ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে লড়ব : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে লড়ব : রিজভী
সংগৃহীত ছবি

ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রুহুল কবির রিজভী। আজ বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এই আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘‘ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে রক্ষার জন্য আপনারা (ভারত) বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের আন্দোলনকারী মানুষের বিরুদ্ধে, শহীদ মুগ্ধের বিরুদ্ধে, শহীদ আবু সাঈদের বিরুদ্ধে আপনারা আপনাদের প্রচারণা যেটা চালাচ্ছেন আমাদের শহীদদের বিরুদ্ধেই সেটা যায়… গণতন্ত্রের জন্য আমাদের মহান আত্মাত্যাগ সেই মহান আত্মত্যাগকে আপনারা ভুলন্ঠিত করার চেষ্টা করছেন। তাতে কোনো লাভ হবে না।

‘‘ আপনারা যদি মনে এই করে আপনাদের আগ্রাসন সুসম্পন্ন করবেন, আমরা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি, রক্ষা করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা প্রত্যেকটা দেশের স্বাধীনতাকে মর্যাদা দেই। কিন্তু ভারতের শাসকগোষ্ঠি যদি মনে করে আমি সস্প্রসারণ চালিয়ে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানসহ অন্যান্য দেশ আমরা কবজা করে নেব, এটা কিন্তু আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।

রিজভী বলেন, ‘‘ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা হিন্দু-মুসলমানসহ সবাই এক সঙ্গে লড়ব।

আপনারা আমাদের পতাকা আগরতলায় সরকারি হাইকমিশনের গেইট ভেঙে সেটাকে টেনে নামিয়ে ছিঁড়েছেন। এটা প্রচণ্ড আঘাত। আমাদেরকে বড় আঘাত দিয়েছে ভারতের সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠি।”

‘‘আমরা কি এটা ভুলে যাবো? এটা আমরা কোনো দিন ভুলে যাবো না।

ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘ভারতের মিডিয়া আজকে খেয়ে না খেয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে, মিথ্যা সংবাদ দিচ্ছে যার কোনো সত্যতাই নেই।”

‘‘ভারতে যারা সত্যিকারের প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক তারা এই সমস্ত মিডিয়াকে বলে গদি মিডিয়া। মানে যারা গদিতে আছে তাদের তল্পিবাহক মিডিয়া। একেকটা বয়ান, একেকটা ন্যারেটিভ তৈরি করছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। কারণ তারা শেখ হাসিনার পতনটা একেবারেই মনে নিতে পারছেন না।

তিনি বলেন, ‘‘২৮ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে শেখ হাসিনার আমলে, এটা শ্বেতপত্রের প্রকাশিত তথ্য। তাহলে ২৮ কোটি টাকার কত টাকা সে পেয়েছে আপনারা বলুন, নাহলে কেউ কিন্তু বলে দেবে।”

‘‘ বিজেপির কোন কোন নেতা পেয়েছেন শেখ হাসিনার পাচার করা ২৮ লক্ষ কোটি টাকার ভাগ এটাও কিন্তু বাংলাদেশে মানুষ জেনে গেছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে হয়ত একদিন সেটা বলে দেবে।”

‘বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা ফিরিয়ে দাও’

রিজভী বলেন, ‘‘ এই বাংলাদেশের মানুষ তাদের যে প্রদীপ্ততা, তাদের যে দেশ রক্ষার অন্তর্নিহিত শক্তি, তাদের যে প্রাণের উন্মাদনা, এই প্রাণের উন্মাদনায় ভারত কখনো টের পাইনি। আপনাদের যদি কোনো অশুভ ইচ্ছা থাকে আমরাও তাহলে বলব, আমাদের যে নবাবের এলাকা, বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা আমরা সেইটা দাবি করব। যদি আপনারা এরকম ভাবে একের পর এক বাংলাদেশে বিরুদ্ধে আগ্রাসী ভূমিকা পালন করেন।”

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আড়রতলায় বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনের কার্যালয়ে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমননার প্রতিবাদে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের উদ্যোগে ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও’ শীর্ষক এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও পদযাত্রা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা নয়া পল্টন সড়ক পর্যন্ত পদযাত্রা করে। এই পদযাত্রায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবও অংশ নেন।

