<p>বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে ফকিরেরপুল ইয়াংমেন্সের জার্সিতে ১২ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতেছেন রাফায়েল টুডু। সঙ্গে পেয়েছেন টুর্নামেন্টসেরার স্বীকৃতিও। দ্বিতীয় স্তরের ফুটবল মাতিয়ে রাজশাহীর এই ফরোয়ার্ডের চোখ এখন প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজেকে মেলে ধরতে চান ২২ বছরের এই তরুণ, ‘প্রিমিয়ার লিগ তো বড় জায়গা। বিসিএলে বিদেশিরা খেলেননি, বিপিএলে উঁচু মানের বিদেশি ফুটবলাররা খেলে থাকেন। তাঁদের সঙ্গে লড়তে হবে আমাকে। আমার বিশ্বাস, যদি সুযোগ পাই তাহলে ভালো কিছু করতে পারব।’</p> <p>প্রিমিয়ারে ইয়াংমেন্সের হয়েই খেলবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখনো নেননি টুডু। অন্য ক্লাব থেকে ডাক এলে সুযোগ বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে চান, ‘এই ক্লাব (ইয়াংমেন্স) যেহেতু আমাকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছিল তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ক্লাব সভাপতি বলেছেন, আমাদের সবাইকে নিয়ে দল গড়বেন। দেখা যাক কী হয়। অন্য ক্লাব যদি আমাকে চায় তাহলেও সেটাও বিবেচনায় রাখব।’ </p> <p>বিসিএলে এবারের আসরে ইয়াংমেন্সের হয়ে শুরুর দিকটা ভালো কাটেনি টুডুর। প্রথম ম্যাচে বদলি নেমে গোল পেলেও পরের চার ম্যাচে ছিলেন গোলহীন। ভালো করতে না পারায় মনের মধ্যে জেদ চেপে বসে এই তরুণের। এরপর উত্তরা এফসির বিপক্ষে একাদশে সুযোগ পেয়ে হ্যাটট্রিকসহ চার গোল করে কোচের আস্থার প্রতিদান দেন। বাকি ম্যাচগুলোতেও ছন্দ ধরে রেখে দলের সাফল্যে রাখেন অবদান।  </p> <p>মজার ব্যাপার যে বছর দুয়েক আগেও গোলরক্ষক হিসেবে ঢাকার ফুটবলে খেলেছেন তিনি। ২০২০-২১ মৌসুমে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিংয়ের স্কোয়াডে ছিলেন গোলরক্ষক হিসেবে। কিন্তু এই পজিশনে সুযোগ কম বুঝতে পেরেই নিজেকে ফরোয়ার্ড পজিশনে রূপান্তরিত করেন। তাতেই যেন সফল টুডু।</p>