‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কিন্তু ৩০ লাখ শহীদের কথা বলা কি ঠিক হয়েছে? কেউ এটি গণনা করে দেখেনি। এটা ইতিহাসের বিকৃতি। এর ফলে জাতির জীবনে ভালো কিছু হয় না।
‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কিন্তু ৩০ লাখ শহীদের কথা বলা কি ঠিক হয়েছে? কেউ এটি গণনা করে দেখেনি। এটা ইতিহাসের বিকৃতি। এর ফলে জাতির জীবনে ভালো কিছু হয় না।
গতকাল শুক্রবার বাংলা একাডেমির সভাগৃহে আয়োজিত ‘ইসলামের অভেদ ভাব’ শীর্ষক আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সভাপতি বলেন, ‘ভারতবর্ষে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিরোধ সব সময়ই ছিল। সে বিরোধ নিয়েও মানুষ শান্তিতে সহাবস্থান করত।
আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য মদিনার সনদ করলেন। আজকের দিনে মদিনার সনদ সামান্য বিষয় মনে হতে পারে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটের সকল শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে থেকে এবং সকল আবাসিক হলসমূহ ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
তবে এ সিদ্ধান্তের পর শিক্ষার্থীরা এখনো তাদের পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। অর্থাৎ দ্বিতীয় রাতের ন্যায় আজও কুয়েট শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে থাকবেন এমনকি প্রয়োজনে ২ মে পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা কুয়েটের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদুজ্জামান শেখ প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভা সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আলোচ্যসূচির আলোকে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং তদন্ত প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট কর্তৃক গ্রহণ করা হয়। উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ (সাইত্রিশ) জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাশাপাশি, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া সভায় একাডেমিক ও হল খোলার ব্যাপারে উল্লিখিত সিদ্ধান্ত হয়।
অপরদিকে, কুয়েটের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা জানান, ‘আমরা আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে গতকালের ন্যায় আজকেও অবস্থান করব। যতক্ষণ না পর্যন্ত হল না খোলে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম কুয়েট প্রশাসন শিক্ষার্থী বান্ধব
হবে। কিন্তু কুয়েট প্রশাসন আমাদেরকে খোলা আকাশের নিচে রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে।
উল্লেখ্য, রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এসময় তারা হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান। পরে কুয়েট প্রশাসন জরুরি সিন্ডিকেট মিটিং আহবান করা হয় এবং মিটিং শেষে উল্লিখিত সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সৃষ্ট সংঘর্ষের পর ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে হল খালি করা হয়।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) একদিকে চলছে সিন্ডিকেট সভা, অন্যদিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের হল খোলার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত যা-ই হোক হল না খুললে তারা অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরবেন না।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত আসবে এবং আজ রাতেই হল খুলে দেওয়ার নোটিশ আসবে। আমরা যেন আমাদের হলে আজকে রাতেই সুন্দরভাবে রাত্রিযাপন করতে পারি।
তারা আরো বলেন, ‘আজকের সিন্ডিকেট মিটিং থেকে যে সিদ্ধান্তই আসুক না কেন আমরা আশা করব শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত আসবে। আমরা যেন দ্রুত আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যেতে পারি।
কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ জানান, সিন্ডিকেট মিটিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধান্ত জানা যাচ্ছে না।
পুকুরের পানিতে ডুবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম হুসাইন মোহাম্মদ আশিক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী। সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে মারা যান তিনি।
জানা যায়, কয়েকজন বন্ধু মিলে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন জনতা কলেজ পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে আহত হলে আশিককে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
হুসাইন মোহাম্মদ আশিকের বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তালুক সুবল গ্রামের নুর আলম সরদার ও বিলকিস আক্তার বেগমের ছেলে।
হুসাইন মোহাম্মদ আশিকের বন্ধু সাকিব বলেন, ‘সময়মতো চিকিৎসা পেলে আমার বন্ধুর এই মর্মান্তিক মৃত্যু হতো না। চিকিৎসকের গাফিলতির জন্যই তার মৃত্যু হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর মো. আবুল বাশার খান মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।
নটর ডেম কলেজে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী জাতীয় বিতর্ক উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বসুন্ধরা এক্সারসাইজ বুকের সৌজন্যে, মাইগ্রেশন অ্যান্ড একাডেমিক সেন্টার এবং নর্ডিক সোর্সিংয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত এ উৎসবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৪০০ জন বিতার্কিক অংশগ্রহণ করেন।
৩৬তম এনডিডিসি ন্যাশনালস (ইংরেজি) বিভাগে ওপেন ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয় স্কলাস্টিকা, রানার-আপ হয় ল্যাডস। অপর দুই ওপেন ফাইনালিস্ট ছিল বিএনএমডিসি ১ ও এমএমডি ১।
১৩তম এনডিডিসি ডিবেটার্স’ লিগ (বাংলা) অনুষ্ঠিত হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আদলে। গাজী মাহতাবের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্সেনাল, তার দলে ছিলেন হাসনাত ইসলাম, তরুনিমা প্রতিতী ও অরিঞ্জয় বড়ুয়া।
চ্যাম্পিয়নশিপে অসাধারণ নেতৃত্ব ও বিতর্ক দক্ষতার জন্য আবিদ বিন আহমাদ নূর (বায়ার্ন মিউনিখ), অরুণাভ উৎপল অরিত্র (রিয়াল মাদ্রিদ) এবং কাজী রেভান (জুভেন্টাস)-কে সেরা টিম ম্যানেজার হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
তা ছাড়া এই আয়োজনের বিশেষ সেগমেন্ট ‘আই আর কুইজ’ এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নটর ডেম কলেজের আসাদ আহমেদ রাফিদ।