ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে সোহেল তাজের পোস্ট

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে সোহেল তাজের পোস্ট
সংগৃহীত ছবি

আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ বলেছেন, ছাত্র-জনতার ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে যেয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। আজ বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে সোহেল তাজ লিখেছেন— হত্যা, গুম, খুন, গণহত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন, গণতন্ত্র ধ্বংস করে, দুর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশটাকে শেষ করে ছাত্র-জনতার ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে যেয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। 

তিনি আরো লিখেছেন, কত বড় নির্লজ্জ বেহায়া হলে দেশটাকে এক মুহূর্তের জন্য শান্তিতে থাকতে দেবে না।

প্রথমে ডিজিটাল জুডিশিয়াল কু-এর চেষ্টা, তারপর একের পর এক অপচেষ্টা- আনসার বাহিনী দিয়ে, ব্যাটারি রিকশা, নূর হোসেন দিবসে ‘ট্রাম্প’ কার্ড, ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শাহবাগে মানুষের জমায়েত করার চেষ্টা, বিভিন্ন কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা আর এবার ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে লাশের ওপর ক্ষমতায় ফিরে আসার চেষ্টা।

ফেসবুক পোস্টে সবাইকে মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টুর লেখা ‘আমার ফাঁসি চাই’ এবং ‘অন্তরালের হত্যাকারী প্রধানমন্ত্রী ’ বই দুটি পড়ার অনুরোধ জানান সোহেল তাজ। এ সময় আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিবেককে জাগিয়ে আত্ম-উপলব্ধি আত্ম-সমালোচনা করে অনুশোচনা করার আহ্বান জানান তিনি। 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে লাগাতর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি)।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলন থেকে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। বিএসপির সভাপতি আশীষ কুমার দাশের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অধ্যাপক অশোক তরু। বিএসপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায়ের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তৃতা করেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাবেক সভাপতি মনিন্দ্র কুমার নাথ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুরঞ্জন ঘোষ, বিএসপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট লিটন বনিক ও প্রাণতোষ তালুকদার, সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের প্রতিনিধি প্রদীপ কান্তি দে, সাংবাদিক শ্যামল কান্তি নাগ, জয়পুরহাট প্রতিনিধি বন্ধনা রানী মণ্ডল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি অজয় ভট্টাচার্য্য, নোয়াখালী প্রতিনিধি জয়ন্ত কুমার ভৌমিক, অনিল সাধু প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে আশীষ কুমার দাশ বলেন, সারাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। তাদের ভূমি ও মন্দির জোরপূর্বক দখল করা হচ্ছে। বর্তমানে হিন্দু মালিকদের ২৬ লাখ একর জমি বেদখল আছে। যেখানে অন্য ধর্মের উপাসনালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে।

রাজনৈতিক কারণেই বছরের পর বছর এটা করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, যত নির্যাতন নিপীড়ন চলুক না কেন, কেউ দেশ ছেড়ে যাবেন না। আমরা এই দেশের ভূমিপুত্র। আমরা আমাদের বাপ-দাদার মাটি ছাড়বো না।

বরং সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।

অধ্যাপক অশোক তরু বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত সনাতন সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর-মন্দির ভাঙচুর, সম্পদ লুণ্ঠন, হত্যা, গুম, খুন, ধর্ষণ, ধর্মান্তরিত ও ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে হিন্দুদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু একটি ঘটনারও সঠিক বিচার পাওয়া যায়নি। বরং উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার ও বিদ্বেষ ছড়ানোর মাধ্যমে হিন্দুদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর যখন সকল অপচেষ্টার বিরুদ্ধে হিন্দুরা রুখে দাঁড়িয়েছে, তখন সনাতনী সম্প্রদায়ের কাণ্ডারি চিন্ময় প্রভুকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অনেকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করা হয়েছে।

অবিলম্বে চিন্ময় প্রভুর মুক্তিসহ সনাতনী জাগরণ জোটের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান সনাতন পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায়।

