<p>বাফুফে একাডেমি থেকে উঠে আসা মিরাজুল ইসলাম কয়েক বছর ধরেই আলোচনায়। তার পায়ে প্রতিভার ঝলক, পোস্টের সামনে আত্মবিশ্বাসী। এ বছর অনূর্ধ্ব-২০ সাফ জয়ের সেরা খেলোয়াড়, সর্বোচ্চ গোলদাতাও। বয়সভিত্তিক দলের খোলস ভেঙে মিরাজ আসন্ন মৌসুমে হয়ে উঠতে পারেন শীর্ষ ফুটবলারদের একজন।</p> <p>আবাহনীর জার্সি গায়ে এবারের লিগ মাতানোর অপেক্ষায় এই স্ট্রাইকার। মিরাজের জাতীয় দল সতীর্থ পিয়াস আহমেদ নোভার ওপরও চোখ রাখা যায়। ঘরোয়া ফুটবলে নাম ছড়ানোর আগে বয়সভিত্তিক আর জাতীয় দল দিয়ে তিনিও পরিচিতি পেয়ে গেছেন। বসুন্ধরা কিংসের তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে তার শুরু।</p> <p>ঘরোয়া লিগে অভিষেক হয় শেখ জামালের জার্সিতে। গত মৌসুমে সব মিলিয়ে যদিও মাত্র ৬টি ম্যাচ খেলা হয়েছে পিয়াসের। সেই তিনিই কিছুদিন আগে মালদ্বীপের বিপক্ষে মূল জাতীয় দলে অভিষিক্ত হয়েছেন। ৬ ফুট উচ্চতার তরুণ এই স্ট্রাইকারকে এবার দলে ভিড়িয়েছে ফর্টিস এফসি।</p> <p>এবারের ঘরোয়া মৌসুমকে নিজেকে মেলে ধরার বড় উপলক্ষ বলে মনে করছেন পিয়াসও, ‘আমি বোধ হয় ব্যতিক্রম, যে ঘরোয়া লিগে সেভাবে না খেলেই জাতীয় দলে ডাক পেয়েছি। এবারের লিগে আমার সেই সামর্থ্যটা তুলে ধরার চ্যালেঞ্জ অনুভব করছি। আশা করি, ফর্টিস এফসিতে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাব। লিগে অন্তত স্থানীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে চাই।’</p> <p>বড় মঞ্চ ছোটদেরও সুযোগ মালদ্বীপের বিপক্ষে নামার আগে ফর্টিসের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল জাতীয় দল। দুটিতেই গোল করেছিলেন পিয়াস। মালদ্বীপের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে হাভিয়ের কাবরেরা তাই তাকে সুযোগ করে দেন। শেষ দিকে নেমে গোলের সুযোগও পেয়ে গিয়েছিলেন পিয়াস। </p> <p>‘ভবিষ্যতে ওর আরো ভালো করার সুযোগ আছে। আসলে খুব বেশি ম্যাচ তো খেলা হয়নি তার, যে নেমেই সুযোগ কাজে লাগাবে। এবারের লিগটা ওর জন্য তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। যত বেশি ম্যাচ খেলবে তত পরিণত একজন স্ট্রাইকার হয়ে উঠবে সে।’—পিয়াসকে নিয়ে বলছিলেন জাতীয় দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন।</p> <p>নিজে দেশসেরা ডিফেন্ডার ছিলেন বলেই কি না এবার মোহামেডানে যোগ দেওয়া তরুণ ডিফেন্ডার শাকিল আহাদকে নিয়েও যথেষ্ট আগ্রহী মামুন, ‘সামর্থ্য আছে দেখেই আমরা জাতীয় দলে ওকে সুযোগ দিয়েছি। এবারের লিগে ও খেলার সুযোগ কতটা পায় সেটিই দেখার। মোহামেডানে বিদেশিসহ দুজন নিয়মিত সেন্ট্রাল ব্যাক আছে। তপু (শাকিল) যতটুকু সুযোগ পাবে, সেটি কাজে লাগাতে হবে তার।’</p> <p>তরুণদের ক্ষেত্রে ‘গেম টাইম’-এর সেই বিষয়টি যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ। বাফুফে এলিট একাডেমি থেকে অনূর্ধ্ব-২০ সাফ হয়ে মিডফিল্ডার চন্দন রায়ের বেশ কয়েকটা ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে যেমন জাতীয় দলে। গত লিগে শেখ রাসেলের হয়ে নিয়মিত মাঠে নেমেছিলেন তিনি। এবার বসুন্ধরা কিংসের মাঝমাঠে কতটা সুযোগ পান, সেটি দেখার বিষয়। মৌসুমের প্রথম ম্যাচ চ্যালেঞ্জ কাপেই অবশ্য তাকে বদলি নামিয়েছেন ভ্যালেরিও তিতা।</p> <p>কিংসের উইংয়ে জায়গা পেতে লড়বেন রাব্বি হোসেন রাহুল। গত বছর ব্রাদার্সে খেলে নজর কেড়েছেন তিনি। সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-২০ সাফের অন্যতম সেরা পারফরমারকে এবার চ্যাম্পিয়ন দলের হয়ে নিজেকে প্রমাণের চ্যালেঞ্জ। আবাহনী এবার শুধু স্থানীয়দের নিয়ে দল গড়ায় মিরাজ বা উইঙ্গার আরমান ফয়সালের সামনে বড় সুযোগ। মিরাজকে মারুফুল হক পেয়েছেন অনূর্ধ্ব-২০ দলেও। ‘কোচ আমাকে কখনো নাম্বার টেন, কখনো স্ট্রাইকার পজিশনে খেলাচ্ছেন। যেভাবেই খেলি, আমি শতভাগ দেওয়ার জন্য তৈরি।’—বলেছেন মিরাজ।</p>