সারা দেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সারা দেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি
সংগৃহীত ছবি

ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে আজ সোমবার দেশজুড়ে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি। সকাল থেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে জড়ো হয়ে গণহত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। 

আরো পড়ুন
দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরলেন নাসির

দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরলেন নাসির

 

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামনে কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দ্রুত ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধ করা হোক। আর যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।

আরো পড়ুন
বুলুর শারীরিক অবস্থার উন্নতি, অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া হয়েছে ঢাকায়

বুলুর শারীরিক অবস্থার উন্নতি, অ্যাম্বুল্যান্সে নেওয়া হয়েছে ঢাকায়

 

এদিকে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবিতে একই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন।

গতকাল রবিবার রাতেই ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও নোটিশ দিয়ে গাজার পক্ষে সংহতি জানিয়েছে।

আগামীকাল মঙ্গলবার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে ছাত্রদল।

 
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কেরানীগঞ্জে সাত বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগ, বৃদ্ধ পলাতক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
কেরানীগঞ্জে সাত বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগ, বৃদ্ধ পলাতক
প্রতীকী ছবি

ঢাকার কেরানীগঞ্জে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জসিম (৬০) নামের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাতে ঘটেশ্বর পশ্চিম পাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এর পর থেকেই অভিযুক্ত বৃদ্ধ পলাতক আছেন। 

শনিবার (১২ এপ্রিল) শিশুটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা। 

এজাহারে বলা হয়, তিনি ও তাঁর স্ত্রী পোশাক কারখানায় কাজ করেন। কাজে যাওয়ার সময় শিশুটিকে আত্মীয়ের জিম্মায় রেখে যান। শুক্রবার রাত ১০টায় বাসায় ফিরে মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না।

পরে ঘাটেশ্বর প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন সাততলা একটি ভবনের নিচতলায় শিশুটিকে পাওয়া যায়। 

শিশুটির বাবা জানান, তখন মেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় ছিল। জ্ঞান ফিরলে সে জানায়, পুতুল কেনার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ভবনের মালিক জসিম তাকে ছাদে নিয়ে যায় এবং তার সঙ্গে খারাপ কাজ করে। এই ঘটনার পর থেকে জসিমকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

 

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শিশুটির বাবা থানায় এসে মামলা করেছেন। শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জসিম পলাতক থাকায় এখনো তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি, তবে অভিযান অব্যাহত আছে। 

মন্তব্য

মিয়ানমারে ১২০ টন ত্রাণ পৌঁছে দিল নৌবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মিয়ানমারে ১২০ টন ত্রাণ পৌঁছে দিল নৌবাহিনী
সংগৃহীত ছবি

বিধ্বংসী ভমিকম্পের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে জরুরি ত্রাণ, চিকিৎসা-সামগ্রী ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’। 

শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রায় ১২০ টন ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা হস্তান্তর করেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

আরো পড়ুন
চীনে ৮৩৮ ফ্লাইট বাতিল, ট্রেন চলাচল বন্ধ

চীনে ৮৩৮ ফ্লাইট বাতিল, ট্রেন চলাচল বন্ধ

 

আইএসপিআর জানায়, ত্রাণ সহায়তা হস্তান্তরের সময় অন্যান্যের মধ্যে ইয়াঙ্গুস্থ বাংলাদেশর কূটনৈতিকবৃন্দ, বানৌজা সমুদ্র অভিযানের অধিনায়কসহ সংশ্লিষ্ট সামরিক ও অসামরিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 

অন্যদিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন কমান্ডার ইয়াঙ্গুন কমান্ড, কমান্ডার মায়ানমার নেভাল ট্রেনিং কমান্ড ও কমান্ডার ১ নং ফ্লিট।

আইএসপিআর আরো জানায়, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের দুর্দশা লাঘবে তৃতীয় ধাপে বাংলাদেশ এ সকল ত্রাণসামগ্রী দেশটিতে পাঠায়। বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় ও সশস্ত্র বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী খাদ্যসামগ্রী, বিশুদ্ধ পানি, বস্ত্রসামগ্রী, কম্বল, তাবু, জরুরি চিকিৎসা-সামগ্রী ও ঔষধসহ প্রায় ১২০ টন ত্রাণ মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ সরকার তথা সশস্ত্র বাহিনী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি মানবিক সহযোগিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

বাংলাদেশ তিন ধাপে মোট ১৫১ মেট্রিক টন ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা, উদ্ধার ও চিকিৎসক দল মায়ানমারে পাঠাল।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আলোচিত-১০ (১২ এপ্রিল)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

আদানির একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আদানির একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
সংগৃহীত ছবি

ভারতের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় গত শুক্রবার রাতে। এর ১৭ ঘণ্টা পর শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ফের একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ ছিল ৪৬ মেগাওয়াট। ক্রমান্বয়ে বিদ্যুতের পরিমাণ বাড়বে।

জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে দায়িত্বে থাকা একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে এক হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়েছে ৮ এপ্রিল। আর দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হয় গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে।

এতে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়। পরবর্তীতে আজ সন্ধ্যায় একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে আদানি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (উৎপাদন) মো. জহুরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‌‌ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ঘাটতি পূরণে গ্যাস ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বাড়ানো হয়।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দাম নিয়ে বিরোধ আছে। এটি নিয়ে আদানি ও বিপিডিবির মধ্যে আলোচনা চলছে। বকেয়া শোধ নিয়েও বিভিন্ন সময় তাগাদা দিয়েছে আদানি। গত বছর একবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছিল আদানি। এরপর নিয়মিত চলতি বিল পরিশোধ করায় তারা একটি ইউনিটের উৎপাদন চালু করে।

গত ফেব্রুয়ারিতে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুরোধ করে বিপিডিবি। গত মার্চে শুরু থেকেই দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে তারা।

পিজিসিবি ও বিপিডিবি সূত্র বলছে, শনিবার ছুটির দিন থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম আছে। আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ চাহিদা উঠেছে ১৩ হাজার ৫৫২ মেগাওয়াট। এ সময় ৪২৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ শুরু না হলে রবিবার লোডশেডিং আরো বৃদ্ধি পেত। ঘাটতি মেটাতে পেট্রোবাংলার কাছে বাড়তি গ্যাস সরবরাহও চেয়েছিল বিপিডিবি।

আদানির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার। ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে এই কেন্দ্রে। এতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর ধরে কিনবে বাংলাদেশ। প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় একই বছরের জুনে। ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করে বিপিডিবি। আদানির সঙ্গে বিপিডিবির চুক্তি পর্যালোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত একটি কমিটি কাজ করছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