দিন দিন গরম বাড়ছে। আর গ্রীষ্মের তীব্র গরমে মাথার তীব্র ব্যথা দেখা দেয়। এই মাথা ব্যথা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। মাইগ্রেনের কারণে মাথা ব্যথা হচ্ছে না তো?
মাথার তীব্র যন্ত্রণায় অনেকেই বেশ কষ্ট পান।
দিন দিন গরম বাড়ছে। আর গ্রীষ্মের তীব্র গরমে মাথার তীব্র ব্যথা দেখা দেয়। এই মাথা ব্যথা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। মাইগ্রেনের কারণে মাথা ব্যথা হচ্ছে না তো?
মাথার তীব্র যন্ত্রণায় অনেকেই বেশ কষ্ট পান।
এ ছাড়া কানে অনেকক্ষণ হেডফোন রাখলে, একটানা ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাব, টিভি দেখলে, জোরে গান শুনলে, জোরে আওয়াজ হলে, বেশি আলোয় মাথা ব্যথা বাড়তে পারে। অনেকের আবার মাথার পেছনের অংশে ব্যথা হয়, যা একটু চিন্তার বিষয়। তাই অবহেলা না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
মাথা ব্যথার সঠিক বা নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই।
কিন্তু আপনার মাথা ব্যথা মাইগ্রেন কিনা সেটা বুঝবেন কিভাবে? চিনে নিন মাইগ্রেনের পরিচিত লক্ষণগুলো।
মাইগ্রেনের লক্ষণ
সাধারণ মাথা ব্যথার তুলনায় মাইগ্রেনের মাথা ব্যথা একটু অন্য ধরনের হয়।
মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে মাথা ব্যথার পাশাপাশি গা গুলিয়ে বমি পেতে পারে। মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে মাথার একদিকে মাথা ব্যথা হয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। মাথার পেছনেও ব্যথা হতে পারে।
যদি দেখেন মাথা ব্যথা শুরু হলে আপনি জোরে শব্দ, বেশি আলো সহ্য করতে পারছেন না, তাহলে বুঝতে হবে মাইগ্রেন রয়েছে। মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে মাথা ব্যথা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা অতিরিক্ত ক্লান্তি এবং ঝিম ধরা ভাব থাকতে পারে শরীরে।
মাইগ্রেনের ব্যথা নানা কারণে বাড়তে পারে। বাইরে প্রচুর রোদে বের হলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে। অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে। রাতে ভালোভাবে ঘুম না হলেও বাড়তে পারে মাইগ্রেনের সমস্যা।
নারীদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডসের আগে মাইগ্রেন অ্যাটাক হতে পারে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে।
মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। মুঠো মুঠো পেইনকিলার খেয়ে মাথা ব্যথা কমাতে যাবেন না। উল্লিখিত উপসর্গগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অবহেলা করলে চলবে না।
সূত্র : এবিপি লাইভ
সম্পর্কিত খবর
রমজান মাস শেষে আসছে ঈদ। আর এই সময় সবাই নতুন জামা-কাপড় কিনে থাকেন। নতুন জামা-কাপড়ের প্রতি আকর্ষণ থাকে সবারই। পছন্দের ওই পোশাকটি দ্রুত না পরা পর্যন্ত যেন মনের অস্থিরতা কাটেই না।
ত্বকে র্যাশ পড়া
প্রায়শই শপিং মল কিংবা দোকানে জামা-কাপড় ঝোলানো অবস্থায় দেখা যায়।
চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়া
সুন্দর পোশাকটি আপনার কাছে আসার পূর্বে অনেক মানুষের ছোঁয়া লাগে। তৈরি থেকে শুরু করে প্যাকেট করা বা দোকানের সেলসম্যান অর্থাৎ বহু মানুষের হাতের স্পর্শ লেগে যায় কাপড়ে।
ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি
শুধু অন্যের হাতের ছোঁয়াই নয়, পোশাককে নিখুঁতভাবে আপনার সামনে উপস্থাপন করতে নানারকম রাসায়নিক ও রং ব্যবহার করা হয়। এই উপাদান আপনার ত্বকের অনেক ক্ষতি করতে পারে।
উকুনের বিস্তার ঘটা
নতুন পোশাক থেকে উকুনের বিস্তার একটি সাধারণ বিষয়। যেসব দোকানে বিশেষ করে পোশাক ট্রায়াল দিয়ে কেনার ব্যবস্থা আছে সেখানে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
অন্যের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হওয়া
পোশাক ট্রায়ালের সময় অনেক ক্রেতা ঘামে ভেজা শরীরে ট্রায়াল দিয়ে চলে যান। পরে আপনি যদি সেই পোশাকটিই কিনে আনেন এবং না ধুয়েই পরেন তাহলে আগে ট্রায়াল দেওয়া মানুষটির শরীরের রোগ জীবাণু আপনার শরীরে চলে আসতে পারে। আপনিও তার শরীরে থাকা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন।
