<p>তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানা ধরনের সংস্কারের কথা ভাবছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও দেশ সংস্কারের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের মতামত দিচ্ছে। নতুন দেশকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের চিন্তা-ভাবনা জানতে বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি সমন্বিত শাখা আহ্বায়ক কমিটি ‘তরুণদের নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভার আয়োজন করে।</p> <p>রবিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আলোচনাসভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৩টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে নতুন দেশকে নিয়ে তাদের নানা ধরনের ভাবনার কথা তুলে ধরেন।</p> <p>আলোচনাসভায় বসুন্ধরা শুভসংঘ পরিচালক ও কালের কণ্ঠের জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক জাকারিয়া জামানের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অফিসার (কো-অর্ডিনেশন) মো. মামুন, বসুন্ধরা শুভসংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শরীফ মাহদী আশরাফ জীবন, কর্ম ও পরিকল্পনা সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ আবির ও কার্যকরী সদস্য ফেরদৌস আলম সজীব।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শুভসংঘের উদ্যোগে নতুন ঘর পেলেন নেজাম" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/20/1726852206-4d7182f526d7ff7e256751d2e848c0b3.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শুভসংঘের উদ্যোগে নতুন ঘর পেলেন নেজাম</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/print-edition/news/2024/09/21/1427350" target="_blank"> </a></div> </div> <p>আলোচনাসভায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশর মাউন বিল্লাহ ও তাওহীদ সরকার, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রানা সরকার, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফয়সাল আহমেদ ও আশরাফুল ইসলাম সাজ্জাদ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির শাহ্ মো. হাসিবুর রহমান হাসিব ও শাইমুল আজাদ চয়ন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশর তাহমিদ আরেফিন সাজিদ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বায়েজিদ হুসাইন, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশর ইমরোজ মাহমুদ রুদ্র, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশর ইরিন আক্তার, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির দীপ্ত পাল ও নাফিজ হাসান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ওয়াসিম আকরাম, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির মুনিরা প্রিয়ন্তি, রুবায়েত হোসেন ও সামিয়া স্পর্শিয়া, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির মুরশীদ আলম রাব্বি, হাবিবুল্লাহ দেওয়ান শিশির প্রমুখ।</p> <p>শিক্ষার্থীদের বক্তব্য পর্বে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রানা সরকার বলেন, ‘তরুণ সমাজের দায়িত্ব শিক্ষিত সমাজ তৈরিতে মনোনিবেশ করা। আমাদের দেশে এখনো অনেক শিশু আছে যারা লেখাপড়ার সুযোগ পায় না এবং গ্রামাঞ্চলে অনেক শিক্ষার্থী টাকার অভাবে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের উচিত প্রত্যেকের জায়গা থেকে ‘সবার জন্য শিক্ষা’নীতি বাস্তবে রূপ দেওয়া। আজকের তরুণসমাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করার পরও চাকরি পাচ্ছে না। সরকারের উচিত দেশের সব শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা করা, যাতে করে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখাকালে এবং চাকরির জন্য বসে না থেকে অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কাজ করতে পারে। উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও শিক্ষার্থীদের জন্য খণ্ডকালীন চাকরির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যাতে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শুভসংঘের স্কুল ব্যাগ ও শিক্ষা সামগ্রী পেয়ে শিশুদের মুখে হাসি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/01/29/1706516561-c7a972f25d3e9cec8303c7c854b9fe7a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শুভসংঘের স্কুলব্যাগ ও শিক্ষাসামগ্রী পেয়ে শিশুদের মুখে হাসি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/shuvosangho/2024/01/29/1358977" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেন, ইদানীং দেখা যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে এবং সেই দেশে তারা কর্মক্ষেত্র তৈরি করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। যার ফলে দেশের মেধা বাইরে চলে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হতে পারে দেশে পর্যাপ্ত গবেষণার সুযোগ নেই। দেশে যদি পর্যাপ্ত গবেষণার পরিবেশ থাকত তাহলে শিক্ষার্থীরা দেশকে তাদের মেধা দিয়ে অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারত। বাংলাদেশের উন্নত চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় বর্তমানে অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য আমাদের পার্শ্ববর্তী অনেক দেশে পাড়ি জমায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে পর্যাপ্ত গবেষণার মাধ্যমে দেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানের আধুনিকায়নের মাধ্যমে আমাদের এই সমস্যা দূরীকরণ সম্ভব। তার জন্য তরুণসমাজের মতামতকে মূল্যায়ন ও তাদের গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা তৈরি করে দিতে হবে।’</p> <p>তরুণদের উদ্দেশে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘আমি সব সময় তরুণদের সঙ্গে চলতে পছন্দ করি। তরুণরা একটা দেশকে এগিয়ে নেয়। তরুণরাই দেশ তৈরি করে। মানুষ তৈরি হলেই দেশ তৈরি হয়। বাংলাদেশে যা কিছু গৌরবের ইতিহাস দেখি, সব কিছুর মূলেই ছিল ছাত্ররা। আগামীর বাংলাদেশও তৈরি হবে ছাত্রদের হাত ধরে।’</p> <p>এ সময় বসুন্ধরা শুভসংঘের কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ থেকে প্রতি মাসে এক হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। করোনাকালে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৪৮ হাজার পরিবারকে এক মাসের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন  জেলায় হাজারের অধিক গ্রামীল নারীকে বসুন্ধরা শুভসংঘ প্রশিক্ষণকেন্দ্রের মাধ্যমে সচ্ছল করার লক্ষ্যে সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি অতিদরিদ্র গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেওয়া, অসচ্ছল পরিবারকে দোকান করে দেওয়া, গৃহপালিত পশু-পাখি বিতরণসহ নানা রকম মানবিক কাজ বসুন্ধরা শুভসংঘ করে চলছে। ভবিষ্যতেও এসব কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।</p>