মনোহরদীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের ইফতার ও দোয়ার আয়োজন

বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
শেয়ার
মনোহরদীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের ইফতার ও দোয়ার আয়োজন
ছবি: বসুন্ধরা শুভসংঘ

বসুন্ধরা শুভসংঘ মনোহরদী উপজেলা শাখার উদ্যোগে মাসজুড়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অসহায়, দুস্থ, গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া এতিমখানা ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও ইফতার সামগ্রী পাচ্ছেন।

গত শুক্রবার জামেয়াতুল মদিনা মাদ্রাসায় এতিম ও অসহায় ছাত্রদের নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে ইফতার ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।

এই দোয়া মাহফিলে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা শুভসংঘ মনোহরদী শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় আলেম-উলামা, মাদ্রাসার মোহতামিম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দেশ ও মুসলিম উম্মাহর মঙ্গল কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।

শুভসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মহতী কার্যক্রম পুরো রমজান মাসজুড়ে চলমান থাকবে।

আয়োজনে অংশ নেওয়া সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে এবং তাদের উত্তরোত্তর মঙ্গল কামনা করা হয়েছে।

স্থানীয়রা এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এবং সামাজিক সংগঠনগুলোর এ ধরনের মানবিক কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন পেয়ে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার আশা

নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারী প্রতিনিধি
শেয়ার
বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন পেয়ে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার আশা
ছবি : কালের কণ্ঠ

স্বামী দিনমজুর। তার আয়ে চলে না সংসার। অর্ধাহার-অনাহার তাদের নিত্যসঙ্গী। এমন দুর্দশায় স্বামীকে সহযোগিতার প্রবল ইচ্ছা মনিরা আক্তারের (২৭)।

এ জন্য কাজের সন্ধান করেছিলেন বিভিন্ন স্থানে। কাজও জুটিয়েছিলেন পাশের গ্রামের একটি কারখানায়। কিন্তু বাধা দুই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সন্তান। শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় সন্তানরা পারে না চলাফেরা করতে, খেতে পারে না নিজ হাতে।
তাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার একমাত্র ভরসা মা মনিরা। এ জন্য মনিরা বাড়িতেই কোনো কাজ করে আয় উপার্জনের কথা ভাবেন। তাতে সন্তান দেখভালের সঙ্গে চলবে কাজ। সংসারে ফিরবে সচ্ছলতা।
কিন্তু দীর্ঘদিন চেষ্টার পরও পারেননি সে স্বপ্ন পূরণ করতে। তার সেই অধরা স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রদানের পর তাকে উপহার দেওয়া হয়েছে একটি সেলাই মেশিন।

আজ রবিবার সকাল ১১টার দিকে জেলা সদরের খোকসাবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব খোকসাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেলাই মেশিন প্রদান করা। একই অনুষ্ঠানে মনিরাসহ ২০ জন দুস্থ নারী পান সেলাই মেশিন।

তাদের সবার প্রবল ইচ্ছা ওই মেশিন চালিয়ে আয়-রোজগার করে ফেরাবেন পরিবারের সচ্ছলতা।

মনিরা জানান, প্রায় এক যুগ আগে খোকসাবাড়ী গ্রামের মো. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। এরপর ঘরে আসে বেবী আক্তার (১০) ও বাবু মোজাহিদ নামের দুই সন্তান। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধকতা নিয়ে তারা আসে মনিরার কোলে। এর পর থেকে নানা হতাশায় কাটতে থাকে মনিবার জীবন।

তিনি জানান, ওই দুই সন্তান পারে না কথা বলতে। চলতে পারে না, খেতে পারে না নিজের হাতে। এ জন্য সার্বক্ষণিক তাদের তদারকির কাজে বাড়িতে থাকতে হয় মনিরাকে।

দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণে সেলাই মেশিন পেয়ে আনন্দিত মনিরা। অনুভূতিতে প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সংসারোত খুব কষ্ট। স্বামীর কিষান খাটার কামাই দিয়া ছয়টা মানষির খাবার জুটে না। কষ্টের কারণে মনটা চায় কোন কাম-কাজ করি কামাই করিবার। কিন্তু ছাওয়া দুইটাক থুইয়া বাড়ি থাকি কোনঠে যাবার পারো না। এলা বসুন্ধরার মেশিন দিয়া বাড়িত বসি সেলাইর কাজ করি কামাই করির পারিম। এলা কামাই সংসারোত সহযোগিতা করির পারিমো।’