নতুন কাপড়ে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ডাই ও কেমিক্যাল থাকতে পারে যা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই সুস্থ থাকার জন্য কেবল নতুন পোশাক নয়, নতুন তোয়ালে থেকে শুরু করে মোজা পর্যন্ত সব কিছুই ব্যবহারের আগে ভালোভাবে ধুয়ে তারপর পরিধান করুন। এ ছাড়া জীবাণু ও কেমিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
সূত্র : ডাক্তার ভাই
‘হার্ট অ্যাটাক’ শব্দ দুটি শুনলেই ভয়ে মুখ শুকিয়ে যায়। এই আধুনিক সময়ে হার্ট অ্যাটাক মৃত্যুর একটি বড় কারণ হয়ে উঠেছে। একটা সময় ছিল যখন বয়স্কদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা দেখা যেত, কিন্তু আজকাল ফিট তরুণরাও এর শিকার হচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্যাপ্টেন তামিম ইকবালও শিকার হয়েছেন এমন রোগের। সম্পূর্ণ সুস্থ ও ফিটনেস থাকা সত্ত্বে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে হার্টে রিং পরাতে হয়েছে। এ থেকে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত যে যে কারো যেকোনো সময়ই এ সমস্যাটি দেখা দিতে পারে।
আজকাল খারাপ জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। এই যুগেও মানুষের হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে। এই সম্পর্কিত অনেক মিথ এখনো মানুষের হৃদয়ে ভয় তৈরি করে। তাই আজকের প্রতিবেদনে হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কিত মিথ এবং সত্যগুলি জেনে নেওয়া যাক।
মিথ ১: হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কম কাজ করা উচিত
সত্য: অনেকেই বিশ্বাস করেন যে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির বিশ্রাম নেওয়া উচিত অথবা কঠোর পরিশ্রম করা উচিত নয়। কিন্তু সত্য হলো হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা মোটেও ভালো নয়। কারণ শারীরিক পরিশ্রমের ফলে হৃৎপিণ্ডের পেশি শক্তিশালী হয় এবং একই সঙ্গে পুরো শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে, যা হৃদরোগীদের জন্য উপকারী। তবে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের তীব্র ব্যায়াম এড়িয়ে চলা উচিত এবং শুধু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করা উচিত।
মিথ ২: বেশি ব্যায়াম করলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে না
সত্য: বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি শরীরের নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে।
মিথ ৩: তরুণদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি নেই
সত্য: সাধারণত তরুণদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক কম দেখা যায়। বেশিরভাগ বয়স্ক ব্যক্তিরা হার্ট অ্যাটাকে ভোগেন। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল যে তরুণদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি নেই। হার্ট অ্যাটাকের বয়সের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ পারিবারিক ইতিহাস, মানসিক চাপ, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা, খারাপ জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ ও স্থূলতার মতো কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
মিথ ৪: বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ
সত্য: বুকে ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে, তাই বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হওয়া জরুরি নয়। যদিও বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের সংকেতও হতে পারে। যদি হৃদযন্ত্রের ধমনীতে কোনো বাধা থাকে, তবে বুকে ব্যথা হতে পারে। যা হার্ট অ্যাটাকের কারণে হয়। কাঁধে ব্যথা, চোয়ালে ব্যথা, গলা ব্যথা, ঘাম, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা বা ক্লান্তির মতো উপসর্গগুলোও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। এর মানে হলো বুকে ব্যথা হৃদরোগের একমাত্র লক্ষণ নয় বরং এটি শরীরের অন্যান্য অংশেও ব্যথার কারণ হতে পারে।
