<p style="text-align:justify">বিদেশের বন্দরে অবস্থানের সময় জাহাজ থেকে পালিয়ে যাওয়া ১৯ বাংলাদেশি নাবিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন নৌ আদালত। এসব নাবিক আমেরিকা, ব্রাজিল, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের বন্দর থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">গত বৃহস্পতিবার নৌ পরিবহন অধিপ্তরের মহাপরিচালক কমেডার মোহাম্মদ মাকসুদ আলমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার কথা জানানো হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">পলাতক নাবিকদের ব্যাপারে কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে কাছাকাছি থানায় অথবা নৌপরিবহন অধিদপ্তরে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পলাতক নাবিকদের গ্যারান্টারদের বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।</p> <p style="text-align:justify">এতে আরও বলা হয়, তিনটি বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি মেঘনা অ্যাডভেঞ্চার, এমভি মেঘনা প্রিন্সেস এবং এমভি মেঘনা ক্রাউনসহ ১৩টি জাহাজ থেকে ১৯ বাংলাদেশি নাবিক পালিয়ে যান। বাংলাদেশের পতাকাবাহী তিনটি জাহাজের মালিকা মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ।</p> <p style="text-align:justify">যোগাযোগ করা হলে নৌ পরিবহন অধিপ্তরের মহাপরিচালক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এই ১৯ জন নাবিক গত তিন বছরে বিভিন্ন দেশের বন্দরে জাহাজ থেকে পালিয়ে গেছেন।</p> <p style="text-align:justify">বছরের পর বছর ধরে এ ধরনের ঘটনা দেশের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশি নাবিকদের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p> <p style="text-align:justify">গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা ১৯ নাবিক হলেন— কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি থানার দেবালেরকান্দা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে সোহানুর রহমান, নাটোরের বাগাতিপাড়ার চকতকিনগর গ্রামের মাজেদুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, ফেনীর দাগনভূঁইয়ার দক্ষিণ আলীপুর গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার দক্ষিণ হালিশহর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মোস্তফা কামাল, নোয়াখালী কোম্পানিগঞ্জের মুছাপুর গ্রামের গোলাম সরোয়ারের ছেলে ইসকান্দর মিজি, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গাছুয়া গ্রামের হারুন রশিদের ছেলে মো. সানাউল্লাহ, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ঘাটলা গ্রামের সদরুল উল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ আনোয়ারুজ্জামান, দিনাজপুরেরবিরল থানার মির্জাপুর গ্রামের শফি উদ্দিন আহমেদের পুত্র আব্দুল কুদুস, আমিনুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের উলচাপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ওপি হোসেন, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানার মধ্য বাউশিয়া গ্রামের হাফিজ মিয়ার পুত্র রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ থানার মগধরা গ্রামের আবদুল ওয়াশেকের পুত্র মিজানুর রহমান, নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের পূর্ব চর হাজারী গ্রামের শেখ নজির আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ শেখ আলম, নোয়াখালীর সোনাইমুরি উপজেলার আমকি গ্রামের মোর্শেদ আলমের ছেলে মেহেদী হাসান, জামালপুর সদরের লক্ষিরচর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে আল আমিন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মির্জানগর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে মো. ইমাম হোসেন, নেত্রকোণার খালিয়াজুরি থানার শালদিগা গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে এনামুল হক, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বাসারাত নগর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে ইমরুল হোসেন ও চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার পশ্চিম অলিনগর গ্রাজমের আবুল কাশেমের ছেলে মোহাম্মদ ইব্রাহিম। </p>