একই অনুষ্ঠানে সেলাই মেশিন পেয়েছেন আঁখি আক্তার (১৯)। খোকসাবাড়ী ইউনিয়নের খলিশাপচা গ্রামের আঁখি আক্তার দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা অলিয়ার রহমানের দিন মজুরির আয়ে চলে তাদের সাত সদস্যের পরিবার। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে আঁখি সবার বড়। অভাব-অনটনের সংসারে এসএসসি পাসের আগেই বিয়ে দিতে চেয়েছিল তার পরিবার। কিন্তু আঁখি তাতে রাজি না হয়ে লেখাপড়া শিখে প্রতিষ্ঠিত করতে চান নিজেকে। এমন প্রবল ইচ্ছায এসএসসি পাসের পর ভর্তি হয়েছে কলেজে। কিন্তু পরিবারে অর্থাভাবে লেখাপড়া প্রায় বন্ধের পথে। 

এমতাবস্থায় আঁখি গ্রামে টিউশনি করে লেখাপড়া চালানোর উদ্যোগ নিয়েও হয়েছেন ব্যর্থ। এ জন্য খুঁজতে শুরু করেন সহজ একটি কাজ করে নিজেরসহ ভাই-বোনদের লেখাপড়া চালাতে। সেই আঁখি আক্তারকে সেলাই মেশিন দিয়ে স্বপ্ন পূরণ করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।

স্বপ্ন পূরণের আনন্দে আঁখি আক্তার বলেন, ‘বাড়িতে সেলাইয়ের কাজ করে লেখাপড়া চালানো আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। কিন্তু দিনমজুর বাবার আয়ে সেলাই মেশিন কেনার সাধ্য হয়ে উঠেনি। বসুন্ধরা গ্রুপ আমার সে স্বপ্ন পূরণ করেছে। এখন বাড়িতে সেলাই কাজের আয়ে আমার এবং ভাই-বোনদের লেখাপড়ার খরচ মেটাতে পারব। পাশাপাশি বাবাকে সহযোগিতা করতে পারব।’

সেলাই মেশিন পেয়ে মনিরা এবং আঁখির ন্যায় অনুভুতি প্রকাশ করেন সবাই। তাদের প্রবল ইচ্ছা সেলাই কাজের আয় দিয়ে ফেরাবেন পরিবারের সচ্ছলতা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছাস রায়। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মো. মনিরুজ্জামান মন্টু। এ সময় পূর্ব খোকসাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা দেন বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. মামুন, কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি ভুবন রায় নিখিল, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত রাফি, সদস্য ফরিদ মিয়া, আমিনুর রহমান, মো. গোলাম হোসেন, নিউজ টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রশীদ শাহ, বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক দীপু রায় প্রমুখ।

মন্তব্য

বসুন্ধরা শুভসংঘ কারমাইকেল কলেজ শাখার পরিচিতিসভা ও ইফতার মাহফিল

খুশবু হাসান রনি
খুশবু হাসান রনি
শেয়ার
বসুন্ধরা শুভসংঘ কারমাইকেল কলেজ শাখার পরিচিতিসভা ও ইফতার মাহফিল
ছবি : কালের কণ্ঠ

বসুন্ধরা শুভসংঘ রংপুর কারমাইকেল কলেজ শাখার উদ্যোগে নতুন কমিটির পরিচিতিসভা, ইফতার মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) কলেজ ক্যাম্পাসে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘের উপদেষ্টা ও কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোস্তাফিজুর রহমান। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের নতুন কমিটিকে স্বাগত জানাই।

আশা করি, এই কলেজে বসুন্ধরা শুভসংঘ সব ভালো কাজ করবে। আমি সব সময় বসুন্ধরা শুভসংঘের পাশে আছি। নতুন কমিটির সদস্যরা যাতে সবাই তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে এটাই প্রত্যাশা করব। 

