ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

আমাকে রংপুরের একজন উপদেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করুন : ড. ইউনূস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আমাকে রংপুরের একজন উপদেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করুন : ড. ইউনূস
শহীদ আবু সাঈদের সনদপত্র তার বাবার হাতে তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, ‘আমাকে রংপুরের একজন উপদেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করুন।’ বৃহস্পতিবার তেজগাঁও অফিসে শহীদ আবু সাইদের পরিবারকে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাইয়ের উত্থানের শহীদ আবু সাঈদের সাহসিকতার আত্মত্যাগের ফলে আমি নিজেকে রংপুরের সন্তান মনে করি।’

আরো পড়ুন
ইসকন নিষিদ্ধ ও আইনজীবী সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়নের দাবি

ইসকন নিষিদ্ধ ও আইনজীবী সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়নের দাবি

 

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা আবু সাঈদের পিতামাতাকে স্বাগত জানিয়ে তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।

এদিন পরিবারের সদস্যদের হাতে শহীদ আবু সাঈদের সনদপত্র তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবু সাঈদের বাবা মোকবুল হোসেন ও তার ভাতিজা মো. লিটন মিয়া।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দেশে ৭১ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী অসংক্রামক রোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেশে ৭১ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী অসংক্রামক রোগ

বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশের জন্য উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ দায়ী বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তারা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০২৫ উপলক্ষে বুধবার (৯ এপ্রিল) অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই)।

ওয়েবিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশের জন্য উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ দায়ী হলেও এটি মোকাবেলায় অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ মোট স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ৪.২ শতাংশ।বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ খাতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো অপরিহার্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২৪ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের অন্যতম একটি লক্ষ্য হচ্ছে ২০২৫ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে (সরকারি এবং বেসরকারি উভয়ই) অসংক্রামক রোগের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করা।

প্রতিবেদনটিতে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার অংশ হিসেবে অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ হলেও এ খাতে অর্থ বরাদ্দ এবং বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যবহারে সাফল্য দেখাতে পারেনি।

ওয়েবিনারে আরো জানানো হয়, উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে বিনা মূল্যে এ রোগের ওষুধ প্রদানের কাজ শুরু হলেও উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করা জরুরি। এ জন্য টেকসই অর্থায়ন প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সরকার উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সের পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে।

এই মুহূর্তে ওষুধের কিছুটা ঘাটতি আছে তবে আমরা দ্রুতই তা কাটিয়ে উঠতে পারব।’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ যেন না বাড়ে সে জন্য খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনাচরণে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি বাজেট বৃদ্ধির বিষয়ে বিশেষভাবে জোর দিতে হবে।’

ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক ডা. মলয় কান্তি মৃধা বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে অঞ্চল, বয়স, শিক্ষা এবং লিঙ্গভেদে উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপের পার্থক্য আছে। গবেষণালব্ধ ফলাফলের ভিত্তিতে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার এবং প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’

জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘বাজেট বৃদ্ধির মাধ্যমে উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

মন্তব্য

চৈত্রসংক্রান্তিতে ছুটি ঘোষণায় সরকারকে পার্বত্য উপদেষ্টার অভিনন্দন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চৈত্রসংক্রান্তিতে ছুটি ঘোষণায় সরকারকে পার্বত্য উপদেষ্টার অভিনন্দন
সংগৃহীত ছবি

চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে পার্বত্য অঞ্চলে ছুটি ঘোষণা করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। 

বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে বিসিএস ফরেন সার্ভিস একাডেমি অডিটরিয়ামে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিনন্দন জানান তিনি।

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘চৈত্রসংক্রান্তিতে এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখ আমরা পাহাড়িরা ছুটি পেয়েছি।

এই উৎসব উদযাপনের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জন্য ছুটি ঘোষণা করায় বর্তমান সরকারকে পার্বত্যবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘বিজু উৎসব চাকমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান আনন্দ-উৎসব। পার্বত্য এলাকার রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সর্বত্র বিজু মেলা চলছে। গিলা খেলা, বলি খেলা ও বিভিন্ন ধরনের আনন্দদায়ক খেলা চলছে সেখানে।

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজু উপলক্ষে বিভিন্ন প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা তিন জেলায় ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ৪৫০ মেট্রিক টন গম ইতোমধ্যে দিয়েছি।’

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বিজু উৎসব সম্পর্কে বলেন, বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এই দিন ভোরের আলো ফোটার আগেই ছেলে-মেয়েরা ফুল সংগ্রহের জন্য বেরিয়ে পড়ে।

