খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস গাঁয়ের মানুষদের থাকলেও শহরে বসবাসকারীরা এ কথা ভাবতেও পারেন না। পারতপক্ষে তারা চেষ্টা করেন, ঘরের ভেতরেও জুতা পরে থাকতে। যদিও ইট-পাথরের তৈরি শহরের শক্ত মাটিতে তা সম্ভবও নয়। অথচ শিশিরভেজা নরম তাজা ঘাসের ওপর খালি পায়ে হাঁটা যে কতটা উপকারী, তা অনেকেই জানেন না।
প্রতিদিন ১০ মিনিট খালি পায়ে হাঁটলে কী উপকার
জীবনযাপন ডেস্ক

অনিদ্রা ও উদ্বেগ দূর তো হয়ই, প্রতিদিন নিয়ম করে খালি পায়ে হাঁটলে আরো অনেক উপকার পেতে পারেন। কী সেই উপকারিতা, চলুন দেখে নেওয়া যাক—
নেগেটিভ ইলেকট্রন শোষণ
খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটলে পা সরাসরি মাটি স্পর্শ করে। মাটি দেহ থেকে সরাসরি নেগেটিভ ইলেকট্রন শোষণ করে। এটি অভ্যন্তরীণ বায়োইলেক্ট্রিক্যাল পরিবেশের ভারসাম্যতা সৃষ্টি করতে সাহায্য করে।
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি
আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশ পানি। তাই শরীর যত বেশি মাটির সংস্পর্শে আসবে ততই কর্মক্ষমতা বাড়াবে।
পেশি ও পায়ের আরাম
হঠাৎ করে শরীরচর্চা বা কোনো ভারী কাজ করার ফলে শরীরে ব্যথা হয় বা পেশিতে টান লাগে। গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পায়ে কিছুক্ষণ হাঁটলে সেই ব্যথা অনেকটা কমে যায়। হিল দেওয়া বা অসমতল জুতা শারীরিক গড়নে যেমন প্রভাব ফেলে, তেমনই ঘাড়, পিঠ, কোমর, গোড়ালি কিংবা হাঁটু ব্যথায় কষ্ট দেয়। খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস পা-কে আরাম দেয় এবং পাতা, গোড়ালি ও পায়ের আঙুল শক্তিশালী করে তোলে।
মানসিক অবসাদে স্বস্তি ও অনিদ্রা দূর
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়ম করে খালি পায়ে হাঁটেন তাদের মানসিক অবসাদ অনেক কম হয়। কমে উদ্বেগও। খালি পায়ে হাঁটলে বা মাটির সংস্পর্শে থাকলে খুব ভালো ঘুম হয়। তাই অনিদ্রায় কষ্ট পেলে প্রতিদিন ভোরবেলায় খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটুন। শান্তির ঘুম হবে।
নিয়ন্ত্রণে মাইগ্রেন
ক্ষতিকারক রশ্মির প্রভাবে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে। খালি পায়ে হাঁটলে মাটির স্পর্শে ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব থেকে দেহ অনেকটা মুক্তি পায়। মাইগ্রেনের মাথা ব্যথায় আরাম মেলে।
রক্তের খেয়াল
খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ কমিয়ে লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে কোষের রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিহত হয়, যার ফলে রক্তের ঘনত্ব কমে। কমে হৃদরোগের ঝুঁকিও।
সূত্র : এই সময়
সম্পর্কিত খবর

গরমে স্বস্তি দেবে অ্যালোভেরার জুস, আরো যে উপকার
জীবনযাপন ডেস্ক

গ্রীষ্ম না আসতেই গরম শুরু হয়ে গেছে। এই সময়ে গরম থেকে বাঁচতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ দুপুরের দিকে বের হতে চান না। বের হলেও বিভিন্ন পানীয়র ওপর নির্ভর করেন। তেমন এক পানীয় হচ্ছে অ্যালোভেরার জুস।
অ্যালোভেরার জুস নিয়মিত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। বহু বছরে ধরেই এটি ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অ্যালোভেরা গাছের পাতার ভেতর থেকে একরকম আঠালো রস বের হয়, সেটিই নানা কাজে ব্যবহৃত হয়।
অ্যালোভেরাকে বাংলায় অনেকে ঘৃতকুমারী গাছও বলে থাকেন। এতে থাকা পলিফেনল যৌগের কারণে প্রদাহ দূর হয়। এতে থাকা প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরকে ফ্রি-র্যাডিক্যালের হাত থেকে রক্ষা করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘস্থায়ী অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এমনকি এই কারণে হৃদরোগও দেখা দিতে পারে। অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রদাহনাশী উপাদান। এটোপিক ডার্মাটাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এই অ্যালোভেরা।
পানীয় হিসেবে এর রস পান করা যায়, আবার অনেকে এর রস ত্বকে লাগান। দুটিতেই দারুণ উপকার মেলে। এ ছাড়া টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে এই অ্যালোভেরা। শুধু তা-ই নয়, রক্তে ফ্যাটি এসিডের মাত্রাও কমাতে পারে এটি।
সূত্র : এবিপি লাইভ

