<p style="text-align:justify">কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলা ও বাধা দেওয়ার ঘটনায় দেশের সব ক্যাম্পাসে আজ বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষার্থীরা। </p> <p style="text-align:justify">সরকারি সব চাকরিতে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাধার মুখে পড়েন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে আরো বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। </p> <p style="text-align:justify">কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ফাঁকা গুলির ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রামে আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। রাজধানীর শাহবাগেও পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সড়কে অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।</p> <p style="text-align:justify">কোটা সংস্কার আন্দোলনে হঠাৎ উত্তাপ গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় অবরোধ কর্মসূচি শেষ করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাঁরা সব গ্রেডে অনগ্রসর গোষ্ঠী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটা ন্যূনতম পর্যায়ে এনে জরুরি সংসদ অধিবেশন ডেকে আইন পাস করার দাবি জানান। এ ছাড়া গতকালের কর্মসূচিতে হামলা ও বাধা দেওয়ার ঘটনায় আজ শুক্রবার ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাঁরা।</p> <p style="text-align:justify">এ সময় কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা কোনো ফাঁদে পা দিতে চাই না। আমরা কোটা সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান চাই। আমাদের এক দফা দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে। আমরা সব গ্রেডের কোটা সংস্কারের কথা বলছি, যেটায় শুধু সরকারই হস্তক্ষেপ করতে পারে। সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে আইন পাস করে কোটা সমস্যার সমাধান করতে হবে। তার আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ‘সরকার ও আদালতের রায়ে এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। এই জনদুর্ভোগের দায় সরকারকে নিতে হবে।’ কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল ৪টায় সারা দেশের সব ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।’</p> <p style="text-align:justify">এদিকে গতকাল সকাল থেকে আদালতের নির্দেশনা মেনে কোটা আন্দোলন থেকে সরে যেতে আহ্বান জানাতে থাকেন সরকারের ঊর্ধ্বতনরা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকেও আদালতের নির্দেশনা মনে করিয়ে দিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়।</p> <p style="text-align:justify">কিন্তু গতকাল আগের দিনের চেয়ে আরো বেশি বিক্ষুব্ধ ছিলেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা সরকারি চাকরিতে ৫ শতাংশের বেশি কোটা মানবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে অনড় থাকার ঘোষণাও দিয়েছেন তাঁরা। </p>