ঢাকা, সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫
১৭ চৈত্র ১৪৩১

ঢাকা, সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫
১৭ চৈত্র ১৪৩১

পেরুকে উড়িয়ে দুর্দান্ত জয় ব্রাজিলের

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
পেরুকে উড়িয়ে দুর্দান্ত জয় ব্রাজিলের

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে ব্রাজিল। ব্রাসিলিয়ায় আজ সকালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে পেরুকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। জোড়া গোল করেছেন রাফিনিয়া। বাকি দুই গোল আসে আন্দ্রেস পেরেইরা ও লুইস হেনরিকের পা থেকে।

শেষ ম্যাচে চিলির বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে জয় পেয়েছিল সেলেসাওরা। তবে এবার জয় পেতে কষ্ট হয়নি ব্রাজিলের। পেরুকে বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বাছাইপর্বের টানা দুই ম্যাচে জয়ে পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান সুসংহত করল ব্রাজিল।


ঘরের মাঠে শুরু থেকেই প্রত‍্যাশিত আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলে ব্রাজিল। তবে ১২ মিনিটে গোল উল্টো হজম করলেও পেরুর গোলটি বাতিল হয় অফসাইডের কারণে।ব্রাজিলের প্রথম গোল আসে পেনাল্টি থেকে। ৩৪ মিনিটে পেরুর ডিফেন্ডার কার্লোস সামব্রানোর হাতে বল লাগলে পেনাল্টির আবেদন জানায় ব্রাজিলের খেলোয়াড়েরা।

শুরুতে সাড়া দেননি রেফারি। পরে ভিএআরে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পেনাল্টি থেকে জোরাল শটে জাল খুঁজে নেন রাফিনিয়া। এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ৫৪তম মিনিটে ব্রাজিলের দ্বিতীয় গোলটিও এসেছে পেনাল্টি থেকে।
আবারও গোল করেন রাফিনিয়া। ব্রাজিলের জার্সিতে এটি তার নবম গোল।

২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ব্রাজিল। ৭১ মিনিটে পেয়ে যায় তৃতীয় গোলের দেখা। লুইস হেনরিকের ডানপ্রান্ত থেকে পাওয়া ক্রসে অসাধারণ এক সাইডভলিতে বল জালে জড়ান আন্দ্রেস পেরেইরা। এর তিন মিনিট পর গোল করেন হেনরিক নিজেও। পেরুর তিন খেলোয়াড়ের মাঝ থেকে গোল আদায় করে নেন এই মিডফিল্ডার। 

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার চারে ব্রাজিল। সমান পয়েন্টে নিয়েও গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় উরুগুয়ে আছে তিনে। ২২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আর্জেন্টিনা।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যে রেকর্ডে গেইলের পর গিল

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
যে রেকর্ডে গেইলের পর গিল
ছবি : বিসিসিআই

আইপিএলের ইতিহাসে একক মাঠে হাজার রানের কীর্তি গড়েছেন শুবমান গিল। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে শনিবার ২৭ বলে ৩৮ রান করার পথে এই কীর্তি গড়েন গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক। একক কোনো মাঠে হাজার রানের কীর্তি গড়া তিনি ১৬ তম ক্রিকেটার। এজন্য তার লেগেছে ২০ ইনিংস।

আইপিএলে কোনো মাঠে দ্বিতীয় দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড এটি। তার ওপরে আছেন ক্রিস গেইল। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ১৯ ইনিংসে হাজার ছুঁয়ে রেকর্ডটি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সাবেক ব্যাটসম্যান গেইলের।

এই মাঠে ৪৪ ইনিংসে ক্যারিবিয়ান মহাতারকার রান এক হাজার ৫৬১।

গড় ৪১.০৭ ও স্ট্রাইক রেট ১৫৯.৯৩। এখানে তার ফিফটি আছে ৮টি, সেঞ্চুরি ৩টি। 

নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ২০ ইনিংসে গিলের রান এখন এক হাজার ২৪। গড় ৬০.২৩ ও স্ট্রাইক রেট ১৬০.২৫।

আইপিএলে তার চার সেঞ্চুরির তিনটিই এই মাঠে। 

ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে একাধিক মাঠে হাজার রান আছে শুধু ডেভিড ওয়ার্নারের। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে ৩২ ইনিংসে তিন সেঞ্চুরিতে তার রান এক হাজার ৬২৩। দিল্লির আরুন জেটলি স্টেডিয়ামে ৩৬ ইনিংসে একটি সেঞ্চুরিতে তিনি করেছেন এক হাজার ৪৮ রান।

