বিপিএলে দল পেলেন না মমিনুল-মোসাদ্দেক, উপেক্ষিত যারা

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
বিপিএলে দল পেলেন না মমিনুল-মোসাদ্দেক, উপেক্ষিত যারা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। যেখানে ১৬ জন বিদেশি ক্রিকেটার ও ৬২ দেশি ক্রিকেটারকে দলে ভিড়িয়েছে সাতটি ফ্র‌্যাঞ্চাইজি। তবে দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে জাতীয় দলের দুজন দলই পাননি। উপেক্ষিত থেকেছেন আরো কয়েকজন।

 

‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা মুমিনুল হক ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত কোনো দল পাননি। এ নিয়ে টানা দুই আসরেই ড্রাফটে অবিক্রিত থেকে গেলেন মুমিনুল। এর আগের আসরেও ড্রাফট থেকে দল না পাওয়ায় আসরের মাঝপথে তাকে স্কোয়াডে যুক্ত করেছিল রংপুর রাইডার্স। তবে মাঠে নেমেছিল মাত্র একটি ম্যাচে।

 

প্রথমবার ড্রাফটে দল পেলেন না মোসাদ্দেক হোসেনও। সর্বশেষ আসরে তিনি খেলেছেন দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে। গত আসরে ৯ ম্যাচ খেলে মাত্র ৯১ রান এবং ৩টি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।

তবে দীর্ঘ অপেক্ষার পর বিপিএল দল পেয়েছেন রিশাদ হোসেন।

সপ্তম কলে এসে ২২ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনারকে দলে ভিড়িয়েছে ফরচুন বরিশাল।

বিপিএলে নিয়মিত পারফর্ম করলেও আগ্রাসী ব্যাটার সৈকত আলি থেকেছেন উপেক্ষিত। কেউ আগ্রহ দেখায়নি তার ব্যাপারে। গতবারের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক শুভাগত হোমও থেকেছেন অবিক্রিত। দল পাননি বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু, বাঁহাতি ব্যাটার ফজলে মাহমুদ রাব্বি।

কেউ আগ্রহ দেখায়নি বাঁহাতি পেস অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ব্যাপারেও।

‘এ’–ক্যাটাগরিতে থাকা রিশাদ সর্বশেষ দল পাওয়া খেলোয়াড়। এর আগে ক্যাটাগরি ‘বি’–এর সব খেলোয়াড়ও দল পেয়ে গিয়েছিলেন। ৬০ লাখ টাকা দামের রিশাদ দল পেয়েছেন চতুর্থ সেটের প্রথম রাউন্ডে, অর্থ্যাৎ, প্লেয়ার্স ড্রাফটে স্থানীয়দের মধ্যে ৪৩ নম্বরে। কিছুটা অবাক করে দিয়ে দল পেয়ে গেছেন মার্শাল আইয়ুবও।

যারা দল পাননি তাদের সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। ড্রাফটের বাইরে থেকে চাইলে কোন দল তাদের দলে নিতে পারবে। সেক্ষেত্রে পারিশ্রমিকের অঙ্ক ঠিক হবে দুই পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন আগামী ২৭ ডিসেম্বর শুরু হবে বিপিএলের একাদশ আসর। 


ফরচুন বরিশাল:
দেশি: তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, তানভীর ইসলাম, নাজমুল হোসেন, রিপন মন্ডল, ইবাদত হোসেন, নাঈম হাসান, রিশাদ হোসেন, তাইজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম। বিদেশি: ডেভিড ম্যালান, কাইল মায়ার্স, মোহাম্মদ নবী, ফাহিম আশরাফ, আলী মোহাম্মদ, খান জাহানদাদ, জেমস ফুলার, পাথুম নিশাঙ্কা, নান্দ্রে বার্গার।

সিলেট স্টাইকার্স:
দেশি: জাকির হাসান, জাকের আলী, তানজিম হাসান, রনি তালুকদার, মাশরাফি বিন মুর্তজা, আল আমিন হোসেন, আরাফাত সানি, রুয়েল মিয়া, আরিফুল হক, নিহাদুজ্জামান, নাহিদুল ইসলাম। বিদেশি: পল স্টার্লিং, জর্জ মানসি, রাহকিম কর্নওয়াল, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি, রিস টপলি।

দুর্বার রাজশাহী
দেশি: এনামুল হক, তাসকিন আহমেদ, জিশান আলম, ইয়াসির আলী, সাব্বির হোসেন, সানজামুল ইসলাম, এসএম মেহরব হোসেন, আকবর আলী, হাসান মুরাদ, শফিউল ইসলাম, মোহর শেখ। বিদেশি: সাদ নাসিম, লাহিরু সামারাকুন।

