<p>ফুটবল মাঠে হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হলো আফ্রিকার দেশ গিনি। দেশটির অন্যতম শহর এন’জেরেকোরে সামরিক জান্তাদের নেতা মামাদি দুম্বুইয়ার সম্মানে আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টে গত পরশু ম্যাচের পর দর্শকরা দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৫৬ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। ফুটবলে সমর্থকদের দাঙ্গা এটাই প্রথম নয়; অতীতেও এমন দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ফুটবলবিশ্ব। তেমনই কিছু হৃদয়বিদারক ঘটনা নিয়ে আজকের এই আয়োজন।</p> <p>গিনি, ২০২৪</p> <p>স্থানীয় একটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে গোলযোগের শুরু। এরপর যা ঘটেছে তা অবিশ্বাস্য। স্টেডিয়ামের ভেতর থেকে বাইরেও দুই দলের সমর্থকরা দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই ঘটনাস্থল রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হাসপাতালে অন্তত ৫৬ জনের লাশ চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া শত শত সমর্থক চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।</p> <p style="text-align:center"><img alt="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/03-12-2024/2/kalerkantho-sp-7a.jpg" height="360" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12%20December/03-12-2024/2/kalerkantho-sp-7a.jpg" width="600" /></p> <p>ইন্দোনেশিয়া, ২০২২</p> <p>২০২২ সালের ১ অক্টোবর ইন্দোনেশিয়ার মালাংয়ে কানজুরুহান ফুটবল স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আরেমা এফসি ও পেরসেবায়া সুরাবায়া ক্লাবের সমর্থকরা মাঠে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে।</p> <p>এমনকি পুলিশের ওপরও হামলা করে তারা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছিল। আতঙ্কিত দর্শকরা তাড়াহুড়া করে মাঠ ছাড়তে গেলে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়।</p> <p style="text-align:center"><img alt="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/03-12-2024/2/kalerkantho-sp-7a.jpg" height="360" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12%20December/03-12-2024/2/kalerkantho-sp-7b.jpg" width="600" /></p> <p><br /> পেরু, ১৯৬৪</p> <p>ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল পেরু। ১৯৬৪ সালের মে মাসে অলিম্পিক ফুটবলের বাছাই পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পেরু ও আর্জেন্টিনা। রেফারির সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে ক্ষুব্ধ পেরুর সমর্থকরা এক পর্যায়ে মাঠে ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে হুড়মুড়িয়ে সমর্থকরা মাঠ থেকে বেরোতে গেলে পদদলিত হয়ে মৃত্যু হয় ৩২৮ জনের।</p> <p style="text-align:center"><img alt="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/03-12-2024/2/kalerkantho-sp-7a.jpg" height="360" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12%20December/03-12-2024/2/kalerkantho-sp-7c.jpg" width="600" /></p> <p><br /> ইংল্যান্ড, ১৯৮৯</p> <p>এফএ কাপের সেমিফাইনাল দেখতে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় জমেছিল শেফিল্ডের হিলসবরো স্টেডিয়ামে। ধারণক্ষমতার চেয়ে এমন দ্বিগুণ দর্শক এর আগে কখনো দেখেনি হিলসবরো স্টেডিয়াম।</p> <p>নটিংহাম বনাম লিভারপুলের মধ্যকার ম্যাচটিতে গ্যালারিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। তাতেই ঘটে বিপত্তি। অত্যধিক মানুষের চাপে পদদলিত হয়ে মারা যায় অনেকে। সব মিলিয়ে লিভারপুলের ৯৬ জন সমর্থক প্রাণ হারিয়েছিল সেদিন।</p> <p style="text-align:center"><img alt="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/03-12-2024/2/kalerkantho-sp-7a.jpg" height="360" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12%20December/03-12-2024/2/kalerkantho-sp-7d.jpg" width="600" /></p> <p><br /> ঘানা, ২০০১</p> <p>২০০১ সালে ঘানার ঘরোয়া লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আক্রা হার্টস ও আসানতে কোটাকো। ২-১ গোলে ম্যাচ হেরে কোটাকোর সমর্থকরা উগ্র আচরণের সঙ্গে মাঠে বোতল ছুড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। আতঙ্কিত হয়ে দর্শকরা ছোটাছুটি করে বেরোনোর চেষ্টা করলে পদদলিত হয়ে মারা যায় ১২৬ জন। স্টেডিয়ামের সব গেট ছিল বন্ধ। একসঙ্গে অনেকে বেরোতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।</p> <p style="text-align:center"><img alt="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12 December/03-12-2024/2/kalerkantho-sp-7a.jpg" height="360" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/12%20December/03-12-2024/2/kalerkantho-sp-7e.jpg" width="600" /></p> <p>বেলজিয়াম, ১৯৮৫</p> <p>১৯৮৫ সালের ২৯ মে ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল ও জুভেন্টাস। বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের হেইসেল স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর আগেই হয়েছিল সংঘর্ষ। দুই দলের সমর্থকরা দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়লে জীবন বাঁচাতে পালানোর চেষ্টা করে কিছু সমর্থক, সে সময় স্টেডিয়ামের একটি দেয়াল ধসে পড়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।</p>