শসা থেকে দূরে থাকবেন যারা
জীবনযাপন ডেস্ক

শীত চলে গিয়ে গরম শুরু হয়ে গেছে। গরম থেকে বাঁচতে এ সময় অনেকে অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করেন। এ সময় আরেকটি সমস্যা দেখা দেয়, সেটি হলো পানিশূণ্যতা। এ কারণে আমরা বেশিরভাগ সময় জলীয় উপাদান আছে এমন ফল ও শাক-সবজির দ্বারস্থ হই।
গ্রীষ্মের জন্য একটি নিখুঁত খাবার এ শসা।
পুষ্টিবিদদের মতে, শসায় রয়েছে উচ্চ মাত্রার পটাশিয়াম, যা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হাইপারক্যালেমিয়া হতে পারে। এটি একটি বিরল চিকিৎসা অবস্থা। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ শসা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা হতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে এটি কিডনির ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
তিতা শসা খাওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এর কারণ শসাতে কিউকারবিটাসিন এবং টেট্রাসাইক্লিক ট্রাইটারপেনয়েডের মতো বিষাক্ত পদার্থ থাকে। কিছু গবেষণা অনুসারে, শসার তিতা স্বাদ এই বিষাক্ত পদার্থের ফলে হয়, যা শরীরে অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে এবং ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে।
শসায় কিউকারবিটাসিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা কিছু লোকের ক্ষেত্রে হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে, বিশেষত যাদের স্বাস্থ্য ও হজমের সমস্যা রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শসা খেলে পেট ফাঁপা, বদহজম ও অস্বস্তি হতে পারে।
শসার বীজ হলো কিউকারবিটিনের একটি প্রধান উৎস, যা শসার একটি উপাদান যা মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে যুক্ত। বেশিরভাগ মানুষ তাদের খাদ্যতালিকায় আরো তরল যোগ করার জন্য শসা খান। তবে এটির অত্যধিক ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে, এটি মূত্রবর্ধক প্রকৃতির কারণে হয় যার ফলে আপনার শরীর থেকে তরল বের হয়ে যেতে পারে, ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য ব্যাহত হতে পারে এবং পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় শসা সাধারণত ক্ষতিকারক বলে বিবেচিত হয়। তবে, এই সবজির মূত্রবর্ধক প্রকৃতির কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব এবং পানির ক্ষয় হতে পারে, যা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আঁশের উপস্থিতিতে পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সূত্র : নিউজ ১৮

চায়ে যা মেশালে ফুরফুরে থাকবেন সারা দিন
জীবনযাপন ডেস্ক

গরম বলে অনেকে এ সময় চা খেতে চান না। তারাই কিন্তু কনকনে শীতে চা ছাড়া থাকতে পারেন না। আবার অনেকে আছেন— কনকনে শীত হোক বা ভ্যাপসা গরম, চা ছাড়া তাদের চলেই না। অনেকে বলে গরমে গরম কাটে।
প্রচণ্ড গরমে অনেকেই ধোঁয়া ওঠা চায়ে চুমুক দেওয়ার চেয়ে ঠাণ্ডা পানীয় খেতেই বেশি পছন্দ করেন। তবে এই গরমেও শরীর ঠাণ্ডা রাখতে চায়ের ওপর ভরসা রাখা যায়। তার জন্য সাধারণ চা পাতার সঙ্গে মেশাতে হবে ৩টি উপাদান। এই ৩টি উপাদান চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে গরমেও শরীর থাকবে সুস্থ, সতেজ।
হলুদ চা
এই গরমে রোদে পুড়ে ত্বক তার ঔজ্জ্বল্য হারাতে পারে। তাই শরীর সুস্থ রেখে, ত্বকের সঠিক পরিচর্যায় চায়ের সঙ্গে হলুদ মেশান। হলুদ রক্ত পরিষ্কার রাখতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক কাপ চায়ের জন্য এক চিমটি হলুদই যথেষ্ট। গরমে হলুদ মেশানো চা খেয়ে দেখুন, ফল পাবেন হাতে নাতে।
এলাচ চা
প্রচণ্ড গরমে হজমের নানা সমস্যা মাথা চাড়া দেয়। অম্বল, বুক জ্বালার মতো একাধিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে চা খান। ২ কাপ চায়ের জন্য ২টি এলাচ দিলেই চলবে। গরমে এলাচ চা খেয়ে দেখুন, উপকার পাবেন।
মৌরি চা
শরীর ঠাণ্ডা রাখতে মৌরি অত্যন্ত কার্যকরী একটি মশলা। হজমের নানা সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কাটাতেও সাহায্য করে মৌরি। ২ কাপ চায়ের জন্য ১ চামচ মৌরি নিন। চায়ের ফুটন্ত পানির মধ্যে এই ১ চামচ মৌরি দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এই চা প্রতিদিন অন্তত একবার খেতে পারলে ফল পাবেন হাতে নাতে।
সূত্র : আজতক বাংলা

ঘন ঘন অসুস্থ হচ্ছেন? জেনে নিন কারণ
জীবনযাপন ডেস্ক

শরীরে কখন কোন অসুখ আসবে, তা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। অনেকেই কম বয়সে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। মূলত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে সহজেই রোগে ভুগে থাকে মানুষ। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু অভ্যাস আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়।
প্রসেসড খাবারের অভ্যাস
অনেকেই বাজারের প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়ে থাকেন যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এসব খাবারে উপস্থিত ক্ষতিকর ফ্যাট প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
শাক-সবজি খাওয়া
শাক-সবজি খাওয়ার অভ্যাস শরীরের ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ করে। এ ছাড়া শরী্রে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
শরীরচর্চার অভাব
অনেকেরই দীর্ঘসময় এক জায়গায় বসে কাজ করতে হয়। যার ফলে শারীরিক পরিশ্রমের অভাব হয়। কিন্তু শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম বা হাঁটাচলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ধূমপান ও মদ্যপান
নেশাজাতীয় দ্রব্য যেমন ধূমপান বা মদ্যপান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া ক্যানসারের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
অপর্যাপ্ত ঘুম
রাতে যথেষ্ট ঘুম না হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। নিয়মিত অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন, যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকে।
সূত্র : আজকাল