চট্টগ্রাম কিংস:
দেশি: সাকিব আল হাসান, শরীফুল ইসলাম, শামীম হোসেন, পারভেজ হোসেন, খালেদ আহমেদ, আলিস আল ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন, নাঈম ইসলাম, মারুফ মৃধা, রাহাতুল ফেরদৌস, শেখ পারভেজ, মার্শাল আইয়ুব। বিদেশি: মঈন আলী, উসমান খান, হায়দার আলী, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, বিনুরা ফার্নান্দো, গ্রাহাম ক্লার্ক, থমাস ও’কনেল।

ঢাকা ক্যাপিটাল:
দেশি: মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিদ হাসান, লিটন দাস, হাবিবুর রহমান, মুকিদুল ইসলাম, আবু জায়েদ, মুশফিক হাসান, সাব্বির রহমান, মুনিম শাহরিয়ার, আসিফ হাসান, শাহাদাত হোসেন। বিদেশি: থিসারা পেরেরা, জনসন চার্লস, শাহনেওয়াজ দাহানি, মীর হামজা, স্টিফেন এসকিনেজি, সাইম আইয়ুব, আমির হামজা।

খুলনা টাইগার্স:
দেশি: মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ নাঈম, ইমরুল কায়েস, মাহিদুল ইসলাম, আবু হায়দার, জিয়াউর রহমান, মাহফুজুর রহমান, মাহমুদুল হাসান। বিদেশি: ওশানে থমাস, মোহাম্মদ হাসনাইন, লুইস গ্রেগরি, মোহাম্মদ নেওয়াজ।

রংপুর রাইডার্স:

দেশি: নুরুল হাসান, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাহিদ রানা, সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার, রাকিবুল হাসান, রেজাউর রহমান, ইরফান শুক্কুর, কামরুল ইসলাম, তৌফিক খান। বিদেশি: অ্যালেক্স হেলস, খুশদিল শাহ, আল্লাহ গজনফর, স্টিভেন রায়ান টেলর, সৌরভ নেত্রবালকার, আকিফ জাভেদ, কার্টিস ক্যাম্ফার।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রিয়ালিটি মেনে নিয়ে গার্দিওলা বললেন, ‘কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়’

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
রিয়ালিটি মেনে নিয়ে গার্দিওলা বললেন, ‘কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়’
পেপ গার্দিওলা। ছবি : এএফপি

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে প্লে-অফ থেকে বিদায় নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গতকাল রাতে সেই রূঢ় বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন সিটি বস পেপ গার্দিওলাও। বলেছেন, ‘কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়’।

তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী গার্দিওলা তার কোচিং ক্যারিয়ারে এই টুর্নামেন্টে এর আগে কখনো শেষ ষোলো থেকে বাদ পড়েনি, তার অধীন শেষ ষোলোর আগে কখনো বাদ পড়েনি সিটিও।

তার অধীনেই সিটিজেনরা প্রথমবারের মতো জেতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। জিতেছে ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাও। কিন্তু এই মৌসুমে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে গার্দিওলার দল। লিগ শিরোপার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।
 

গার্দিওলা তাই বলেছেন, ‘কিছুই চিরস্থায়ী নয়। আমরা অবিশ্বাস্য ছিলাম, তবে আজকের (কাল রাতে) থেকে আরো ভালো হওয়ার জন্য ধাপে ধাপে আমাদের উন্নতি করতে হবে। আমরা অতীতে অসাধারণ ছিলাম, কিন্তু এখন আর নই।’

‘এখনো আমাদের ১৩টি ম্যাচ বাকি (প্রিমিয়ার লিগে) এবং আমাদের শীর্ষ চার বা পাঁচে থেকে লিগ শেষ করতে হবে।

যাতে পরবর্তী চ্যাম্পিয়নস লিগে অংশগ্রহণ করতে পারি।’—যোগ করেন গার্দিওলা। 

প্রথম লেগে ইতিহাদে ৩-২ গোলে হারের পর, বার্নাব্যুতেও ছিল রিয়াল মাদ্রিদের শ্রেষ্ঠত্ব। কিলিয়ান এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে ৩-১ গোলে জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৩ ব্যবধানে পরের রাউন্ডে চলে যায় সর্বোচ্চ শিরোপাধারীরা। গার্দিওলাও তাই মেনে নিয়েছেন রিয়ালের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচে সেরা দলটি জিতেছে, এটা তাদেরই প্রাপ্য। আমাদের চেয়ে তারা ভালো ছিল। আমাদের যা করতে হবে, তা হলো বাস্তবতা মেনে নেওয়া এবং সামনে এগিয়ে যাওয়া।’

ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা এমবাপ্পের কৃতিত্ব দিতেও ভুলেননি সিটি বস। বলেন, ‘আমরা এমবাপ্পের গতির সঙ্গে ভালোভাবে প্রতিরোধ করতে পারিনি এবং এটি আরো কঠিন হয়ে পড়েছিল।’

মন্তব্য

বাবরের মন্থর ইনিংসেই ডুবেছে পাকিস্তান—বলছেন সাবেকরা

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
বাবরের মন্থর ইনিংসেই ডুবেছে পাকিস্তান—বলছেন সাবেকরা
৯০ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেছেন বাবর আজম। ছবি : এএফপি

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড লক্ষ্য দাঁড় করায় ৩২১ রানের। ওভারপ্রতি স্বাগতিকদের দরকার ছিল ৬.৪২ রান। কিন্তু ব্যাটিংয়ে সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বাবর আজম। ওপেনিংয়ে নেমে খেলেছেন ৯০ বলে ৬৪ রানের মন্থর ইনিংস।

ব্যাটিং করেছেন ৭১.১১ স্ট্রাইক রেটে। ফলাফল ৬০ রানে হেরে গেছে পাকিস্তান। এই হারে বিদায়েরও শঙ্কা জেগেছে পাকিস্তানের। 

টপ অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নেমে বাবরের এমন ইনিংসের সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম, ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও মোহাম্মদ কাইফের মতো সাবেকরা।

ম্যাচ হারের পেছনে বাবরের ইনিংসের দায় দেখছেন তারা। 

ইউটিউব চ্যানেল স্পোর্টস সেন্ট্রালের ম্যাচ-পরবর্তী বিশ্লেষণ অনুষ্ঠানে ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, ‘ম্যাচ শুরুর আগে আমি বলেছিলাম বাবর আজম যেন রান রেট নিয়ে না ভাবে। সে যতটা সম্ভব সময় নিক এবং পাকিস্তানের ব্যাটিং তাকে ঘিরে আবর্তিত হোক। কিন্তু আমার তো মনে হয় সে কথাটা সিরিয়াসলি নিয়ে ফেলেছে এবং সেটাই করেছে।

তাই বলে আমি ওকে এতগুলো ডট দিতে বলিনি।’

এদিন বাবর ৯০ বলের মধ্যে ৫২টি ডট বল খেলেছেন। অর্থাৎ ৫৭.৭৭% বলে তিনি কোনো রান নিতে পারেননি। আর ৩০০-এর বেশি লক্ষ্যে নেমে বাবর ফিফটি করতে খেলেছেন ৮২ বল। 

ভারতের সাবেক স্পিনার অশ্বিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘সালমান আলী আগার ব্যাটিংয়ের সঙ্গে ফিফটির পথে বাবরের যাত্রা যেন কচ্ছপ ও খরগোশের গল্পের সেরা চিত্রায়ণ।

৬৯ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর সহ-অধিনায়ক আগা সালমানের সঙ্গে ৫৯ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন বাবর। যার মধ্যে সালমান আগা ২৮ বলে করেছেন ৪২ রান, আর ৩১ বলে ১৬ রান বাবরের। ইনিংস দুটির পার্থক্য বোঝাতে গিয়েই অশ্বিন কচ্ছপ ও খরগোশের দৌড়ের গল্প মনে করালেন। 

আরেক সাবেক কাইফের মতে, বাবরের ব্যাটিং মনে হয়েছে বাপ-দাদার আমলের। তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘বাবর এখনো ৮০-এর দশকের ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছে। অনিয়মিত স্পিনারদের বিপক্ষে মাত্র দুটি বাউন্ডারি মেরেছে, মাঝের ওভারগুলোতেও অল্প রান এসেছে। এটা (এ ধরনের ব্যাটিং) আধুনিক ক্রিকেটে কোনো কাজে আসে না।’

পাকিস্তানের পরের ম্যাচ আগামী রোববার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে।

 

মন্তব্য
চ্যাম্পিয়নস লিগ

এমাপ্পের হ্যাটট্রিকে সিটির বিদায়, শেষ ষোলোয় রিয়াল

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
এমাপ্পের হ্যাটট্রিকে সিটির বিদায়, শেষ ষোলোয় রিয়াল
সিটির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন এমবাপ্পে। ছবি : রিয়াল মাদ্রিদ ওয়েবসাইট