মিথ ৫: হার্ট অ্যাটাক শুধু উচ্চ রক্তচাপের কারণে হয়
সত্য: উচ্চ রক্তচাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলেও, হৃদরোগের অন্যান্য কারণও রয়েছে। যেমন- উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, ধূমপান, স্থূলতা, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ও মানসিক চাপ ইত্যাদি।
মিথ ৬: বুকের ডান দিকে ব্যথা হলে তা হার্ট অ্যাটাক নয়
সত্য: সাধারণত বিশ্বাস করা হয় যে বুকের বাম দিকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু সত্য হলো হার্ট অ্যাটাকে, বুকের ডান, বাম বা উভয় পাশে ব্যথা বা টানটান ভাব হতে পারে। এতে কেবল বুকেই নয়, হাত, চোয়াল, ঘাড় ও কাঁধেও ব্যথা হতে পারে।
মিথ ৭: হার্ট অ্যাটাক শুধু রাতে হয়
সত্য: হার্ট অ্যাটাক যেকোনো সময় হতে পারে। তবে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে বিকেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি হতে পারে।
মিথ ৮: সুস্থ মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে না
সত্য: শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা মানেই যে আপনার হার্ট অ্যাটাক হবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কারণ শারীরিক ব্যায়াম শরীরের পেশি শক্তিশালী করে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং শরীরে কোলেস্টেরল তৈরি হতে বাধা দেয়। পারিবারিক ইতিহাস, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ইত্যাদি অনেক কারণেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই শারীরিকভাবে সুস্থ ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কম থাকে, তবে তার হার্ট অ্যাটাক হবে না এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।
সূত্র : বোল্ডস্কাই
গরম শুরু হতে না হতেই শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। পানি খেতে একটু ভুল হলেই হতে পারে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা ডায়রিয়ার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমন পরিস্থিতিতে এই গরমে সাবধানতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি।
ডায়েরিয়ার সমস্যা খুব অল্প সময়ের জন্য। যা কয়েকদিনের মধ্যে নিজেই সেরে যায়। কিন্তু ডায়েরিয়ার সমস্যা যদি কয়েক সপ্তাহ ধরে থাকে, তাহলে তা অন্ত্রের রোগ বা অন্ত্রে সংক্রমণ বা প্রদাহ হতে পারে।
ডায়রিয়ার লক্ষণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত সংক্রমণের কারণে ডায়রিয়া হয় এবং এর কারণে পুরো শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
ডায়েরিয়া হলে কী খাবেন
ডায়েরিয়ার সমস্যা দ্রুত সারাতে কলা, ভাত, আপেল ও রুটি খেতে হবে। এই জিনিসগুলো বেশ হালকা।
ডায়েরিয়ার ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত যাতে, আপনার শরীর হাইড্রেটেড থাকে। পানি ছাড়াও কম পাতার চা, নারকেল পানিও খেতে পারেন। এ ছাড়া ডিম বা রান্না করা শাক-সবজি খেতে পারেন।
ডায়েরিয়া হলে যা খাবেন না
ডায়েরিয়া হলে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা খাওয়া উচিত নয়। এই জিনিসগুলো আপনার পরিপাকতন্ত্রের ওপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া এই জিনিসগুলো আপনার সমস্যা কমানোর পরিবর্তে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এই অবস্থায় দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ফল, চর্বিযুক্ত ও মসৃণ জিনিস, মশলাদার খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, শূকরের মাংস, কাঁচা শাক-সবজি, পেঁয়াজ, ভুট্টা, সাইট্রাস ফল, অ্যালকোহল, কফি, সোডা, কৃত্রিম মিষ্টি জাতীয় খাবার একেবারেই খাবেন না।
ডায়রিয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে যা করবেন