কোনো এক মাঠে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড কোহলির।

চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ৮৬ ইনিংসে করেছেন ৩ হাজার ৪০ রান। গড় ৪০.৫৩ ও স্ট্রাইক রেট ১৪২.৫৮। সেঞ্চুরি আছে চারটি, ফিফটি ২২টি।

এক মাঠে দুই হাজারের বেশি রান আছে আর কেবল রোহিত শার্মার। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৭৯ ইনিংসে একটি সেঞ্চুরিতে তার রান ২ হাজার ২৯৫।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আইপিএলের ইতিহাসে এমন অভিজ্ঞতা আগে হয়নি রশিদ খানের

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
আইপিএলের ইতিহাসে এমন অভিজ্ঞতা আগে হয়নি রশিদ খানের
রশিদ খান।

গুজরাট টাইটান্সের হয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিং করে রশিদ খান দেন মাত্র ৪ রান। দশম ওভারেও খরচ করেন মাত্র ৬ রান। তবে দুই ওভারে ১০ রান খরচ করেও আর বোলিং পেলেন না রশিদ। আর তাতে আইপিএলে বিরল এক অভিজ্ঞতা হলো আফগান লেগ স্পিনারের।

আইপিএলে ২০ ওভারের কোনো ইনিংসে তার কোটার চার ওভার পূর্ণ না হওয়ার প্রথম ঘটনা এটিই। অর্থাৎ আইপিএলে এখন পর্যন্ত ১২৩ ম্যাচ খেলে প্রথম এমন অভিজ্ঞতা হলো রশিদের।

২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত আইপিএলে খেলছেন রাশিদ। ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে এখন পর্যন্ত ১২৩ ম্যাচে ওভারপ্রতি ৬.৮৬ করে রান দিয়ে তার উইকেট ১৫০টি।

যদিও কালকের ম্যাচে মাত্র ২ ওভার। মাত্র ১০ রান দিলেও, এই লেগস্পিনার কোনো উইকেট পাননি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এরপর রশিদকে আর বোলিংয়েই আনেননি গুজরাট অধিনায়ক শুভমান গিল।

অবশ্য রশিদের বাকি দুই ওভার ছাড়াই ২০ ওভারে মুম্বাইকে ১৬০ রানে থামিয়ে ৩৬ রানের জয় তুলে নেয় শুভমান গিলের নেতৃত্বাধীন গুজরাট।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ম্যানসিটির খারাপ মৌসুমের জন্য আমি দায়ী : গার্দিওলা

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
ম্যানসিটির খারাপ মৌসুমের জন্য আমি দায়ী : গার্দিওলা
পেপ গার্দিওলা।

ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা এই মৌসুমে তার পারফরম্যান্সকে   ‘সত্যিই দুর্বল’ বলে অভিহিত করেছেন। আর এর জন্য নিজেকে দায়ী করলেন তিনি। 

গত চার মৌসুম ধরে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ী সিটি বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চম স্থানে রয়েছে, যেখানে লিভারপুলের চেয়ে ২২ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে (নয় ম্যাচ বাকি থাকতে)।২০১৬ সালে সিটিতে যোগদানের পর গার্দিওলা দলকে ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা এনে দিয়েছেন।

তার কোচিং ক্যারিয়ারে কখনও কোনো ক্লাবকে তৃতীয় স্থানের নিচে নিয়ে যেতে হয়নি। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।

এই মৌসুমে তার নিজের কাজকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন এমন প্রশ্নের জবাবে ৫৪ বছর বয়সী গার্দিওলা বলেন, ‘এই মৌসুমে? সত্যিই দুর্বল।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা অতীতে যেসব শিরোপা জিতেছি, সেখানে প্রতিপক্ষরা কখনো আমাদের জন্য লাল গালিচা পেতে দেয়নি।

আমার দায়িত্ব ছিল এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা, যা আমি এই মৌসুমে করতে পারিনি।"

গার্দিওলা জানান, ‘এর পেছনে “কিছু ছোটখাটো বিষয়” রয়েছে, তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এটা পরবর্তী মৌসুমে ঘটবে না। এটি গুরুত্বপূর্ণ।’

এদিকে, রবিবার এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বোর্নমাউথের মুখোমুখি হবে সিটি।

