<p>সারা দেশে বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে যুক্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকরি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন। সংগঠনের নেতারা জানান, চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে এমপিওর বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা না দেওয়া হলে আমরণ অনশনের মতো কঠোর আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।</p> <p>আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।</p> <p>লিখিত বক্তব্য পাঠে ফেডারেশনের সভাপতি হারুন অর রশিদ জানান, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েও এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষক। দীর্ঘ ২৯ বছর শান্তিপূর্ণ আন্দোলনসহ বিভিন্ন মহলে আবেদন জানিয়েও কোনো সুফল মেলেনি। আবার প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কলেজ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয় না। আর্থিক সংকটে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।</p> <p>সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুকোমল সেন বলেন, এসব শিক্ষককে এমপিওভুক্তির আওতায় আনতে সরকারের প্রতি মাসে মাত্র ১২ কোটি করে বছরে মোট ১৪৪ কোটি টাকা প্রয়োজন। এই বাজেট বরাদ্দ হলেই আমাদের স্বপ্ন পূরণসহ এসব শিক্ষককে এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জনবল ও এমপিও নীতিমালায় অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের অন্তভুক্তি না থাকার কারণে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা (এমপিও) থেকে তারা বঞ্চিত হয়ে আসছেন। অথচ একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়ে সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকরা ক্যাডার ও নন-ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন। জনবল কাঠামোতে না থাকলেও এমপিওভুক্ত হয়েছেন ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকরা। এমপিওভুক্তির আওতায় এসেছেন কামিল (মাস্টার্স) শ্রেণির শিক্ষকরাও। শুধু বৈষম্যের শিকার এই সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষক।</p>