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগে নামার আগে সিটি কোচ গার্দিওলা বলেছিলেন তাদের জেতার সম্ভাবনা এক শতাংশ। পরে অবশ্য তার সেই কথা থেকে সরে আসছিলেন বটে, কিন্তু প্রথম কথাই যেন সত্যি হলো। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারল না পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। কিলিয়ান এমবাপ্পের অসাধারণ হ্যাটট্রিকে ম্যানচেস্টার সিটিকে উড়িয়ে শেষ ষোলোয় জায়গা পাকা করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

 

বুধবার রাতে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগে ৩-১ গোলে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ ষোলোয় নাম লেখাল রিয়াল।

এদিন আর্লিং হালান্ড-কেভিন ডি ব্রুইনাদের বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজায় গার্দিওলা। তার চরম মূল্যও দিতে হয় ৫ মিনিটের মধ্যে গোল খেয়ে।

নিজেদের অর্ধ থেকে রাউল অ্যাসেনসিওর বাড়ানো বল দুই ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে সিটি গোলরক্ষক এডারসনের মাথার ওপর দিয়ে বলে জালে জড়ান কিলিয়ান এমবাপ্পে। ৩৩ মিনিটে সিটির জালে দ্বিতীয়বার বল জড়িয়ে সিটির সম্ভাবনা এক শতাংশ থেকে শূন্যতে নামিয়ে দেন ফরাসি স্ট্রাইকার। জোড়া গোল নিয়েই বিরতিতে যায় রিয়াল।

বিরতির পরও ম্যাচে ফেরার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি সিটি।

৬১তম মিনিটে উল্টো হ্যাটট্রিক করে সিটির বিদায় ঘন্টা অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন এমবাপ্পে। রিয়ালের হয়ে এটি তার দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তৃতীয় আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২১তম। 

দুই লেগ মিলিয়ে ৬-২ গোলে পিছিয়ে পড়া সিটি অন্তিম সময়ে ব্যবধান কমান নিকোর গোলে। তাতে তো আর বিদায় ঠেকানো যায়নি সিটির। প্লে-অফেই শেষ হয় তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগ যাত্রা।

 

পিএসজি ১০-০ গোলের জয়ে শেষ ষোলোতে 

অন্য ম্যাচে ব্রেস্তেকে ৭-০ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জিতেই শেষ ষোলো একরকম নিশ্চিত করে রেখেছিল পিএসজি। তবে গত রাতে ঘরের মাঠে পিএসজি ব্রেস্তের জালে বড় বল জড়িয়েছে ৭ বার। দুই লেগ মিলিয়ে প্লে অফে পিএসজির জয় ১০-০ গোলে। এই জয়ের পথে একটি রেকর্ডও গড়েছে পিএসজি। এই ম্যাচে পিএসজির ৭ টি গোল করেছেন ৭ জন আলাদা খেলোয়াড়। যা চ্যাম্পিয়নস লিগের মঞ্চে প্রথমবার ঘটল।

1

জুভেন্টাসকে বিদায় করল পিএসভি

ঘরের মাঠে প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতে শেষ ষোলা মনে হচ্ছিল সহজে জায়গা পাবে জুভেন্টাস। কিন্তু পিএসভি তাদের মাঠে ৩-১ গোলে জিতে জুভেন্টাসের বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছে।  দুই লেগ মিলিয়ে পিএসভির জয় ৪-৩ গোলে শেষ ষোলোয় পৌছে যায় পিএসভি।

শেষ ষোলোয় ডর্টমুন্ড

ঘরের মাঠে একটি ড্র করেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। স্পোর্তিং লিসবনের মাঠে প্রথম লেগে ৩-০ গোলে জিতে অনেকটাই নির্ভার ছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। আজ দ্বিতীয় লেগে কিংবা ন্যুনতম ২-০ গোলের হারই ছিল যথেষ্ট ছিল। ম্যাচটা অবশ্য ড্র হয়েছে। আর তাতেই দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলে জিতে শেষ ষোলোয় পৌছেছে ডর্টমুন্ড।

মন্তব্য

ক্রিকেটের ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’

মাসুদ পারভেজ, দুবাই থেকে
মাসুদ পারভেজ, দুবাই থেকে
শেয়ার
ক্রিকেটের ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’
বুর্জ খলিফা। ছবি : সংগৃহীত

রোহিত শর্মার জন্য অপেক্ষা চলতেই থাকে কিন্তু তিনি আর আসেন না! সংবাদ সম্মেলন শুরুর নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর জানা যায় দেরির কারণ। আইসিসির মিডিয়া বিভাগের এক কর্মী জানান, যানজটে আটকে পড়ায় ভারত অধিনায়কের আসতে আরো কিছুটা দেরি হবে। আজকের বাংলাদেশ ম্যাচ সামনে রেখে অনুশীলনের জন্য ভারতীয় দল হোটেল যে সময়ে ছেড়েছে, সেসময়টায় এরকমই হওয়ার কথা। কর্ম দিবসে বিকেল বেলা অফিস ছুটির সময় যে দুবাইতে যানবাহনের গতি স্তিমিত হয়ে আসে।

