ভারতের উদয়নারায়ণপুরের গড়ভবানীপুর সোনাতলা নামক এলাকায় প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তরুণীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম তৃষা বাগ। তার বড়ি দেশটির গড়ভবানীপুরের পানিয়াগড়ি এলাকায়।
প্রেমের প্রস্তাবে 'না', তরুণীর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ
কালের কণ্ঠ অনলাইন

ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তৃষা প্রাইভেট টিউশন পড়ে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিল।
পরিবারের অভিযোগ, অজিত তাকে প্রায়ই প্রেম নিবেদন করে উত্যক্ত করত। এ নিয়ে তৃষার পরিবারের লোকেরা অজিতকে বহুবার নিষেধ করেছে। বেশ কয়েকদিন আগে একবার সালিশও হয়। অজিতকে প্রেম নিবেদন না করার কথাও বলা হয়। তারপর কয়েকদিন অজিত আর তৃষাকে প্রেম প্রস্তাব দেয়নি। তারপর বুধবার আচমকা ওই স্কুলছাত্রীর ওপর হামলা চালায়।
তৃষার মা প্রভাতী বাগ বলেন, ‘অজিত মেয়েকে বিরক্ত করত। আমরা প্রতিবাদও করেছি। কিন্তু ও যে মেয়েকে খুন করে দেবে তা ভাবতে পারছি না। আমরা ওর চরম শাস্তি চাই।’ অজিতের পরিবারেরও দাবি, দোষ করলে আইন তাকে শাস্তি দিক।
সম্পর্কিত খবর

বেলুচিস্তানে মাহরাং বালোচের মুক্তির দাবিতে ধর্মঘট পালিত
অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে বিওয়াইসি নেতা ড. মাহরাং বালোচ এবং অন্যান্য নারী কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে প্রাদেশিক সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মঘট পালিত হয়েছে। গত সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি-মেঙ্গাল (বিএনপি-এম) সভাপতি সরদার আখতার মেঙ্গালের ডাকে বেলুচিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় ধর্মঘট পালিত হয়েছে।
ডনের খবরে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা যারা ওয়াধ থেকে কোয়েটা পর্যন্ত দীর্ঘ পদযাত্রার পরিকল্পনা করেছিলেন, তারা গত ১১ দিন ধরে লাকপাস এলাকার কাছে অবস্থান ধর্মঘট করছিলেন। এ কারণে প্রশাসন সেখানে কঠোর নিরাপত্তা মোতায়েন করে এবং কোয়েটাকে কালাত এবং রাখশন বিভাগের সঙ্গে সংযোগকারী সুড়ঙ্গটি বন্ধ করে দেয়।
সরকারি কর্তৃপক্ষ সরদার আখতার মেঙ্গলকে সতর্ক করে দিয়েছিল যে, তিনি এবং অন্যান্য বিক্ষোভকারীরা কোয়েটা জেলার সীমানায় প্রবেশ করলে তাদের জননিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণ আদেশ আইনে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া কোয়েটা জেলায় গণজমায়েত নিষিদ্ধ করতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল।
বিএনপি নেতাদের মতে, বেলুচিস্তানের বেশিরভাগ এলাকায় ধর্মঘট পালিত হয়েছে। তারা আরো দাবি করেন, ওয়াধে পুলিশের গুলিতে তাদের দলের চারজন কর্মী আহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি আইফোনের দাম ছাড়াতে পারে সাড়ে ৩ হাজার ডলার
অনলাইন ডেস্ক

চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর মার্কিন সরকারের আরোপিত শুল্কের জেরে আইফোনের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে। সম্প্রতি সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর ফলে আইফোনের দাম ছাড়িয়ে যেতে পারে সাড়ে ৩ হাজার ডলার। বর্তমানে একটি আইফোন ১ হাজার ডলারে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে উৎপাদন সংশ্লিষ্ট চাকরি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনায় কম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করতে শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন সরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল যদি যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ফোনগুলো তৈরি করে তবে একটি আইফোনের দাম গিয়ে দাড়াতে পারে সাড়ে ৩ হাজার ডলারে। একই ফোন বর্তমানে ১ হাজার ডলার পাওয়া যায়।
অ্যাপল তাদের সিংহভাগ আইফোন চীনে অবস্থিত তাদের কারখানায় উৎপাদন করে। সেখানে শ্রমিকের ব্যয় অনেক কম। অন্যদিকে একই মোবাইল যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করতে হলে নতুন কারখানা স্থাপন, সরবরাহ চেইন স্থাপনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে।
অ্যাপল তাদের আইফোন তৈরিতে এশিয়ার কয়েকটি দেশের ওপর অতিনির্ভরশীল। আইফোনের ডিসপ্লে আসে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে, তাইওয়ান থেকে আসে চিপ। এই সমস্ত যন্ত্রাংশ চীনা কারখানায় একত্রিত করা হয় এবং তারপর বিশ্বব্যাপী আইফোন সরবরাহ করা হয়। আন্তর্জাতিক এই সরবরাহ চেইনের ফলে উচ্চ মুনাফা করতে পারে অ্যাপল।
শুল্ক ঘোষণার পর অ্যাপলের শেয়ারের দাম কমেছে ২৫ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছে কোম্পানিটি। এজন্য শুল্ক কম থাকা ব্রাজিল এবং ভারত যেখানে শুল্ক অপেক্ষাকৃত কম এমন দেশের দিকে নজর দিয়েছে তারা। অ্যাপল তাদের উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে না নিয়ে এসব দেশে নিলেও আইফোনের দাম বাড়বে।