‘সারাদেশের মানুষ জাগরিত’

রিজভী বলেন, ‘‘আজকে সারা বাংলাদেশের মানুষ জাগরিত। তাদের মনের যে জাগরণ দেশ মাতিৃকাকে রক্ষার জন্য, এখানে হিন্দু-মুসলমান এই মৃত্তিকায় এই জনপদে জন্ম। এখানে যেমন আমার জন্ম, মীর সরাফত আলী সপু, আসাদুল করীম শাহিনের জন্ম, এখানে অপর্নার জন্ম, এখানে অপুর জন্ম এখানে আরো যারা নেতৃবৃন্দ আছেন সবার জন্ম। এই মাটির সন্তান তারা। ওরা এদেশকে অন্যের গোলামীর কাছে বিক্রি করবে কেনো?”

‘‘এখানে যদি সিরাজ উদ্দৌলা-মোহনলাল একসাথে লড়াই করতে পারে দেশের মুক্তির জন্য, দেশ রক্ষার জন্য ঠিক একইভাবে আমরা হিন্দু-মুসলমান আমরা লড়াই করব দিল্লীর দাসত্বকে খান খান করে দেব।”

পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভানেত্রী অর্পনা রায় দাসের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বসুর সঞ্চলনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির মীর সরাফত আলী সপু, অমলেন্দু দাস অপু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের আমীরুল ইসলাম কাগজী, সাঈদ খান, পূজা উদযাপন ফ্রন্টের দেবাশীষ রায় মধু সুরঞ্জন ঘোষ, গৌতম বৈদ্য, জয়দেব প্রমূখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অল পার্টি ইকোনমিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে এনসিপি

বাসস
বাসস
শেয়ার
অল পার্টি ইকোনমিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে এনসিপি
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ফাইল ছবি

বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাণিজ্যের পরিবেশ রক্ষায় সরকারকে অল পার্টি ইকোনমিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক ও প্রতিনিধি দলের প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ প্রস্তাব দেন।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড (বিডা) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২৫’-এ অংশগ্রহণ শেষে এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ ব্রিফিং করেন।

সংবাদ সম্মেলনে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ নানা চ্যালেঞ্জের কথা আমাদের জানিয়েছেন।

আমরা তাদের আশ্বাস দিয়েছি, আগামীতে এনসিপির হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের দিকে যাবে। এজন্য বিনিয়োগকারীদেরও সহযোগী হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা তাদের জানিয়েছি, এনসিপি ঐক্যবদ্ধভাবে সকলকে সাথে নিয়ে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া তারা আমাদেরকে ব্লু ইকোনমি, হেলথ কেয়ার, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতসহ বিনিয়োগের নতুন নতুন ক্ষেত্রের কথা জানিয়েছেন ।

এ সময় আমরা তাদেরকে আমাদের দেশে উচ্চপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করে শ্রমমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছি। বর্তমান এফডিআই প্রবাহ ১.৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারে নিতে চাই, সে বিষয়ে তাদের সহায়তা চেয়েছি।’

মন্তব্য

বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে বিএনপির পরিকল্পনা জানালেন খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে বিএনপির পরিকল্পনা জানালেন খসরু
ঢাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সংগৃহীত ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আগামীতে বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সকল ধরনের সুযোগসুবিধা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর জন্য বিডাতে (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ক্যাপ্টেন নিয়োগ দেওয়া হবে।’

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত হোটেল সারিনাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘অর্থনীতিতে যত ধরনের সংস্কার হয়েছে তার প্রায় সবগুলোই বিএনপির করা।

আগামী দিনের যে অর্থনীতি হবে সেটা মাথায় রেখে আমরা একটা পরিকল্পনা আগেভাগেই করেছি। আমাদের ভিশন ২০৩০-এ এর প্রতিফলন ঘটেছে। ৩১ দফার সংস্কারের মধ্যেও তার প্রতিফলন রয়েছে।’

‘সেটাকে মাথায় রেখে আমরা আমাদের দেশে আসা বিনিয়োগকারীদের বলছি আমরা কী কী পরিবর্তন আনব।