পরিবর্তনশীল দুবাই এই একটি জায়গায় অবিকল আগের মতোই আছে। না হলে বদলের নিত্য নতুন নমুনা অনেকই আছে। সারি সারি আকাশচুম্বী অট্টালিকায় দুবাইয়ের ট্রেডমার্ক যে স্কাইলাইন, তাতেও অচিরেই যোগ হচ্ছে নতুন আরেকটি। মরু শহরের আকাশ ফুঁড়ে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনের মর্যাদা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ‘বুর্জ খলিফা’র ২ কিলোমিটারের মধ্যেই চলছে ‘বুর্জ আজিজি’র মহা নির্মানযজ্ঞ।

উচ্চতায় সেটি আগেরটিকে টপকে যাচ্ছে না অবশ্য। তবে নির্মিতব্য এই ১৩৩ তলা ভবন নিয়ে এমন প্রচার-প্রচারণা চলছে যে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর বিশাল সব ছবিতে ছেয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য যেটিকে বলা হচ্ছে শহরের ‘নতুন গন্তব্য’।
 
নানা উপলক্ষ্য আর আয়োজনে দুবাই অবশ্য নিয়মিত বিরতিতেই সারা পৃথিবীর মানুষের গন্তব্য হয়ে ওঠে।
ঠিক এই মুহূর্তেই যেমন। দুবাই স্পোর্টস সিটিতে যাওয়ার পথে গ্লোবাল ভিলেজে চলছে ‘গালফ ফুড ফেস্টিভাল’। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই খাদ্য মেলা উপলক্ষ্যে এখানে বিভিন্ন দেশের মানুষের এমন উপচে পড়া ভিড় যে হোটেলগুলো জায়গা দিয়ে কুলাচ্ছে না। আর বাড়তি চাহিদার কারণে ভাড়াও চড়া। পুরনো দুবাই খ্যাত দেরা এলাকার ‘চিৎকাইত’ ধরনের নিবাসও পাঁচ তারকা মানের হোটেলের সমান ভাড়া হাঁকিয়ে বসে থাকছে।
তাতে অসংখ্য পর্যটকের বিড়ম্বনা বাড়ানোর এই সময়ে ক্রিকেটও প্রচুর মানুষ টেনে এনেছে এখানে। অথচ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ঘরোয়া আসর আইএল টি-টোয়েন্টি শেষ হওয়ার পর আপাতত এখানে ক্রিকেটের কোনো আয়োজন থাকারই কথা ছিল না।

কিন্তু রাজনৈতিক বৈরিতায় ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের না গলা বরফই ক্রিকেট উৎসাহী জনতার ঢল নামিয়েছে এখানে। এবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। সেখানেই সব ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও হচ্ছে না। ভারত পাকিস্তানে যাবে না বলে তাঁদের গ্রুপ ম্যাচগুলো হচ্ছে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। একই গ্রুপে পড়ায় পাকিস্তানকেও নিজ দেশ ছেড়ে এসে চির প্রতিদ্ব›দ্বীর বিপক্ষে নামতে হচ্ছে এখানে। গত রাতে করাচিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলেই আজ তাই দুবাইতে আসছে পাকিস্তান। নিজের দেশের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে পা রাখছে বাইরে। অবশ্য এমন অভিজ্ঞতা যে তাঁদের এবারই প্রথম হচ্ছে, তা নয়। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের আয়োজক হয়েও তাঁদের ভারত ম্যাচ খেলতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কায় গিয়ে।

এবার ২৮ বছর পর কোনো বৈশ্বিক আয়োজনের আয়োজক হয়েও তাঁদের একই ভাগ্য। তাও আবার এমন দেশে এসে ভারতের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, যাঁরা আইসিসির প্রতিযোগিতায় কালেভদ্রে খেলার সুযোগ তৈরি করে নিতে পারে। শেষবার সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্ব আসরে খেলেছিল অস্ট্রেলিয়ায় ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। নিজেরা খেলতে না পারলেও আয়োজনের দক্ষতা তাঁদের এগিয়ে দেয় বলেই বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের দুই প্রতিবেশী ২৩ ফেব্রুয়ারি এখানে মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায়। যা দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ গিয়ে শান্তির পতাকা বৈঠক করার মতোই অনেকটা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