সংগ্রহ করা ফুলের এক ভাগ দিয়ে বুদ্ধকে পূজা করা হয় আর অন্য ভাগ জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। বাকি ফুলগুলো দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের সহকারী প্রেস সেক্রেটারি সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী স্প্যানিশ কম্পানি ইন্ডিটেক্স

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী স্প্যানিশ কম্পানি ইন্ডিটেক্স
সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন স্পেনের বহুজাতিক কম্পানি ইন্ডিটেক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অস্কার গার্সিয়া ম্যাসেইরাস।

বুধবার (৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তারা সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাতে বৈশ্বিক বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান প্রেক্ষাপট, বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্কের সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইন্ডিটেক্সের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) উদ্যোগসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

ইন্ডিটেক্স বিশ্বের সবচেয়ে বড় পোশাক তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান, যেটি জারা, বেরশকা এবং ম্যাসিমো দত্তিসহ বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের স্বত্বাধিকারী।

 

ইন্ডিটেক্সের সিইও বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রশংসা করে এটিকে ‘অত্যন্ত অনুপ্রেরণামূলক’ বলে বর্ণনা করেন।

মাসেইরাস ইন্ডিটেক্সের সোর্সিং হাব হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইন্ডিটেক্সের সঙ্গে অংশীদারি আরো গভীর করতে প্রতিষ্ঠানটির অভিপ্রায় আছে। আমাদের মধ্যে খুব দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছি, সোর্সিংয়ের জন্য বাংলাদেশ খুবই ব্যবসাবান্ধব।

বৈশ্বিক বাণিজ্যের জটিলতা এবং বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে এর প্রভাবের কথা উল্লেখ করে ইন্ডিটেক্সের সিইও পরামর্শ দেন যে উদীয়মান বৈশ্বিক বাণিজ্য গতিশীলতা পুঁজি করার জন্য বাংলাদেশ ‘ভালো অবস্থানে’ রয়েছে। তিনি বর্তমান বিশ্ব বাণিজ্য পরিবেশকে প্রভাবিত করার ‘চলমান অংশগুলো’ স্বীকার করেন।

বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কারখানা পরিদর্শন শেষে মেসেইরাস দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত বৈচিত্র্যময় পণ্যের প্রশংসা করেন।

তিনি চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের সঙ্গে সদ্য সই হওয়া একটি চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের কারখানাগুলোর কমপক্ষে ৫০ জন নারী শ্রমিকের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষায় অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন।

মাসেইরাস আরো জানান, ইন্ডিটেক্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্প্যানিশ ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য একটি ইন্ডিটেক্স চেয়ার প্রতিষ্ঠা করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা কম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। ড. ইউনূস স্পেনে কাটানো সময় এবং স্পেনের সাবেক রানি সোফিয়ার সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।

তিনি বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধায় বিনিয়োগ বাড়াতে ইন্ডিটেক্সের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় উপস্থিত কম্পানির কর্মকর্তারা জানান, ইন্ডিটেক্স শিগগিরই সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার শিপিং কার্গো পরিবহন শুরু করবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিডার চেয়ারম্যান কে এই আশিক চৌধুরী?

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
বিডার চেয়ারম্যান কে এই আশিক চৌধুরী?
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আশিক চৌধুরী। কর্মদক্ষতা, উপস্থাপনা শৈলী ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে যিনি ইতোমধ্যে মানুষের মন জয় করেছেন। আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন। তথ্যবহুল ও সাবলীল ভাষায় দেশের সম্ভাবনাময়ী খাতগুলো তুলে ধরার সেই ভিডিও ইতোমধ্যে সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

প্রেজেন্টেশন সেই ভিডিও শেয়ার করে সোশ্যাল মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, ‘এই মেধাবী তরুণরা এত দিন দেশে আসতে ভয় পেতেন। কিন্তু ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর মেধাবীরা দেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তারই উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই আশিক চৌধুরী। যিনি বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে দেশের প্রয়োজনে নিজেকে নানাভাবে উপস্থাপন করছেন।