বিনিয়োগকারীদের বাধা-বিপত্তির মধ্যে যেন পড়তে না হয়, আগামী দিনে তার জন্য আমরা আমূল পরিবর্তন আনতে চাই। তার মধ্যে একটি সিরিয়াস ডিরেগুলেশন করব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটি মুক্ত অবস্থায় নিয়ে যেতে চাই। বিনিয়োগকারীদের এয়ারপোর্ট থেকে আনা থেকে শুরু করে তাদের বিনিয়োগ ও উৎপাদনে যাওয়া পর্যন্ত এবং উৎপাদনের পরবর্তী সময়ে তাদের সকল সুযোগসুবিধা যাতে ব্যাহত না হয় এজন্য আমাদের পরিকল্পনায় সবকিছু খুলে বলেছি।

তিনি আরো বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সাহেব ১৯৮০ সালে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আইন করেছেন। আমরা এখানে বাস্তবায়নের কথাও বলেছি। যেমন বিনিয়োগকারী আসার পরে তার প্রজেক্টটা শুরু করার জন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তরের লাইসেন্সিংয়ের বিষয় আছে, অনুমতির বিষয় আছে। আমরা এর জন্য বিডাতে ইনভেসমেন্ট ক্যাপ্টেন বলে অনেকগুলো ক্যাপ্টেন দেব। প্রত্যেকটা ইনভেস্টরের জন্য একজন ক্যাপ্টেন থাকবে।

বিনিয়োগকারীকে কোনো অফিসে যেতে হবে না, কোনো মন্ত্রণালয় যেতে হবে না। ওই ক্যাপ্টেনকে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। যেমন লাইসেন্স এক সপ্তাহের মধ্যে, তাদের ভিসা অনুমতি এক সপ্তাহের মধ্যে। আমরা একটা সময় নির্ধারণ করে দিচ্ছি, যাতে করে বিনিয়োগকারীর কোথাও যেতে হবে না।’

বিনিয়োগকারীদের অবস্থা তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা এখন রি লোকেশন করার চেষ্টা করছেন। এজন্য তারা ভালো দেশ কোনটা সেটা খুঁজে বেড়াচ্ছেন। সবাই রিক্যালিব্রেট করছে তাদের পলিসি। সেজন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সেই প্রস্তুতি বিএনপি নিয়েছে আগামী দিনের জন্য। বিএনপি যখন ইপিজেড করেছে তখন এই সাব কন্টিনেন্টে এটা চিন্তাও করেনি। ঠিক একইভাবে আমাদের এই যে ভবিষ্যতের চিন্তা আমরা সকল দেশের চাইতে এগিয়ে থাকব এই অঞ্চলে। একইসঙ্গে এই সাব কন্টিনেন্টে সবার চাইতে প্রতিযোগিতামূলক থাকব। আন্তর্জাতিকভাবেও প্রতিযোগিতামূলক থাকব। আমরা মনে করি, আমাদের যে প্রস্তাবনা এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আগামী দিনের বাংলাদেশে একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে বলে বিশ্বাস করি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। জাতীয় স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আগামী দিনের নির্বাচিত সরকার। কারণ বিনিয়োগ তো অল্প সময়ের জন্য নয়। সুতরাং, তারা জানতে চাচ্ছে আগামী দিনে আমাদের নীতিমালা কী হবে। সেগুলোই আমরা তাদের সামনে তুলে ধরছি। আমরা আশা করি, আমরা যে নীতিমালা প্রস্তুত করেছি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি সবসময় বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে চায়। এজন্য জিয়াউর রহমানের নীতির মধ্যে প্রথমেই ছিল বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, রপ্তানির মাধ্যমে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং উন্নয়ন মানে উৎপাদন। এটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে বিনিয়োগের বিকল্প কিছু নেই। বিএনপির জন্ম থেকেই এই ধারণা নিয়েই আমাদের রাজনীতি। এজন্য বিনিয়োগের স্বার্থে দেশের সকলের একটা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা থাকা উচিত। যে কারণে আমরা এই বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিয়েছি। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আমাদের পক্ষ থেকে তাদের আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতা থেকে চলে যায়, আজ থেকে ১৭-১৮ বছর আগে, আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.০৭%। প্রবৃদ্ধি ছিল ঊর্ধ্বমুখী। সেই ধারা অব্যাহত থাকলে এখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে থাকার কথা ছিল। কিন্তু বিগত সরকারের মিস ম্যানেজমেন্ট ও দুর্নীতির কারণে সেটা ধ্বংস হয়ে গেছে।’

