুষ। নগরী ও শহরে যারা রয়ে গেছেন তারাও দীর্ঘ অবকাশে পরিবার, প্রতিবেশী ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ আয়োজনের ব্যবস্থা করে রেখেছেন।

আরো পড়ুন
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদের প্রধান জামাত ষাট গম্বুজ মসজিদে

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদের প্রধান জামাত ষাট গম্বুজ মসজিদে

 

আগের রোজার ঈদে ছুটি ছিল ছয় দিনের, সঙ্গে যোগ হয়েছিল বাংলা নববর্ষ উদযাপনের উপলক্ষ। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাহী আদেশে ৩ এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষণায় অন্তত ৯ দিনের ছুটি পেয়েছেন চাকরিজীবীরা। আবার ২৬ মার্চের বন্ধের পর যারা বৃহস্পতিবার ছুটি নিতে পেরেছেন তারা পেয়েছেন আরো দুদিন বেশি।

এ লম্বা ছুটি আর মহাসড়কগুলোর বাকি থাকা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার ফলে এবার স্বস্তি আর নির্বিঘ্নে গ্রামে ফিরতে পেরেছেন ঘরমুখো লাখো মানুষ।

শেষ সময়েও রাজধানী ছেড়েছেন অনেকে; ফাঁকা হয়ে গেছে সদাব্যস্ত ঢাকার সড়ক।

আরো পড়ুন
যেভাবে ইতিহাস হলো শোলাকিয়া

যেভাবে ইতিহাস হলো শোলাকিয়া

 

ইসলামের ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করা হয় সাধারণত হিজরি বর্ষপঞ্জির চান্দ্র মাসের হিসাবে। সেই মোতাবেক এবার রমজান মাসের সিয়াম সাধনা শুরু হয়েছিল খ্রিষ্টীয় দিনপঞ্জির ২ মার্চ।

২৯ রমজান রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকে বসে।

বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়। এরপর সোমবার ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করলেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করলেন প্রধান উপদেষ্টা

রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত জামাতে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। ক্বারী হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও নামাজ আদায় করেন প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ হাজারো মুসল্লি।

দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এদিকে, জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাতের সূচি সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং ১০টা ৪৫ মিনিট।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ইতিহাসের পাতায় জাতীয় ঈদগাহ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইতিহাসের পাতায় জাতীয় ঈদগাহ

আজ দেশের মুসলিম উম্মাহর জন্য আনন্দের দিন। সকালে নামাজ দিয়ে শুরু হয় ঈদের দিনের 'আনুষ্ঠানিকতা'। দেশের প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় ঈদগাহে। এই জামাত ঘিরে থাকে বিশেষ নিরাপত্তা।

হাজার মুসল্লির সমাগম ঘটে ঈদগাহে।

মূলত বাংলাদেশের জাতীয় ঈদগাহ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুইটি অনুষ্ঠান ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাজ পড়ার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ। এটি ঢাকা জেলার সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে অবস্থিত। এ ঈদগাহে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রসাশনিক ব্যক্তিবর্গ ঈদের নামাজ আদায় করেন।

জাতীয় ঈদগাহ হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার কতৃক নির্ধারিত একটি ঈদের নামাজের স্থান। এখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, রাজনীতিক, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নানা বয়সী মানুষ নামাজ আদায় করে থাকেন।

এবারও রাজধানীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান জামাতে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে এ জামাতে দায়িত্ব পালন করবেন। ক্বারি হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। সেখানে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

ইতিহাস

স্বাধীনতার আগে থেকেই হাইকোর্টের পাশের জায়গাটি ছিল ঝোপ-জঙ্গলে পূর্ণ। সেই জায়গার মাঝে ছিল একটি পুকুর।

১৯৮১-৮২ সালের দিকে সেই ঝোপ-জঙ্গল কিছুটা পরিষ্কার করা হয়। তার পাশাপাশি সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে রয়েছে একটি মাজার। জায়গাটি একটু পরিচিত হয়ে উঠলে সেখানে ছোট পরিসরে শামিয়ানা টানিয়ে ঈদের নামাজ পড়ানো শুরু হয়। এর পরে ১৯৮৫ সালের দিকে সেই পুকুরটি ভরাট করে ফেলে কর্তৃপক্ষ। পরে ১৯৮৭-৮৮ সালের দিকে ওই ঈদগাহকে জাতীয় ঈদগাহ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। বর্তমানে বাংলাদেশ হাইকোর্টের অধীনে ঈদগাহটি পরিচালিত হলেও তার দেখভাল করে গণপূর্ত বিভাগ। ২০০০ সালে দুই ঈদেই ঈদগাহ প্রস্তুতের দায়িত্ব পায় ঢাকা সিটি করপোরেশন।

চারদিকে লোহার প্রাচীর দেওয়া বিশাল মাঠটিতে রয়েছে একটি মূল ফটকসহ কয়েকটি ফটক। কিবলার দিকে রয়েছে একটি মেহরাব। মেহরাবটি মূলত পাঁচটি মিনারে তৈরি। জাতীয় ঈদগাহে একটি জামাতে অন্তত এক লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। সেখানে একই জামাতে নারীদের নামাজ আদায়ের জন্য থাকে ভিন্ন ব্যবস্থা। এখানে ২০ হাজার নারী একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন।

মাঠের আকৃতি

ঢাকার জাতীয় ঈদগাহ মাঠের আয়তন ২ লাখ ৭০ হাজার ২৭৭ বর্গফুটের বেশি। জাতীয় ঈদগাহ মূলত একটি প্রশস্ত ফাকা মাঠ। ঈদের পূর্বে এ মাঠকে সাজানো হয় নামাজের উপযোগী করার জন্য। সম্পূর্ণ মাঠ নামাজের উপযোগী করতে কয়েক হাজার শ্রমিক প্রয়োজন হয়। আনুমানিক বলতে গেলে, প্রতিবার ঈদগাহ ময়দানে প্যান্ডেল নির্মাণের জন্য ৪৩ হাজার বাঁশ ও প্রায় ৩শ’ মন রশির প্রয়োজন হয়।

বাংলাদেশের জাতীয় ঈদগাহের ইতিহাস অনেক পুরোনো। ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনাভাইরাসের প্রকোপে ঈদের নামাজ জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়নি।

বায়তুল মোকাররমে এ বছর পাঁচটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

প্রথম জামাত

সকাল ৭টায় প্রথম ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

দ্বিতীয় জামাত

সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাতে ইমাম থাকবেন সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন প্রধান খাদেম মো. নাসিরউল্লাহ।

তৃতীয় জামাত

সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে ইমাম থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মাওলানা মুফতি ওয়ালিউর রহমান খান। মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমাম থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সম্পাদক ড. মুশতাক আহমদ। মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আলাউদ্দীন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত

সকাল পৌনে ১১টায় পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মো. আব্দুল্লাহ। মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. রুহুল আমিন।


 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