বসুন্ধরা শুভসংঘ রংপুর কারমাইকেল কলেজ শাখার নবগঠিত কমিটির সভাপতি আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক সজিব সরকার, সহসভাপতি সাজ্জাদ হোসেন সোহাগ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরাফাত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক  মুশফিকুর রহমান সজিব, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার, সাবেকুন নাহার শিমলা, আইনুল হক, আসিফ, মানিক, হাসান হাবিব, ইসমাইলসহ অনেকেই।

অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ শেষে শুভসংঘের কলেজ শাখার বন্ধুরা একসঙ্গে ইফতার করেন। ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে জুলাই-আগস্টে নিহত সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা, দেশ ও মানুষের কল্যাণে বিশেষ দোয়া করা হয়। আলোচনায় আগামী দিনে বসুন্ধরা শুভসংঘ কারমাইকেল কলেজ শাখার আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

জলঢাকায় নতুনভাবে বাঁচার অবলম্বন পেলেন ২০ নারী

নীলফামারী ও জলঢাকা প্রতিনিধি
নীলফামারী ও জলঢাকা প্রতিনিধি
শেয়ার
জলঢাকায় নতুনভাবে বাঁচার অবলম্বন পেলেন ২০ নারী
ছবি: কালের কণ্ঠ

অভাব-অনটনের সংসার। মানসিক রোগে ভুগছেন স্বামী। স্বামীর চিকিৎসা আর এক কন্যা সন্তানের ভরণ-পোষণের দায় পড়েছে ফরিদা বেগমের (১৮) ওপর। সেই ভরণ-পোষণ জুটাতে নিজেও হয়েছেন রোগাক্রান্ত।

এ অবস্থায় আয় রোজগারের কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। বসুন্ধরা গ্রুপ খুলে দিয়েছে তার কর্মসংস্থানের পথ। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ৩ মাস সেলাই প্রশিক্ষণের পর তাকে প্রদান করা হয়েছে সেলাই মেশিন।

শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার আলহাজ মোবারক হোসেন অনির্বাণ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে শুধু ফরিদাই নয়, তার মতো ২০ জন অসহায় নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রদান করা হয় একটি করে সেলাই মেশিন।

ফরিদা বেগমের (১৮) বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের চার আনি গ্রামে। বুড়িতিস্তা নদীবেষ্টিত ওই গ্রামটিতে তার বাড়ির অবস্থান একটি নিভৃত চরে। মাত্র ১১ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল তার।

এক বছর পর ঘরে আসে আলো মনি নামের এক কন্যা সন্তান। স্বামী আকরাম হোসেনের রডমিস্ত্রির কাজের আয়ে ভাবতে শুরু করেন আলো মনিকে নিয়ে সংসারের দেখবেন অনেক সুখের আলো। কিন্তু স্বামীর মানসিক অসুস্থতা সংসারে টেনে আনে আলোর বদলে অন্ধকার।

সেলাই মেশিন পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে ফরিদা বলেন,‘মনে করিছিনু জীবনটা মোর এইটে (এই পর্যন্ত) শ্যাষ। কিন্তু বসুন্ধরার সেলাই মেশিন পায়া এলা নতুন করি বাঁচিবার স্বপন জাগি উঠিল।

এলা কাপড় সেলাইয়ের কামাই দিয়া কোন মতন করি বাঁচিবার পারিমো। টাকার অভাবত স্বামীর চিকিৎসা হোছেনা, সেইটাও জুটিবার পারিম’।

তার মত আরেক নারী মুক্তা বেগম। এখন বয়স ১৮ হলেও সাত বছর আগে বিয়ে হয়েছিল তার। জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ঘাটের পাড় নামক চর গ্রামে বাড়ি তার। প্রেমের সম্পর্ক ধরে প্রতিবেশী আপন শাহের সঙ্গে হয়েছিল বিয়ে। পরিবারের অমতে বিয়ে করায় যেমন বিতাড়িত হন বাবার বাড়ি থেকে। তেমনি শ্বশুর বাড়িতেও ঠাঁই মিলেনি তার। অগ্যতা নদীর বাধের জমিতে কুড়ে ঘর তুলে শুরু করে বসবান। স্বামীর দিনমজুরীর সামান্য আয়ে শুরু করেন জীবনের পথচলা। এরই মধ্যে পরিবারে আসে মাহিম (৬) নামে এক ছেলে সন্তান। তিনিও সেলাই মেশিন পেয়ে আনন্দিত। 

