<p style="text-align:justify">রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (আরএনপিপি) প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটম। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করে রোসাটম।</p> <p style="text-align:justify">সম্প্রতি বাংলাদেশের গণমাধ্যমে আরএনপিপির দুর্নীতি বিষয়ে প্রচারিত সংবাদ ও তথ্যগুলোকে ‘বিভ্রান্তিকর’ ও ‘মিথ্যা’ উল্লেখ করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের নজরে এসেছে যে রূপপুর এনপিপি প্রকল্পে দুর্নীতি বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা তথ্য বাংলাদেশের মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে। যদিও এই ভিত্তিহীন বিবৃতিগুলোকে খণ্ডন করার জন্য রোসাটম স্টেট করপোরেশন দুটি প্রেস রিলিজ দিয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে আরো অযৌক্তিক জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটাতে রাশিয়ান রপ্তানি ক্রেডিট ব্যবহারের পদ্ধতি এবং রূপপুর এনপিপি নির্মাণে এরই মধ্যে ব্যয় করা অর্থের পরিমাণ স্পষ্ট করা প্রয়োজন বলে মনে হয়।</p> <p style="text-align:justify">বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রূপপুর এনপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য রাশিয়ার দেওয়া এক হাজার ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার পরিমাণের রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণ (স্টেট এক্সপোর্ট ক্রেডিট) থেকে মোট ৭৮০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হয়েছে। দুটি পৃথক চুক্তির অধীনে এই দুটি ঋণ দেওয়া হয়।</p> <p style="text-align:justify">এর মধ্যে ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত ৪৯.১৩ কোটি মার্কিন ডলার (এই ঋণের মোট পরিমাণ ৫০ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত এবং এর ব্যবহারের মেয়াদ ২০১৭ সালে শেষ হয়ে গেছে), আর ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই দ্বিতীয় চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত ৭৩৩ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার।</p> <p style="text-align:justify">এতে বলা হয়, দ্বিতীয় রপ্তানি ঋণের পুরো পরিমাণ হলো এক হাজার ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার, যা থেকে এখন পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে এবং এই ঋণের ব্যবহারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে।</p> <p style="text-align:justify">বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রূপপুর এনপিপি প্রকল্পে যে কোনো দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে না তার প্রমাণ হলো রাশিয়ান ফেডারেশনের আইন অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণ প্রদানে সার্বভৌম ঋণগ্রহীতার কাছে সরাসরি টাকা স্থানান্তর করা হয় না। রপ্তানি চুক্তির অধীনে বিদেশি গ্রাহককে প্রদত্ত যেকোনো পণ্য, কাজ বা পরিষেবাগুলোর অর্থায়ন রাশিয়ান রুবলে রাশিয়ান অর্থ মন্ত্রণালয় রাশিয়ান রপ্তানিকারক সংস্থাকে সরাসরি দেয়।</p> <p style="text-align:justify">রাশিয়ান অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রদত্ত নথি অনুযায়ী এই লেনদেনগুলো করা হয় এবং আগে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর ওপর বিশেষায়িত বৈধ এজেন্ট (ঠঊই.জঋ, ঠহবংযবপড়হড়সনধহশ) দ্বারা সেই নথিগুলো অনুমোদিত হয়। রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণের ব্যবহৃত পরিমাণ রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতি বিদেশি রাষ্ট্র ঋণগ্রহীতার ঋণ হিসেবে বিবেচিত হয়।</p> <p style="text-align:justify">এতে আরো বলা হয়, যারা রূপপুর এনপিপিতে দুর্নীতি বিষয়ে ভুয়া খবর লিখে ছড়িয়ে দেয়, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পকে কলঙ্কিত করতে চায় এবং মস্কো ও ঢাকার মধ্যে স্থিতিশীল সম্পর্ককে নষ্ট করার চেষ্টা করছে।</p>