<p>আগে কিছু কিংবদন্তি বা লোকবিশ্বাস ছিল। মানুষ মনে করত কুয়োর পানিতে কোনো অভিশাপ বা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। মানুষের ক্ষতি করতে পারে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো এই ধারণা ভুল প্রমাণ করেছে। এই পানি মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়, যদিও এর অতিরিক্ত খনিজ গঠন একে ব্যতিক্রমী করে তুলেছে। পর্যটকরা কুয়োর পানি স্পর্শ করলেও এটি কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে না।</p> <p>বর্তমানে এই কুয়োটি একটি পর্যটন আকর্ষণস্থল হিসেবে পরিচিত এবং প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক এখানে আসেন। কুয়োটির পানিতে ফেলা বিভিন্ন সামগ্রী যেমন টুপি, খেলনা, এমনকি ছোট গাছপালা কিছু সময়ের মধ্যেই পাথরে পরিণত হয়, যা পর্যটকদের জন্য এক বিশেষ অভিজ্ঞতা। কুয়োটি এখনও মানুষের কৌতূহল এবং বিস্ময়ের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। </p> <p>যদিও বিজ্ঞানীরা কুয়োর পাথরে পরিণত করার প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়েছেন, তবে এই প্রক্রিয়ার বিশেষত্বের কারণে অনেকেই এটিকে এখনো অলৌকিক মনে করেন। কুয়োটির পানি থেকে প্রাপ্ত খনিজ পদার্থের গঠন এবং পাথরের স্তর জমা হওয়ার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে প্রাকৃতিক হলেও এর গতিমাত্রা এবং সময়সীমা এখনও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে কিছুটা অস্বাভাবিক বলে মনে হয়। বিশেষ করে, খনিজ পদার্থের ঘনত্ব এবং গঠন প্রক্রিয়ার দ্রুততা এটিকে এক ধরনের অনন্যতা প্রদান করেছে।</p> <p>সাম্প্রতিক বিজ্ঞানীরা নেয়ার্সবরো কুয়োর রহস্যময় ক্ষমতার পিছনে প্রাকৃতিক ব্যাখ্যা প্রদান করতে সক্ষম হলেও এটি এখনও একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ স্থান হিসেবে রয়ে গেছে। বিজ্ঞান কুয়োটির রহস্যের অনেকটাই উন্মোচন করেছে, তবে এর আশ্চর্যজনক প্রক্রিয়া এখনও মানুষের কৌতূহল এবং ভয়ের কারণ হয়ে রয়েছে। কুয়োর পানি এবং এর প্রাকৃতিক উপাদান আজও বিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয় এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক তথ্য উন্মোচিত হতে পারে। </p> <p>মানুষ যতই একে অলৌকিক মনে করুক না কেন, আসলে কুয়োর তথাকথিত অলৌকিক ক্ষমতা আসলে প্রাকৃতিক, তবে এটি তখনকার মানুষের জন্য নতুন এবং ব্যতিক্রমী ছিল।</p> <p>সূত্র: ডেইলি মেইল<br />  </p>