মুক্তা বেগম বলেন,‘সেলাই মেশিন হাতোত পায়া বাঁচি থাকবার পথ খুঁজি পানু। সংসারোত খুব অভাব। স্বামী যেইদিন কাজ পায় সেইদিন খাবার জুটে। না হইলে অর্ধাহার অনাহারে দিন কাটে।

ওই অনুষ্ঠানে সেলাই মেশিন পাওয়া নারীরা সকলেই অসচ্ছল পরিবারের। তাদের বেশিরভাগের বাড়ি বুড়ি তিস্তা নদীর বাঁধের জমিতে। চর গ্রাম হওয়ায় অনুন্নত যোগাযোগ ব্যস্থায় পিছিয়ে পড়ে এসব পরিবারের জীবন-জীবিকা। শিক্ষা থেকে বঞ্চিত তাদের শিশুরা। শিশুদের শিক্ষা সহযোগিতায় গ্রামে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল স্থাপন করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এখন এসব পরিবারের নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রদান করা হয়েছে সেলাই মেশিন। পরিবারের সচ্ছলতা বাড়ার পাশাপাশি লেখাপড়ার গতি বাড়বে শিশুদের।

সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে কালের কণ্ঠের নীলফামারী প্রতিনিধি ভুবন রায় নিখিলের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা দেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কৃষ্ণা কাবেরী, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. কামরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আলহাজ মোবারক হোসেন অনির্বাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ্ রোকনুজ্জামান চৌধুরী রোকন, প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা মো. মামুন, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত রাফি, সদস্য ফরিদ মিয়া, আমিনুর রহমান, মো. গোলাম হোসেন, নিউজ ২৪-এর জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রশীদ শাহ, কালের কণ্ঠের জলঢাকা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান স্টালিন প্রমুখ।

মন্তব্য

বসুন্ধরা শুভসংঘের মসজিদ পরিষ্কার অভিযান

বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
শেয়ার
বসুন্ধরা শুভসংঘের মসজিদ পরিষ্কার অভিযান
ছবি: বসুন্ধরা শুভসংঘ

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য মসজিদ পবিত্রতম স্থান। বসুন্ধরা শুভসংঘ টংগীবাড়ি উপজেলা শাখার সদস্যরা পশ্চিম সোনারং পুরাতন জামে মসজিদ পরিষ্কার করেছেন। গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) রোজারত অবস্থায় মুসল্লিদের জুমার নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে তারা মসজিদটি পরিষ্কার করেন।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন পশ্চিম সোনারং পুরাতন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মাহাবুব রহমান, বসুন্ধরা শুভসংঘ টংগীবাড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি আশিক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হাওলাদার ইব্রাহিম, প্রচার সম্পাদক আসিফ ও দপ্তর সম্পাদক সিয়াম দেওয়ান অন্তু শেখ।

মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মাহাবুব রহমান মসজিদ পরিষ্কারের ফজিলত তুলে ধরে বলেন, নবিজি (সা.) মসজিদে কোনো ময়লা দেখলে নিজ হাতে তা পরিষ্কার করতেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুল (সা.) মসজিদের দেয়ালে ময়লা দেখে একটি পাথরের টুকরা নিয়ে নিজ হাতে তা পরিষ্কার করেছিলেন। (সহিহ বুখারি-৪০৮)

তিনি আরো বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের সওয়াব (ইবাদতের প্রতিদান) আমার সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে, এমনকি কোনো ব্যক্তি কর্তৃক মসজিদ থেকে ময়লা-আবর্জনা দূর করার সওয়াবও (যা সবচেয়ে পুণ্যের কাজ)।

বসুন্ধরা শুভসংঘ টংগীবাড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি আশিক আহমেদ বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।

বসুন্ধরা শুভসংঘ নানা ভালো কাজের মাধ্যমে সমাজে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করছে। পবিত্র রমজানে মসজিদ পরিষ্কারের মাধ্যমে আমাদের মনকেও পরিষ্কার করে নিলাম।

স্থানীয়রা এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এবং সামাজিক সংগঠনগুলোর এ ধরনের মানবিক কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