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, তাজভীরুল ইসলাম, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য হুমায়ুন কবির, ড. মাহাদি আমিন ও বিএনপির আন্তর্জাতিক সহ পরামর্শ কমিটি সদস্য ইসরাফিল চৌধুরী খসরু।

মন্তব্য

জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী বহিষ্কার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎ, নাগরিক কমিটির নেত্রী বহিষ্কার
সংগৃহীত ছবি

জাতীয় নাগরিক কমিটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সংগঠক দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ৮ এপ্রিল জাতীয় নাগরিক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাঁকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

জাতীয় নাগরিক কমিটির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় নাগরিক কমিটির নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী দিলশাদ আফরিনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সংগঠনের শৃঙ্খলা ও আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

সব অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্যসচিব (ভারপ্রাপ্ত) আখতার হোসেনের অনুমোদনক্রমে দিলশাদ আফরিনকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব আল আমিন (বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব) সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাৎসহ বেশি কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
প্রতিদ্বন্দ্বী ভার্সাচিকে ১.৩৭ বিলিয়ন ডলারে কিনে নিচ্ছে প্রাদা

প্রতিদ্বন্দ্বী ভার্সাচিকে ১.৩৭ বিলিয়ন ডলারে কিনে নিচ্ছে প্রাদা

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশসহ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের একগুচ্ছ প্রস্তাব জামায়াতের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশসহ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের একগুচ্ছ প্রস্তাব জামায়াতের
সংগৃহীত ছবি

ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫-এর ১০ এপ্রিল শেষ দিনে অংশগ্রহণকারী বিদেশি ও দেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।

জামায়াতের প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলের শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের সহসভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম রাজু, সেক্রেটারি ড. আনোয়ারুল আজিম ও সদস্য মো. মাসুদ কবির। বৃহস্পতিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।

নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের গুড গভর্নেন্সের কথা বলেন।

তারা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগমুক্ত ব্যাবসায়িক পরিবেশ ও বিনিয়োগবান্ধব দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশের আশ্বাস দেন। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের বিষয়গুলোর ব্যাপারেও ইতিবাচকভাবে সাড়া দেন।

আরো পড়ুন
ক্ষমতায় এলে দেড় বছরে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

ক্ষমতায় এলে দেড় বছরে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

 

বিনিয়োগকারীগণ জামায়াতে ইসলামীর কাছে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের ব্যাপারে জামায়াতের ভূমিকা ইতিবাচক। তারা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি সুশাসন উপহার দেওয়ার কথাও বলেন।

জামায়াত প্রতিনিধিগণ আরো বলেন, বিগত সময়ে জামায়াতের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয় পরিচালনার সময় কোনো দুর্নীতির অভিযোগ ছিল না। বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার আশ্বাস দিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।

গত দুই দিনে চায়না, ব্রিটেন, কানাডা, নেদারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদের সাথে বিভিন্ন উদ্বেগের কথা জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বলা হয়, বিনিয়োগ সম্মেলনে বিদেশীরা বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে। একই সাথে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে।

এই সম্মেলন সংকট উত্তরণে ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন তারা।

জামায়াত প্রতিনিধিদলের সদস্যগণ আরো বলেন, বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দেশে ব্যাবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই সাথে সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে। বিনিয়োগকারীদের পূজির নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ওয়ান স্টপ সলিউশন যেন কার্যকরী হয় সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ দেওয়া হবে। প্রফিট ফেরত পাওয়ার ব্যাপারটি সহজতর করা হবে বলে তারা বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেন।

জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়ার পাশাপাশি গুড গভর্ন্যান্স উপহার দেওয়া হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুন্দর পরিবেশ রয়েছে, প্রকৃতি, বন্দর, নদী ও বন্দর ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এসব সুবিধা কাজে লাগাতে পারেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