তিনি বলেন, দাবি না মানলে রাজপথে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। যে আন্দোলন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে সনাতনী সম্প্রদায়ের কোন বন্ধু নেই। বরং তাদেরকে অতীতে ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ভোটব্যাংক নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় বিগত সরকার সনাতনী পার্টিকে নিবন্ধন দেয়নি। বৈষম্যের শিকার সনাতনীদের মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কর্মী সম্মেলনে বলা হয়, অনতিবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে। সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। সারাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে, এটা বন্ধ করতে হবে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে অচিরেই জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ অন্যান্য প্রতিনিধিদের মুক্তি দিতে হবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

মন্তব্য

সর্বকালের সেরা ‘বিদ্যুৎ চোর’ সাবেক প্রতিমন্ত্রী বিপু : সিদ্দিকী নাজমুল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সর্বকালের সেরা ‘বিদ্যুৎ চোর’ সাবেক প্রতিমন্ত্রী বিপু : সিদ্দিকী নাজমুল
সংগৃহীত ছবি

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম নিজ দলের সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুকে বিদ্যুৎ চোর বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে বিপুকে সর্বকালের সেরা বিদ্যুৎ চোর হিসেবে আখ্যা দিয়ে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক। 

পোস্টে সিদ্দিকী নাজমুল উল্লেখ করেছেন, ‘যে শালারা লুটপাটপাট করে দলটাকে শেষ করলেন। অতিরঞ্জিত, অতিকথনে টেলিসামাদ স্টাইলে রাজনীতিকে জোকারিতে পরিণত করলেন।

তাদের বিরুদ্ধে লিখলেই একদলের জ্বালা উঠে এভাবে যে, এখন ঐক্যের সময়, এখন এগুলো লিখা যাবে না। আবার ক্ষমতায় গেলে, এসব নিয়ে আলোচনা করা যাবে। মোটকথা, তাদের কথা হলো আমরা তাদের পক্ষে লিখে তাদের সব হালাল করব, আমরা আমাদের পরিবার জীবন দিব আর তারা সুটেট-বুটেট হয়ে আবার আমাদের নেত্রীর চারপাশ দখলে রাখবেন।’ 

আরো পড়ুন
জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী গ্রেপ্তার

জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী গ্রেপ্তার

 

তিনি লেখেন, ‘অনেকদিন নিশ্বাস বন্ধ রেখে চুপ থাকলাম, কিন্তু আমার মাথায় আসে না, আমাদের নেত্রী ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর লক্ষ্যে বিদ্যুৎ সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নতিসাধন করেছেন।

কিন্তু আমাদের সরকারের সময়ের চাইতে এবারের রমজানে তেমন লোডশেডিং হয়নি। তার মানে হলো- প্রধানমন্ত্রীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিদ্যুৎ চোর বিপু এবং কিছু বিদ্যুৎ চোর আমলাদের সমন্বয়ে কৃত্রিম লোডশেডিং তৈরি করত এবং নিজেদের পছন্দের পাওয়ার প্লান্ট ব্যবসায়ীদের রমরমা একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়ে। সিন্ডিকেট করে কমিশন কামাত।’

‘বিদ্যুৎ চোর বিপু বড় ব্যবসায়ী বংশের রাজনৈতিক নেতার ছেলে ছিলেন আমাদের নেত্রী ভালো চিন্তা করেছিলেন, মনে করেছিলেন বড় লোকের ছেলে দায়িত্ব দিলে দুর্নীতি করবেন না।

কিন্তু না নেত্রীর বিশ্বাস ভেঙে দিয়ে সর্বকালের সেরা বিদ্যুৎ চোরে পরিণত হয়েছেন বিপু।’

তিনি আরও লেখেন, ‘বিপু একটা চোর চোর চোর। ওর বউ চোর, ভাই চোর, সন্তানেরা চোর। ওদের গত ১০ বছরের চলাচল দেখলে মনে হয়, বিপু রাজা আর আমরা প্রজা। ’

