পুরো পৃথিবী মানবতার একটি কলঙ্কজনক দিন দেখেছে : আসিফ মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পুরো পৃথিবী মানবতার একটি কলঙ্কজনক দিন দেখেছে : আসিফ মাহমুদ
আসিফ মাহমুদ।

গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। চিরতরে এই বর্বরতা বন্ধ হোক, এমন প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

আজ রবিবার দুপুরে জাতীয় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় এ প্রতিবাদ জানান আসিফ মাহমুদ। তিনি গাজার মজলুম জনগণের প্রতি বাংলাদেশের সহমর্মিতা এবং সমর্থন জানান।

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, "আজ যখন আমরা এখানে জাতীয় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উদযাপন করছি, তখন আমাদের পুরো পৃথিবী মানবতার একটি কলঙ্কজনক দিন দেখেছে। গতকাল গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বর্বর হামলা চালিয়েছে। আমরা দেখেছি মানুষের লাশ কিভাবে আকাশে উড়ছে বোমার আঘাতে।"

গাজার জনগণের প্রতি সহমর্মিতা ও সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, "আমরা আশা করি, পৃথিবী থেকে সকল মানবতাবিরোধী কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ হোক।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যা দেখেছি, তা কখনই মেনে নেওয়া উচিত নয়।"

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার বক্তব্যে গাজার জনগণের প্রতি বাংলাদেশের একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে মানবাধিকারের প্রতি আরও গুরুত্বারোপের আহ্বান জানান।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কেরানীগঞ্জে সাত বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগ, বৃদ্ধ পলাতক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
কেরানীগঞ্জে সাত বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগ, বৃদ্ধ পলাতক
প্রতীকী ছবি

ঢাকার কেরানীগঞ্জে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জসিম (৬০) নামের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাতে ঘটেশ্বর পশ্চিম পাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এর পর থেকেই অভিযুক্ত বৃদ্ধ পলাতক আছেন। 

শনিবার (১২ এপ্রিল) শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা। 

এজাহারে বলা হয়, তিনি ও তাঁর স্ত্রী পোশাক কারখানায় কাজ করেন। কাজে যাওয়ার সময় শিশুটিকে আত্মীয়ের জিম্মায় রেখে যান। শুক্রবার রাত ১০টায় বাসায় ফিরে মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না।

পরে ঘাটেশ্বর প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন সাততলা একটি ভবনের নিচতলায় শিশুটিকে পাওয়া যায়। 

শিশুটির বাবা জানান, তখন মেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় ছিল। জ্ঞান ফিরলে সে জানায়, পুতুল কেনার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ভবনের মালিক জসিম তাকে ছাদে নিয়ে যায় এবং তার সঙ্গে খারাপ কাজ করে। এই ঘটনার পর থেকে জসিমকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

 

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শিশুটির বাবা থানায় এসে মামলা করেছেন। শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জসিম পলাতক থাকায় এখনো তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি, তবে অভিযান অব্যাহত আছে। 

মন্তব্য

মিয়ানমারে ১২০ টন ত্রাণ পৌঁছে দিল নৌবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মিয়ানমারে ১২০ টন ত্রাণ পৌঁছে দিল নৌবাহিনী
সংগৃহীত ছবি

বিধ্বংসী ভমিকম্পের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে জরুরি ত্রাণ, চিকিৎসা-সামগ্রী ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’। 

শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রায় ১২০ টন ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা হস্তান্তর করেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

আরো পড়ুন
চীনে ৮৩৮ ফ্লাইট বাতিল, ট্রেন চলাচল বন্ধ

চীনে ৮৩৮ ফ্লাইট বাতিল, ট্রেন চলাচল বন্ধ

 

আইএসপিআর জানায়, ত্রাণ সহায়তা হস্তান্তরের সময় অন্যান্যের মধ্যে ইয়াঙ্গুস্থ বাংলাদেশর কূটনৈতিকবৃন্দ, বানৌজা সমুদ্র অভিযানের অধিনায়কসহ সংশ্লিষ্ট সামরিক ও অসামরিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 

অন্যদিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন কমান্ডার ইয়াঙ্গুন কমান্ড, কমান্ডার মায়ানমার নেভাল ট্রেনিং কমান্ড ও কমান্ডার ১ নং ফ্লিট।

আইএসপিআর আরো জানায়, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের দুর্দশা লাঘবে তৃতীয় ধাপে বাংলাদেশ এ সকল ত্রাণসামগ্রী দেশটিতে পাঠায়। বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় ও সশস্ত্র বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী খাদ্যসামগ্রী, বিশুদ্ধ পানি, বস্ত্রসামগ্রী, কম্বল, তাবু, জরুরি চিকিৎসা-সামগ্রী ও ঔষধসহ প্রায় ১২০ টন ত্রাণ মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ সরকার তথা সশস্ত্র বাহিনী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি মানবিক সহযোগিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

বাংলাদেশ তিন ধাপে মোট ১৫১ মেট্রিক টন ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা, উদ্ধার ও চিকিৎসক দল মায়ানমারে পাঠাল।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আলোচিত-১০ (১২ এপ্রিল)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

আদানির একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আদানির একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
সংগৃহীত ছবি

ভারতের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় গত শুক্রবার রাতে। এর ১৭ ঘণ্টা পর শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ফের একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ ছিল ৪৬ মেগাওয়াট। ক্রমান্বয়ে বিদ্যুতের পরিমাণ বাড়বে।

জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে দায়িত্বে থাকা একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে এক হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়েছে ৮ এপ্রিল। আর দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হয় গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে।

এতে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়। পরবর্তীতে আজ সন্ধ্যায় একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে আদানি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (উৎপাদন) মো. জহুরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‌‌ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ঘাটতি পূরণে গ্যাস ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বাড়ানো হয়।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দাম নিয়ে বিরোধ আছে। এটি নিয়ে আদানি ও বিপিডিবির মধ্যে আলোচনা চলছে। বকেয়া শোধ নিয়েও বিভিন্ন সময় তাগাদা দিয়েছে আদানি। গত বছর একবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছিল আদানি। এরপর নিয়মিত চলতি বিল পরিশোধ করায় তারা একটি ইউনিটের উৎপাদন চালু করে।

গত ফেব্রুয়ারিতে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুরোধ করে বিপিডিবি। গত মার্চে শুরু থেকেই দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে তারা।

পিজিসিবি ও বিপিডিবি সূত্র বলছে, শনিবার ছুটির দিন থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম আছে। আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ চাহিদা উঠেছে ১৩ হাজার ৫৫২ মেগাওয়াট। এ সময় ৪২৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ শুরু না হলে রবিবার লোডশেডিং আরো বৃদ্ধি পেত। ঘাটতি মেটাতে পেট্রোবাংলার কাছে বাড়তি গ্যাস সরবরাহও চেয়েছিল বিপিডিবি।

আদানির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার। ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে এই কেন্দ্রে। এতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর ধরে কিনবে বাংলাদেশ। প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় একই বছরের জুনে। ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করে বিপিডিবি। আদানির সঙ্গে বিপিডিবির চুক্তি পর্যালোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত একটি কমিটি কাজ করছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