ডায়রিয়া হলে টানা বিশ্রাম নিন এবং সাধারণ খাবার খান। এই অবস্থায় আপনি সহজে হজমযোগ্য জিনিস যেমন কলা, ভাত ও টোস্ট খেতে পারেন। এ ছাড়া এই সময়কালে দুগ্ধজাত পণ্য, ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল খাওয়া এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধ এবং কিছু ওষুধ এর লক্ষণগুলো কমাতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু উপসর্গগুলো যদি অব্যাহত থাকে বা অবস্থার অবনতি হতে দেখা যায়, তাহলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
নিজেকে যেভাবে নিরাপদ রাখবেন
আপনি যদি ডায়রিয়া বা গ্রীষ্মের অন্যান্য রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চান, তাহলে সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং হারিয়ে যাওয়া ইলেক্ট্রোলাইট পূরণের জন্য পানি, বাটারমিল্ক বা টাটকা নারকেলের পানি পান করুন।
এ ছাড়া এই প্রচণ্ড গরমে আপনি যাই খান না কেন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। ফল ও শাক-সবজি ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং রাস্তার খাবার বা কম রান্না করা বা ভুলভাবে তৈরি করা খাবার এড়িয়ে চলুন।
ডায়ারিয়া এড়াতে খাওয়ার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। এ ছাড়া শুধু বোতলজাত বা ফুটানো পানি পান করুন। ভ্রমণের সময় বা দাঁত মাজার সময় পরিষ্কার পানি ব্যবহার করুন।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
সাধারণত বিশ্রাম, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ওষুধের সাহায্যে ডায়েরিয়া নিরাময় করা যায়। কিন্তু আপনি যদি ২ দিনের বেশি সময় ধরে এই সমস্যার সম্মুখীন হন এবং খুব ডিহাইড্রেটেড বোধ করেন তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডিহাইড্রেশন ছাড়াও যদি আপনার শরীরে অন্য কোনো উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
সূত্র : আজতক বাংলা
মেয়োনিজ খেতে কমবেশি সবাই ভালোবাসেন। তবে এই মেয়োনিজ খাওয়া কি আদৌ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, নাকি ক্ষতিকর। বর্তমান সময়ে মেয়োনিজের চাহিদাও কিন্তু বাজারে বাড়ছে। কোনো খাবারের ওপরে মেয়োনিজ ছড়িয়ে দিলে কিন্তু খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে।
পুষ্টিবিদদের মতে, এই মেয়োনিজ কিন্তু খুব ক্ষতিকর। এতে মনোসোডিয়াম, গ্লুটামেট থাকে। যা শরীরে গিয়ে খাদ্যে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে। অনেক সময় এতে মাথা ঘোরে, দুর্বলতার মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়।
মেয়োনিজ তৈরির উপকরণ
তেল, ডিমের কুসুম, লেবুর রস, ভিনেগার দিয়ে মেয়োনিজ তৈরি করা হয়। তার সঙ্গে লবণ, গোলমরিচ, সাদা সরিষা এবং অন্যান্য মসলা দেওয়া হয়।
হার্টের সমস্যা
স্যান্ডউইচ, মোমো, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, সিঙ্গারা, চিপস মেয়োনিজ দিয়ে খেতে অসাধারণ লাগে। তবে এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুব বিপদজ্জনক। এটি খাওয়ার ফলে আপনার ওজন বাড়তে পারে। হজমের সমস্যা হতে পারে। আবার খাবারে বিষক্রিয়াও হতে পারে। এর ক্ষেত্রে হার্টের নানান সমস্যা দেখা দেয়। আবার শরীরে অঙ্গে নানান সমস্যা দেখা দেয়।
ওজন বেড়ে যায়
অতিরিক্ত মেয়োনিজ খেলে আপনার ওজন বাড়তে থাকবে। এতে ক্যালরির পরিমাণ সবথেকে বেশি থাকে। যা খেলে মেয়েদের ওজন হু হু করে বাড়বে। তাই এর থেকে দূরে থাকুন।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে
শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে মেয়োনিজ। এতে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এ ছাড়া বাড়বে হৃদরোগে ঝুঁকিও। এমনকি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও হতে পারে। তাই আগেই সাবধান হোন।
রক্তচাপ বৃদ্ধি করে
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে চাইলে ভুলেও মেয়োনিজ খাবেন না। এতে শরীরের রক্তচাপের মাত্রাও বাড়তে পারে। প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৬ ফ্যাটি আছে মেয়োনিজে। যা রক্তচাপ বাড়াতে পারে। ডায়াবেটিক রোগীদের মেয়োনিজ থেকে দূরে থাকা উচিত। আবার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে মেয়োনিজ।
সূত্র : আজতক বাংলা