ভিডিও গেম খেলার সময় ‘সাইবার বুলিংয়ের’ শিকার ইলন মাস্ক
অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক একটি ভিডিও গেম লাইভস্ট্রিমের সময় বারবার পরাজিত হয়ে এবং অনলাইনে মন্তব্যকারীদের উপহাসের শিকার হয়ে রেগে গেম খেলা বাদ দেন।
দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত মাস্ক স্টারলিংকের ইন-ফ্লাইট ওয়াইফাই প্রদর্শনের জন্য তার প্রাইভেট জেট থেকে ‘পাথ অব এক্সাইল ২’ গেমটি খেলে সরাসরি সম্প্রচার করেন। এ সময় তিনি প্রায় ৯০ মিনিট ধরে চুপচাপ খেলার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তার চরিত্রটি বারবার মারা পড়ছিল; যদিও মাস্কের দাবি ছিল যে তিনি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন।
মাস্ক এই গেমটি খেলার সময় গেমের চ্যাট অপশন সবার জন্য খোলা রেখেছিলেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সাইবার বুলিংয়ের শিকার হন। তার গেম খেলার দক্ষতা ও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে তীব্র বিদ্রূপ করতে থাকে অনেকে।
একটি বার্তায় যা মাস্কের মাথার পাশে স্ক্রিনে দেখা যায়, লেখা ছিল: ‘তুমি সবসময় অনিরাপদ বোধ করবে এবং তা কখনো দূর হবে না।
অন্য একজন ব্যবহারকারী, যিনি নিজেকে একজন রক্ষণশীল প্রভাবশালী হিসেবে পরিচয় দেন এবং দাবি করেন যে তিনি মাস্কের ১৩তম সন্তানের মা। তিনি লেখেন, ‘ইলন। আমি, অ্যাশলি সেন্ট ক্লেয়ার। তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করার আর কোনো উপায় ছিল না, তাই আমি পিওই২-এর প্রাথমিক সংস্করণ কিনে নিয়েছি।
আরো এক বার্তায় বলা হয়, ‘মাস্ক যেন ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত হন যাতে প্রেসিডেন্ট হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।’
অন্য একটি মন্তব্যে তার বিচ্ছিন্ন কন্যা ভিভিয়ান উইলসন পরিচয় দেওয়া একজন লেখেন, ‘মাস্ক ভিডিও গেমে সত্যিই খারাপ।’
কেউ কেউ তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করে বলেন, যেন তিনি ইন-গেম চ্যাট বন্ধ করে দেন যাতে অপমানজনক বার্তা আর না আসে।
তবে খেলার মৌলিক নিয়ন্ত্রণ শেখানোর জন্য নির্ধারিত অংশে ‘বস’ তার চরিত্রটিকে বারবার মেরে ফেলার কারণে মাস্ক তার খেলা বন্ধ করে দেন এবং বলেন যে, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যদিও স্ট্রিমটি তখনও লাইভ অবস্থায় ছিল।
‘পাথ অব এক্সাইল ২’ মাস্কের জনপ্রিয় গেমগুলোর একটি। তবে তিনি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন হওয়ার যে দাবি করেছেন, তা খুব একটা গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, বিশেষ করে যখন শোনা যায় তিনি নিজের গেম চরিত্র উন্নত করতে টাকা দিয়ে অন্যদের সাহায্য নিয়েছেন।
এই গেমটি একটি ফ্যান্টাসি দুনিয়ায় সেট করা একটি রোল-প্লেয়িং অ্যাডভেঞ্চার গেম, যেখানে খেলোয়াড় মিশন সম্পূর্ণ করে ও শত্রুদের পরাজিত করে দক্ষতা অর্জন করে।
গেমটি এখনো পুরোপুরি প্রকাশিত হয়নি, তবে কিছু নির্বাচিত ব্যবহারকারীদের জন্য প্রাথমিক সংস্করণ উন্মুক্ত করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স
অনলাইন ডেস্ক

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স এবং সেটা কয়েক মাসের মধ্যেই। এমন পরিকল্পনার কথাই জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। আগামী জুনে নিউ ইয়র্কে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত নিরসনের জন্য জাতিসংঘের সম্মেলনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেন, ‘আমাদের স্বীকৃতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমরা তা করব।
ম্যাখোঁ বলেন, ‘আমি এটা করব। কারণ, আমি বিশ্বাস করি যে একপর্যায়ে এটাই সঠিক হবে। যা ফিলিস্তিনের পক্ষের সবাইকে পালাক্রমে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার সুযোগ করে দেবে, যেটা তাদের অনেকেই করে না।
ফ্রান্স দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতে দ্বি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাধানের পক্ষে। কিন্তু প্যারিস কর্তৃক ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং ইসরায়েল এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করতে পারে।
সূত্র : এএফপি