লেখক গাজী মিজানুর রহমান তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘কিছু লোক দেশপ্রেমের চেতনার কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ভালো থাকার জন্য দেশের টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করে বিলিয়নেয়ার হয়, আর জনাব আশিক চৌধুরীর মতো কিছু লোক নিজ মাতৃভূমির ভালোবাসার টানে সিঙ্গাপুরের আয়েশি জীবন ছেড়ে বাংলাদেশের মানুষের জন্য ছুটে এসেছেন দেশে। এখানে চেতনার ফেনা তোলা আর প্রকৃত দেশপ্রেমিকদের মধ্যে মূল পার্থক্য।’ এভাবে অনেকেই আশিক চৌধুরীর প্রশংসা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।

আর যতই দিন যাচ্ছে, ততই আশিক চৌধুরী এত দিন কোথায় ছিলেন? কী করতেন—এমন প্রশ্ন এখন সর্বত্র।

যতটুকু জানা গেছে, আশিক চৌধুরী পেশায় ব্যাংকার। সিঙ্গাপুরে বহুজাতিক দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) রিয়েল অ্যাসেট ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার একটি ফোনকলে তিনি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়েছেন।

যেভাবে বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে দেশে আসেন আশিক :

গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব এ টি এম শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে আশিক চৌধুরীকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে গত সোমবার (৭ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে আশিক চৌধুরীকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে নিয়োগের বিষয়ে গত বছরের ৬ নভেম্বর আশিক চৌধুরী নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “সরকারি চাকরির আজকে এক মাস হলো। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি এক দুপুরে প্রফেসর ইউনূস হঠাৎ ফোন করে বললেন, ‘আশিক, দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পাওয়া গেছে। আসবা নাকি?’ আমি নন্দিনীকে জিজ্ঞেস না করেই রাজি হয়ে গেলাম। জানতাম ও কোনো দিন মানা করবে না। সো ৫৯ সেকেন্ডের এক হোয়াটসঅ্যাপ কলে আমরা সিঙ্গাপুরের বিলাসী জীবন ছেড়েছুড়ে দেশের পথে রওনা দিলাম বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে, বন্ধুদের ভাষায় বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার হিসেবে।

গত এক মাস শুক্র-শনিবারসহ দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেও কূল পাচ্ছি না। প্রায় আড়াই শ সিইও, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করছি তাদের সমস্যাগুলো কোথায় আর কী করে তার সমাধান করতে পারি। নতুন ইনভেস্টমেন্ট কিভাবে আনতে পারি। চেষ্টা চলছে। ফেল করা যাবে না। আমরা জনগণের সরকার। তাই প্রত্যাশা অনেক। অনেকটা জাতীয় ক্রিকেট দলের মতো। সবাই চায়, আমরা জিতি। কিন্তু পরের বলটা একটু খারাপ হলেই সবাই হা হা করে ওঠে। টিম সিলেকশন, বোলার সিলেকশন, ফিল্ড সেটিং, এসব নিয়ে নানা সমালোচনা। ম্যাচে সবাই ভালো বল করবে না, এটাই স্বাভাবিক। তা নিয়ে দলের সমর্থকরা গালাগাল করবে, তা-ও স্বাভাবিক। দলটা তো আমাদের। কয় দিন আগেও এসব করা কবিরা গুনাহ ছিল। তাই দিনশেষে টায়ার্ড হয়ে ফেসবুক খুলে যখন মনে হয় আমার বউ ও বিরোধী দল, তখন নিজেকে বোঝাই: এটাই তো আসলে বাকস্বাধীনতা। হোক না সমালোচনা। আমরা ভুল করব। তারপর শুধরাব। আমাদের দেশটা আস্তে আস্তে ঠিক রাস্তায় হাঁটবে।” 

জানা গেছে, চাঁদপুরে বাড়ি হলেও বাবার চাকরির সুবাদে আশিকের বেড়ে ওঠা যশোরে। স্কুল-কলেজের পাট চুকিয়েছেন সিলেট ক্যাডেট কলেজে। এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে (আইবিএ)। ২০০৭ সালে স্নাতক শেষেই যোগ দেন দেশের বেসরকারি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। ছুটিছাটায় ছুটে যেতেন রোমাঞ্চের টানে। ২০১১ সাল পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানেই চাকরি করেছেন। তারপর পড়তে যান যুক্তরাজ্যে। তখন থেকে সেখানেই তিনি নিজেকে নতুনভাবে গড়েছেন। 

এই আশিক চৌধুরী একজন স্কাইডাইভার। যিনি ৪১ হাজার ফুট উঁচু থেকে দেশের লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে লাফ দেন। যার কারণে তিনি ইতোমধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বুকে নাম লিখিয়েছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