<p>প্রথমেই বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাদের উদার অনুদান আমার শিক্ষাজীবনকে সহজ করেছে, যা কখনোই ভোলার নয়। বসুন্ধরার সহায়তায় আমি আমার শিক্ষা ব্যয় নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পেরেছি। বিশেষ করে আমার পাঠ্যবই, শিক্ষাসামগ্রী এবং পরীক্ষার ফি বহন করা সম্ভব হয়েছে। তাদের সহযোগিতা ছাড়া এসব খরচ চালানো আমার পক্ষে সম্ভব হতো না।</p> <p>এই অনুদানের কারণে আমি বিনা চাপেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পেরেছি। বসুন্ধরার সহায়তা শুধু আমার বর্তমান শিক্ষাজীবন নয়, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার পথকেও মসৃণ করেছে। আমার লক্ষ্য মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ডাক্তারি পড়াশোনা শেষ করা এবং একজন সফল চিকিৎসক হয়ে সমাজে অবদান রাখা। এই সহায়তা পেয়ে আমার মধ্যে এক ধরনের দায়িত্ববোধ ও অনুপ্রেরণা তৈরি হয়েছে, যা আমাকে আমার লক্ষ্য অর্জনে আরো বেশি মনোযোগী হতে উৎসাহিত করেছে।</p> <p>একদিন আমার এই অর্জনের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপের অবদানকে সার্থক করে তুলব ইনশাআল্লাহ। বসুন্ধরার এই মহৎ উদ্যোগ আমাকে অনুভব করিয়েছে যে, আমি একা নই; সফলতার পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের সমর্থন আমার সাথে আছে। এভাবে সমাজের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ যে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাদের মহৎ উদ্যোগের জন্য আমার শিক্ষাজীবন আরো সহজ ও সমৃদ্ধ হয়েছে।— লিজা আক্তার</p> <p>প্রসঙ্গত, দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও অনেক শিক্ষার্থী পড়ালেখায় অসামান্য সফলতা অর্জন করেছেন। বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতায় ২০২২ সালে সফলতার সাথে এসএসসি পাস করা শতাধিক শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার পথ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। দেশের বৃহত্তম শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবরগুলো দেখে তাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।</p>