টানা সপ্তমবারের মতো সেমিফাইনালে পৌঁছানোর লক্ষ্য থাকলেও, গার্দিওলা স্পষ্ট করে দিয়েছেন—এফএ কাপ জয় বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যোগ্যতা অর্জনও এই মৌসুমের ব্যর্থতা ঢাকতে পারবে না।

তিনি বলেন, ‘এফএ কাপের ফাইনালে পৌঁছানো এবং এটি জেতা, পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য কোয়ালিফাই করা সিটির জন্য একটি বড় সাফল্য হবে। তবে মৌসুমটি অত্যন্ত খারাপ ছিল এবং এটি পরিবর্তন হবে না।’

‘আমাদের মান এবং অনেক কিছুই ভালো ছিল না, এটি বাস্তবতা। আমরা একটি শিরোপা জিতলেই বা চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য যোগ্যতা অর্জন করলেই এটি পরিবর্তন হবে না।

মন্তব্য

রোনালদোকে ছুঁয়ে এমবাপ্পে বললেন, এটা খুবই স্পেশাল

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
রোনালদোকে ছুঁয়ে এমবাপ্পে বললেন, এটা খুবই স্পেশাল
ছবি : এএফপি

লা লিগায় শনিবার রাতে লেগানেসের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের ৩-২ গোলের জয়ে জোড়া গোল করেন এমবাপ্পে। এই দুই গোলে চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তার গোল হয়ে গেল ৩৩টি। রিয়াল মাদ্রিদে অভিষেক মৌসুমেই সবচেয়ে বেশি গোলের তালিকায় ফরাসি তারকা স্পর্শ করলেন তার আদর্শ রোনালদোকে।

রিয়ালের হয়ে নিজেদের প্রথম মৌসুমে (২০০৯-১০) সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৩ গোল করেছিলেন রোনালদো।

৪৪ ম্যাচে এমবাপ্পের গোলও এখন ৩৩। পর্তুগিজ মহাতারকা অবশ্য ম্যাচ খেলেছিলেন ৩৫টি। এমবাপ্পে তাকে ছুঁলেন ১০ ম্যাচ বেশি খেলে। সামনের ম্যাচগুলো দিয়ে নিশ্চিতভাবেই ‘সিআর সেভেন’কে ছাড়িয়ে যাবেন এমবাপ্পে।

স্প্যানিশ ক্লাবটিতে প্রথম মৌসুমে ৩৩ গোল করেছিলেন রুড ফন নিস্টলরয়ও। সাবেক ডাচ তারকা খেলেছিলেন ৪৭ ম্যাচ। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো ৩০ গোল করেছিলেন ৪৪ ম্যাচে।

এমবাপেদের ওপরে আছেন অবশ্য এখনও একজন।

চিলির কিংবদন্তি ইবান সামোরানো রিয়ালের জার্সিতে শুরুর মৌসুমে ৩৭ গোল করেছিলেন ৪৫ ম্যাচে। সামোরানোকেও পেছনে ফেলার সুযোগ আছে এমবাপ্পের। তবে আপাতত রোনালদোকে স্পর্শ করতে পেরেই উচ্ছ্বসিত এমবাপ্পে।

‘এটা খুবই স্পেশাল। রোনালদোর সমান গোল কতে পারা সবসময়ই দারুণ।

আমরা জানি, রেয়াল মাদ্রিদের জন্য রোনালদো কেমন… এবং আমার জন্যও…, সে আমাকে অনেক পরামর্শ দেয়। সে অনেক গোল করেছে। তবে আমাদের শিরোপাও জিততে হবে।।’

রোনালদোর পাশে নাম লেখানোর পর ২৬ বছর বয়সী তারকা জানালেন, প্রিয় নায়কের সঙ্গে তার কথা হয় নিয়মিতই। তবে ব্যক্তিগত এসব অর্জন ছাপিয়ে দলীয় প্রাপ্তির দিকে চোখ তার। ‘আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ হয়, সবসময় কথা চলেই। তিনি আমাকে পরামর্শ দেন। তার সমান গোল করতে পারা খুবই ভালো। তবে আমি তো সবসময়ই বলি, এখানে ট্রফি জিততে হবে আমাদের।’

এই জয়ে পয়েন্টের দিক থেকে বার্সাকে ছুঁয়ে ফেলেছে রিয়াল। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থেকে শীর্ষে আছে বার্সাই। ২৯ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৬৩, এক ম্যাচ কম খেলে বার্সার পয়েন্টও ৬৩। গোল ব্যবধানেও অবশ্য রিয়ালের (‍+৩৩) চেয়ে এগিয়ে আছে বার্সা (‍+৫১)।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