নাজমুল লেখেন, ‘বিপুর সমস্ত ব্যবসা বাণিজ্য বিএনপি জামাতের নেতারা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দেখাশোনা করছেন।

বিপুরা ক্ষমতা এবং টাকার কারণে নিজেদের ঈশ্বর মনে করতেন। ’

আরো পড়ুন
কালকের কর্মসূচি নিয়ে আহমাদুল্লাহর পর আজহারির পোস্টে ৫ নির্দেশনা

কালকের কর্মসূচি নিয়ে আহমাদুল্লাহর পর আজহারির পোস্টে ৫ নির্দেশনা

 

তিনি পোস্টে লেখেন, ‘চরিত্রহীন লম্পট পরিবার বিপুর পরিবার। ওই পরিবারের পুরুষদের চাইতে নারীরাও পিছিয়ে নেই। এই চোরের চুরির কারণে এবং বিপুর কেরামতিতে রাজনীতিকে রাজপথ থেকে এসি রুমে চলে গেছে ফাইভ স্টারে নিয়ে গেছেন রাজনীতিকে। ছাত্র-যুবক-শ্রমিক থেকে কর্পোরেটে নিয়ে গেছেন। ফলশ্রুতিতে আমরা ধ্বংস হয়েছি আর মুসলমানরা ফিলিস্তিনিদের রক্ষার জন্য যেমন আবাবিল পাখির অপেক্ষায় বসে আছেন আর আমরা আওয়ামী লীগের লোকজন শক্তিশালী কিংবা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অপেক্ষায় বসে আছি। যে তারা আমাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। ’

পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, এলাকার রাজনীতিতেও বিপু জিরো। পুরো রাজনীতিটা করেন ওইখানে শাহীন চেয়ারম্যান। অত্যন্ত জনপ্রিয় কর্মীবান্ধব দুঃসময়ের শাহীন চেয়ারম্যানের সাজানো বাগানের মালিক হলো বিপু অথচ শাহীন চেয়ারম্যানের মতো পুরোনো মানুষের সঙ্গে উপজেলার সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন বিপুর ব্যক্তিগত সহকারী এক ইয়ো ইয়ো বয়কে। 

ফেসবুক পোস্টে নাজমুল ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, বিপু কিন্তু তার ছেলেমেয়েদের লাক্সারিয়াস লাইফ লিড করাচ্ছেন। কিন্তু আমি আপনি আমাদের ছেলেমেয়েদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছি। আমি সরকারি দলে থাকতেও সমালোচনা করেছি, নিজের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জবাব দিয়েছি, বড় বড় যথী মহারথীদের সঙ্গেও অন্যায় ইস্যুতে ছাড় দেয়নি দিবও না। নেত্রী জীবিত যতদিন থাকবেন, ততদিন রাজনীতি করার চেষ্টা করব। আমার স্পষ্ট অবস্থান থেকে নেত্রী যেদিন থাকবে না, সেদিন থেকে আর রাজনীতিও করব না। 

দীর্ঘ পোস্টের সর্বশেষ তিনি লেখেন, ‘নেত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে অনেকবারই বলেছেন- এই আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা ছাড়া সবাইকে কেনা যায়। ব্যক্তিগতভাবে এটা আমি শতভাগ বিশ্বাস করি এবং মানি।’

মন্তব্য

কারা হেফাজতে মৃত্যুর শিকার ছাত্রদল নেতার পরিবারের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কারা হেফাজতে মৃত্যুর শিকার ছাত্রদল নেতার পরিবারের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে কারা হেফাজতে মৃত্যুর শিকার জাকির হোসেন মিলনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস‍্য ও ‘দেশমাতা ফাউন্ডেশন’-এর প্রধান সমন্বয়ক ব‍্যারিস্টার আবু সায়েম। নিহত ছাত্রদল নেতা ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন।

আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় গাজীপুরের টঙ্গী উপজেলার মাজুখান গ্রামে নিহত জাকির হোসেন মিলনের বাসায় গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন— ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব ও ‘দেশমাতা ফাউন্ডেশন’-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘নিউজ টুয়েন্টিফোর’-এর নির্বাহী সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম ফরিদ প্রমুখ।

সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার আবু সায়েম নিহত জাকির হোসেন মিলনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তার সন্তানদের লেখাপড়ার খোঁজ-খবর নেন। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মিলনের পরিবারের পাশে আজীবন থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়া ‘দেশমাতা ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে শহীদ মিলনের দুই মেয়ের জন্য মাসিক ‘শিক্ষাবৃত্তি’ অব্যাহত থাকবে বলে জানান ব্যারিস্টার আবু সায়েম।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় জাকির হোসেন মিলনকে আটক করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর রাজধানীর শাহবাগ পুলিশ ফাঁড়িতে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। রিমান্ড শেষে মিলনকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে ২০১৮ সালের ১২ মার্চ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

ওই দিনই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান জাকির হোসেন মিলন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

নিয়োগে সুপারিশের আশায় আমার কাছে কেউ আসবেন না : সারজিস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নিয়োগে সুপারিশের আশায় আমার কাছে কেউ আসবেন না : সারজিস
সারজিস আলম।

মেধার বিপরীতে ‘সুপারিশ’ গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে প্রতারণার নামান্তর বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। নিয়োগে কোনো প্রকার সুপারিশের আশায় তার কাছে বা এনসিপির কোনো নেতার কাছে না যাওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন সারজিস। এনসিপি শতভাগ স্বচ্ছ ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম বলেন, ‘পঞ্চগড়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ হচ্ছে। এখন ফিটনেস পরীক্ষা চলছে। এরপর ৫০ মার্কের লিখিত পরীক্ষা হবে। সবশেষে ১৫ মার্কের ভাইভা হবে।

ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে লিখিত এবং ভাইভার ৬৫ মার্কের ওপর নির্ভর করবে তার চাকরি হবে কি না। অর্থাৎ এখানে রিটেন পরীক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যে রিটেনে যত ভালো করবে, তার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। গতবার প্রায় ৫০০+ পরীক্ষার্থী ফিটনেসে উত্তীর্ণ হয়ে রিটেন এবং ভাইভা দিয়েছিল।
এর মধ্যে ফাইনালি ২৮ জন নিয়োগ পেয়েছিল। ভাইভায় মোটামুটি বেসিক জ্ঞান থাকলে ১৫-এর মধ্যে ৭-৮ এমনিতেই পায়। সেখানে ভাইভায় সুপারিশ করে ২-৪ মার্ক বাড়িয়ে কোনো লাভ নেই, যদি আপনি রিটেনে ভালো না করতে পারেন। যেহেতু রিটেনে ভাইভার তিন গুণ মার্কস রয়েছে, তাই যদি আপনি পুলিশের কনস্টেবল হতে চান, তাহলে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালোভাবে নিন।'

তিনি আরো বলেন, ‘এবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথায় আসি।

ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই রিটেন ভাইভার প্রিপারেশন বাদ দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা বা সমন্বয়কদের পেছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন। জেলা পুলিশ পঞ্চগড় নিশ্চিত করেছে, পঞ্চগড়ে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। কোনো ধরনের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না।’

এনসিপির এই নেতা বলেন, “কোটা না মেধা; এই স্লোগান দিয়ে একটা অভ্যুত্থান হয়েছে। দেড় হাজারের অধিক মানুষ জীবন দিয়েছে। অর্ধ-লাখের অধিক মানুষ রক্ত দিয়েছে। সেখানে ‘মেধা’র বিপরীতে ‘সুপারিশ’ এই অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে প্রতারণার নামান্তর। দয়া করে নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার কাছে কেউ কোনো ধরনের সুপারিশের আশায় আসবেন না এবং আহ্বান থাকবে, অন্য কোনো দলের কোনো নেতার কাছেও যাবেন না। বরং আমরা চাইব বাংলাদেশ পুলিশ শতভাগ স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে এবং সব রাজনৈতিক দলের নেতারা- আমরা সেখানে সহযোগিতা করব, মেধার জয় নিশ্চিত করব।”

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